তাকবিয়াতুল ইমান ------১
শাহ ইসমাইল দেহলভীর কিতাব (তাকবিয়াতুল ইমান) কিতাবটা বেশ কয়েকদিন হল হাতের নাগালে পেয়েছি । চিন্তা করতেছি এখন যে , কিছু কথা তুলে ধরি , যারা কথিক তাওহিদের ঠিকাদার তাদের সামনে ।
জনাব আশরাফ আলী থানবীর লিখিত কিতাব স্বীয় পীর কেবলা হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজের এ মক্কি (রহ) নামে কারামতে ইমদাদিয়া এর ১৮ নং পৃষ্টায় লিখেছেন যে ;- হাজী সাহেবের কোন এক মুরিদ জাহাজে ছিল , আর ঝড়ে জাহাজের তলা ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যাওয়ার উপক্রম হল , উনারা দেখলেন যে এখন মিত্তু ছারা কোন উপায় নেই ,সেই সংকটময় মুহুর্তে স্বীয় পীরের কথা মনে করলেন । কারন এই সময় থেকে অধিক প্রয়োজন আর কোন সময় হতে পারে । আল্লাহ তায়ালা সর্বদ্রোতা , সর্বদ্রষ্টা সব কিছুর আমজান দানকারী । সেই সময় জাহাজ ডোবা থেকে রক্ষা পেল ও সমস্ত লোক বেঁচে গেল ।
এদিকে তো এ ঘটনা সংঘটিত হল , অন্যদিকে ওলীয়ে জাহান (হাজী ইমদাদুল্লাহ ) সাহেব পরের দিন স্বীয় খাদেম কে বললেন আমার কমর টা টিপে দাও , খুবই ব্যাথা করতেছে ।খাদেম কমর টিপতে টিপতে যখন কোমর থেকে লুংগী একটু হটলো তখন দেখলেন যে , কোমর ক্ষতবিক্ষত ও কয়েক যায়গায় চামড়া উঠে গেছে ।
খাদেম জিগ্গেস করল , হুজুর , ব্যাপার কি , কোমড় কি ভাবে ক্ষত বিক্ষত হল ?
হাজী সাহেব বললেন ও কিছু না ।
খাদেম পুনরায় জিগ্গেস করলে হাজী সাহেব নিশ্চুপ হয়ে থাকলেন।
এরপর খাদেম আবার বলেন যে , হুজুর এটা তো আঘাতের চিন্হ , কিন্তু আপনি তো কোন খানেই তাশরিফ নিয়ে যান নি ।
হাজী সাহেব উত্তর দিলেন যে , এক জাহাজ ডুবা যাচ্ছিল , তাতে তোমাদের দ্বীনি সিলসিলার এর ভাই ছিল । তার কান্নাকাটি আমাকে অস্থির করে তুলেছিল । তাই কোমড়ের সাহায্য জাহাজটা উপরে তুলেছি । যখন জাহাজটা আগে বাড়ে তখন আল্লাহর বান্দাগন মুক্তি পেল । তাই হয়ত ঘষাঘষিতে কোমড়ের চামড়ার ব্যাথা অনুভব হচ্ছে । কিন্ত্ এটা কাউকে বলিওনা ( কারামতে ইমদাদিয়া ) পৃষ্টা নং ১৮ ।
আমার ভাই , উপরের কথা গুলে যদি ইতিমধ্যেই পাঠ করে থাকেন তবে মন দিয়ে আর একবার পাঠ করে নিন , এর পরে নিচে আসুন ।
দেওবন্দিদের হাট্টা খাট্টা মৌলভী তাদের মতে শহীদ (আমাদের মতে মরা কুত্তা ) কথিত শাহ ইসমাইলের কিতাব তাকবিয়াতুল ইমান এর তাওহীদ ও শিরকের বিবরন অধ্যায় এ লিখেছেন যে ;- বহু লোক (১) পীর (২) পয়গম্বর (৩) ইমাম(৪)শহীদ(৫) ফেরেস্তা (৬) দেওপরী দিগ কে বিপদের সময় ডাকতে থাকে ।তাহাদের নিকট নিজের বাসনা যান্জা (পেশ) করিয়া থাকে ও তাহাদের দয়ার ভিখারি হইয়া থাকে , (কিছু কথা বাদ দিলাম ) ইহা সত্তেও তাহারা আবার মুসলমান দাবি করিয়া থাকে ।কি মুখ আর কি দাবি , ভাবিলে আশ্চর্য় লাগে ।খোদা তায়ালা ঠিকই বলেছেন , তাহারা অধীকাংশই খোদার প্রতি ইমান অনয়নকারী নহে , বরং তা শিরক করে ( সুরা ইউ সুফ ) তাকবিয়াতুল ইমান কিতাবের শিরক ও তাওহিদের বিবরন অধ্যায় । কিতাবের পাতা দেয়া হল ।
এখন মুল কথা হলে যে ;- দেওবন্দিদের শহিদ এ বালাকোট শাহ ইসমাইল তার কিতাবে লিখেছেন যে ;- বিপদে আপদে পীর পয়গম্বরদের কে বিপদের সময় ডাকা শিরক ।
আজকের কথা শুধু এই টুকুই ।
কথা হল যে আমি উপরে একটা কাহিনি বর্ননা করেছি দেওবন্দের মুজাদদেদ আশরাফ আলী থানভী লিখিত কিতাব কারামতে ইমদাদিয়া এর ১৮ নং পেজের । তাতে দেখা যায় একজন মুরীদ ঝড়ে জাহাজ ডুবে যাওয়ার মত অন্তিম মুহুর্তে তার পীর সাহেব হাজি ইমদাদুল্লাহ (রহ) কে স্বরন করেছেন আর হাজী সাহেব নিজে কোমড় লাগিয়ে সেই জাহাজ তুলেছেন ।
আর আপনাদের শাহ ইসমাইল লিখেছেন যে ;- বিপদের সময় পীর পয়গম্বর কে ডাকা শিরক ।
(১) তো শাহ ইসমাইলের মতে কি উক্ত বেক্তি (যে বিপদে পড়ে তার পীর কে ডেকেছে) শিরক ( মুশরিক ) নয় ?
(২) স্বীয় পীর কে কি আল্লাহর অংশীদার সাব্যস্ত করা হল না ?
(৩) এমন শিরিকের কিতাব (কারামতে ইমদাদিয়া ) এর লেখক এমন শিরকি আকিদা নিজে রাখার ও কিতাবে প্রচার করার কারনে কি নিজে মুশরিক হয়ে যান না ?
(৪) নাকি শাহ ইসমাইল এসব ভুলে কথা লিখেছে ?
(৫) যদি সে ভুয়া ফতোয়া দিয়ে থাকে তবে কি ভুল ফতোয়া তার উপরেই বর্তাবে না ?
(৬) যদি শাহ ইসমাইলের ফতোয়া মোতাবেক হাজী সাহেবের মুরিদ মুশরিক না হয়, হাজী সাহেব আল্লাহ সাব্যস্ত না হন , আর আশরাফ আলী তা প্রচার করার জন্য যদি মুশরিক না হন তা হলে কি শাহ ইসমাইল নিজে মুশরিক হয়ে যান না অন্যকে অপবাদ দেয়ার কারনে ?
(৭) যদি উক্ত ফতোয়া শাহ ইসমাইলের উপরে চলে আছে আর যদি সে মুশরিক হয় , তবে সে কি জাহান্নামী নয় ? তারে কাফের বলতে তো কোন দোষ নাই । তাই নয় কি ?
এখন কথা হল যে আপনাদের ফতোয়া আপনাদের সামনে আপনাদের বিরুদ্ধে পেশ করেছি আমি । একই সাথে ২ টা বিষয় ঠিক হতে পারে না বা এক সাথে রাখা যেতে পারে না ।
আপনারা যে কেউ একজন কে হক বলে দাবি পেশ করুন আর অন্য জন কে বাতেল বলে রায় দিন । আমরা কোন তর্ক ছারাই কবুল করে নিব ।
আর জানি । এটা রানার পোষ্ট । আগে কুয়া পিছনে খাল । যে দিকে যাবে সেই দিকেই বিপদ ।
সোহেল রানা
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন