রবিবার, ২৮ জুন, ২০১৫

রশীদ আহমেদ গাংগুহি হাজির ও নাযির , কিন্তু নবী হাজির নাযির হলে কুফরি

ওনেকদিন কোন নতুন পোষ্ট করা হয়নি । শুধু টালবাহানা করে দিন চলে যাচ্ছে । আজ একটা প্রশ্ন দেওবন্দি গনের কাছে । জবাব টা ইমানি দায়িত্ব মনে করে দিন তো আমাকে । 

তাযকিয়াতুর রাশীদ কিতাবের লেখক আশেক এলাহি মারাঠি নাগীনা শহরের মৌলভী মাহমুদুল হাসানের একটা বর্ননা দিয়েছেন যে (- 
যে মাহমুদুল হাসান সাহেব বর্নানা করেছেন যে ;- আমার সেই ভাগ্যবতি আম্মাজান আমার আব্বাজানের সাথে ১২ বছর মক্কা শরিফে অবস্থান করেন । তিনি খুবই ধার্মিক ও ধর্মপরায়ণ ছিলেন ও তার শত শত হাদীস মুখস্ত ছিল ।তিনি আমাকে বলতেন যে বৎস , হযরত গাংগুহির শত শত শাগের্দ ছিল কিন্তু হজরত কে কেউ চিনতে পারেনি ।আমি যখন মক্কা শরিফে ছিলাম তখন প্রতিদিন হযরত কে হেরেম শরিফে ফজরের নামায পড়তে দেখেছি এবং লোকদের কাছ থেকেও শুনেছি যে ইনিই হযরত গাংগুহি যিনি গাংগোহ থেকে প্রতিদিন তাশরীফ অনয়ন করতেন ( তাযকিয়াতুর রশীদ, ২য় খন্ড পৃ ২১২) 

পাঠক মন্ডলি । যদি আপনাদের চোখ ঘুমে কাতর না হয় তবে নিশ্চয় পড়েছেন । 
এখানে এই বিষয়টা কিন্তু পরিষ্কার যে উক্ত মহিলার বর্ননা মোতাবেক গাংগুহি সাহেব প্রতিদিন ফজর পড়তেন পবিত্র হেরেম শরিফে । 
আর যদিও মক্কা শরিফ ও গাংগোহ এর সময়ের বিশাল তারতম্য আছে সুর্য উদয়ের এর কারনে তবু যদি কেই বর্তমান সময়ের অত্যাধুনিক বিমানে করে যেতে চায় তবুও চার ঘন্টার আগে না যাওয়া সম্ভব না আসা সম্ভব । তো প্রতিদিন যেতে আসতে যদি ৮ ঘন্টা সময় লাগে তবে তিনি যেখানে থাকেন সেখানকার লোকজন ও বিষয় টা জেনেই যাবেন । কিন্তু অন্য কেউ এমন বর্ননা করেছেন বলে প্রমান নাই । 
বরং উক্ত বর্ননা থেকে এটা প্রমান হয় যে গাংগোহ সাহেব একই সময় গাংগোহ ও হেরেম শরিফে অবস্থান করতেন। 
কাকন তিনি ফজরের নামায প্রতিদিন বাড়ির পাশের মসজিদেই আদায় করতেন তার প্রমান আছে আমাদের কাছে তাদের কিতাব থেকে । এ নিয়ে ও একটা এমন উদ্ভট কাহিনি আছে যা পরবর্তি সময় প্রকাশ করা হবে ।

আপাতত শুধু এটা মনে রাখুন যে হযরত গাংগুহি সাহেব গাংগোহ ও পবিত্র হেরেম শরিফে একই সময় অবস্থা করতেন। 

আর যদি দেওবন্দিগন এটা মানতে রাজী না থাকেন তবে এই বর্ননা মোতাবেক গাংগুহি সাহেব প্রতিদিন কটা বেজে যাত্র করত গাংগোহ থেকে ও কটা বাজে ফিরে আসত কি তার বাহন ছিল সকল প্রমান পেশ করুন ।

বিষয়টা যেহেতু হাজীর নাযির নিয়ে হচ্ছে তাই বিষয়টা আর একটু লম্বা করে সকলেকে অবগত করার চেষ্টা করছি । 

আর একটা ঘটনা শুনে রাখুন আগে । এর পর ফায়সালা শুনবেন /
হাজী দোস্ত মোহাম্ম্দ খান মাওলানা রশীদ আহমেদ গাংগেহীর একান্ত বিস্বস্ত খাদেম ছিলেন । তার স্ত্রীর রোগের বর্নানা বর্নানা করেছেন আশেক এলাকা মারাঠি সাহেব । চলুন দেখা যাক -( হাত পা অবশ হয়ে গেছে , উর্ধ শ্বাস সুরু হয়ে গেছে , হাত পা ঠান্ডা হয়ে গেছে ।স্ত্রীর প্রতি হাজী সাহেবের অগাধ মুহাব্ব্ত ছিল । তিনি এসে দেখলেন অবস্থা খারাপ । পাশে বসে সুরা ইয়াছিন পাঠ করতে শুরু করলেন । স্ত্রীর মিত্তু যাতনা শয্য হচ্চিল না । হাজী সাহেব এ দৃশ্য দেখে শয্য করতে পারল না । সাথে সাথে মোরাকাবায় বসে গাংগুহি সাহেবের দিকে মনোনিবেশ করল । আর বলল যে যদি শেষ সময় এসে যায় তবে যেন এর শুভ সমাপ্তি হয় আর যদি হায়াৎ থেকে থেকে বাকি তবে তিন দিন থেকে যা কষ্ট যাতনা ভোগ করছে তা যেন লাঘব হয়ে যায় ।
মোরাকাবা শেষ হওয়ার আগেই রোগী (হাজী সাহেবের স্ত্রী) চোখ খুলল কথা বলা শুরু করল ।সম্পুর্ণ সুস্থ হয়ে গেল , ও দুই তিন দিন পর শক্তি ও এসে গেল (তাযকিয়াতু রাশীদ খ ২ পৃ ২৩১) 
এর পর আর একটু পড়ে নিন , আর তা হচ্ছে;- 
হাজী দোস্ত মোহাম্মদ খান প্রায় সময় বলতেন যে ;- যে সময় আমি মোরাকাবায় বসেছিলাম সেই সময় আমি হুজুর কে আমার সামনে দেখেছি ।
এর পর আমার এমন অবস্থা হল যে আমি যে দিকে নজর দিতাম তিন দিন পর্যন্ত সেই দিকে ইমাম রাব্বানী হযরত গাংগুহী কে দেখতাম (তাযকিয়াতুর রশিদ ২ খ ২২১ পৃ ) 

এই খানে আবার ও কিন্তু চতুর্দিকে কাউয়া খোর রশিদ গাংগুহি কে দেখার কতা হলা হয়েছে । লক্ষ করেছেন কি আপনারা ? 

এ খানেও একই সময় ১ এর অধিক যায়গায় গাংগুহী সাহেবের উপস্থিতির কথা বলা হয়েছে । 

আগে মোরাকাবায় বসে গায়রুল্লাহর ধ্যান করা নিয়ে গাংগুহী সাহেবে ফতোয়া টাও দেখি নিন( 

প্রশ্ন ;- কোন একজন জিগ্গেস করল যে মোরাকাবায় বসে আওলিয়া কেরাম গনের ধ্যান করা কেমন ? এটাও জানতে ইচ্ছুক যে যখন ওনাদের ধ্যান করা হয় তখন ওনাকে আমাদের পাশে উপস্থিত হয়ে যায় এবং আমাদের জানা হয়ে যায় এমন বিস্বাস রাখা কেমন ? 

উ: এ রকম ধ্যান করা ঠিক নয় , এতে শিরকের সম্ভোবনা রয়েছে , এমন ধ্যান করা ঠিক নয় (ফতোয়ায় রাশিদিয়া ) ১ম খন্ড পৃ ৮ 

উপরের ফতোয়া থেকে এটা প্রমান হয় যে পীরের ধ্যান করা মোঠেই ঠিক নয় বরং শিরক হতে পারে । আর হাজী দোস্ত মোহাম্ম্দ খানের এই কর্মকান্ডের কারনে তিনি মুশরিকদের অন্তরভুক্ত হতে পারেন বা তিনি মুশরিক হয়ে গেছেন।  আর এমন লোকের বর্ননা প্রচার করা হচ্ছে তাদের বুযুরগ দের শান ও মান ইতা করার  জন্য । করতে থাকুন। এতে আমাদের কোন আপত্তি নাই । কারন আপনারা তো আপনাদের ফতোয়া মোতাবেক নিজেদের ইমান ধংস করেছেন। আমাদের কিছু বলার দরকার নাই ।

কথা হচ্চিল হাজীর ও নাযির বিষয় । 

উপরে একই সাথে একের অধিক যায়গায় উপস্থিত হওয়ার ২ টা ঘটনা বর্নানা করা হয়েছে যে এক গাংগুহী সাহেব হেরেম শরিফে প্রতিদিন ফজর আদায় করতেন ।

আর হাজী দোস্ত মোহাম্মদ খানের সামনে মোরাকাবা অবস্থায় হাজীর ছিলেন এমন কি সেই ঘটনার পর তিন দিন পর্যন্ত গাংগুহী সাহেব হাজী দোস্ত মোহাম্ম্দ এর নজরেই ছিলেন। হাজী দোস্ত মোহাম্মদ যে দিকে নজর ফিরত সেই দিকে ছিলেন গাংগুহি সাহেব । 


কিন্তু আমরা যদি বলি যে মিলাদ মেহফিলে নবী পাক তাশরীফ আনতে ও পারেন , কারন ওনার প্রতি দরুদ ও সালাম পেশ করা হয় মুহাব্ব্তের সাথে , হয়ত তিনি চাইলে এই আদনা আদনাছা গোলামদের কবুল করে আসতেও পারেন ।

কিন্তু এমন কথা অস্বীকার করে আশরাফ আলি থানভী সাহেব লিখেছেন কি তাও দেখুন (-
যদি একই সময় একের অধিক যায়গায় মিলাদ মেহফিল অনুষ্ঠীত হয় তবে কি সব যায়গায় তাশরীফ নিয়ে যাবেন ? না কি এক যায়গায় ? 
যদি কোল যায়গায় তাশরীফ নিয়ে যান ও কোন যায়গায় না নেন ,তা হলে এটা বিনা কারনে অগ্রাধিকার বুঝায় । যদি সব যায়গায় তাশরিফ নিয়ে যান মনে করা হয় তাহলে তার অস্বতিত্ব যেহেতু এক , তবে হাজার যায়গায় কি ভাবে যেতে পারে ? ( ফতোয়ায় এমদাদীয়া ২ খন্ড ৫৮ নং পেজ) 


উপরে আশরাফ আলী থানবীর এই বক্তব্য মোতাবেক নবী পাকের অস্তিত্ব এক । তাই তিনি একের অধিক যায়গায় পৌঁছতেই সক্ষম নন ।এটা কথা বলে তিনি মুলত এই বিষয়টা অস্বীকার করে গেছেন । 

এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে 

(১) যে গাংগুহি কি করে এক অস্তিত্ব নিয়ে এক সাথে গাংগোহ এ হেরেম এ পৌঁছালেন নামায আদায় করার জন্য ? 

(২) কি করে তিনি হাজী দোস্ত মোহাম্ম্দ খানের মোরাকাবায় রাজীর হলে। ? 

(৩) কি করে হাজী দোস্ত মোহাম্ম্দ খানের সামনে তিন দিন পর্যন্ত চতুর্দিকে নিজেরে প্রকাশ করলেন ? 

আর হা , জনাবে ওয়ালা আশরাফরা আলী থানবী মিয়া আপনি তো একই অস্তিত্ব নিয়ে কি করে এ কাজ করলেন ? 
নিচে দেখুন ;-  

কিন্তু আপনারা জেনে বিশ্বিত হবেন যে দেওবন্দের মুজাদ্দেদ , হাকীমুল উম্মত আশরাফ আলী থানভী যেকোনো সময় যেকোনো মুহুর্তে এক এর অধিক জাগাতে হাজির হয়ে নাজির (সুনতে) পারেন। এমন কি লোকদের কে সাহায্য ও করতে পারেন। দেখুন 
আশরাফ আলী থান্বির কিতাব (বেহেস্তি যেবার) এর ১ খ এর ৯ নং পৃষ্টায় লিখেছেন ( কারামত ) এ থানবী তে ৭ নং কারামত এ যে ;- 

তাহার জৈনিক খলিফা বলেন যে একবার আলিগরের শিল্প-প্রদর্শনীতে দোকান খুলিয়াচিলাম। তো মাগরিবের পর কোনো এক দোকানে আগুন লেগে যায়। আর আমি আমার দোকানের সমস্ত মালামাল দোকানের ভিতর থেকে বাহির করছিলাম কিন্তু আমার আকার পক্ষে সম্ভব হচ্ছিল না। হটাথ দেখি সেখানে হাকীমুল উম্মত আশরাফ আলী থানবী। তিনি আমাকে সাহায্য করছেন দোকানের মালামাল বাহির করতে। তাই আমার বিশেষ কিছু ক্ষতি হয় নাই। পরে খোজ্নিয়ে দেখি হজরত তখন থানা ভবনেই অবস্থান করছিলেন। part 1 page 9 

এখন কি জবাব দিবেন কোন দেওবন্দি ? 

আমার নবীর অস্তিত্ব এক হওয়ার কারনে একই সময় এক এর অধীর যায়গায় উপস্থিত হতে পারেন না কিন্তু গাংগুহি ও পারেন থানবী পারেন ।

এই হচ্ছে দেওবন্দিদের কাছে শানে রিসালাত ।
এই হচ্ছে দেওবন্দি দের কাছে মাকামে মাহমুদ 

এই হচ্ছে ওদের কাছে হোব্বে রাসুল 


হে মুসলমান।  যদি ইমান থাকে সামান্য তবে এর বিচার আপনারাই করুন। 

আর যদি ইমানের পাল্লায় রাসুল আকরাম (সা) এর চেয়ে গাংগুহি ও থানবী বড় হয়ে থাকে তো 
আস সালাম 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন