বৃহস্পতিবার, ২৫ জুন, ২০১৫

পীর ধরার বিষয় জাকারিয়া সাহেবের মত

উক্ত কিতাবের ২০ পৃষ্টায় জাকাটিয়া সগেব লিখেছেন যে হজরত আবু ইয়াজিদ (রহ) বলেন অধাতিক লাইনে যার উস্তাদ নেই তার উস্তাদ সয়তান। (তাজ্কিরাতুল এহসান )১৬ নং পৃষ্টা। ইহ্য়ায়ে উলুমুদ্দীন কিতাবে ইমাম গাজালী সাহেব একটা হাদিস বর্ণনা করেছেন যে :-নবী পাক বলেছেন যে উম্মতের ইসলাহের জন্য নবীর দায়িত্ব যেমন তদ্রুপ মুরিদের ইসলাগের জন্য পীরের দায়িত্ব তেমন। (তাজ্কিয়াতুল এহসান ১৯ পৃষ্টা ) 
এখন তিনি নিজের কথা বলতে গিয়ে লিখেছেন যে আমাদের কে ভালো কথা ভালো লাগেনা। ইসলাম থেজে অনেক দুরে সরে এসেছি আমরা তাই কোরান হাদিস ওওবুজুর্গ দের কথা আমাদের দিলের মাঝে আচর করে না যতটা গান বাজনা নাটক নভেল ভালো লাগে। আমরা মাদ্রাসায় দু কলম পড়ুয়ারা বলে থাকি ইমাম গাজালী সাহেবের হাদিস জাল হয়ে থাকে। অথচ তার ও আমাদের ইলমের পার্থক্য করার ইলম ও আমাদের নেই অথছ ওনার বিষয় আমরা খারাপ মন্তব্য করে থাকি (শরীয়াত ও তরিকত কা তালাজুম ২০-২১ নং পৃষ্টা ) 
পীর মুরিদীর লাভ ;- শায়েখ আব্দুল আজিজ মুহাদ্দেস এ দেহলবী সাহেব কেবলা বলেন যে ;- হক্কানী বুজুর্গ গণ ও পীর মাশায়েখ গণ নবী (স) এর মৃত সুন্নাত পীর মুরিদী জিন্দা করার কারণে অনেক সওয়াব পাবেন এবং জারা মুরিদ হয়ে মৃত সুন্নাত কে জিন্দা করবেন তারা ও অনেক সয়াব পাবেন। (একটা মৃত সুন্নাত কে জিন্দা করলে ১০০ শহিদের সয়াব পাওয়া যায়। শরীয়াত ও তরিকত কা তালাজুম পৃষ্টা ২২। 



হজরত এমাম মালেক (রহ) তার জামানার মুজতাহিদ ইমাম গনের জন্য গর্ব ছিলেন এবং হজরত ইমামে মালেক (রহ) সে যুগের তরিকতের পীর মাশায়েখের ও অতি উত্তম ইমাম ছিলেন। (মুয়াত্তা ইমাম মালেক ২৯২ নং পৃষ্টা ) 
উপরে বর্ণিত কথাটা জাকারিয়া সাহেব তার কিতাব (শরীয়াত ও তরিকত কা তালাজুম ) এর ১৭ নং পৃষ্টায় তুলে ধরেন আর তার বেক্ষা করতে গিয়ে লেখেন যে ;-ইমামে মালেক (রহ) জাহেরী বাতেনি ইলম এর ইমাম ছিলেন এবং সে যুগের অধিকাংশ ওলামাগণের এমাম ছিলেন। আরো জেনে রাখা প্রজন যে ইমাম শাফেয়ী ও ইমাম হাম্বল (রহ) ইমাম মালেক (রহ) এর ছাত্র ও মুরিদ।অর্থাত মুজতাহিদ ইমামগণ ও তার হাতে বাইয়াত ও মুরিদ হয়ে ও মালেক (রহ) এর সহ্বতে থেকে জাহেরী ও বাতেনি শিক্ষা লাভ করেছিলেন। তার মূল ইলম হলো নবুয়াতের ইলম যার মাধমে তিনি বিশ্ব বাসীর বড় মুজতাহিদ ইমাম হয়েছিলেন। আর ইমাম মালেক (রহ ) বিসয় নবী পাকের হাদিস আছে যে মানুষ এই ইলম এর তালাশ করতে দূর থেকে দুরে যাবে কিন্তু মদিনার আলেমদের চেয়ে বড় আলেম কথাও পাবে না 

তো সকল মুজতাহিদ গনের কথা থেজে বোঝা যায় যে তরিকত ও শরীয়াত এক ও অভিন্ন। এর পর জাকারিয়া সাহেব লিখেছেন যে আমরা দুকলম মাদ্রাসা পড়ুয়ারা ইলমের ঠেলায় তরিকত কে চোখে দেখি না। অথচ মুজতাহিদ ইমাম গণ তারিকাতের ইমাম ছিলেন। তারা শরীয়াত ও তরিকত কে পার্থক্য করতেন না। তারা উভয় কে সমপর্যায় রাখতেন। (শরীয়াত ও তরিকত কা তালাজুম ) পৃষ্টা ১৭ 

১৮ নং পৃষ্টায় লিখেছেন যে ঈমাম মালেক (রহ) বলেন যে বেক্তি তাসাউফ ও পীর মুরিদীর ইলম হাসিল করলো কিন্তু জাহেরী ফিকাহ এর জ্ঞান হাসিল করলো না সে জিন্দিক। আর যে বেক্তি জাহেরী ফিকাহ এর জ্ঞান হাসিল করলো কিন্তু তাসাউফের জ্ঞান হাসিল করলো না সে ফাসেক। তবে যে বেক্তি উভয় ইলম হাসিল করলো সেই সত্যিকারের মমিন ও হক্কানী আলেম (ফাতহুল মুল্হিম ১ খ ১৬১ পৃষ্টা ,ফজলুল বাড়ি ১খ ৫৩০ পৃষ্টা ) (ইজাহুল মেশকাত ১খ ৬২ পৃষ্টা )


হজরত আনাস (রা) বলেন যে বাতেনি ইলমের অধিকারী পির ও মাশায়েখ গনকে খারাপ বল না। কেন না তাদের চরিত্র নবী গনের চরিত্রের মত হয়ে থাকে এবং তাদের পোশাক ও নবী গনের পোশাকের মত হয়ে থাকে। (কাশফুল'খফা ও মুজিলুল ইল্বাস ২ খ ৩৫১ পৃষ্টা। ) 


উক্ত কিতাবের ১০ পেজ এ তাবলিগীদের আজিম শায়খুল হাদিস জাকারিয়া সাহেব হজরত জাবের (রা;) এর একটা হাদিস বর্ণনা করেন যে রাসুলুল্লাহ সা; ইরশাদ করেছেন যে গাছের নিচে যে মুমিন সাহাবা গণ মুরিদ হয়েছেন তাদের কেউ জাহান্নামে যাবে না ৷ তিরমিজি সরিফ ২ য় খন্ডের ২২৫ নং পৃষ্টা

এই খানে জাকারিয়া সাহেব উপরে বর্ণিত হাদিসের বেখাতে বলেছেন যে সকল সাহাবী সেই দিন মুরিদ হয়েছিলেন নতুন করে মুসলমান হুয়ার পর আবার বায়েত গ্রহণ করেছিলেন তাদের কেউ জাহান্নামে যাবেন না৷ তাদের সাথে ওয়াদা করা হয়েছে তারা সবার আগে হাসতে হাসতে জান্নাতে চলে যাবে ৷ আহ মুরিদ নবী সা; এর সর্ণ তরিকা কতই না মূল্যবান ৷ হে আল্লাহ যারা মুরিদ হউয়ার ভেদ বোঝেনি তাদের কে আমল করার তৌফিক দান করুন ৷ (শরীয়াত ও তরিকত কা তালাজুম) পৃষ্টা নং ১০-১১ 
মুরিদ না হলে বেইমান হয়ে মরতে হয় ;- হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর বলেন রাসুল্লুল্লাহ (সা;) বলেন যে বেক্তি আল্লাহ ও তার রাসুলের অনুকরণ থেকে হাত সরিয়ে নিবে কেয়ামতের দিন তার নাজাতের জন্য কোনো দলিল থাকবে না ৷ আর যে বেক্তি মুরিদ হওয়া ছাড়া মরবে তার মিত্তু জাহেলি যুগের বেইমান লোকদের মত হবে ( মুসলিম শরিফ ২ খ ১২৮ প্রিষ্ট) 
বর্ণিত হাদিসের বেক্ষাতে জাকারিয়া সাহেব লিখেছেন যে ;- রাসুলুল্লাহ বলেছেন আল্লাহ ও তার রাসুলের অনুকরণ না করলে ক্ষমার কোনো দলিল থাকবে না তার পক্ষে কিয়ামতের দিন আর ও বলেন মুরিদ না হয়ে মরলে জাহেলিদের মত মিত্তু হবে ৷যেহেতু নবী পাক দাওয়াত ও তাবলিগ দ্বারা সকলকে মুরিদ করে ঈমানী শিখা দিতেন ৷ তাই তার ও আল্লাহ পাকের অনুকরণে মুরিদ না হলে জাহান্নামী হতে হবে ৷সুরা ফাতাহ এর ১০ নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা সকল সাহাবীকে মুরিদ করার ঘোসনা দিয়েছেন ৷ তাই মুরিদ করা ও মুরিদ হওয়া আল্লাহ ও নবীর সর্ণ তরিকা হিসেবে মর্যাদার স্থান পেয়েছে ৷ আর কোরান ও হাদিস দ্বারা ও তা প্রমানিত ৷ এভাবে মুরিদ না হলে আল্লাহ ও তার রাসুলের বিরোধী বলা হয়েছে ও তাদের কে অশিক্ষিত কাফেরদের মত জাহান্নামী বলা হয়েছে ৷ আর মুজতাহিদ ইমামগণ ও মুরিদ হওয়ার বিসয় কটর মনোভাব বেকত করেছেন ৷ (শরীয়াত ও তরিকত কা তালাজুম ) দেওবিন্দিদের আজিম শায়খুল ইসলাম জাকারিয়া সাহেবের লেখা পৃষ্টা no ১১ 



:- চার ইমামের মতে মুরিদ হওয়ার বিসয় ৷
হজরত ইমাম হাম্বল (রহ ) এর মতে ইমান হলো নবীর নবীর তরিকায় মুরিদ হওয়া ও নবীর আদেস নিশেদ পরিপূর্ণ ভাবে পালন করা ৷ মুরিদ হওয়া একটা বিসয় হলে ও ইমান ,ইসলাম , শরীয়াতের সকল বিসয় এর ভিতর আছে ৷ সুতরাং যে বেক্তি সরিয়াত মানবে না আর গোনাহ করবে সে তার মুরিদ হওয়ার সকল অঙ্ঘিকার ভঙ্গ করবে ৷ অবশ্যই তার ইমান ও কমতে থাকবে ৷ ( ফয়জুল বারী , সরহে বুখারী ১ খ ৪৮ নং পৃষ্টা 

জাকারিয়া সাহেব তার কিতাব (শরীয়ত ও তরিকত কা তালাজুম ) এর ১২ নং পৃষ্টা তে উপরের বর্ণিত ইমাম হাম্বল (রহ) এর কথা উল্লেখ করে তার বেক্ষাতে লিখেছেন যে ;- মুজতাহিদ ইমামগণ মুরিদ হওয়াকে ঈমানী বিসয় বলে আখ্যায়িত করলেন ৷ কারণ তাদের কাছে বায়েত ও মুরিদ হয়ায়াই ছিল ঈমানী বিসয়৷ আজকাল কাদিও আলেমগণ বায়াত হওয়ার বিসয় গুরত্ব দেন না৷ কেন না হতে পারে বায়েত হওয়া ছাড়াই তারা ইমান হাসিল করেছেন ৷তাদের কবরে তারা জবাব দিবে এবং আমাদের কবরে আমরা জবাব দিব ৷ তাই আমাদের উচিত কোরান ,হাদিস ও মুজতাহিদ ইমামগণের অনুসরণ করা৷ ইমাম গনের মতের বিরোধিতা না করা৷ কেননা কোরান বলে বায়েত হলে আল্লাহর সন্তুষ্টি পাওয়া যায় ৷ আর হাদিস বলে বায়েত না হলে বেইমান হয়ে মরতে হয় ৷ আর মুজতাহিদ ইমামগণ ও ফেকাহ শাস্ত্র বলে বায়েত হওয়াই হল আসল ঈমানী বিসয়৷ সতরাং মুমিনের কর্তব্য হলো কোরান , হাদিস , মুজতাহিদ ইমাম গনের অনুকরণ করা৷ তা হলেই সত্যকারের দীন ও ইমান হাসিল হবে ৷ শরীয়াত ও তরিকত কা তালাজুম পৃষ্টা নং ১২
উক্ত কিতাবের ১৩ নং পৃষ্টাতে জাকারিয়া সাহেব লিখেছেন যে ইমাম আবু হানিফা (রহ) এর মতে ফেকাহ ও শরীয়াত অর্থাৎ জাহেরী ও বাতেনি ফেকাহ ও সরিয়াত হলো নফসের উপকারী ও ক্ষতিকর বিসয়-বস্তু সমূহের ইলম হাসিল করা( এর দ্বারা ইশারা হলো বাতেনি ইলম ও তাসাউফের ইলম হাসিল করা) 
এর বেক্খাতে লিখেছেন যে :- হানিফা (রহ) সয়ং নিজে একজন পীর ছিলেন ৷ তিনি বাতেনি ইলমের ইমাম ও ওনেক বড় বুজুর্গ ছিলেন ৷ কেননা তার ফেকার এ সংগা দ্বরা তিনি ইলমে বাতেনি ও তাসাউফ্কে শরীয়াতের আসল ও মুলবস্তু মনে করতেন ৷ কেননা সুলুক বা এহসান অথবা পীর মুরিদী ও তাশাউফেরই বাতেনি ইলম দ্বারা নফসের ভালো মন্দ বিসয় সমূহের আলোচনা করা হয় ৷ আর খারাপ চরিত্র সমূহ দুউর করে উত্তম চরিত্রসমূহ হাসিল করতে হয় ৷ কেন না ইমাম আবু হানিফা (রহ) সয়ং ব্কজন হক্কানী পীর ও শায়েখ হওয়ায় সে যুগের সকল পীর ও মাশায়েখদের সর্দার ছিলেন ৷
যেমন ফাতহুল মুল্হামে এর ১ খ ১৬৩ নং পৃষ্টায় বর্ণিত আছে যে হজরত এমাম আবু হানিফা (রহ ) বলেন কিছু নাস্তিক লোক আল্লাহ পাকের অস্তিত্ব সমন্ধে প্রশ্ন করলে তিনি বললেন যে আমি একটা ঘটনা সুনে চিন্তিত হয়ে পরেছি তা তোমরা ও শোন। লোকেরা আমাকে বলল যে একটা বেবসার মাল ভর্তি নৌকা যার কোনো মাঝি মাল্লা নাই যার কোনো রক্ষক নাই। সে নৌকা খানি মাল পত্র নিয়ে একা একা চলাফেরা করে এবং সমুদ্রের তুফান পেরিয়ে একা একাই গন্তব্যে পৌছে যায়। সে নৌকার হেফাজত কোনো মানুষ করে না এবং সে নৌকাকে কোনো মানুষের চালানোর প্রজন পরে না। এই কথাকসুনে নাস্তিক রা বলল যে এই 
কথা কোনো জ্ঞানী লোক বলতে পারে না। তখন ইমাম সাহেব বলেন ধংস হয়ে তোমরা আর তোমাদের বিবেক। একটা সামান্য নৌকা যদি তার মাল পত্র নিয়ে নিজে নিজে চলতে না পারে তা হলে এই পৃথিবীর বুকে এত কিছু নিয়ে পৃথিবী টা কি ভাবা একা চলতে পারে ? তখন সকল নাস্তিক তওবা করে ইমাম সাহেবের হাতে মুরিদ হয়ে মুসলিম হন।  
উক্ত উদাহরণ এর বেক্ষাতে জাকারিয়া সাহেব লিখেন যে আল্লাহ পাকের (রহ ) কোনো অলি ছাড়া করো কাছে আসে না। আর তিনি আল্লাহ পাকের একজন অলি ছিলেন বলেই অনার কথা সুনে নাস্তিক রা ও তার হাতে মুরিদ হওয়ার মাধমে ইসলাম খুঁজে পেত। এমাম আবু হানিফা একজন বাতেনি ইলমের ওলি হওয়ার কারণেই সে যুগের সকল লোক তার দিকে ধাবিত হত ও মশলা জিগ্গেস করতে অবাস্ত ছিল। অথচ আমাদের মত অজ্ঞ লোকের কাছে ইমাম আবু হানিফা একজন ফকিহ মাত্র। তাসাউফ ও সুলুকের কোনো বিসয় আমরা দেখতে পাই না তার ভিতর। কারণ আমরা নিজেরাই তাসাউফের সতেউ হয়ে দাড়িয়েছি। আল্লাহ আমাদের কে মুজতাহিদ ইমাম গনের আসল ইলম বোঝার তৌফিক দান করুন। (শরীয়াত ও তরিকত ক তালাজুম ) পৃষ্টা নং ১৪ 
এর পর জাকারিয়া সাহেব লিখেন যে আমাদের নিকট ইলম বাতেনি কোনো নতুন বিসয় নয়। বরং তা নবী ,সাহাবী , তাবেয়ী, মুজতাহিদ এমাম গণ ও হকপন্থী অলি আওলিয়া দের মাধমে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন পরিচালনা করে আসছেন। হয়ত নবী পাকের জামানা থেকে ১৪০০ বছর দুরে থাকার কারণে আমরা তা পাকন করতে সক্গম না ও বোঝার যোগ্যতা ও রাখি না। সে জন্য আমাদের কাছে মনে হয় তাসাউফ মুজতাহিদ ইমামগণের বেলায় ছিল না। অথচ মুজতাহিদ ইমামগণ সেই সময়কার সব চেয়ে বড় অলি ছিলেন তাসাউফের শায়েখ ছিলেন। (শরীয়াত ও তরিকত ক তালাজুম ) পৃষ্টা ১৪ 

উক্ত কিতাবের ১৮ নং পৃষ্টা তে দেওবন্দী তাবলিগীদের শায়খুল হাদিস জাকারিয়া সাহেব লিখেছেন যে :-ওনেকে প্রশ্ন করে থাকেন হাদিসে পীর মুরিদীর বিষয় এত বেশী গুরুত্ব দেয়ার পর ও মুজতাহিদ ইমাম গণ এ বেপারে কিছু বলেন নাই কেন ? তাতে মনে হয় ইসলামে পীর মুরিদীর তেমন কোন গুরুত্ব নাই। যদি সত্যি গুরত্ব থাকত তা হলে মুজতাহিদ ইমামগন অবশ্যই কিছু না কিছু বলতেন। 

এই প্রশ্নের উত্তরে জাকারিয়া সাহেব বলেন যে তাসাউফ ও পির মুরিদীর বিষয় চার ইমামের যে কথা গুলো বর্ণিত করা হয়েছে (পর্ব ৩,৪,৫,দেখুন ) তা মনে হয় আমাদের জানা নেই। আর জানা থাকলে ও তা মানার মত মানুষিকতা আমাদের নেই। 
ইমামগন থেকে পীর মুরিদীর সপক্ষে এত সক্ত ও কঠিন সব্দ ও এর চেয়ে স্পস্ট ভাষা শুনেও যদি যথেষ্ট মনে না হয় তা হলে বুঝতে হবে কপালে ইসলাম আছে কিন্তু ইমান ও হেদায়াত নাই। এ ধরনের মানুষ নবীর জামানায় ও ছিল এখন ও থাকা অসম্ভব কিছু না।  

পৃষ্টা নং ১৯ তে লিখেছেন যে মুজতাহিদ ইমামগণ সব ধরনের হাজিস নিয়ে কথা বলেন না। তারা সুধু জাহেরী ফেকাহ নিয়ে আলোচনা করেন। যে বেপারে কোরান পাকের মাত্র ৫০০ আয়াত ও হাদিস থেকে মাত্র ৩০০০ হাজার হাদিস থেকে আলোচনা করেন। অথচ কোরানে পাকে ৬৬৬৬ টা আয়াত ও হাদিসে যে কত হাদিস আছে তা আল্লাহ পাক জানেন। তবে অলামাগনের মতে মোটা মোটি ৯-১০ লক্ষ্য সহিহ হাদিস বলে পাওয়া যায়।  
সুতরাং এটাই প্রমানিত হলো যে মুজতাহিদ ইমামগণ সকল আয়াত ও হাদিস নিয়ে কথা বলেন না। আর পীর মুরিদী যেহেতু বাতেনি ইলমের অন্তর্ভুক্ত ও এ বিষয় মানুষের অন্তরের মাসলা মাসায়েলের বেপার সেহেতু মুজতাহিদ ইমাম্গনকে দোষারোপ করা ঠিক না। সে বিষয় বাতেনি ইলমের ফিকাহ্বিদ গণ ও পির মাশায়েখগণ আলোচনা করে থাকেন। আর রশিদ আহমাদ গান্গুহী তার কিতাব (মাহমুদুস সুলুক )৫২ তে বলেছেন যার পীর নাই তার পির সয়তান। অর্থাত নবীয়য়ালা তরিকা দেখানোর জন্য যার পীর থাকেনা না তার পীর সয়তান হয়। সে শয়তান তাকে আপন রাস্তায় চালায়। কেননা যে মুরিদ না হয়ে মরবে সে বেইমান হয়ে মরবে। সুতরাং তার পীর সয়তান হলে দোষ কোথায় ? (শরীয়াত ও তরিকত কা তালাজুম ১৯ পৃষ্টা ) 



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন