মঙ্গলবার, ৩০ জুন, ২০১৫

রাহাতের জবাব নূর বিষয়

এবার আমার কিছু কথা :- 
আমি নিজে যে ওনেক বড়ো মুর্খ তা আমাকে যে নিজের প্রতিপক্ষ মনে করে , তার পোষ্ট থেকেই প্রমান । 
তাই আমি নিজে থেকে আমার পোষ্ট কম কথা বলা চেষ্টা করি ও কিতাবের উদ্ধৃতি দিয়ে বেশি কথা বলার চেষ্টা করি । 

আমাদের সকলের মাথার তাজ ইমাম আহমেদ রেজা খান ফাজেলে ব্রেলভী (রহ) 
আর ওনার নামের পরে যে বেক্তির নাম আসে মাসলাক আলা হযরতে তিনি হচ্ছেন মুফতি আহমেদ ইয়ার খান নঈমি (রহ) । যাকে মাসলাক আলা হযরতের লোকজন হাকিমুল উম্ম্ত ও বলে থাকেন। তিনি তার স্বীয় কিতাব (নূর এ মোহাম্ম্দি ) তে ও যা আল হক কিতাবে অকাঠ্য ভাবে নূর প্রমান করেছেন । 
কিন্তু তিনি নবী পাক কে আল্লাহর সিফাত ও জাতের সাথে মিলিত করেন নাই । আর এটা ও বলেন নাই তিনি যে নূরে মোহাম্ম্দি আল্লাহ তায়ালার জাতী নূর  থেকে । 

কি বলেছেন তিনি তা দেখা যাক হুবহু ওনার কিতাব থেকে :- তিনি নূর কে ২ ভাবে ভাগ করেছেন । 
(ক) ইন্দ্রিয় গ্রায্য (হিচ্ছি) (খ) ইন্দ্রিয় অগ্রাহ্য  যা ইন্দ্রিয় বুঝতে পারে না বা (আকলি )

(ক) ইন্দ্রিয় গ্রায্য ;- যা চোখে দেখা যায় । যেমন সুর্যের আলো , বিদু্যত্ ইত্যাদি 

(খ) যা চোখ দিয়ে দেখা যায় না কিন্তু বোঝা যায় যে ইহা ও নূর । যেমন কোরান , ইসলাম ও হেদায়াত কে ও নূর বলা যায় । 

যেমন আল্লাহ বলেন ;- আল্লাহু ওয়ালিয়ুল্লাযি আমানু ,,,,,,,,,ইলাইয়্ন্নূর 

আল্লাহ বলেন যে :- আল্লাহ মুমিনদের সাহায্যকারী । তিনি অন্ধকার থেকে মুমিনদের আলোর দিকে নিয়ে যান । 

এই আয়াতে হেদায়াত কে নূর বলা হয়েছে । 

এই রকম ওনেক আয়াত আছে । 
যেমন( ওয়া আনজালনা ইলাইকুম নূরুম মুবীন ) 
আমি তোমাদের নিকট স্পষ্ট নূর অবতীর্ন করেছি । 

এই আয়াতে নূর আল্লাহর কোরান কে বলা হয়েছে ।
এমনি করে কোরানে পাকে কখনও তাওরাত কে কখন ও জ্ঞান কে কখন ও ইসলাম কে নূর বলা হয়েছে । 
এই নূর হচ্ছে আকলি বা ইন্দ্রিয় গ্রায্য নয় এমন নূর ।
সুত্র ;- নূর এ মোহাম্ম্দি এর প্রমান। মুল লেখক আহমেদ ইয়ার খান নঈমি (রহ) পৃ ৮ 



আমার এই বেদাতি কালা জেব্রার অনুসারী লিখেছেন যে ;- আল্লাহ তায়ালার জাতী নুর থেকে তৈরি নবী পাক । 

অথচ তাদের বা আমাদের সম্মানিত বুযুরগ আহমেদ ইয়ার খান নঈমি (রহ) লিখেছেন যে ;-মহান আল্লাহ তায়ালা মুলত সত্বাগত ভাবে জাতি নূর । তিনি সয়ং আলোকিত ও তিনি যারে আলোকিত করেছেন তা ও আলোকিত হয়ে গেছে । তবে নবী পাক , কোরান , ইসলাম , ফেরেস্তা এই সকল কিছু আল্লাহ প্রদত্ত নূর বলে আলোকিত হয়েছে /  নূর এ মোহাম্ম্দি পৃ ৮ 

এর পর দেখুন ৯ নং পৃ ,

আহমেদ ইয়ার খান নঈমি লিখেছেন যে ;- নবী নূর হওয়ার অর্থ এটা নয় যে তিনি আল্লাহ তায়ালার সত্তাগত মুল দৈহিক নূরের অংশ বিষেশ  ও হুজুরের নূর আল্লাহর মত সত্তাগত চির স্থায়ী / এটা ও নয় যে রাব্বুল আলামীন নবী পাকের ভিতরে ঢুকে গেছেন ।
বরং এটার অর্থ এমন যে হুজুর (সা) আল্লাহ তায়ালার এমন একটি ফয়েজ গ্রহন কারী বাতি ,  যে এক বাতি থেকে যেমন হাজার বাতি জ্বালানো সম্ভব ঠিক তেমন । পৃ ৯ 

আল্লাহ তায়ালা ঠিক প্রথমে আমাদের নবী কে সৃষ্টি করেছেন ও সেই সৃষ্টি থেকে হাজার হাজার ওলি আওলিয়া মুমিন দের  কে আলোকিত  করেছেন । মুলত এটাই সত্য । 

আহমেদ ইয়ার খান নঈমি (রহ) আবার উদাহরন দিয়ে লিখেছেন যে ;- উদাহরন সরুপ ;- আর যখন আমি তাকে তৈরি করলাম ও তার মাঝে আমার রুহ ফুকে দিলাম , তখন সবাই তোমরা তাকে সেজদা করবে ( আল কোরান ) 

 হযরত আদম (আ) এর সেই ঘটনা।  কোরানে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন যে আমি আমার রুহ ফুকে দিলাম আদম ( আ) এর ভিতর । 

তো এর মানে কি আদম (আ) এর ভিতরে আল্লাহর রুহ বসবাস করত ? 

আল্লাহ তায়ালা আবার ইসা (আ) কে ও রুহুল্লাহ বলেছেন ।

আবার যখন মা মরিয়মেক কাছে জিব্রাইল (আ) গেল তখন আল্লাহ বললেন আমি আমার রুহ কে পাঠিয়ে দিলাম তা পুর্ন মানব আকৃতিকে প্রকাশ হল । 

এই খানে কি আপনি বলতে পারবেন যে হা , আদম ((আ) ও ঈসা (আ) এ জিব্রাইল (-আ) এর ভিতর আল্লাহর কোন সামান্য টুকরা বসবাস করত ? 

পারবেন না। আর যদি মুখের জোরে বলে ও ফেলেন তা হবে  কুফরি ও তার জবাব দিতে হবে আপনাকে । 

আল্লাহ তায়ালা মাতা ও পিতা ছারা হযরত আদম (আ) ও পিতা ছারা (ইসা) (আ) কে রুহ দান করেছেন ।আমাদের নবী এটার অর্থ এই যে তিনি সৃষ্টি জগতের কোন মাধ্যম ছারাই আল্লাহর ফয়েজ লাভ করেছেন ।


সুত্র ;- নূর এ মোহাম্ম্দি এর প্রমান , আহমেদ ইয়ার খান নঈমি (রহ) এর লেখা পৃ ১১
আশা করছি নূর কেমন তা খোলাশা হয়েছে।  তবা হা বাকি আছে কিছু। পড়তে থাকুন। 

মোহাম্ম্দ (সা) নূর এর অর্থ এই নয় যে তিনি আল্লাহ তায়ালার সত্বাগত দৈহিক নূরের অংশ ও এটা ও নয় যে তিনি আল্লাহ তায়ালার মত চিরস্থায়ি । এটা ও নয় যে রাব্বুল আলামিন নবীর মধ্য ঢুকে গেছেন । যাতে শিরক ও কুফরি সংঘটিত হয় (  নুর এ মোহাম্ম্দি এর প্রমান ) পৃ ১০ 


এর পর নঈমি (রহ) লিখেছেন যে ;- হযরত মোহাম্ম্দি (সা) এর বিষয় এক  কথা ও হকিকতে মোহাম্ম্দি আর এক কথা । ব্যাক্তি মোহাম্মদ ওই দেহ মোবারকের নাম যা হযরত আদম থেকে পরযায়ক্রমে মা আমেনার থেকে দুনিয়া তে এসেছে ।যিনি সকল নবীর পরে দুনিয়া তে এসেছেন ও যিনি দুনিয়ার বুকে সর্ব প্রকার সম্পর্কের সাথে যুক্ত ছিলেন ।

সুফী গনের দৃষ্টিতে  হকিকতে মোহাম্ম্দি (সা) হল জাতে মোতলাকা বা আল্লাহর সত্তার  প্রথম অস্তিত্বের নাম । কোন প্রকার দৃষ্টান্ত ব্যাতিরেকে এটা বুঝে নিল যে মাছদার এর প্রথম অস্তিত্বের নাম মজি মোতলাক ,যা মাছদার হতে সৃষ্টি ।
আবার সমস্ত ছিগা ওই মাজি মোতলাক হতে সৃষ্ট ।সুতরাং মাজি মোতলাক মাছদার এর প্রথম অস্তিত্ব  এবং অবশিষ্ট অন্যান্য ছিগা সমুহ পরবর্তিতে মজি মোতলাক হতে সৃষ্ট ।
অনুরুপ আল্লাহর সমস্ত তাজাল্লির কেন্দ্রবিন্দু হুজুরে পাক তার তাজাল্লি এবং অন্যান্য সৃষ্ট জগত তারই (নবী পাকের) তাজাল্লি হতে সৃষ্টি।(
সুত্র :- নূর এ মোহাম্মাদির প্রমান , আহমেদ ইয়ার খান নঈমি লিখিত , পৃ ১২ 

এর পর আহমেদ ইয়ার খান নঈমি (রহ) তুলে ধরেছেন যে ;- ব্যাক্তি মুহাম্মদ (সা) সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা কোরানে পাকে বলেছেন ( কুল ইন্নামা আনা বস্সারু মিছলুকুম ) 
অর্থ ;- হে নবী আপনি বলেদিন যে (- আমি তোমাদের মতই মানুষ । 

আর হকিকতে মোহাম্মদি (সা) সম্পর্ক নবী পাক বলেছেন যে ( কুনতু নাবওয়াওদামু বায়নাল মায়া ওত্বীন)  আমি তখন ও নবী ছিলাম যখন আদম (আ) মাটি ও পানির মধ্যে নিহিত ছিল । 

হকিকতে মোহাম্ম্দি যেমন হযরত  আদম (আ) এর বংশদ্ভুত নন তেমনি হকিকতে মোহাম্ম্দি বশর ও নন । তিনি কারো পিতা ও নন আবার কারো সন্তান ও নন । সমগ্র সৃষ্টির মুল উৎস ।
এটা প্রকাশ থাকে যে বশরের সুচনা হযরত  আদম (আ) থেকে , আর আমাদের নবী তার ও আগে থেকে নবী  যখন কিনা আদম ( আ) তৈরির উপকরন ও সৃষ্টি হয়নি ।আর আমাদের নবী হযরত মোহাম্ম্দ মোস্তফা (সা) যদি বশর হতেন তা হলে হযরত আদম (আ) আবুল বশর( আদি মানব  পিতা) হতেন না । কারন বশরের শুরু হযরত আদম থেকে , তাই তিনি আদি মানব পিতা । যদি বশরের সৃষ্টি আমাদের নবী থেকে হত তা হলে আদম (আ) কি করে বশরদের (মানুষদের ) আদি পিতা হন ?
সুত্র ;- নূর এ মোহাম্ম্দি এর প্রমান 
আহমেদ ইয়ার খান নঈমি লিখিত পৃ ১৩

এখান থেকে এটা প্রমানিত যে নবী পাক সাল্লেল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লামে'র হকিকত কোন দিন বশর  ছিল না  , বরং নবী ছিল  । 

আহমেদ ইয়ার খান নঈমি (রহ) এই কিতাবে বিখ্যাত তাফসির (রুহুল বয়ান)র উদ্ধৃতি দিয়ে লিখেছেন যে ;- (হুওল্লাজী খালাকাকুম মিনান নাফছে ওহেদাত ) এই আয়াতের তাফসীরে যিনি লিখেছেন যে ;- সমস্ত আত্বা হুজুর পাক (সা) এর আত্বা থেকে সৃষ্টি । তাই তিনি ( আবুল আরওয়াহ) বা রুহ জগতের পিতা । 

এই খানে যেহেতু নবী পাক কে নূর প্রমান করা নয় বরং আমাকে এটা প্রমান করতে হবে যে ;- নবী পার  আল্লাহ পাকের জাতী নূর নন , তাই আমি এই দিকেই নিজের দৃষ্টি নিবদ্ধ করলাম । 

এখানে আর একটা কথা তুলে ধরা মনে করছি যে ;- আহমেদ ইয়ার খান নঈমি (রহ) (নূর এ মোহাম্মদির প্রমান ) কিতাবে লিখেছেন যে ;-নবী পাকের সুরত চার তিনটি (১) সুরতে বাশার, (২) সুরতে মালেকি(৩) সুরতে হাক্কি 
সুত্র ;- নূর নবী এম এ জলিল লিখিত পৃ নং ৩
তিনি তাফসির এ রুহুল বয়ান  ও তাফসীরে ক্বাদরী এর উদ্ধৃতি দিয়েছেন এখানে । সুরতে বাশার সকলের জন্য কিন্ত বাকি দুই সুরত সকলের জন্য নয় । বরং তা নির্দিষ্ট কিছু মানুষের জন্য । পৃ ৬ 


রাহাত সাহেব কত গুলো তাফসীর কারকের কথিত উদ্ধৃতি দিয়ে লিখেছেন যে  নবী পাক আল্লাহ পাকের জাতী নূর। এমন কি এও বলেছে যে , যে এই কথা মানবে না যে নবী আল্লাহ পাকের জাতী নূর , সে কোরানের মতে কাফের । 

কাফের বলতে যেমন আজকাল টাকা লাগে না তেমন এই রকম ব্যাংঙের ছাতার মত মুফতিরও অভাব হয় না । 

এবার আমি কিছু তাফসীরকারকের কিছু বর্নানা তুলে ধরছি ।

(১) সুরা মায়েদা আয়াত নং ১৫ ;- ক্বাদ জায়াকুম মিনাল্লাহি নূরি ওয়া কিতাবুম মুবীন । 

এই আয়াত কে দলিল দিয়েছিল রাহাত সাহেব এর পর মিনাল্লাহি বলার কারনে নাকি আল্লাহ পাকের জাতী নূর হয়ে গিয়েছিল নবী পাক । 



তাফসীর এ খাজেনের মধ্য , আলাউদ্দিন আলী বিন মাহমুদুল খাজেন লিখেছেন যে ;-অবশ্যই তোমাদের নিকট একটা নূর অর্থাৎ মোহাম্মদ (সা) এসেছেন ।কোরানে যার নাম রাখা হয়েছে নূর।
কারন মানুষ তার মাধ্যমে হেদায়েতের নূর পায় ।যেমনি ভাবে মানুষ আলোর মাধ্যমে অন্ধকারে পথ খুঁজে পায় । ( আহমেদ ইয়ার খান নঈমি লিখিত (নূর এ মোহাম্ম্দি এর প্রমান ) পৃ ২২


মোল্লা আলী ক্বারী (রহ) স্বীয় (মওজুয়াতে কবীর) এ লিখেছেন যে ;-বর্নিত আয়াত সমুহে আল্লাহর নূর বলতে হুজুরে পাক (সা) এর ক্বলবের নূর বোঝানো হয়েছে ( আহমেদ ইয়ার খান নঈমি লিখিত (নূর এ মোহাম্ম্দি এর প্রমান ) পৃ ২৩



দেখুন ইমাম জালালুদ্দিন সুয়ুতি (রহ) বলেছেন জালালাইন শরিফে ( উক্ত আয়াতে (নূর) দ্বারা নবী পাক (সা) এর নূর কে বোঝানো হয়েছে ।

এই রকম অনেক উদ্ধৃতি দিতে পারব আমি ।

একটা কথা বলা প্রোয়োজন যে আল্লাহর জাতি নূরের তাজাল্লি থেকেই নবী পাকের নূর সৃষ্টি।  তবে তা হকিকতে নূর । এবং তা থেকেই বাকি কিছুর সৃষ্টি ।
এই খানে আর একটা বর্নানা দেয়া প্রোয়োজন মনে করছি যা আমাদের দন্দ বন্ধ করতে সহায়ক হবে বলে মনে করছি।  কারন রাহাত সাহেব দালাইলুল খয়রাত কিতাবের বর্নানা দিয়েছেন । 

দালাইলুল খায়রাত কিতাবে আবুল হাছান আশয়ারী (রহ) বলেন যে ;- আল্লাহ তায়ালা নূর , তবে অন্যান্য নূরের মত নয় ও নবী পাকের  রুহ  মোবারক সেই নূরের জ্যোতি , আর ফেরেস্তারা সেই নূরের ফুল । নবী পাক বলেছেন , আল্লাহ তায়ালা সর্ব প্রথম আমার নূর  কে সৃষ্টি করেছেন  ও আমার নূর  দ্বারা বাকি সকল কিছুর সৃষ্টি করেছেন ,(আহমেদ ইয়ার খান নঈমি লিখিত (নূর এ মোহাম্ম্দি এর প্রমান ) পৃ ৩২

এই খানে যদি নবী পাক আল্লাহ পাকের জাতীগত  নূর থেকে সৃষ্টি হতেন তা হলে আবুল হাসান আশয়ারী (রহ) এমন বলতোনা যে আল্লাহ তায়ালা নূর তবে অন্য নূরের মত না , বরং যদি নবী  পাক আল্লাহ পাকের জাতী নূরের অংশ বিশেষ হতেন তা হলে তিনি এমন লিখতেন যে আল্লাহ পাক ও নবী পাকের নূর একই রকম।  কিন্তু তিনি বলেন নাই ।

আমি আরো কত গুলো বর্ননা সংক্ষিপ্ত ভাবে তুলে ধরতে চেষ্টা করছি । তা হচ্ছে 
আহমেদ ইয়ার খান নঈমি (রহ) তার কিতাব (নূর এ মোহাম্ম্দি  এর প্রমান ) কিতাবের ৪০ নং পৃষ্টায় লিখেছেন যে ;- কোরান শরিফে আল্লাহ তায়ালা হযরত সালেহ ( আ) এর উট কে আল্লাহর উট বলেছেন । অনুরুপ ঈসা (আ) কে আল্লাহর রুহ বলেছেন ।যেহেতু তিনি পিতা ব্যাতীত সৃষ্টি । অনুরুপ প্রায় নবী কে ও নূরুল্লাহ বলা হয় ( কারন কোন মাধ্যম ব্যাতীত তিনি নবী পাকের নূর কে সৃষ্টি করেছেন) 

রাহাত সাহেব নবী পাক কে বশর স্বীকার করতে চান না । আর যারা নবী পাক কে বশর মান্য করে যেমন আমি বা আমরা তারা সকলে কাফের তার কথা মতে । 

কিন্ত আহমেদ ইয়ার খান নঈমি (রহ) তার কিতাব ( নূর মোহাম্ম্দি  প্রমান ) ৪০ নং পাতায় লিখেছেন যে ;- প্রিয়নবী আমাদের (নূর) ও (বাশার) উভয়টি। তিনি নূরানী বশর, তার হকিকত নূর ও আকৃতি বশর ।

এই খানে আরো কিছু সংযোগ করছি যে ;- (নূর এ মোহাম্ম্দি এর প্রমান)  কিতাবে আহমেদ ইয়ার খান নঈমি (রহ) ৬৯ নং পৃষ্টায় ১৫ নং আপত্তি ছিল ;- বিশ্ব নবী (সা) কে নবর বলা মানে নবী পাক কে খাট করে দেয়া । 

এর জবাবে তিনি লিখেছেন ;-এ অভিযোগ তখনই যথাযত হত যখন আমরা নবী পাকের বশার হওয়াকে অস্বীকার করতাম ।
বিশ্ব নবী (সা) তিনি নূর ও বশর উভয়টি ।শুধু মাত্র নূর ও শুধু মাত্র বশর এই উভয় অবস্থা থেকে তিনি মুক্ত ।(নূর এ মোহাম্ম্দি এর প্রমান)  কিতাবে আহমেদ ইয়ার খান নঈমি (রহ) ৬৯ নং পৃষ্টায় ১৫ নং

এখন এই কুলাংগার রাহাতের ফতোয়ার কারনে হয় আহমেদ ইয়ার খান নঈমি কাফের , হয় আলা হযরত কাফের , নয় তোবা এই কুলাংগার রাহাত কাফের ।  কার ফতোয়ায় কে কাফের হল  তা  চিন্তা করে দেখ ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন