রবিবার, ২৮ জুন, ২০১৫

দেওবন্দিদের মিথ্যা অপবাদ পীর পুজা ও বুযুর্গ পুজার জবাব

পোষ্ট করেছে যে , রেজভী রা মাজার পুজারী, পীর পুজারী , বেক্তি পুজারী । 

মাযার পুজা আমরা করি না মাযারে সেজদা ও করি না । আর আমি নিজে রেজভী ও না । 
আর মুল কথা হচ্ছে যে ;- কোন একজন মুর্খ সুন্নি যদি মাযারে সেজদা করে তার জন্য যদি আহমেদ রেজা খান (রহ) দায়ি হন বা সকল রেজভী কে দোষারোপ করা হয় তবে , 
সমকামিতার সাগর দেওবন্দি কৌমি মাদ্রাসা গুলো । 
এমন কি তাদের আকাবের দের কিতাব যেন নানুতভী ,গাংগুহী , থানবীর মত মোজাদ্দেদ দের কিতাবে ও পাওয়া যায় । 
তারা কি তাদের সমকামিতার কথা গুলো ভুলে গেছে ? 

আর মাযারে সেজদা করা কি ? যে সেজদা করে সে অবশ্যই গোনাহগার । এতে কোন সন্দেহ নাই। তবে মুশরিক বলা হবে কেন ? 
সেজদা কি শুধপ মাত্র আল্লাহর কবরেই করতে হবে ? আল্লাহর কবর ছারা কি অন্য কবরে সেজদা করলে তা মুশরিক হয়ে যাবে ? 
তোমার কি তোমাদের আল্লাহর কবরে সেজদা তর না কি ? তোমার কি তোমাদের আল্লাহর কবর ও রচনা করেছ ? যে সেই কবর ছারা অন্য কবরে সেজদা করা মুশরিক হওয়ার সামিল । 

আল্লাহ ছারা সেজদা হারাম । তা কবর হউক আর যাই হোক। সোজা কথা। যারা করে এমন তারা আমাদের অন্তরভুক্ত নয় ।
কোন আলেম কে কি দেখেছেন যে তিনি মাযারে সেজদা করেছেন ? 
কোন আলেম কে কি দেখেছেন যে বলেছে আমাকে সেজদা কর । 
যদি দেখে থাকেন তবে কাদের নাম ঠিকানা ও বৃত্তান্ত দিন আমাকে যদি হালালের সন্তান হয়ে থাকেন । 
আমাদের কে মিথ্যা তোহনত দিবেন না । নিশ্চয় আল্লাহ এর বিচার করবেন । 

আর কবর পুজারী বল আমাদের কে ? তোমাদের গুরু আশরাফ আলী থানভী তার কিতাব (আশরাফুল জওয়াব ) এ ৯৯ নং পৃষ্টার ১৩ নং প্রশ্ন ;-কবর বাসীর নিকট সাহায্য প্রার্থনা করা কি ? ইটা কি শিরক ? 
এর জবাবে লিখেছেন যে শিরক তখন হয় যখন আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে ইবাদতের যোগ্য মনে করা হয়। আমার মতে কেউ অলিদের কে ইবাদতের যোগ্য মনে করেন না। সুধু আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য তাদের কাছে যেয়ে থাকেন। তবে মাজারে সেজদা ,নাচ, গান শরীয়াত বিরুধী কাজ সব কিছুই হারাম। আমরা ও তাই বলি। এর পর ১০১ নং পৃষ্টায় লিখেছেন যে মাজারে কোনো বস্তু চাওয়া ঠিক নয়। তবে হা , সাহেবে নিসবাত আল্লাহর সাথে সম্পৃক্ত বেক্তি এখনো তাদের কাছ থেকে ফয়েজ ও বরকত লাভ করতে পারেন।  

কিরে দেওবন্দী ? তুই কি তর আলেমের চেয়ে বেশি জানিস ? আর যদি বেশি জেনে থাকিস তো থান্বির এমন আকিদার কারনে তাকে মুশরিক এর ফতোয়া মার। আমরা যদি এমন আকিদা রাখার কারণে মুশরিক হি তা হলে তরা কেন হবি না ? 

এর পর 

আশরাফ আলী থান্বির কিতাব ইমদাদুল মুস্তাক এর পেজ নং ১১৩ তে লিখেন যে হজরত হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজের এ মক্কী যখন অসুস্থ হন তখন তিনি ওনার সাথের লোকদের কে বললেন যে আমাকে আমার দেশে নিয়ে চলো জান্জানা ৷ ওনাকে নিয়ে আসার সময় থানা ভবনের মসজিদের পাসে ওনার পালকি নামানো হল ৷ তখন তিনি আমাকে ডাকলেন আর বললেন যে আমি তোমাকে কিছু দিয়ে দিতে চাই . আমি ওনার কথা সুনে বুঝতে পারলাম যে তিনি চলে যাবেন আমাদেরকে ছেড়ে ৷ তাই তিনি এমন করে বলছেন 

আমি কাদতে লাগলাম ৷ তিনি আমাকে বললেন যে আরে বোকা কাদেনা !!! ফকির কোনো দিন মরে না সুধু এক জীবন শেষ করে আর এক জীবন সুরু করে৷ কোনো ফকির জীবিত থাকলে যেমন তার কাছ থেকে উপকৃত হুয়া যায় ঠিক তেমন তার মরার পর ও তার কবরে যাওয়ার পর ও তার কাছ থেকে উপকৃত হওয়া যায় ৷ 

তর থানবী এই ইমদাদুল মুস্তাকে ইটা কি লিখে গেল রে ? কোবর থেকে নাকি ফয়েজ লাভ করা যায়। তো তর থানবী দেখি মুশরিক প্রমান হয়। আর যদি থানবী মুশরিক প্রমান না হয় তো আমরা কি ভাবে কবর পুজারী হই রে বলদ ? 

আরো কিছু মজা লন তাদের কিতাব থেকে (- 

সবচেয়ে মজার কথা হচ্ছে যে আশরাফ আলীর জন্ম হয়েছে বুজুর্গ পূজার মাধ্যমে।

বেহেস্তি যেবার ১ খ লেখক পরিচিতি তে লিখছে যে আশরাফ আলী থান্বির মায়ের গর্ভে পুত্র সন্তান জন্মিলে মারা যেত. কোনো পুত্র সন্তান জীবিত থাকত না। আর আশরাফ আলীর পিতা আব্দুল হোক মুন্সী কঠিন দুরা রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রযোনন ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন। উক্ত বিষয় সেই সময় হাফেজ গোলাম মর্তুজা সাহেব পানিপথি কে খুলে বলেন। তিনি ছিলেন মজযুব। তিনি বললেন কে ওমর আর আলীর টানা টানি তে পুত্র সন্তান তোমার মারা যায়। এর পর বললেন যে এঅব্র পুত্র সন্তান জন্ম নিলে আলীর কোলে তুলে দিও। তিমি বলে দিলেন যে তোমার ২ টা পুত্র সন্তান জন্ম নিবে। ইনশাল্লাহ দুজনই বাচিয়া যাইবে। একজনের নাম রাখিবে আশরাফ আলী আর একজন এর নাম রাখিবে আকবর আলী। একজন আমার অনুসারী হইবে ,সে হবে হাফেজ ও আলেম। আর একজন হবে দুনিয়া দাড়ি।  

এখন বলরে দেও রান্দীর বাচ্চারা। তোমাদের প্রতিটা কথার জবাব তোমাদের কিতাব থেকে দিলাম। তোমরা বল যে কোনো বুজুর্গ কারো কোনো উপকার করতে পারে না। এখন দেখি তোমাদের মুজাদ্দেদ আশরাফ আলীর পয়দা বুজুর্গের বদৌলতে। আর সে বড় হয়ে কি হবে তা বলে দিলেন। তো তোমাদের দাবি কোথায় থাকলো ? 

আবার বেহেস্তি যেবার ১ম খ ৬ নং পৃষ্টায় লেখক পরিচিতি তে বলা হয়েছে যে ;- আল্লাহর ওলি গনের প্রতি হাকীমুল উম্মতের ভক্তি ও মুহাব্বাত ছিল অত্যান্ত গভীর। তিনি বলতেন আল্লাহর অলিগনের নামের বরকতে রুহ সজীব ও দিলের মাঝে নূর পয়দা হয়। তিনি প্রায় বলতেন আমি দীনের পথে রিয়াজাত ও মজাহাদা করিনাই। আল্লাহ যা যা কিছু দান করেছেন তা উস্তাদ ও বুযুর্গানের দোআ ও আন্তরিক তায়াজ্জুর কারণে পেয়েছি।  

এর নিচেই আবার উল্লেখ করেছেন যে গোলাম মর্তুজা পানিপথির (বু আলী পানিপথী রহ এর খলিফা ) দোয়ার আদলে আশরাফ আলী থানবী জন্ম নেন। গোলাম মর্তুজা সাহেব ওনাকে অত্যান্ত স্নেহ করতেন। 

কিরে দেওবম্দী কুত্তার দল। বুজুর্গ এর মাদ্ধমে তোমার থান্বির জন্ম ও সব কিছু বুজুর্গ দের কাছ থেকে পাওয়া তার কিতাব প্রমান দিচ্ছে। আমরা বুজুর্গদের ইজ্জাত করি তো বুজুর্গ পূজা হয় ?  

 আমার বউ মানে তোর বউ  ,আর তর বউ কি আমার খালা আম্মা , যে কিছু বলা যাবে না  ? খবিস এর দলেরা।  

আরো দেখুন (- দেওবন্দী দের কিতাব শরীয়াত ও তরিকত কা তালাজুম এর ১৫৫ পৃষ্টায় লিখেছেন জাকারিয়া সাহেব যে আশরাফ আলী থানবী বলেন যে ;- আবু সাইদ গান্গুহী হজরত নিজাম উদ্দিন বলখী (রহ) এর কাছে মুরিদ হওয়ার জন্য বল্খ গেলেন। আর নিজামুদ্দিন সাহেব আবু সাইদ কে অভ্ভর্থনার জন্য অনেক দূর এগিয়ে গেলেন ও সসম্মানে নিয়ে এসে নিজের কুরসী তে বসতে দেন ও নিজে খাদেমের কুর্সিতে বসেন। কিছুদিন পর যখন আবু সাইদ চলে আসার অনুমতি চাইলেন তখন নিজামুদ্দিন সাহেব অনেক সর্ণ মুদ্রা হাদিয়া দিলেন। তখন আবু সাইদ বললেন যে আমার সর্ন প্রজন নাই। আমার প্রয়োজন ওই সর্ণ যা আপনি আমাদের ওখান থেকে নিয়ে এসেছিলেন। এই কথা সোনা মাত্র নিজামুদ্দিন সাহেবের চোখের রং বদলে যায় আর কড়া জবানে বলেন যে তা হলে যাও ওই আস্তাবলে গিয়ে বস আর শিকারী কুকুরের সেবা যত্ন কর।  
আবু সাইদ গান্গুহী তার পীরের কথায় কুত্তার খেদমত করেছেন। আমরা আমাদের বুজুর্গদের খেদমত করলে তোমাদের গায়ে লাগে ? আগে মুশরিক এর ফতোয়া পীর পূজার ফতোয়া তর আলেম আবু সাইদ গান্গুহী রে লাগা আর তাকে মুশরিক বল. 

এর পর লিখেছেন যে দেওবন্দিদের এই আজিম আলেম কে কুত্তার গোসল,পরিস্কার করা, কুত্তার খানা পানি ,পরিচর্যার কাজ দেয়া হয় . আর খাদেম কে হুকুম দেন যে একে সকালে আর সন্ধায় ২টা করে যবের রুটি দেবে খেতে। এর কখনো গরুর গোবর তার মাথায় ঢেলে দিতে হুকুম করতেন মেথরানী কে। কখনো কখনো নিজামুদ্দিন সাহেব ঘুরতে বের হলে আবু সাইদ এর হাতে কুত্তার রশি ধরিয়ে দিয়ে নিজে ঘোরার পিটে বসে থাকতেন। কখনো কখনো নিজামুদ্দিন সাহেবের বৈঠক খানয় আবু সাইদ গিয়ে বসলে নিজামুদ্দিন সাহেব তার দিকে ভ্রুক্ষেপ ও করতেন না।  

আবু সাইদ এমনি ভাবে অনার শায়খ এর খেদমত করেছেন। আরো অনেক কথা বলা আছে আমি ওনেক সংক্ষেপ করে লিখলাম।  

বেহেস্তি যেবার ১ খ সাত নং পেজ এ আশরাফ আলীর জীবনী তুলে ধরতে গিয়ে লিখেছেন যে আশরাফ আলী থানবী তার বাবার সাথে হজ করে আসার ৩ বছর পর নিজেকে তার মুর্শিদ হাজী এম্দাদুল্লাহ এর টানে কন্ট্রোল করতে না পেরে তিনি মুর্শিদের খেদমতে গিয়ে হাজির হন এবং ৬ মাস একটানা ওনার খেদমত করতে থাকেন। আসার সময় হাজী সাহেব ওনার কিতাব খানা থানভী কে দিতে চাইলে থানভী জবাব দেন যে এগুলো তো সুধু খোলস মাত্র। আপনার কাছে কিছু থাকলে আমার সিনায় দিন।  

এখন আশরাফ আলী থানবীর প্রতি ফতোয়া লাগা যে নিজেকে কন্ট্রোল করতে না পেরে হাজী ইমাদাদুল্লাহ এর খেদমতে হাজির হুএচিলেন ইন্ডিয়া এর আলী গড় থেকে মক্কা মোকার্রামায়।  
এবং তিনি কিতাব না চেয়ে তার পীরের কাছ থেকে বেলায়াত চেয়েছেন। আমরা চাইলে দোষ হয় কেন রে খবিসের দল দেওবন্দী ? 

রশিদ আহমাদ গান্গুহী এর কিতাব (মহমুদুস সুলুক) এর ২০ নং পৃষ্টায় লিখেছেন যে একবার আমি থানা ভবনে হাজী ইমাদুল্লাহ সাহেবের খেদমতে ছিলাম। প্রথমে ২ দিন থাকার কথা থাকলেও ১-২ করে ৪০ দিন থাকলাম। খানা খাওয়ার জন্য আমার লজ্জা হচ্ছিল। তাই চলে যেতে চাইলাম। কিন্তু হাজী সাহেব অনুমতি না দিয়ে থেকে যেতে বললেন। কিন্তু খানা খাওয়ার লজ্জায় আমি মরে যাচ্ছিলাম আর চিন্তা করছিলাম অন্য বেবস্থা করতে হবে খানা খাওয়ার জন্য। হটাথ হাজী সাহেব বললেন আজ আমার সাথে খানা খেও।  
দুপুরে খানা হাজী সাহেবের বাড়ি থেকে আসলো। এক পাত্রে সুস্বাদু কোপ্তা অন্য পাত্রে সাধারন সালন। হাজী সাহেব কোপ্তা আমার কাছ থেকে অনেক অনেক দুরে রাখলেন আর সাধারণ সালন আমার কাছে রাখলেন। এরই মধ্যে হাফেজ মোহাম্মদ জামিন সাহেব আসলেন খেতে আর বললেন যে কোপ্তা এত দুরে রেখেছেন যে রশিদ সাহেবের হাত এত দূর যাবে না। একটু রশিদ সাহেবের দিকে এগিয়ে দিন। জবাবে হাজী সাহেব বললেন আমার সাথে খাওয়াচ্ছি এটাই তো ওর সৌভাগ্য। মন তো চাচ্ছিল মুচি ,মেথরের মত হাতের উল্টো দিকে রুটি ধরিয়ে দেই বলে আমার চেহরার প্রতি লক্ষ করলেন কোনো প্রতিক্রিয়া আছে নাকি।  

রশিদ আহমাদ গান্গুহিকে খানা খেতে দিয়ে চামার ,মুচি,মেথরের দের সাথে যেমন আচরণ করে মানুষ এমন আচরণ করতে চেয়েছেন হাজী সাহেব। তো এত কিছু তারা সয্য করেছে। আমরা পীরের কাছে গেলে তদের এত জলন হয় কেন রে ? 

৩য় প্রমান :- সাইয়েদ আবুল হাসান আলী নদভী এর লেখা (মাওলানা ইলিয়াছ ও তার দ্বীনি দাওয়াত ) কিতাবের ৬৮ নং পৃষ্টায় ইবাদত ও মুজাহাদা নামের অধ্যায়ে লিখেছেন যে :- নিজামুদ্দিনে অবস্থান কালে ইবাদত ও মুজাহেদা এর চূড়ান্ত প্রকাশ ঘটেছিল।এই সময় তিনি একাগ্রতা ও ধিয়ান মগ্ন থাকতেন। হাজী আব্দুর রেহমান সাহেব বলেন আরব সরার ফটকে ,হুমায়নের সমাধির দক্ষিন পার্শে ,নিজামুদ্দিন আওলিয়া এর প্রাচীন ইবাদত খানায় ,আব্দুর রহিম খানে খানান এর মাক্বারায় ,সাইয়েদ নূর মোহাম্মদ বাদাযুনি এর মাজারের পাশে প্রহরের পর প্রহর কাটিয়ে দিতেন। দুপুরের খানা তার জন্য সেখানেই পাঠিয়ে দেয়া হত ,মাঝে মাঝে আমরা সেখানেই চলে যেতাম নামাজের জন্য। সবক পড়ার জন্য ছাত্র রা সেখানেই চলে যেত। 

৪) দেওবন্দী দের কুখ্যাত কিতাব (ফাজায়েলে আমল ) এর ফাজায়েলে দরুদ এর ৯৫ নং পৃষ্টার ৩৫ নং কাহিনী তে বর্ণনা করেছেন যে এক এলাকায় এক ধর্নাদ্য বেক্তি তার প্রচুর ধন সম্পদ এর সাথে নবী পাক এর ৩ টা চুল মোবারক রেখে গিয়েছিলেন তার ২ সন্তান এর জন্য। সম্পদ ভাগাভাগির সময় বড় ভাই একটা চুল মোবারক নিজের কাছে ও ছোট ভাই একটা আর অবশিষ্ট একটা চুল বড় ভাই কেটে অর্ধেক করে নেওয়ার প্রস্তাব দেন। ছোট ভাই তাতে অশিকার করে বলেন নবী পাক এর চুল মোবারক কাটা ঠিক হবে না। এক পর্যায় ছোট ভাই সকল সম্পদ তার বড় ভাইকে দিয়ে নবী পাকের ৩ টা চুল মোবারক নিজের কাছে রেখে দেন। আল্লাহ তায়ালা কিছুদিনের মধ্যে তার বড় ভাইকে নিস্য করেন ও ছোট ভাইকে অনেক সম্পদ দান করেন। আর ছোট ভাই নবী পাকের চুল মোবারক দেখত আর নবী পাকের প্রতি দরুদ পেশ করত। সেই ছোট ভাই ওফাত (মারা গেলে ) এক বুজুর্গ নবী পাকের জিয়ারত লাভ করেন। নবী পাক এরশাদ করেন সেই বুজুর্গ কে কোনো বেক্তির কোনো কিছু প্রজন হলে সেই ছোট ভাইয়ের কবর এর পাশে গিয়ে যেন আল্লাহ পাকের দরবারে দোয়া করেন। 

ঘটনা ক্রমে সেই বড় ভাই ও নবী পাকের জিয়ারত লাভ করলে নবী পাকের কাছে আক্ষেপ করে বলেন এমন কেন হল ? নবী পাক বলেন যে তোমার ছয় ভাই সকল কিছু তোমাকে দিয়ে আমার ৩ টা চুল নিয়েছিল আর সে সব সময় তা দেখে দেখে আমার প্রতি দরুদ পরত। আল্লাহ পাক তাকে দুনিয়া ও আখেরাতে সুখী করেছেন। আর তুমি সম্পদ এর লোভে পরেছিলে তাই তোমার এমন অবস্তা। এই কথা সোনার পর সেই বড় ভাই ছোট ভাইয়ের কোবরের পাশে গিয়ে সেই কোবর এর খাদেম দের সাথে যোগ দিল /( ফাজায়েলে দরুদ) পৃষ্টা ৯৫ কাহিনী নং ৩৫ 

৫)। আর মুফতি মাহমুদ আশরাফ উসমানী এর লেখা কিতাব ( তাসাউফ , তত্ত্ব ও বিশ্লেষণ ) এর ১১৪-১১৫ নং পৃষ্টায় আশরাফ আলী থান্বির( কাস্দুস সাবির) কিতাবের উদৃতি দিয়ে যে ;- পীর মুরিদীর ক্ষেত্রে কত গুলো বিষয় আছে যা ভালো যেমন (সাজরা সরিফ ) পাঠ করা। এতে আল্লাহ তায়ালার প্রিয় বান্দাদের নামের ওসিলা দিয়ে দোয়া করা হয়।এরূপ ওসীলা দ্বারা দোয়া করা হাদিস দিয়ে প্রমানিত। 
এখন কি বলবেন দেওবিন্দী মোহতারাম ? 

৬) দেখুন মাশায়েখ-এ-চিসত কিতাবে মাওলানা জাকারিয়া বলেছেন ;- হে আল্লাহ , আমার দোয়া কবুল করো এই কুকুরের মাধ্যমে(ওসিলায় ) মাশায়েখ-এ-চিসত ৯৭ নং পৃষ্টা। সুত্র (দেওবন্দ ও তাবলিগ জামাত) ১২৩ পৃষ্টা। 
এই খানে তো দেওবন্দী দের কালো কুকুর এর অসীলা দিল !!!!! ডুবে মর দেওবন্দী আর একজনের প্রতি আঙ্গুল তোলার আগে 

এ রকম অনেক দলিল আমি দিতে পারি। টাইপ করে সময় নষ্ট করতে চাই না। কিতাবের পেজ দিতে রাজি আছি তোমার সকল দেও রান্ডি দের কে। 

আরো মজা দেখুন :- 

আকাবির কা সুলুক ) মাওলানা যাকারিয়া সাহেবের লেখা পৃষ্টা নং  ১৩০  এ বলেছেন যে , আমার আকাবিরদের বিভিন্ন জাহেরী ও বাতেনি হালত নিজেও দেখেছি এবং তাদের জীবনী গ্রন্থে অনেক ঘটনা ও পড়েছি । যা কিতাবে পড়েছি তা অনেকবার স্বচক্ষে ও দেখেছি । 

আপন শায়েখদের প্রতি ভালোবাসা তাদের ইস্কের চেয়ে ও বেশি ছিল । তার প্রমান ওনেক আছে । তা থেকে একটা ছোট ঘটনা হল হযরত গাংগুহি (রহ) পান খেতেন না , তবে তার পায়ে পিকদানি রাখা হত , থুথু বা কাশীর সময় যা কিছু কফ বা শ্লেষমা বের হত তা পিকদানিতে ফেলতেন ও এগুলো শুকিয়ে যেত । একদিন হযরত শায়খুল হিন্দ (রহ) চুপে চুপে পিকদানি বাহির করে ধুয়ে তা পান করে  ফেললেন । (আকাবির কা সুলুক ) মাওলানা যাকারিয়া কৃত পৃষ্টা নং ১৩০ । 

আজ তোমাদের পীর দের নাম শুনলে চুলকানি শুরু হয় ? তবে মনে রেখ তোমরা দেওবন্দি নও। তোমরা হারামজাদা । 

সকল সুফীদের মাথার তাজ ইমাম গাজালীর বিষয় তোমাদের আলেম মাওলানা যাকারিয়া কি বলেন তা ও দেখে নাও একবার (-
 । তা হলে তোমার আলেম জাকারিয়া এর কিতাব (শরীয়াত ও তরিকত কা তালাজুম) এর 21 নং পেজ দেখো বলেছে যে আমরা মাদ্রাসায় ২ কলম পড়ুয়া বলে বেড়াই যে ইমাম গাজালী এর হাদিস ভুল হয়। আমাদের এটা জানা নাই যে গাজালী সাহেবের ইলম ও আমাদের ইলম এর পার্থক্য করার মত ইলম ও আমাদের নাই।


এর এমন একজন আলেম গাজালী, যে তিনি নিজে একজন কামেল পীর ও মুরসিদ ছিলেন । ওনার শতশত মুরিদ ছিল । মাকতুবাত এ গাজালী , মজলিস এ গাজালী কিতাব গুলো দেখ প্রমান পাবে । 

পীরদের কথা শুনলে যে তোমাদের চুলকানি হয় তোমাদের আলেম গিল কি বলেছেন তা এক নজরে দেখে নাও 



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন