মঙ্গলবার, ১৯ মে, ২০১৫

জাতি নূর ও খালকি নূর ( রাহাত)

Rahat Hasan Rabby
এই নামটার সাথে আমার দীর্ঘ দিনের একটা মনমালিন্য আছে। যা পরবর্তিতে চরম আঁকার ধারন করে তার নিজের উগ্রপন্থী মনো ভাব ও আমার দাঁত ভাংগা জবাব ও মার প্যাচের কারনে । সে নিজেকে যে কি মনে করে তা আল্লাহ তায়ালা জানে । তবে আমি তারে কলুর বলদ ছারা কিছু মনে করতে পারছি না এই মুহুর্তে । 

গত দিনের পোষ্ট এ সে প্রথমেই লিখেছে যে ;-  ১) আসসালাতু আসসালামু অলাইকা ইয়া #নূর আল্লাহ। 

আপত্তি ;- নূর আল্লাহ যদি বলে থাকেন আপনি তো তা  হবে প্রকৃত পক্ষে আল্লাহরই নিজের ছিফাত । 

আর আমি হাদিসে পড়েছি নবী পাক বলেছেন যে ;- তোমরা আল্লাহর প্রতি সালাম প্রেরন করিও না।  কারন আল্লাহ নিজেই সালাম (ইয়া সালামু) তাই বলব আল্লাহর প্রতি সালাম পেশ করার নির্ভর যোগ্য দলিল দিবেন রেফারেন্স সহ । 

তার পোষ্ট থেকে ;- আল্লাহপাকের #জাতী_নূরের জৌতী এ বিষয়ে স্টেটাস দিবো।কারন কিছু সুন্নী মুখোশধারী শয়তান যারা রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহী ওয়া সাল্লাম এর শান ও মানের খেলাফ কথা বলে সুন্নীয়াতের দোহাই দিয়ে মানুষকে ধোকা দিচ্ছে #সিরাজনগরীর মত মুনাফেকের কথা শুনে।আরেক পাগল সূফীবাদকে জঙ্গীবাদে রুপান্তরের জন্য নিজে ফেসবুক মোজাদ্দেদ সাজছে যার কুরআন এবং হাদীস সম্পর্কে নূন্যতম এলেম নাই তাকাব্বুরী আর বড় বড় বুলী ছাড়া। ।

জবাব ;- যাক। একটু হলেও লাইনে এসেছে যে আল্লাহ পাকের জাতি নূরের জ্যোতি বলেছে নবী পাক কে । 
এর পর সিরাজ নগরী সাহেব কে বলেছে মোনাফেক । 

আসলে প্রকৃত পক্ষে সিরাজ নগরী সাহেবের কথা আমি শুনি ও না আর মজার কথা হচ্ছে আমি ওনার পুরা নাম ও জানি না । 

এর পর বলেছে যে আমি সুফীবাদকে  নাকি জংগিবাদে রুপান্তর করার জন্য মোজাদ্দেদ সেজেছি ।

কথা হচ্ছে যে ;- আমাদের সুফী দের যারা ইমাম তারা সকলে জংগি আছিল তার কথা মতে । আমাদের সিলসিলার লিষ্টে সবার উপরে নবী পাক ও ওনার পরে আছেন হযরত আবু বক্কর সিদ্দিক । 

আর হযরত আবু বক্কর সিদ্দিকের চেয়ে আর কে জংগি আছে ? আর থাকলেই বা তার মত কতজন আছে ? 

তাই আমরা মুশরিক ও আল্লাহ দ্রোহিদের সাথে জিহাদ ( আপনার কথা মতে জঙ্গীবাদ ) অবশ্যই জারি রাখব । 
কারন আমাদের ধর্ম এমন একটা ধর্ম যে ;- জেহাদ আমাদের জন্য ইবাদত । এবং আমরা এমন একটা ইবাদত থেকে দূরে থাকতে চাই না । আল্লাহ আমাকে জীহাদের ময়দানে কবুল করুন। 

এর পর সে নাকি মুল কথা শুরু করল ;- 
তার দলিল :- সুরা মায়েদা আয়াত নং ১৫ ;- ক্বাদ জায়াকুম মিনাল্লাহি নূরি ওয়া কিতাবুম মুবীন । 

আমি ব্যাথা করতে গিয়ে পোষ্ট বড় করতে চাই না । 
এই আয়াতে আল্লাহ তায়ালা নবী পাক কে নূর ও বলেছেন ও পবিত্র কোরান কে কিতাবুম মুবিন বলেছেন।  আমাদের এতে কোন দ্বিমত নাই। 

কিন্তু পরক্ষনে নিজেই কিছু যগা খিচুরি পরিবেশন করে লিখেছেন যে মিনাল্লাহি বলার কারেন এটা আল্লাহ তায়ালার নিজের জাতি নূর হয়ে গেছেন । 

জবাব: আমি বলব এখন যে আল্লাহ তায়ালা সুরা ইমরান এ জীব্রাইল (আ) কে  সরাসরি রুহুল্লাহ বলেছেন । তিনি কি আল্লাহর রুহ ছিলেন ? 
আদম সাফিউল্লাহ কে যখন তৈরি করলেন তখন আল্লাহ বলেছেন যে এর পর আমি আমার রুহ ফুকে দিলাম তার মাঝে । এই খানে কি আল্লাহ তায়ালা নিজের রুহ কেই হযরত আদম ( আ) মাঝে দিয়েছিলেন ? 

কোরানের আয়াত দিয়ে দিব এই বিষয় , কমেন্ট করে চেয়ে নিবেন রাহাত সাহেব।  যদি আপনার মায়ের স্বামী একজন হয় । 

মিনাল্লাহি এর মতলব এটাই হবে যে আল্লাহর পক্ষে  থেকে এসেছেন।  এর পর যদি বিশ্বাস না হয় তবে কোন নির্ভর যোগ্য তাফসীর কিতাব থেকে তার পুর্ন ব্যাথা পেশ করুন। আর জানি জন্ম আবার নিলে ও পারবেন না । 

আর আপনি আমাকে মুর্খ বলেছেন। 

আমি আসলেই মুর্খ। কারন একদিন হযরত মুসা (আ) তার উম্মাতের সামনে ওয়াজ নসিহত করছিল আর একজন লোক বললো যে নিশ্চয় আপনি এই দুনিয়ার মধ্য সব চেয়ে বড় ইলম ওয়ালা । তখন মুসা (আ) বলেছিলেন , হা , নিশ্চয় । তখন আল্লাহ বলেছিল যে তোমার উচিত ছিল এমন বলা  যে তা আল্লাহ তায়ালা ভাল জানেন। ও পরে মুসা (আ) কে তিনি হযরত খিজির (আ) কাছে পাঠিয়ে দেন । আর তিনি দেখতে পান  যে হযরত খিজির (আ) তার চেয়ে ওনেক জ্ঞানী ছিলেন । ( আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া) হযরত মুসা (আ) ও খিজির (আ) এর ঘটনা দেখে নিন। ১ম খন্ড । তাই আমি যে মুর্খ এটা মেনে নিতে আমার কোন আপত্তি নাই। আল্লাহ তায়ালা তা ভাল জানেন । 

এর পর সে দুটা কিতাবের রেফারেন্স দিয়ে লিখেছে যে ;- আল্লাহ তায়ালার নিজস্ব জাতী নূর নবী পাক (সা) 

যে দুইজন আলেমের বর্নানা দিয়েছেন আমি তাদের সেই কিতাবের পাতা গুলো নিজের গুলো  দেখার আশা প্রকাশ করছি । 
আর আশা করছি যে আমার আশা পুর্ন হওয়ার রাহ(ইন্তাজার) করতে হবে না  । কারন তিনি দিলদার আদমি হে ভাই।  বিগহার্ট বয় যাকে বলা হয় । 

আমি কিন্তু এখন ও কোন আপত্তি পেশ করি নাই জবাবের আশায় নতুন করে । এখন ও আমি তার কথা গুলো বিশ্লেষন করে যাচ্ছি । 

সে আল্লাহ সুবহানা তায়ালা কে নূর বলেছে ও নূর কে দুই ভাগ করেছে , এক নূর গরম ও এক নূর বরফ বা ঠান্ডা । 
এরে একবার করেছে জাররা  ও একবার করেছে সাররা , বাবা আমি বলব তুই একটু খানি দাড়া । 
আমি ও  কিছু প্রশ্ন করি খাড়া খাড়া । তোমার হাল যেন না হয় সারা । 

আল্লাহ কি নূর ? 

 মুসলিম শরীফের ব্যাখ্যাগ্রন্থ “শরহে মুসলিম”
কিতাবের ১ম খণ্ডের ৯৯ নং পৃষ্ঠা  , ইমাম নবভী রহঃ উম্মতের ইজমাহ
উল্লেখ করে লিখেছেন যে,
ﻭﻣﻦ ﺍﻟﻤﺴﺘﺤﻴﻞ ﺍﻥ ﺗﻜﻮﻥ ﺫﺍﺕ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﻨﻮﺭ. ﺍﺫﺍ ﺍﻟﻨﻮﺭ
ﻣﻦ ﺟﻤﻠﺔ ﺍﻻﺟﺴﺎﻡ. ﻭﺍﻟﻠﻪ ﻳﺠﻞ ﻋﻦ ﺫﺍﻟﻚ. ﻫﺬﺍ ﻣﺬﻫﺐ ﺟﻤﻴﻊ ﺍﺋﻤﺔ ﺍﻟﻤﺴﻠﻤﻴﻦ. ﻭ ﻣﻌﻨﻲ ﻗﻮﻟﻪ ﺗﻌﺎﻟﻲ : ﺍﻟﻠﻪ ﻧﻮﺭ ﺍﻟﺴﻤﺎﻭﺍﺕ ﻭﺍﻻﺭﺽ ﻭ ﻣﺎ ﺟﺎﺀ ﻓﻲ ﺍﻻﺣﺎﺩﻳﺚ ﻣﻦ ﺗﺴﻤﻴﺔ ﺳﺒﺤﺎﻧﻪ ﻭ ﺗﻌﺎﻟﻲ ﺑﺎﻟﻨﻮﺭ ﻣﻌﻨﺎﻩ ﺧﺎﻟﻘﻪ ﻭ ﻗﻴﻞ ﻫﺎﺩﻱ ﺍﻫﻞ ﺍﻟﺴﻤﺎﻭﺍﺕ ﻭﺍﻻﺭﺽ ﻭ ﻗﻴﻞ ﻣﻨﻮﺭ ﻗﻠﻮﺏ ﻋﺒﺎﺩ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﻤﺆﻣﻨﻴﻦ .
“আল্লাহ তায়ালার জাত বা সত্তা নূরের বলা যাবেনা।
কারণ নূরেরও আকৃতি রয়েছে।অথচ
আল্লাহপাক দেহ বা আকার-আকৃতির গণ্ডী থেকে উর্ধ্বে। এটাই মুসলিম উম্মাহার সকল
উম্মতের মাযহাব। আর পবিত্র কুরআনে যে আয়াতে এবং যে সকল হাদিসে আল্লাহকে নূর বলা হয়েছে, তার অর্থ হল নূরের সৃষ্টিকর্তা, আসমান ও জমিনের
বাসিন্দাদের হেদায়াত দাতা এবং মুমিন বান্দাগণের
অন্তর সমূহ (হেদায়াতের আলোকে)
আলোকিতকারী।”
মুসলিম শরীফের ব্যাখ্যাকারক
সম্মানিত ইমাম, আল্লামা ইয়াহইয়া ইবনে শরফুদ্দিন
আন-নবভী রহঃ (জন্ম ৬৩০ হিজরী, মৃত
৬৭৭)-এর উপরোক্ত বক্তব্য দ্বারা পরিস্কার হয়ে গেল যে, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার
মহান জাত বা সত্তাই নূরের নন।

এর পর ও যদি আল্লাহ তায়ালা কে নূর বলা হয় তবে তার আঁকার আকৃতি সকল কিছু সাব্যস্ত হবে । 
আর তিনি যে জাররা ও সাররা এর বর্ননা দিয়েছেন তার যেন নির্ভর যোগ্য রেফারেন্স দিয়ে বাধিত করেন আমাকে । 
কিন্তু যদি এটা বলা হয় যে এই দুনিয়া সকল কিছুর আধার বা প্রকৃত রহস্য সেই আল্লাহ তায়ালার নিজ জ্যোতি বা নূর থেকেই তাতে কোন মতভেদ নাই।  কিন্তু যদি আল্লাহ তায়ালার উপাদান নূর বলা হয় তো বেরা গাড়াক । 

তার পোষ্ট থেকে (- এখন আসুন মিরাজুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহী ওয়া সাল্লাম এ চলে যাই,,সিদরাতুল মুনতাহার একচুল উপরে জীবরাঈল আমীন যেতে পারবেনা কারন তার ৭০হাজার নূরের পাখা আল্লাহর তাজাল্লীতে জ্বলে ছাড়খার হয়ে যাবে।। 
আপত্তি ;- সিদরাতুল মিলতাহার একচুল উপরে জিব্রাইল আমীন যেতে পারবেন না  ও আল্লাহর তাজাল্লির কারনে জ্বলে যাবে জীব্রাইল আমীন। আমাদের এটা মান্য করতে কোন আপত্তি নাই।  তাই বলে এটা নয় যে জীব্রাইল (আ) যেতে পারতেন না সেখানে।  তিনি ঠিকই যেতে পারতেন যদি অনুমতি থাকত।  আল্লাহ পাকের কোন অনুমতি ছিল না জিব্রাইল (আ) এর উপরে যাওয়ার। আর অনুমতি ছিল না বলেই তিনি  জলে যেতেন ।  আর যদি অনুমতি থাকত তবে আল্লাহ তায়ালা সেই বন্দোবস্ত ও নিজেই করতেন যাতে জীব্রাইল আমীন উপরে যেতে পারেন । 

আর ৪ থা আসমানে হযরত ইসা (আ) আছেন ।
ইমাম গাজালী (রহ)র স্বীয় মজলিসে গাজালী বর্ননা হয়েছে যে ;- হযরত ইসা (আ) কে যখন ৪ থা আসমানে নেয়া হল তখন জিগ্গেস করা হল তোমার কাছে কি ? তখন তিনি বললেন আমার কাছে একটা লোটা আছে যা দিয়ে তিনি গোসল করছিলেন। তখন আল্লাহ বললেন যে তোমারে যখন নিয়ে আসা হচ্ছিল তখন তা ফেলে দিলে না কেন ? 

এখন ৪ থা আসমানেই থাক । এই কথা বলে ওনাকে ওখানেই রাখা ও আজ পর্যন্ত তিনি সেখানেই আছেন । ( মজলিস এ গাজালী ) 

কিতাবের পাতা দরকার হলে বলে দিবেন। দিয়ে দিব । 

তো হযরত ঈসা (আ)র সাথে ওই গায়ে পানি ঢালা লোটা না থাকলে হয়তো বা আল্লাহ ওনার কাছেই নিতে পারতেন।  
কিন্তু তিনি একজন নবী হওয়ার করানো আজ ও ৪ থা আসমানে আছান। আল্লাহ কি ওনার বসবাসের ব্যাবস্থা করেন নাই ? 

আর সকল ফেরেস্তাদের মধ্য জীব্রাইল আমীন সম্মানিত । তবু ও তিনি সিদরাতুল মিলতাহার অতিক্রম করতে পারেন নাই। 
সিদরাতুল মুনতাহার উপরে কোন ফেরেস্তা নাই ?  আর যদি থেকে থাকে তা হলে তারা কি জীব্রাইল আমানের চেয়ে উন্নত নূর থেকে তৈরি ? 
আর যদি তাই হয় তবে সেই নূরের ও বর্নানা নির্ভরযোগ্য কিতাব থেকে দেয়ার জন্য অনুরোধ করলাম। আর আমি জানি আপনি বড়ই রহম দিল ওয়ালা । 

ইমাম আহলে সুন্নাহ আহমেদ রেজা খান সাহেবের নামে কিছু প্রোপাগান্ডা করেছেন তিনি। আমি তার জবাব দিব।  তারা আগে তার তাফসির একটু তুলে ধরি যা মাদারেজুন নবুয়াতের নামে চালায় দেয়ার অবকাশ পেয়েছে ।

তা দেখুন ;-পরিশেষে আল্লাহপাকের আরেকটি ঘোষনা দিয়ে ইতি টানবো-"হু ওয়াল আখেরু ওয়াজ্জাহেরু ওয়াল বাতেনু ওয়াহু ওয়া বীকুল্লী শাইয়ীন আলীমুন"
শেখ আব্দুল হক মুহাদ্দিস-ই-দেহলভী রহঃ "মাদারিজুন-নবুয়াতে" এ আয়াতের তাফসীরে লিখেন অর্থাত্-"এ অলৌকীক শব্দাবলীর দ্বারা স্বয়ং আল্লাহ তা'আলা নিজ ইলাহীয়তের/জাতের প্রশংসা করেছেন এবং তিনি সকল দোষ ত্রুটিমুক্ত,সে সম্বন্ধে কুরআনে নিজ কিবরিয়াইর মহিমা ঘোষনা করেছেন।
এতে স্পষ্টই প্রমাণিত হলো যে,রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহী ওয়া সাল্লাম হলো আল্লাহপাকের আসমা-ই-হুসনা ও #জাতেরছায়া।
আপত্তি; আমার কাছে মাদারেজুন নবুয়াত কিতাব আছে। ১-৮ পর্যন্ত আছে। আপনি আপনার এই উপরে বর্নিত তাফসীরের রেফারেন্স করুন।  আর মজার কথা হচ্ছে মাদারেজুন নবুয়াত একটা সীরাত গ্রন্থ।  তাফসির নয়। যদি ১-২ আয়াতের তাফসীর করে ও থাকেন তার রেফারেন্স দিবেন আমাকে। নিজের চোখে দেখার মজাই আলাদা।  তাই নয় কি রাহাত সাহেব ? 

আর নিচে লিখেছেন যে ;- এতে স্পষ্টই প্রমাণিত হলো যে,রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহী ওয়া সাল্লাম হলো আল্লাহপাকের আসমা-ই-হুসনা ও #জাতেরছায়া।। 

এতে যে জগত খিচুরি প্রমান হয়েছে তাতে কোন সন্দেহ নাই। আজকে সাধারন ওহাবি রা আমাদের কে মুশরিক কোন বলে জানেন ? 

কারন আমরা ওনেকে আল্লাহর সীফাতের অধিকারী মনে করি নবী পাক কে । যেমন এই রাহাত সাহেব লিখেছেন (এতে স্পষ্টই প্রমাণিত হলো যে,রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহী ওয়া সাল্লাম হলো আল্লাহপাকের আসমা-ই-হুসনা ও #জাতেরছায়া।) 

নবী পাক নাকি আল্লাহ পাকের আসমা ই হুসনা  ও আল্লাহর জাতের ছায়া । এক মানে কি ? নবী পাক কি আল্লাহ পাকের সৌন্দের গুনে গুনান্নিত? 
নবী পাক কি আল্লাহ পাকের ছায়া ? এমন কথা যারা বলবে তারা কি করে মুসলিম ? 

এর পর  ইমাম আহমেদ রেজা খান সাহেবের নাত দিয়ে লিখেছেন যে ;- এবার সকলের পরিচিতি আলা হযরত আহমদ রেযা খাঁন রাঃ এর নাতখানা শুনি-"তুহে আইনি নূর তেরা সব ঘড়ানা নূরকা"
তিনি এভাবে বর্ননা করছেন-"মুহাম্মদ খোদা নেহী লেকীন খোদা সে জুদা নেহী
। 
আমাদের নবী অবশ্যই নূর ও ওনার বাচ্চা বাচ্চা নূর। এতে আমরা দ্বিমত প্রকাশ করি না । আর এটা ও অস্বীকার করি না যে (মুহাম্মদ খোদা নেহী লেকীন খোদা সে জুদা নেহী) 

এটা র অর্থ এটা নয় যে তিনি খোদার মতই । 

বরং আল্লাহ তায়ালা ওনাকে ওনেক বেশি মুহাব্ব্ত করেন ও নিজের বন্ধু রুপে কবুল করেছেন ও সকল আম্বিয়া কেরামের আগে তিনি সর্ব প্রথম সৃষ্টি ও ওনার থেকেই এই সকল কিছু আল্লাহ তায়ালা সৃষ্টি করেছেন । 
আর সেই নবী কে আল্লাহ কি করে নিজের থেকে দূরে রাখবেন ? 

তাই এমন বলা হয়েছে যে (মুহাম্মদ খোদা নেহী লেকীন খোদা সে জুদা নেহী।
আর এটাই সত্য । 

এটা গেল তার প্রথম দিনের জবাব।  সিরাজনগরী সাহেব কে মোনাফেক এটা সেটা ওনেক কিছু সে বলেছে তা লিখে আর পোষ্ট বড় করতে চাচ্ছি না।  যদি পারে তো জবাব যেন দেয় । 

চলবে ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন