বৃহস্পতিবার, ১২ নভেম্বর, ২০১৫

কবর যিয়ারাতের প্রমান দেওবন্দিদের কিতাব থেকে

বিঃদ্রঃ :- মসজিদ বিষয়ক হাদিস দিয়ে ও মাযার যিয়ারত বন্ধুর চেষ্টা ও খন্ডন তাদের কিতাব থেকে । রেখে দিন করি করে। কাজে দিবে । 

বাপের অবাধ্য হয় যারা তাদেরকে বলা হয় জারজ , কারন  বাপের হালালের সন্তান হলে ভাল কাজে বাপের অবাধ্য হবে কেন ? 

ঠিক সেই রকম বর্তমান দেওবন্দি চামারের জাতেরা , আমি অতীতেদের কে চামার বললাম না ।   

বরিতমান কিছু আর্বাচীন দেওর্রান্ডি বলে থাকে যে কবর জিয়ারতের নিয়ত করে বের হওয়া না যায়েয । 
আর তারা আমাদের ছুন্নি জামাতে ওলি আওলিয়াদের কবরের জিয়ারাত থেকে দূরে রাখতে চায় যেমন শাক দিয়ে কিছু লোক মাছ ঢাকতে চেষ্টা করে । 

কিন্তু মজার কথা হচ্ছে যে তাদের কিতাব (ফাজায়েলে আমলের ) ফাজায়েলে হজ্জ অধ্যায় পৃষ্টা নং ২২৭ এ লিখেছেন যে ;- হুজুর পাক বলেছেন যে ;- তিনটি মসজিদ ব্যাতীত অন্য কোন মসজীদের দিকে সফর করবে না , (১) হেরেম শরিফের মসজিদ (২) মসজীদে আকসা (৩) ও আমার মসজিদ (মসজীদে নববী ) 

কিছু সংখ্যক ওলামা প্লেন যে রওজা(তারা আমাদের কে বলতে বলে কবর, কিন্তু তাদের মাওলানা জাকারিয়া ঠিকই সম্মানের কারনে রওজা ব্যাবহার করেছেন)  পাকের নিয়তে বের হওয়া না যায়েয , যাইতে হবে মসজীদের নিয়তে । অবশ্য সেখানে পৌছিলে রওজা পাকের জিয়ারতে কোন সমস্যা নাই । তবে সম্মিলিত ওলামায়ে কেরামদের মত হইল শুধু নিয়ত করিয়া মসজিদ সফর করিতে হইলো এই তিন মসজিদ ব্যাতীত অন্য মসজিদের নিয়ত করিয়া যাওয়া নাযায়েয । ইহার অর্থ এই নয় যে এই তিন মসজিদ সফর ছারা অন্য যে কোন সফর না যায়েয । বরং হাদীসে আছে যে ;- আমি তোমাদের কে কবর জিয়ারাত করিতে মানা করেছিলাম , এখন তার অনুমতি দিতেছি , তোমরা কবর জিয়ারাত কর ।ইহা থেকে প্রমান হয় যে আম্বিয়া ও আওলিয়া কেরামদের কবর জিয়ারতের জন্য যাওয়া সম্পুর্ণ যায়েয ।তদুপরি হিজরতের সফর , জিহাদের সফর , তালেবে এলেমের সফরের ও অন্যান্য সফরের জন্য তাগীদ দেয়া হয়েছে (মাওলানা জাকারিয়া লিখিত কিতাব ফাজায়েলে আমলের হজ্জ অধ্যায় পৃষ্টা নং ২২৭ ) 

এখন কথা হচ্ছে যে এরাই (বর্তমান কুলাঙ্গার)'রা বলে যে কোন মাযার জিয়ারতের জন্য বের হওয়া না যায়েজ । কারন তিন মসজিদ ব্যাতীত সফর করতে নিষেদ করা হয়েছে । আমি তাদের এই খোড়ী যুক্তির খন্ডন করলাম তাদের কিতাব দিয়ে ।আর এটাও প্রমান করলাম যে এটা যায়েয ।

আর শুধু মাত্র মসজিদের নিয়ত করে ঘর থেকে সফরের উদ্দেশ্য বের হওয়া না যায়েয। এটা তোমাদের কিতাব থেকেই প্রমান করেছি উপরে । 

এখন আমাকে বল তোমরা যে তাবলীগ করতে বের হও তো তা এক মসজিদ থেকে অন্য মসজীদে রাত কাটানোর জন্য ।এটা কি ভাবে যায়েয  হল ? না কি নিজের বেলায় সকল আলেম ও বুযুর্গদের কে কচু দেখিয়ে চলেই যাচ্ছে ? 

আর তোমরা কি ভাবে নিজেদের কে দেওবন্দি দাবি কর ? যখন তোমরা তোমাদের কথার মাধ্যমে বুযুর্গদের মাথার পাগরি খুলতে তৎপর ? তাদের কথার অবাধ্য তোমরা । 

যদি হালালের সন্তান কেউ থেকে থাক তো আমার জবাব দিও।  আর যদি দিতে না পার তো কমছে কম নেড়ি কুত্তার মত ঘেউ ঘেউ করিও না ।
কিতাবের পাতা দিতে বাধ্য থাকলাম ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন