রবিবার, ২৮ জুন, ২০১৫

দেওবন্দিদের ইংরেজ প্রীতির দলিল তাদের কিতাব থেকে

হ্যাছা নিন্দে পেঁচা , সর্গে নিন্দে তারা , 
নিজে মাইয়া টা টাউয়া গালি ,
ভাতারক কয় ট্যারা ।
এটা আমার রংপুরের আন্চলিক ভাষায় একটা মুখে মুখে প্রচলিত প্রবাদ । যার মর্মার্থ হচিছে কেউ নিজের দিকে দেখে না , কিন্তু পরনিন্দা করতে করতে তার সময় সঙ্কুলান হয় না । 

আবদুল্লাহ আহমেদাবাদী এমন একজন । 
যিনি শুধু লেগে থাকে আহলে সুন্নাহ এর আলেম, পীর, মাশায়েখ ও বুযুরগানে দ্বীনের দোষ চর্চা ও তাদের সামলোচনা করতে । 

আমি এবার শুধু তার কিছু জবাব দিলাম ও চোখে আংগুল দিলাম যে আসলে কারা কি ? 

এদের যারা বুযুর্গ তাদের শুরু পাওয়া যায় সাইয়েদ আহমেদ ব্রেলভী । যিনি কথিত দারুল হারব এর ফতোয়ার প্রবর্তক ও আওর মোহাম্ম্দি তরিকার জনক ও ওহাবি নজদি বাদিদের আমদানি কারক ও প্রচারক ছিলেন আহলে হাদীস ওলা মাযহাবীদের প্রতিষ্ঠাতা । 
এবার শুরু করা হোক সেই সাইয়েদ আহমেদ থেকে । 
বালাকোটি যারা আছ তারা একটু সয্য করে নিও আজকের জন্য । আমি তোমাদের সাথে ফেতনা তৈরি করতে চাই না , তবে বাধ্য হলাম আবদুল্লা কুলাংগার এর জবাব দেয়ার জন্য ।


লক্ষ্য করুন ;- the indian muslim কিতাবে তত্কালীন ইংলিশ জেনারেল ডব্লিউ ডব্লিউ হান্টার ৩ নং পৃষ্টায় লিখেছেন যে : পাঞ্জাব সীমান্তে বিদ্রোহের গোড়াপত্তন করে সাইয়েদ আহমাদ , কুখ্যাত এক দস্যুর অশ্বারোহী রূপে জীবন সুরু করে ও বহু বছর যাবত মালওয়া অঞ্চলে আফিম সম্মৃদ্ধ গ্রামগুলোতে লুটতরাজ চালায়। রঞ্জিত সিংহের নেত্রীতে উদীয়মান সক্তি পার্শ বর্তী মুসলিমদের উপর যে নিস্গেধাগ্গা আরোপ করে তাতে মুসলিম দস্যুদের কার্যকলাপ বিপদসংকুল হয়ে পরে ও দস্যু বৃত্তি লাভজনক থাকে না ( the indian muslim ) পৃষ্টা ৩-৪ 

এর পর আবার দেখুন :- শিকদের গোড়া হিন্দুয়ানির কারণে উত্তর ভারতে মুসলমানদের উত্সাহিত করতে থাকে। সাইয়েদ আহমাদ অত্যান্ত বিচক্ষনতার সহিত দস্যু বৃত্তি ত্যাগ করে ও ১৮১৬ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ চলে যান ইসলামের এক সুবিখ্যাত পন্ডিতের নিকট (শাহ আব্দুল আজিজ ) the indian muslim পৃষ্টা ৪ 

এখান থেকে সুস্পস্ট প্রমানিত সাইয়েদ আহমাদ একজন কুখ্যাত ডাকাত ছিল পরে রঞ্জিত সিংহের বিচক্ষনতার কারণে যখন দস্শুবৃত্তি লাভজনক থাকে না তখন তিনি দস্যু বৃত্তি ত্যাগ করে শাহ আব্দুল আজিজ সাহেবের কাছে যান।  

দেওবন্দী দের কিতাব ( দেওবন্দ আন্দোলন , ইতিহাস , ঐতিয্য ও অবদান ) বাংলাদেশ কৌমী শিক্ষা বর্ড থেকে পাঠ্য পুস্তক হিসেবে প্রকাশিত ৯৯ নং পৃষ্টায় লিখেছেন যে ;- শাহ আব্দুল আজিজের নিকট সাইয়েদ আহমাদ গেলে তাকে একটা কিতাব পড়তে দেন। তখন তাকে কিতাবের প্রতি অন্যমনস্ক দেখে শাহ আব্দুল আজিজ সাহেব জিগ্গেস করেন পড়ছ না কেন ? তখন সাইয়েদ আহমেদ জবাব দেন যে আমি কাছের কোনো কিছু দেখতে পাই না ( দেওবন্দ আন্দোলন ) পৃষ্টা ৯৯-১০০

এখান থেকে একটা জিনিস প্রমাণিত যে সাইয়েদ আহমাদ কানা ও ছিল। আসলে সারা জীবন করেছে আফিমের খেত লুট এখন সামনে আঙ্গুর রাখলে কি তার চোখে পড়বে ? দেওবন্দী, বালকটি ,গোলাপী , আহলে হাদিস রা বলে সাইয়েদ আহমাদ নাকি মুজাদ্দেদ। আসলে সে নিজে ছিল কানা আর কানাদের জন্য ছিল মোজাদ্দেদ। আমাদের না।  

দি ইন্ডিয়ান মুসলিম কিতাবের ৫ নং পৃষ্টায় লিখেছেন যে ৩ বছর সে শাহ আব্দুল আজিজের সাহেভের কাছে থাকেন এর পর সম্পুর্ন নতুন রূপে লোকদের বায়েত নেওয়া সুরু করেন ( আওর মোহাম্মদী তরিকায়) ও নিজেই ধর্মের প্রচারক রূপে আত্মপ্রকাশ করেন। ফলে কিছু দুর্ধর্ষ একদল ভক্ত অনুসারী তার পশ্চাতে সমবেত হয়।  

এখান থেকে একটা বিষয় লক্ষ্য করুন যে সে ডাকাতি ছেড়ে দিয়ে ৩ বছরে সে একজন ধর্মীয় প্রচারক ও সম্পুর্ন নতুন এক তরিকার জন্ম দেন যাকে আওর মোহাম্মদী তরিকা বলা হয় বাংলাদেশের ( ফুলতলী,যৌনপুরী,আট রশি ,সরছিনা , চরমোনাই , রাজারবাগ, চন্দ্র পারা,কুতুববাঘ, দেওয়ানবাগ ,সুরেশ্বর )এই সিলসিলার অন্তির্ভুক্ত , এদের সেজরার (বুজুর্গ দের লিস্টে)'র ৩৬ নং এ  সাইয়েদ আহমাদ এর নাম আছে ) 
অথচ দেওবন্দী গণ সাইয়েদ আহমাদ কে মোজাদ্দেদ মানে কিন্তু তার তৈরী (আওর মোহাম্মদী ) তরিকা মানে না।  

দি ইন্ডিয়ান মুসলিম কিতাবের ৫ নং প্রিস্তাই লিখেছেন যে ১৮২২ সালে হজ্জ করতে যায় পরের বছর অক্টোবর এ ফিরে আসে ও রায় বেরেলি (তার জব্মস্থান) এ কিছু অশান্ত প্রকৃতির লোক কে তার দলে টেনে নেয়। এর পর সে ধর্মান্দ কুসংস্কারাচন্ন  পাঠান অধ্যুষিত এলাকায় যায় এবং পবিত্র জিহাদ এর দাওয়াত দেয় , আর বলে যে পরিমান হিন্দুদের সম্পদ লুট হবে জারা বেছে যাবে যুদ্ধে থেকে তারা এক বিশাল পরিমান সম্পদ নিয়ে ঘরে ফিরতে পারবে।  
পাঠানরা তার কোথায় সম্মত হয় ও সাইয়েদ আহমাদ ও এটাকে কাজে লাগায় পুরাণ দুস্মনির জবাব দেয়ার জন্য ( দি ইন্ডিয়ান মুসলিম ) পৃষ্টা ৫ 

এখান থেকে একটা জিনিস প্রমাণিত যে দস্যু বৃত্তি করার সময় রঞ্জিত সিংহের সাথে থাকা পুরাণ দুস্মনির জন্যই সাইয়েদ আহমাদ শিখদের সাথে যুদ্ধে জড়িয়েছিলেন। আর পাঠান রা আজ ও পাগলের মত , পাঠান দের কে দেওবন্দিদের মুজাদ্দেদ আশরাফ আলী থানবী অনেক খানে বেজ্জাত করেছেন ( দেখে নিন মুসলমানের হাসি পৃষ্টা (ইফাজাতুল য়াওমিয়াহ ) পার্ট ২ পেজ ২৮৬ (হৃদয় ছোয়া কাহিনী পৃষ্টা ৩১) এই কুসংরাচন্ন পাঠান রা লুটতরাজ এর জন্যই সাইয়েদ আহমাদ এর সাথ দিয়েছিল।  

এবং সেই পাঠানদের মেয়েদের সাথে জুলুম করার কারণেই পলানোর সময় বিপদে পরে থাকা শাহ ইসমাইল দেহলবী কে সাহায্য করার সময় শিখদের হাতে নির্মম ভাবে মিত্তু বরণ করেন ( দি ইন্ডিয়ান মুসলিম ) ১১ নং পৃষ্টা 

ডব্লিউ ডব্লিউ হান্টার এর এই কিতাবে তিনি কোনো খানেই লিখে যান নাই যে সাইয়েদ আহমাদ ইংরেজদের কে লক্ষ্য করে একটা বুলেট চুরেচেন।  
অথচ দেওবন্দিদের মুখে সুধু সাইয়েদ আহমাদ এর গুন্কির্তিন শোনা যায়।  

তাদের নিজের হাতে লিখা কিতাব ( দেওবন্দ আন্দোলন ) এর ৯৯-১৩৬ পর্যন্ত মোট ৩৭ পেজ এ সাইয়েদ আহমাদ এর জীবনী বর্ণনা করেছেন। তারা নিজেরাই সেই কিতাবে লিখতে পারে নাই যে সাইয়েদ আহমাদ ইংরেজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন। আমু ডি ইন্ডিয়ান মুসলিম কিতাবের a-z পর্যন্ত ও দেওবন্দ আন্দোলনের ৯৯-১৩৬ পর্যন্ত সকল পৃষ্টা দিব।কোনো দেওবন্দী মায়ের লাল থাকলে যেন আমার চলেংজ করে।  

আব্দুল ওয়াদুদ এর লিখা কিতাব (ওয়াহাভি আন্দোলন) লিখেছেন যে - সাইয়েদ আহমাদ সৌদি তে গিয়ে ওহাবী শিক্ষায় দীক্ষিত হয়ে আসে ও উপজাতি অঞ্চলগুলোতে সুন্নি মুসলিমদের কে মুশরিক মাজার পুজারী ও তাদের ধন সম্পদ গনিমত বলে ফতোয়া প্রদান করেন। যখন সাইয়েদ আহাম্মক জিন্দা ছিলেন তখন পুরা হিন্দুস্তান এ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অধীন পুরা ছিল না৷ আর তখন সকল মুসলিম রা জিহাদ এর জন্য এক পায়ে খাড়া ছিলেন কিন্তু সাইয়েদ আহমাদ দেশের ভিতরে না থেকে সকল মুসলিম কে একখানে না করে তাদের কে কোন পথ না দেখিয়ে তিনি পার্শবর্তী মুসলিম রাজ্য গুলো যেমন সোয়াত ,ইউসুফ যাই ( মালালা ইউসুফ যাই এর এলাকা ) , কাবুল , কান্দাহার , পেশাবর , উজিরিস্তান , এই সকল এলাকায় হামলা চালান যাতে করে হিন্দুস্থান এর মুসলিম দের দিকে তারা নজর দিতে সময় না পান ও পাঞ্জাব এর শিকদের সাথে তিনি খন্ড খন্ড ২-১ তা যুদ্ধে লিপ্ত হন তাতে ও গো হারা হেরে পলায়ন করেন ৷ (ওহাবি আন্দোলন ১-৮৭ পৃষ্ট )

মুসলিম রাজ্য গুলোতে এত পরিমান অত্যাচার করেছেন তা( ওহাবী আন্দোলন ) আব্দুল মৌদুদ এর লেখা দেখলে চোখে পর্বে আর সেই কিতাব এর স্ক্রিন শুট এর প্রজন বলে বলিয়েন আমি দিয়ে দিব ৷
আর তিনি ঠিক মুসলিমদের কে আব্দুল ওহাব নজদি এর মত সুন্নি মুসলিমদের কে মুশরিক ও তাদের যান মাল গনিমত বলে ফতোয়া দেন ৷ আর এইকারণে যত মুসলিম ঘর উজার হয়ছে তার হিসাব একমাত্র আল্লাহ জানেন আর ইতিহাস সাক্ষী৷ (ওহাবি আন্দোলন পৃষ্টা ৩৪)

শিক দের সাথে২-১ তা যুদ্ধ করেছেন তাও আবার ইংরেজ দের জন্য. ৷কারণ তখন পাঞ্জাব ছিল ইংরেজ মুক্ত আর সেনাপতি রঞ্জিত সিং ছিলেন এক বাহাদুর ও বিচক্ষণ সেনাপতি৷ আর ইংরেজদের সাথে কয়েকবার তাদের মোকাবেলা হয় কিন্তু ইংরেজরা কোনো কিছুই পান নাই তাই সাইয়েদ আহমাদ কে দিয়ে শিকদের কে চাপে রাখেন ও ইংরেজদের ও চেষ্টা অব্বাহত থাকে ৷ শেষে ইংরেজদের সাথে শিকরা ইংরেজদের সাথে সন্ধি করেন৷
তাওয়ারিখে অজীবাহ নামক কিতাবের ১৮২ নং পাগ বলা হয় যে সাইয়েদ সবের কোনো ইচ্ছা ছিল না ইংরেজদের সাথে যুদ্ধ করার ৷ তিনি বরং ইংরেজদের রাজত্ব কে নিজের রাজত্ব মনে করতেন ৷ তিনি যদি ইংরেজ বিরোধী হতেন তা হলে কিভাবে অনার কাছে সাহায্য পৌঁছত সে সময় ?তবে ইংরেজদের চেষ্টা ছিল সাইয়েদ আহাম্মক এর দিয়ে শিকদের চাপে রাখতে ৷

আবুল হাসান আলী নদভীর লেখা ( ছিরাতে সাইয়েদ আহমাদ) ১ম খণ্ডের ১৯০ নং পেজে বলেন যে সাইয়েদ আহম্মক সবার সামনে ইংরেজ বিরোধী ওপরে দেখালেও তিনি তার সাথের মৌলবী মুফতি গণ গোপনে ইংরেজদের কাছ থেকে সাহায্য ও সহযোগিতা নিতেন ৷

সাইয়েদ আহমাদ এর প্রধান সেনাপতি মহা পন্ডিত শাহ ইসমাইল দেহলবী একবার কলকাতা এর মসজিদে শিখদের বিরুদ্ধে জেহাদ এর দাওয়াত দিতেছিল এমন সময় একজন লোক বলে উঠে যে আপনি ইংরেজ দের বিরুদ্ধে যুদ্ধের দাওয়াত করছেন না কেন ? ইংরেজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোসনা না করে শিখদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের দাওয়াত দিতেছেন ?
শাহ ইসমাইল বলেন যে ইংরেজর আমাদের কোনো ধর্মীয় বিসয়াদি তে ও কোনো প্রকার অসুবিধা এর সম্মুখীন করছে না তাই এদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ফরজ তো দূর ওয়াজিব ও না ৷ ইংরেজদের ওপর যদি কেউ হামলা চালায় তো ইংরেজদের হয়ে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের যুদ্ধ করা ফরজ কারণ আমরা তাদের প্রজা ৷ কিন্তু পাঞ্জাবে যখন আমাদের মুসলিমদের সমসা হচ্ছে তাই তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা প্রজন ।

মির্জা হায়াত দেহলবী প্রণীত ( হায়াতে তায়য়েবাহ ) শাহ ইসমাইল এর জীবনী গ্রন্থ পেজ ২৭১ 

মুন্সী মোহাম্মদ জাফর থানেস্সরী তার কিতাব ( সাওয়ানিয়ায়ে আহমাদি ) পৃষ্টা ৪৭ এ তাই বলেছেন 

মজার কথা হচ্ছে সিলেট এর ফুলতলী এর পীর মোহাম্মদ ইমাজ উদ্দিন চৌধুরী ( সাইয়েদ আহমাদ বেরেলবী এর জীবনী) পুস্তক লিখতে গিয়ে তার দিতীয় সংস্করণ এর ৪৮ ও ৪৯ নং পেজ লিখেছেন ( ইংরেজ অথিত্ত ) তে বলেন ইসার নামাজের পর সাইয়েদ সাহেব কে খবর দিল যে মশাল হাতে কয়েকজন লোক এদিকে আসছে ৷ সাইয়েদ সাহেব খবর নিতে গিয়ে দেখেন কয়েকজন ইংরেজ ৷ তার মধে থেকে একজন এসে বলল সাইয়েদ সাহেব কে ৷ তিনি বললেন আমি ৷ইংরেজ বলল আমরা ৩ দিন যাবত আপনার রাস্তা দেখতেছি ৷ আজ খবর পেলাম আপনি এদিক দিয়ে যাচ্ছেন তাই এই নগন্য খাদ্য দ্রব্য গুলো কবুল করেন 

যে সকল দলিল আমি পেশ করেছি তা সব গুলি দেওবন্দী বুজুর্গ ও গোলাপী সুন্নিদের কিতাব থেকে, মানে হচ্ছে যারা সাইয়েদ আহমাদ কে নিজেদের আকবের মানে ও মুজাদ্দেদ মানে তাদের কিতাব থেকেই দিলাম। এখন নিজের চোখে দেখে আমাকে জবাব দিন কে ? আর করা ? ইংরেজদের দালাল ছিল ? 

দেওবন্দ মাদ্রাসার অনুসারী মলোভি আহসান নানুতাভির জীবনী লেখক দেওবন্দ মাদ্রাসার সম্পর্ক ব্রিটিশ সরকারের লেফ্তানান্ট এর নির্ভরযোগ্য গোয়েন্দা (পামের) নামের একজন ইংরেজ এর বক্তব্য টুকে ধরেছেন যে ;- এ মাদ্রাসা দিন দিন উন্নতি করেছে। ৩১ জানুয়ারী রোববার ১৮৭৫ ব্রিটিশ জেনারেল এর নির্ভরযোগ্য বেক্তি পামের এ মাদ্রাসা দেখা মাত্রই ভালো ধারনা প্রকাশ করল যে :- যে কাজ বড় বড় কলেজ গুলোতে হাজার হাজার টাকা ঢেলে সম্পন্ন হয় , তা এখানে অতি অল্প খরচেই হয়ে যায়। যে কাজ একজন প্রিন্সিপাল হাজার হাজার টাকা নিয়ে সম্পন্ন করেছে , সেই কাজ এখানে একজন মলোভি ৪০ টাকা বেতনে করেছে। এ মাদ্রাসা ব্রিটিশ সরকারের বিরোধী নয় বরং সমর্থক,সহায়তাকারী ও সহযোগী (মাওলানা মুহাম্মদ আহসান নানুতাভি ) জীবনী কিতাব পৃষ্টাপ ২১৭  

এই খানে তাদের কিতাব থেকেই একটা প্রমান যে তারা ইংরেজ বিরুধী ছিল না বরং ৪০ টাকা বেতন পেয়ে ছাত্রদের ব্রেন ওয়াশ এর কাজ সুন্দর ভাবে করত। আর ব্রেন ওয়াশ হয়ে বের হয়ে আশা নামে মুসলিম দের দিয়ে কি হতে পারে তা আপনাদের জানা আছে। এই দেওবন্দ মাদ্রাসা তত্কালীন পাকিস্তান তৈরির ও বিরুধী ছিল , সময় পেলে প্রকাশ করব ইন্শাল্লাহ। পাকিস্তান এ যত জঙ্গি গ্রুপ আছে তা সবাই দেওবন্দী। পাকিস্তান কে তত্কালীন দেওবন্দ আলেম রা নাপাক্স্থান বলত। পাকিস্তান কে ধংসের জন্য ইন্ডিয়ার গোলাম হয়ে এই দেওবন্দ মাদ্রাসা থেকেই পাকিস্তানি পাঠান সুয়ার দের দিয়ে পাকিস্তান এর মসজিদ ,মাদ্রাসা , বাজার ও বিল্ডিং গুলো ধংশ করছে। 

আরো দেখুন আশরাফ আলী থানবীর দালালি এর বিষয় এ তাদের কিতাব (মাকালামাতুস সাদেরিন ) ৯ নং পৃষ্টায় লিখেছেন যে ইংরেজ গভর্মেন্ট থেকে প্রতি মাসে আশরাফ আলী থানবী সাহেব কে ৬০০ টাকা দেওয়া হত। আর এই টাকা মলোবি রশিদ আহমাদ গান্গুহির মাধ্যমে পৌছানো হত (মাকালামাতুস সাদেরিন ) পৃষ্টা ৯ 

আব্দুল্লাহ আহমেদাবাদী উপরোক্ত দাবির খন্ডন করে লিখেছে যে পরে যখন জানতে পারে মলোভি আশরাফ আলী থানবী যে এই টাকা ইংরেজ দের থেকে আস্ত তখন নাকি ফেরত দিয়েছিলেন সেই টাকা আশরাফ আলী থানবী সাহেব। আমার কথা হচ্ছে যে আপনাদের কুতুবুল এরশাদ মৌলভি রশিদ আহমাদ গান্গুহির মাধ্যমে এই টাকা আস্ত আশরাফ আলী থাকবি সাহেবের কাছে। মেনে নিলাম কিছু খন এর জন্য আশরাফ আলী থানবী সাহেব জানত না এই টাকা কথা হতে আস্ত। কিন্তু রশিদ আহমাদ গান্গুহীর মাধ্যমে এই টাকা যেহেতু আসত সেহেতু ইটা মধ্যাহ্ন সূর্যের নেয় প্রমানিত যে রশিদ আহমাদ গান্গুহী ইংলিশ এর এজেন্ডা ছিল। 

মাকালামাতুস সাদেরিন কিতাবের ৮ নং পৃষ্টায় মাওলানা হিফজুর রহমান বলেছেন যে ;- তাবলিগ জামাতের প্রতিষ্টাতা মাওলানা ইলিয়াছ সাহেব তাবলিগী আন্দোলন এর প্রাথমিক পর্যায় ইংরেজ দের কাছ থেকে কিছু টাকা হাজী রশিদ আহমাদ গান্গুহী সাহেবের মাধ্যমে পেতেন। কিন্তু পরে তা বন্ধ হয়ে যায়। (মাকালামাতুস সাদেরিন ) পৃষ্টা ৮ 

উপরোক্ত বর্ণনা ২ তা সুস্পস্ট ভাবে প্রমানিত হয় যে দেওবন্দী রা হচ্ছে ইংরেজ দ্বারা পালিত। আর এদের অন্যতম প্রধান এজেন্ডা ছিল এদের কুতুবুল এরশাদ হাজী রশিদ আহমাদ গান্গুহী। 

দেওবন্দী দের অন্যতম রাজনৈতিক সংঘটন জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম এর বিষয় (মাকালাতুস সাদেরিন )এর ৭ নং পৃষ্টায় বলা হয়েছে যে ;- কলকাতা জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম সরকারের ইঙ্গিতেই ঘটন করা হয়েছে (মাকালামাতুদ সাদেরিন পৃষ্টা ৭ ) 

এই সকল কারণে দেওবন্দ এর অন্যতম নেক্তিত্ব আমের উসমানী দেওবন্দ থেকে প্রকাশিত (তাজাল্লি) পত্রিকায় (দেওবন্দ সে ) বাংলা অর্থ হচ্ছে (দেওবন্দ থেকে ) নামের একটা কবিতা লিখে প্রকাশ করেছেন আমি তার কয়েকটা লাইন বাংলায় লিখে দিচ্ছি .আপনাদের কারো পুরা কবিতা উর্দু ও বাংলায় দেখতে চাইলে বলবেন আমি কিতাবের পেজ দিয়ে দিব। 

১) যুগের পরিবর্তনের এ কি জাদু মন্ত্র দেখতে পাচ্ছি ? 
হে দেওবন্দ , তোমার শোচনীয় অবস্থা দেখতে পাচ্ছি। 
২) গুটিয়ে এসেছে সমুদ্র তীর ! থেমে গেছে ঢেউ গুলো !! 
তোমার সমুদ্রে কেন অচলাবস্থা দেখতে পাচ্ছি ? 
৩ ) তোমার এ কোল থেকে অসংখ মুজাহিদ গড়ে উঠেছে ,
অন্য দিকে ওপর লোকদের দুঃখ জনক শিকার দেখতে পাচ্ছি। 
৭) তোমার ফতোয়া বানের আঘাতে পূর্ববর্তী বুজুর্গ গনের বুক ঝাজরা হয়ে গেছে 
কাফির বলার ক্রুম্বর্দমান আগ্রহ দেখতে পাচ্ছি। 
৮) তুমি পরকে ভালবাস , আপনকে ভাব পর !!! 
তোমার মধ্যে পরিবর্তিত উন্মাদনারই ধরন দেখতে পাচ্ছি।  
৯ ) হায়রে ফতোয়া প্রণয়নের পদমর্যাদা তোমার !!!!ফতোয়ার এ কেমন ঘন অন্ধকার? 
শয়তান এর কর্ম আর নৈপুন্যই দেখতে পাচ্ছি। (মাসিক তাজাল্লি ) দেওবন্দ থেকে প্রকাশিত পৃষ্টা ৫৩ ১৯৫৭ ইংরেজি 

আর তারা যে কথিত জিহাদ জাহিদ করে , সাঁই জিহাদের যদি একটু নমুনা আশরাফরা আলী থানবীর কিতাব (হৃদয় ছোয়া কাহিনি-২) থেকে দেখে নিতেন ,;- -----আশরাফ আলী থান্বির কিতাব (হৃদয় ছোয়া কাহিনী -২) এর ৪৩ নং পৃষ্টায় লিখেছেন যে ;- ইংরেজরা এই উপমহাদেশের একটা নিকৃষ্ট জাতিকে অগ্রসর হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিল ও অপর একটি জাতিকে পশ্চাদপদ করে রেখেছিল। তবে এর ফল যা হয়েছিল তাতে পরবর্তিতে ইংলিশ্রাই দুক্ষ প্রকাশ করেছিল। কোনো একজন উচ্চস্তরের ইংরেজ হেকিম কোনো এক জমিদারের মানেজারের সাথে কথা বলতে গিয়ে একটা ঘটনা বলেছিল যে ;- কোনো এক দরবেশের ঘরে একটা ইদুর কিছু বাচ্চা প্রসব করে আর পরে দরবেশ কে দেখে একটা বাচ্চা ফেলে রেখে চলে যায়। দরবেশ ইদুরের বাচ্চা কে লালন করে বড় করে তলে। একদিন সে বাইরে গেলে তাকে বিড়াল ধরতে চেষ্টা করে আর ইদুর যান বাঁচিয়ে পালিয়ে আসে। দরবেশ কে সব খুলে বলে যে আমি আজ প্রাণে বেছে এসেছি বিড়ালের হাত থেকে। আমাকে বিড়াল বানিয়ে দাও।দরবেশ তাকে ছুয়ে দিয়ে বিড়াল বানিয়ে দিল। পরের দিন সেই বিড়াল কে কুত্তা ধরতে চ্চেস্তা করে আর যান বাঁচিয়ে ফিরে এসে বলে আমাকে কুত্তা বানিয়ে দাও। তা হলে কুত্তা আমাকে আর ধরতে চাইবে না। দরবেশ আবারো তাকে ছুয়ে দিয়ে কুত্তা বানিয়ে দেয় ও পরের দিন সেই কুত্তা বাঘের সামনে পরে ও প্রাণ বাঁচিয়ে আবারও দরবেশের কাছে আসে আর বলে আমাকে বাঘ বানিয়ে দাও। দরবেশ তাকে ছুয়ে দিয়ে বাঘ বানিয়ে দেয়। পরের দিন আবার সেই বাঘের দেখা। বাঘ বলে যে তুই কালকের সেই কুত্তা না ? তুই বাঘ হলি কিভাবে ? নকল বাঘ বলল যে আমাকে মেরো না। আসল বাঘ বলল আমি তো তোমাকে মারতে পারব না কিন্তু তোমাকে যে কুত্তা থেকে বাঘ বানিয়েছে সে তো তোমাকে মেরে ফেলতে পারবে। নকল বাঘ বলল এখন কি করব ? আসল বাঘ বলল যে তোমাকে কুত্তা থেকে বাঘ বানিয়েছে তাকে গিয়ে মেরে ফেল , তাহলে কেউ তোমাকে মারতে পারবে না। 
সে ফিরে দরবেশের কাছে গেল। তার ভাব গতি অন্যরকম দেখে দরবেশ বলল যে কি হয়েছে আজ ? নকল বাঘ বলল আমাকে আর কেউ মারতে পারবে না তুমি ছাড়া ,তাই তোমাকে মারতে এসেছি। দরবেশ বুঝতে পেরে বলল সোন তোমাকে আমিও মারতে পারব না তার উপায় আছে। নকল বাঘ বলল কি উপায় তাই কর। দরবেশ কৌসলে তাকে আবার ছুয়ে দিয়ে ইদুর বানিয়ে দিল। 
এর পর থানবী সাহেব আবার লিখেছেন যে ;- এই ঘটনা বর্ণনা করে ইংলিশ হেকিম বলল যে আমরা এমন এক জাতিকে অগ্রসর করতে এসে এমন ভাবে বিপদের পরেছি যে তারা এখন আমাদের উপর ক্ষমতার অপবেবহার করে যাচ্ছে। এই জাতি আসলেই অকৃতজ্ঞ। সুতরাং এই ঘটনা থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়া উচিত (হৃদয় ছোয়া কাহিনী -২) আশরাফ আলী থান্বির লেখা পৃষ্টা ৪৩-৪৫
কিতাবের পেজ যার প্রয়োজন বলবেন। মূল কিতাব থেকে দিয়ে দিব ইনশাল্ল্লাহ 

এই দেওবন্দি রা কোন দিন মুসলমানদের কে সহায়তা তো করেই নাই বরং তারা ইংরেজদের দালালি করেছে তা উপরে প্রমানিত হয়ে গেছে । তারা শুধু ইংরেজদের দালালি নয় বরং তারা গান্ধী নেহেরু প্রমুখ হিন্দুবাধী নেতাদের গোলামি যে হারে করেছে তাই কিন্তু দেখার মত ;- 

কিছু দিন আগে পাকিস্তান ইন্ডিয়া বর্ডার এর কাছে যে আত্মঘাতী বোমা হামলা করা হয়েছিল তাতে যে ৫০ জনের উপরে নিহত হয়েছিল । সেই বোমা হামলার গায়ভার গ্রহন করেছে তেহরীক এ আহরার পার্টি । যারা আজ পর্যন্ত পাকিস্তান এর বিরুধিতা করেই যাচ্ছেন। পাকিস্তান এর মধ্য বোমা সন্ত্রাস জংগিবাদি কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন । 
এই আহরারী নেতা গন এমন ও বলেছেন যে ;- ১০ হাজার জিন্নাহ ও শওকত যোফর কে জওয়াহেরলাল নেহেরুর পায়ের অগ্রভাগে উৎসর্গ  করা যেতে পারে (চমনিস্তান পৃ ১৬৫, যোফর আলী খান লিখিত ) 


এমন কি দেওবন্দি ইকবাল সোহায়েল নেহেরুর শান এ লিখেছেন যে :- 
আখলাক কি ছুরাত এ মুজাচ্ছাম , 
ইমান কি শায়ালার মে নূর 

(নেহেরুর) চরিত্র এক দেহ বিশিষ্ট ছবি ।
তদুপরি ইমানের আলোকিত অগ্নিশিখা (মাসিক ফারান ) পৃ ৫৩ নভেম্বর ১৯৫৩
যোফর আলী খান দেওবন্দিদের পীর আতাউল্লাহ বুখারী সমন্ধে লিখেন যে ;- নেহেরু হল দুলহা , আতাউল্লাহ বুখারীর আহারের পার্টির মজলিস হল তার দুলহান ।পীর আতাউল্লাহ বুখারী (আহরার নেতা ) কে নেহরুর দুলহান (বউ) হওয়ার দন্য মোবারকবাদ (চমনিস্তান ) ১৫৯ পৃষ্টা ।

তারা আজ কথায় কথায় শান এ রিসালাত এর বড় বড় বুলি ঝাড়ে আসলে তা এমন যে (- ঝড়ে বক মরেছে , আর ফকিরের কারামতি বেড়েছে) 
তারা শুধু আজ নয় , বরং এদের পুর্ব পুরুষ যারা ছিলা তারা সকলে গুস্তাক এ রাসুল , ও হিন্দু খৃস্টানদের দালাল ছিল ।
এই থাকলে যোফর আলী খান সাহেব লিখেছেন যে ;-(১) পান্জাব এর এক প্রান্ত থেকে নবীর মর্যাদার উপর আঘাত এসেছে , 
এই যুলুমের বুনিয়াদ কায়েম হয়েছে ওই আহরার দল থেকে ।
(২) আজ যদি হিন্দুস্তান এ ইসলাম অপমানিত হয় তবে এই সব লান্চনা ও গাদ্দার শ্রেনী থেকে এসেছে (চমনিস্তান ) পৃ ৪


এ তো গেল এতক্ষন জওয়াহের লাল নেহেরুর শানে দেওবন্দিদের বক্তব্য , কবিতা , ও সুধী সমাজের ধিক্কার ।

এবার তারা মাহাত্মা গান্ধির নামা কি কম গুল গান করেছে ? 
দেখুন ;-
দেওবন্দিদের মৌলভী সোহায়েল ইকবাল , সে গান্ধির শান এ কবিতা লিখেছে ও তাকে শহিদের সম্মানে সম্মানিত করেছেন । অথচ হিন্দু রা ও বলেন না যে তিনি শহিদ , দেখুন এক নজরে ( ---- হে গান্ধী 
তোমার মর্যাদা কে হ্রাস করতে পারে ? 
তা তো আল্লাহ নিজেই বৃদ্ধি করেছেন ।
তিনি তোমাকে চিরস্থায়িতো দিয়েছেন ,
তোমাকে শহিদদের পদমর্যাদা দিয়েছেলে (চমনিস্তান ৪ নং পৃ )



এ তো গেল কবিতা । 
দেওবন্দিদের আলেম মনযুর নোমানি কি লিখেছেন তাই যদি দেখতেন একবার (- এতে সন্দেহ নাই যে গান্ধির অস্তিত্ব ওই যুগে সর্বাপেক্ষা উল্লেখযোগ্য ছিল ।নিশ্চয় তিনি এমন কিছু উচ্চতর গুনাহলি দ্বারা গুনান্নিত ছিলেন যে ;-ওই গুলো ওই যুগে বিষেশ কোন বড় কোন লোকের মধ্য অনক্বার মতো বিড়ল হয়ে থাকে ।(মাসিক ফারান পৃ ৫৩ নভেম্বরের ১৯৫৩)

মনযুর নোমানী সাহেব আরও একটু বিস্তারিত বর্ননা করেছেন যে ;- ওই সব বেক্তিত্তের কারনে দুনিয়ার জন্য তিনি অনুসরনিয় ও সম্মান করার মত (পয়গাম এ হেদায়াত ) পৃ ৮২

তোমরাই সেই সময় প্রথমে খৃষ্টান দের দালালি করেছ , এর পর শুরু করেছিলে হিন্দুদের দালালি করা । 
এমন কি এই দেওবন্দ মাদ্রাসা থেকে পাকিস্তানের জমিনে আফগানিস্তান এর জমিনে জংগি প্রেরন করা হয় । বোমা অস্ত্র বারুদ প্রটেকশন দেয় ভারত । 
আজ পর্যন্ত তাই করে এসেছে ভারত। 


আর তারা আজ মুখে ফেনা তুলে জেহাদ জেহাদ করে । লজ্জা কি করেন না ! সব কি ভুলে গেছ ? 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন