বন্ধু যদিও লাগে তিতা
করতাম আমি কিতা ?
আজকাল লা মাযহাবি বিষয়টা একটা চরম আঁকার ধারন করেছে । এদের প্রধান মাত্র জাকির নায়েক। ওনেকে কাফের নায়েক বলে। আমি মনে করি না ।
আচ্ছা বন্ধু , আপনার জানা আছে কি ? হোজ্জাতুল ইসলাম ইমাম গাজালী (রহ) লা মাযহাবি ছিল ?
ঝটকা লেগেছে ?
ইমাম গাজালী সাহেব কে সকল মাযহাবি আলেম ও সুফীগন আকাবের মনে করে থাকে ।
আপনাদের যদি বিস্বাস না হয় তবে ;- ইমাম গাজালী সাহেবেরে (মাকতুবাত এ গাজালী ) দেখে নিতে পারেন।
তিনি আরো বলেছেন যে ;- যারা মেযহাবিয়াত নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করেন তা তিনি পছন্দ করেন না ।
আমি নিজে ওনেক ক্ষেত্রে ইমাম গাজালী সাহেব কে অনুসরন করে থাকি । নামায পাঠ করি ওনার মতেই। এ খেত্রে যদি কেউ আমারে হানাফি মনে না করেন তবে ঠিক আছে ।
আর হা। আর একটা কথা বলে রাখছি যে ;- দেওবন্দি যারা আছ তাদের কে বলি তোমরা নিজেরা নির্দিষ্ট কোন এক মাযহাব অনুসরন কর না। যদি বিস্বাস না হয় তবে বেহেস্তি যেবার কিতাবের (মাফকুদের মাসায়েল) দেখে নিতে পারো। সেখানে আসরাফ আলী থানবী সাহেব ইমাম শাফেয়ী (রহ) এর ফতোয়া তুলে ধরেছেন।
মিল কথা হচ্ছে যে ; জাতির নায়েক কোন ফেরেস্তা নয় । তিনি ও মানুষ। তিনি ভুল করলে করতে পারেন। আল্লাহ তায়ালা ওনার ভাল কাজের অসিলায় ক্ষমা করে দিতে পারেন। তবে তিনি যা ভালো কিছু উপহার দেন তা আমাদের গ্রহন করতে আপত্তি না থাকার কথা ।
তবে যা তিনি ভুল বলেন তা দূরে রাখুন।
আমি শুধু এটাই বলব যে ;- আমরা সকলে হোজ্জাতুল ইসলাম ইমাম গাজালী সাহেব কে ইজ্জত করি । আসুন না আমরা ওনার এই কথা টা ও মান্য করি , যে তিনি যেমন বলেছেন মাযহাব নিয়ে গোড়ামি পছন্দ করেন না ।
তিনি নিজের সতন্ত্র মতের অনুসারী ছিলেন।
আমরা ও এটা নিয়ে বাড়াবাড়ি করা বন্ধ করি ।
তবে হা। আরো কিছু কুলাংগার লা মাযহাবি আছে যারা ইমাম আবু হানিফা (রহ) সহ অন্যান্য সম্মনিত ইমাম গনের সমালোচনা করে থাকেন।
এই সকল সম্মনিত ইমাম গনের সমালোচনা করা মানে নিজের জাহান্নাম নিজ হাতে লিখে নেওয়ার সমান বলে মনে করি ।
তাই যদি কোন ইমামের অনুসরন আপনি করা প্রয়োজন মনে না করেন তবে সমালোচনা কি করে করতে পারেন ?
আপনি কি সত্যি এত বড় পন্ডিত হতে পেরেছেন ?
মধ্যমপন্থা অবলম্বন করুন। এটা উত্তম সকলের জন্য।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন