বিঃদ্রঃ পীর পুজারী ও বেক্তি পুজারী বলার জবাব তাদের কিতাব থেকে ।
কিন্তু মজার কথা হচ্ছে দেওবন্দিগন নিজেদের কোন খবরই রাখেন না ।
এপার দেখুন মজার কথা ;-
(আকাবির কা সুলুক ) মাওলানা যাকারিয়া সাহেবের লেখা পৃষ্টা নং ১৩০ এ বলেছেন যে , আমার আকাবিরদের বিভিন্ন জাহেরী ও বাতেনি হালত নিজেও দেখেছি এবং তাদের জীবনী গ্রন্থে অনেক ঘটনা ও পড়েছি । যা কিতাবে পড়েছি তা অনেকবার স্বচক্ষে ও দেখেছি ।
আপন শায়েখদের প্রতি ভালোবাসা তাদের ইস্কের চেয়ে ও বেশি ছিল । তার প্রমান ওনেক আছে । তা থেকে একটা ছোট ঘটনা হল হযরত গাংগুহি (রহ) পান খেতেন না , তবে তার পায়ে পিকদানি রাখা হত , থুথু বা কাশীর সময় যা কিছু কফ বা শ্লেষমা বের হত তা পিকদানিতে ফেলতেন ও এগুলো শুকিয়ে যেত । একদিন হযরত শায়খুল হিন্দ (রহ) চুপে চুপে পিকদানি বাহির করে ধুয়ে তা পান করে ফেললেন । (আকাবির কা সুলুক ) মাওলানা যাকারিয়া কৃত পৃষ্টা নং ১৩০ ।
এ ঘটনার পরই আবার লিখেছেন যে ;- আলি নিয়ে দ্বীত্য় রামপুরী আব্দল কাদের (রহ) জীবনী গ্রন্থের ৬৮ নং পৃষ্টায় লিখেছেন যে :- তার শায়েখের প্রতি এতই ইস্ক ও প্রেম এত ছিল , যে নিসবত ও সুলুক ও বাতেনি উন্নতির ক্ষেত্রে এত কার্যকর ছিল যে হাজারো জিকির আজকার ও চেষ্টা ও মেহনত থেকে বেশি কার্যকর ছিল ।
কবির ভাষায় ;-
আপনার চেহারা দেখা আমাদের জন্য ঈদ তুল্য
আপনার দরবার আমাদের জন্য ঈদগাহ তুল্য ।
(আকাবির কা সুলুক ও ইহসান ) মাওলানা যাকারিয়া কৃত পৃষ্টা নং ১৩১ ।
আমি এই কথা গুলো হয়ত লেখার দরকার ছিল না ।
কিন্ত আমাদের আহলে সুন্নাহ জামাত কে কথায় কথায় পীর পুজারী , বেক্তি পুজারী বলে বার বার নয় বরং হাজার বার খোঁচা মারা হয় ।
আর আমরা তা শুনে মাঝে মাঝে আমাদের শায়েখদের কে ও ওনেকে কম ইজ্জ্ত প্রদর্শন করে থাকি যা বাতেনি উন্নতির ক্ষেত্রে ওনেক বড় বাঁধা ।
কিন্তু যারা আমাদের কে খোঁচা মারে তাঁরাই কিন্ত তাদের শায়েখের থুথু ও শ্লেষমা ও শুকিয়ে গেলেও তা ধুয়ে খায় ।
তাদের শায়েখের চেহারা দেখতে পাওয়া কে ঈদ মনে করে ও তাদের দরবার কে ঈদগাহ মনে করে ।
কিন্তু আমরা কোন দরবারে গেলে তারা শুরু করে নাক ছিটকানী ।
তারা কি তাদের কিতাব গুলো খুলে দেখে না ।
না কি তাদের এই সকল চোখে পড়ে না ?
সোহেল রানা ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন