বৃহস্পতিবার, ১২ নভেম্বর, ২০১৫

মুতা বিয়ে হালাল পতিতালয়

মুতা বিয়ে (অস্থায়ী বিয়ে) এবং এর
অমানবিকতা তুলে ধরেছেন। তাও আবার
কোরআন হাদিস এর রেফারেন্স দিয়ে। এর
সাথে প্রাসঙ্গিক অনেক কথাই লিখেছেন
তিনি। যেমন কোন দেশে হালাল পতিতালয়
চালু করেছে যেখানে খদ্দেরকে পতিতার
সাথে মুতা বিয়ে দিয়ে পতিতাবৃত্তি হালাল
করা হয়। ইরানে তো সরকারী নিয়মেই
মুতা বিয়ে চালু আছে। তাছাড়া স্বভাব
সুলভ, রাসুল (সাঃ) এর আমলের কথাও
টেনে এনেছেন। সেই সময়
যুদ্ধবন্দি নারীদেরকে মুতা বিয়ে করে
হালাল (!) ধর্ষন করা হোত। বিষয়টা সত্যই
অমানবিক। যুদ্ধবন্দী মহিলার
স্বামীকে যে লোকটি দুপুরে হত্যা করল,
সেই লোকটিই মুতা বিয়ে করে রাত্রে ওই
মহিলার সাথে রঙ্গলীলায় মত্ত। যদিও এত
যোদ্ধা ও এত যুদ্ধবন্দী নারীর
ভেতরে বেছে বেছে স্বামীর
হত্যাকারীটিই কিভাবে ওই মহিলার
শয্যাসঙ্গী হোত সেটা তিনি বলেননি।
তাছাড়া সেই মুতা বিয়ে করার জন্য
মোহরানা (দেন মোহর) ছিল সামান্য কয়েক
মুঠো গম। সবকিছু মিলিয়ে, উনার মুল
কথা হল – মুতা বিয়ে হল, নারীকে ভোগের
বস্তু বানানোর আর পুরুষের মজ মাস্তি করার
মাধ্যম। এই ব্যাবস্থা যেই ধর্মে আছে, সেই
ধর্মে নারীর সন্মানের কথা ভন্ডামী।
হ্যা, উনার এই কথার সাথে আমি সম্পুর্ন
একমত। এমন ব্যাবস্থা আসলেই
নারীকে ভোগের বস্তু বানায়। এমন
ব্যাবস্থা যে ধর্মে আছে সেই ধর্ম নারীর
সন্মান দেয় না। তবে আমার আমার
মতবিরোধ ছোট একটি যায়গায়। সেটা হল –
এমন ধর্ম ইসলাম নয়।
কথাটি হল, “মুতাহ নিকাহ” যার অর্থ
“প্রমোদ বিয়ে”। খাস বাংলায়, মৌজ
মাস্তি করার জন্য বিয়ে । কথাটি সত্য,
অস্থায়ী বিয়ে মাস্তি করা ছাড়া আর কি?
তবে, এই কথাটা ভালো করে শুনে রাখুন –
এই মুতাহ বিয়ের আবিস্কারক ইসলাম নয়।
ইসলাম আসার অনেক আগে থেকেই
আরবে এই মুতাহ বিয়ে প্রচলিত ছিল। হ্যা,
আরবের যেই সমাজে মেয়ে শিশুকে জ্যান্ত
কবর দেওয়া হোত, সেই সমাজেরই পদ্ধতি এই
মুতা বিয়ে। 
আর এই মুতা বিয়ে কে কিছু সময়ের জন্য  অন্য মতে তিন দিনের জন্য ছিল শুধু। 
যারা আমার প্রতিপক্ষ সুরা নিসার আয়াত নং ২৪ দিয়েছে মুতা যায়েজ প্রমান করার জন্য । 
আমি এই আয়াতের তাফসীর এ তাফসীর কার্ক গন কি বলেছেন তা তুলে ধরব । 
আগে 
ডিবেটের জবাব দিয়েছে  সুরা নিসা এর ২৪ নং আয়াত দিয়ে । চলুন দেখি কি বলা আছে ২৪ নং আয়াতে 

 وَالْمُحْصَنَاتُ مِنَ النِّسَاء إِلاَّ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُكُمْ كِتَابَ اللّهِ عَلَيْكُمْ وَأُحِلَّ لَكُم مَّا وَرَاء ذَلِكُمْ أَن تَبْتَغُواْ بِأَمْوَالِكُم مُّحْصِنِينَ غَيْرَ مُسَافِحِينَ فَمَا اسْتَمْتَعْتُم بِهِ مِنْهُنَّ فَآتُوهُنَّ أُجُورَهُنَّ فَرِيضَةً وَلاَ جُنَاحَ عَلَيْكُمْ فِيمَا تَرَاضَيْتُم بِهِ مِن بَعْدِ الْفَرِيضَةِ إِنَّ اللّهَ كَانَ عَلِيمًا حَكِيمًا (24
এবং নারীদের মধ্যে তাদের ছাড়া সকল সধবা স্ত্রীলোক তোমাদের জন্যে নিষিদ্ধ; তোমাদের দক্ষিণ হস্ত যাদের মালিক হয়ে যায়-এটা তোমাদের জন্য আল্লাহর হুকুম। এদেরকে ছাড়া তোমাদের জন্যে সব নারী হালাল করা হয়েছে, শর্ত এই যে, তোমরা তাদেরকে স্বীয় অর্থের বিনিময়ে তলব করবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করার জন্য-ব্যভিচারের জন্য নয়। অনন্তর তাদের মধ্যে যাকে তোমরা ভোগ করবে, তাকে তার নির্ধারিত হক দান কর। তোমাদের কোন গোনাহ হবে না যদি নির্ধারণের পর তোমরা পরস্পরে সম্মত হও। নিশ্চয় আল্লাহ সুবিজ্ঞ, রহস্যবিদ।


সমস্ত তাফসীর কারক গন এই আয়াত এর শেষের  কথা  (
অনন্তর তাদের মধ্যে যাকে তোমরা ভোগ করবে, তাকে তার নির্ধারিত হক দান কর। তোমাদের কোন গোনাহ হবে না যদি নির্ধারণের পর তোমরা পরস্পরে সম্মত হও। নিশ্চয় আল্লাহ সুবিজ্ঞ, রহস্যবিদ) থেকে এটাই মতলব বের করেছেন যে মুতা বিবাহ যাকে বলা হয় । 
আমার প্রতিপক্ষ ও তাই বের করেছেন যে এটা মুতা বিবাহ । আমি ও মেনে নিলাম , আর কথা থাকল তবে যে মুতা বিবাহ কি এখন ও যায়েয ? না কি হারাম ? আসল কথা হচ্ছে  এ বিষয় নিয়ে ।

চলুন দেখা যাক এই আয়াতের তাফসীর এ প্রখ্যাত তাফসীর কারকগন কি বলেছেন ;-  

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন