বৃহস্পতিবার, ১২ নভেম্বর, ২০১৫

আলা হযরতের আলা শব্দ ব্যাবহার নিয়ে আপত্তির জবাব

দেওবন্দিদের যে কি রোগ তা আল্লাহ রাব্বুল আলামিন ভাল জানে । তবে তাদের রোগের জবাব আমাদের কাছে বেহেস্তি জেবার এর যৌন ঔষদের  মতই। মানে তাদের নিজেদের লেখা কিতাব । 

আব্দুস সালাম এক খানে Islamic andolon boalkhali কে mention করে কমেন্ট এ লিখেছে যে ;- আলা হযরত উপাধি কোথায় থেকে এসেছে জানেন না কি ? 
যে বলেছিল (আনা রাব্বুকুমুল আলা ) তার আগে পৃথিবীর বুকে কেউ এ ধরনের কথা কেউ বলে নাই ,এই ফেরাউন হচ্ছে (আনা রাব্বুকুমুল আলা) দাবিদার ও তারই পদাঙ্ক অনুসরন করে আরো দুজন তাদের নামের সাথে আলা রেখেছে । একজন আলা হযরত আহমেদ রেজা আর একজন আবুল আলা ।  

আমি তার স্ক্রীন শুট দিয়েছি দেখে নেন । 

জবাব :- আলা হযরত কথা টা আলা হযরত আহমেদ রেজা খান (রহ) নিজের নামের সাথে নিজের ইচ্ছায় বা অন্যের কথায় ও কোন দিন আলা শব্দ  লিখেন নাই।  যদি নিজে থেকে লিখে থাকে তো এমন কোন প্রমান পেশ করার জন্য বলা হল । বরং তিনি নিজের নাম লিখতেন আহমেদ রেজা খান আবদে মুস্তফা (সা) , আবেদ শব্দের অর্থ দাড়ায় বান্দা , আর সকল বান্দাই গোলাম হয়ে থাকে বা গোলাম অর্থে বেবহার করা হয়েছে । তো ওনার নামের পুর্ন অর্থ দাড়ায় আহমেদ রেজা খান মোস্তাফা (সা:) এর গোলাম । 

তো জিনি নিজেকে মোস্তফা (সাঃ) এর গোলাম দাবী করতেন সেই লোকটা কে ফেরাউনের পদাঙ্কের অনুসরন কারী বলা কতটা বিবেক সম্মত কাজ তা কিন্তু বোঝার বাকি থাকে না । 

আর একটা কথা , ফেরাউন নিজেকে বললো আমি আল্লাহ তো সে হল কাফের , আর মনসুর হাল্লাজ বললো আনাল হক (আমি আল্লাহ ) তো ওনি হল আল্লাহর ওলি । 

এই খানে ইস্কের পাগল আর দাম্ভিকের মধ্য যে পার্থক্য করতে জানে না তাদের সাথে কথা বলার কি ফায়দা তাও কিন্তু অনুমেয় ।

আলা হযরত কথা টা সাধারন ওলামায়ে কেরাম ও সুফিয়ায়ে কেরামগন আহমেদ রেজা খান (রহ)'র নামের সাথে উপাধি দিয়েছেন ওনার ইস্ক এ রাসুল ও শরিয়াতের পাবন্দ দেখে । 

আর এই উপাধি দেয়ার কারনে আলা হযরত আহমেদ রেজা খান (রহ) যদি ফেরাউন এর পদাঙ্ক অনুসরনকারীতে পরিনত হন , তা হলে আমার উত্তর দাও এবার যে ;- রশিদ আহমেদ গাংগুহির লেখা তোমাদের কিতাব (মাহমুদুস সুলুক ) এর ১৯ নং পাতা তে লিখেছেন যে ;- 
১২৬৬ হিজরী তে কোন এক কারনে গাংগুহী থানা ভবনে যান । তখন হাফেজ মোহাম্মদ যামিন সাহেব শহিদ(রহ) এর সুপারিশে আলা হযরত শায়খুল মাশায়েখ কুতুবুল ওয়াসীলীন সুলতানুল আরিফিন হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজেরে মাক্কি (রহ) এর কাছে বাইয়াত হন । (মাহমুদুস সুলুক) পৃষ্টা নং ১৯ 

এই খানে আলা শব্দ বেবহার করা হয়েছে । 
২০ নং পাতা তে ও বলা হয়েছে ;- হযরত আকদাস গাংগুহি (রহ) স্বীয় সায়েখ ও মুরসীদ আলা হযরত হাজী এমদাদুল্লাহ মুহাজের এ মক্কি (রহ) এর নিকট স্বীয় হাল ও অবস্থা সম্পর্কে এক চিঠি লিখেন ।  মাহমুদুস সুলুক পৃষ্ঠা নং ২০ 

আমি কিতাবের পাতা শেয়ার করলাম।  

এখন আপনাদের কাছ থেকে আমি উত্তর আশা করছি যে ;- হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজের এ মক্কি (রহ) আপনাদের পীর দের ও পীর শায়েখ দের ও শায়েখ । তিনি কাসেম নানুতভী , আশরাফ আলি থানবী , রশিদ আহমেদ গাংগুহি , আকদাস গাংগুহি , খলিল আহমেদ আম্ভাটভী'র ও পীর । 

আর (আলা ) শব্দ বেবহার করার কারনে যদি আহমেদ রাজী খান (রহ) ফেরাউন এর পদাঙ্ক অনুসরনকারী হন , তা হলে সেই একই শব্দ (আলা) হাজী এমদাদুল্লাহ মুহাজের এ মক্কি (রহ)'র নামের আগে ব্যবহার  করার কারনে তিনি কেন ফেরাউন এর পদাঙ্ক অনুসরনকারী হবেন না ? 
আশা করছি জবাব দিবেন । 
আর হিজরা দের কাছে থেকে জবাব আশা করা যে সমষ নষ্ট করা তা আমার জানা আছে ভালো করেই । 

জানি কোন সদুত্তর নাই । 

আরো আমার প্রশ্ন হচ্ছে যে ;-আলা শব্দ ব্যবহার করার কারনে আহমেদ রেজা খান (রহ) যদি ফেরাউনের পদাঙ্ক অনুসরনকারী হন তা হলে হাজী সাহেব ও তাই হবেন , ফেরাউন এর পদাঙ্ক অনুসরনকারী । 
আর  আলা শব্দ বেবহার করার কারনে যদি হাজী এমদাদুল্লাহ মুহাজের এ মক্কি (রহ) (ফেরাউনের পদাঙ্ক অনুসরনকারী হন (নাউযুবিল্লাহ , তা আপনাদের কথা মতই সাবেত হয় । আমরা বলি না ) তা হলে সেই হাজী এমদাদুল্লাহ মুহাজের এ মক্কি (রহ) এর রুহানী সন্তান ও খলিফাদ্বয় যারা আছেন বা ছিলেন যেমন কাশেম নানুতভী, আশরাফ আলী থানভী, রশিদ আহমেদ গাংগুহি, খলিল আহামেদ আম্ভাটভী' , এরাও কেন ফেরাউন এর পদাঙ্ক অনুসরনকারী হবেন না ? কারন আপনাদের কথা মত হাজী এমদাদুল্লাহ (রহ) তো ফেরাউন এর অনুসারী , তো যারা হাজী সাহেবের অনুসারী তারাও ফেরাউনের অনুসারীই প্রমান হবেন , কারন এ সকলের  মুলে  তো ফেরাউন । তাই না ! ! ! 

আর যদি তাই হয় যে হাজী সাহেবের নামের শেষে আলা শব্দ বেবহার করার কারনে 
ও বাকি ওলামাগন হাজী সাহেবের মুরীদ ও খলিফা হওয়ার কারনে মুলত ফেরাউনেরই পদাঙ্ক অনুসরন করেছেন তা হলে বর্তমান সময়ের যে সকল দেওবন্দি আছেন তারাও ফেরাউনের পদাঙ্ক অনুসরনকারীতে পরিনত হয়ে যাবেন কি না ? 

কারন আপনাদেরই আলেম এরা যাদের নাম নিয়েছি আমি কয়েকবার । 
আমরা হাজী সাহেবের ইবাদত গুজারিতার কারনে ও হক হওয়ার কারনে আমরা ওনাকে সকল সুন্নি জনতা মাথার তাজ মনে করি । 
কিন্তু ওনার খলিফাদ্বয় কে আমরা প্রত্যাখ্যান করেছি ও করি ও করব , তাদের  নিজের বদ আকিদার জন্যই শুধু । 
আমরা হাজী সাহেব ছাড়া দেওবন্দিদের কোন আলেম কে আকিদার দিক গেয়ে গ্রহনযোগ্য মনে করি না । 

বরং আপনারাই করেন  ও সেই সকল আলেম থানবী ,গাংগুহি, নানুতভী, আম্ভাটভী,এরাই আপনাদের আকাবের বা বুযুর্গ । 
আমাদের না ! 

তাই মুলত আলা শব্দ ব্যবহার করার কারনে যদি ফোরাউনের পদাঙ্ক অনুসরন করা হয় তা হলে মুলত আপনারই সেই পদাঙ্ক অনুসরনকারী হবেন  ও সেই সকল আলেম কে  আপনারাই জঘন্য অপবাদে নির্লিপ্ত করে নিজেদের জাহা  ও আখেরাত বর্বাদ করতেছেন। 
একজনের প্রতি মিথ্যা অভিযোগ করলে তা নিজের ঘাড়ের উপরই আসে । তা বলার আর বাকি থাকে না ও হাদীস থেকে ও প্রমানিত । 

তাই নিজেদের আলেম ওলামাদের  কে কাফের ফেরাউনের অনুসারী বলে  নিজেদের আলেমদের কে কাফের বলবেন না ও নিজেরা ও কাফের হয়ে যাবেন না । এটাই প্রত্যাশা রইল।  

সোহেল  রানা 

ওয়াস-সালাম 


1 টি মন্তব্য:

  1. ভাই আলা হযরত নাকি ভারতের রাজাকার ছিলেন।দেওবন্দীদের তুলনা নাকরে নিচের লেখাটা একটু তাহকিক করুন।حکومت برطانیہ مسلمانان ہندوستان کے واسطے رحمت خداوندی کی حیثیت رکہتی ہے، اس حکومت نے یہاں کے تمام فرقوں میں امن پیدا کرکے ان پر احسان عظیم کیا ہے، لہذا اس کے خلاف جہاد و قتال کس طرح جائز هو سكتا هے؟ (تلخيص رسالة الأمارة والجهاد مصنفة احمد رضاخا)

    উত্তরমুছুন