বৃহস্পতিবার, ১২ নভেম্বর, ২০১৫

তাকবিয়াতুল ইমান খন্ডন --৩

তাকবিয়াতুল ইমান ----৩ 

বিগত ২ টা পোস্ট থেকে বোঝা যায় যে দেওবন্দিদের মধ্য এমন কোন সন্তান নেই , যে এমন মায়ের দুধ পান করতে পেরেছে যাতে আমার জবাব দিতে সক্ষম হয় । আর যারা হারামজাদা তারা কি করে জবাব দিবে এমন ব্যাভিচারিনি মায়ের দুধ পান করে ? 
এমন কি হোক না সে বালাকোটি ! 

তাকবিয়াতুল কিতাবের ৭ নং পেজে লিখেছেন যে ;- যদি কাফেরগন কে জিগ্গেস করা হয় , সারা দুনিয়ায় কাহার বাদশাহি ? এমন শক্তিশালী কে ? যিনি পৃথীবির সকল বিষয়ে সাহায্য করিয়া থাকেন , তাহার উপর আর কেহই সাহায্য করিবার ক্ষমতা রাখে না ? তবে তাহারা ও মুক্ত কন্ঠে বলিবে তিনি আল্লাহ ।
যদি তাহাই হয় , যদি আল্লাহ ব্যাতীত কোন বিষয়ে কাহারো কোন ক্ষমতা বা প্রভুত্ব না থাকে তবে তাহারে ছাড়িয়া অন্যের নিকট সাহায্য চাওয়া মাথায় প্রতারিত হওয়া ছারা আর কি হইতে পারে ? এই আয়াত দ্বারা জানা গেল যে , আল্লাহ তায়ালা  সমস্ত দুনিয়ায় কাহার ও উপরে কোন প্রকার ক্ষমতা প্রয়োগের অধিকার দেন নাই এবং কেহ কেহ কাহারো উপকার বা সাহায্য করিতে সমর্থ নহে ।
আর ইহা ও বোঝা গেল যে , হযরত পয়গম্বর (দ) সময় কাফেরগন তাহাদের দেব দেবীগুলোকে আল্লাহর সমকক্ষ মনে করিত না , তাহাদীগ কে আল্লাহর সৃষ্ট বান্দা বলিয়া মান্য করিত ।তথাপী দেব দেবী গুলোকে ভক্তি শ্রদ্ধা করা পুজা করা মনের বাসনা তাহাদিগকে জানানো , আল্লাহর দয়া পাইবার জন্য তাহাদিগকে মধ্যস্তাতা বা সুপারিশকারী মনে করা ইহাই তাহাদের শিরক এবং কুফরী ছিল ।সুতরাং যদি কেউ আল্লাহ ছারা অন্য কাহারো সহিত ওই প্রকার কার্য করে , তবে কুফরীতে আবু যাহেল সমতুল্য হবে ।  অতএব সকলের জানা উচিত যে শিরক শুধু আল্লাহর সমতুল্য বা প্রতিযোগি মনে করার উপরে নির্ভর করে না । বরং শিরকের আসল অর্থ এই যে , খোদা তায়ালা তাহার জন্য যাহা কিছু নির্দিষ্ট করিয়েছেন সেই সমস্ত কাজ অপরের জন্য করা হইলে - যাহার উদ্দেশ্য করা হয় ।যদি ও তাহাদিগ কে খোদারই সৃষ্টি , খোদা হইতে ছোট ও তাঁহারই বান্দা বলিয়া মনে করা হয়  ।তথাপি ইহা শিরক বলিয়া গন্য হইবে । 
(তাকবিয়াতুল ইমান পৃষ্টা নং ৭-৮ ) 


আমার ভাই , উপরের কথা গুলে ভাল করে পড়ে নিন আর একবার । এর পরে নিচে চোখ দিন । 


উপরে নিহত ইসমাইল বালাকোটির অনেক কথা বর্নিত হয়েছে। এত কথার জবাব আমি দিতে পারব না একই পোষ্টে । একটা কথা কে মুল আলোচনা হিসেবে গ্রহন করলাম । তা হল ;--
আল্লাহ তায়ালা  সমস্ত দুনিয়ায় কাহার ও উপরে কোন প্রকার ক্ষমতা প্রয়োগের অধিকার দেন নাই এবং কেহ কেহ কাহারো উপকার বা সাহায্য করিতে সমর্থ নহে ।( তাকবিয়াতুল ইমান পৃষ্টা নং ৭) 

উপরের কথা গুলো থেকে এটা প্রমান হয় যে , আল্লাহ তায়ালা কোন বেক্তিকে কাহারো উপরে এমন কোন ক্ষমতা প্রয়োগ করিবার শক্তি বা সামর্থ দেন নাই , যাহা আল্লাহ তায়ালা তা নিজের জন্য নির্দিষ্ট করে রেখেছেন । যেমন কারো জীবন দেওয়া কারো মিত্তু দেওয়া । 

কেউ যদি কারো উপরে এমন কোন কথা আরোপ করে বা বিস্বাস করে বা দাবি করে তবা তাহা শিরক হইবে । আর এটা কোন আমাদের কিতাব নয় বরং এটা দেওবন্দিদের ভাষায় শহিদে অমর বালাকোট  শাহ ইসমাইল দেহলভী ।
আর শুধু দেওবন্দি নয় বরং বালকোটি সুন্নি বা গোলাপি সুন্নি যাদের কে বলা হয় তারা আর আহলে হাদিস রা ও  মান্য করে । 

এবার মুল আলোচনা করা যাক ;- 
 
দেওবনেদের কিতাব (আশরাফুস সাওয়ানেহ) এর ১ম খন্ড ১২৫ নং পেজে লিখেছেন যে ;- হযরত হাফেজ হুসাইন সাহানপুরী সাহেব , যিনি সাহানপুরের গন্যমান্য বেক্তিত্ব সহ সিলসিলাহ ভুক্ত বুযুর্গ ও ছিলেন ।একবার কারো জন্য বদদোয়া করেছিলেন আর সেই বেক্তি সঙ্গে সঙ্গে মারা যান ।তিনি স্বীয় কারামতে খুশি না হয়ে ঘাবড়ে যান ও চিঠি মারেফত আশরাফ আলী থানভী থেকে মাসয়ালা জিগ্গেস করেন যে ;-আমার কি হত্যা করার গোনাহ হল ? ( আশরাফুস সাওয়ানেহ) ১ম খন্ড পৃষ্টা নং ১২৫।

উক্ত মাসয়ালার জবাবে আশরাফ আলী থানভি লিখেছেন যে (- যদি আপনার মধ্য হস্তফেপ করার ক্ষমতা থাকে এবং বদ দোয়া করার সময় আপনি সেই ক্ষমতা দ্বারা কাজ আদায় করেছেন অর্থাৎ এই কাজ টা ইচ্ছাকৃত ধারনা ও ক্ষমতা বলে করেছেন যে এ লোকটা মারা যাক , তা হলে হত্যার গোনাহ হলো যেহেতু হত্যা ইচ্ছাকৃত । ও হত্যার কাফ্ফারা ও (দিয়ত)  ক্ষতিপুরন ওয়াজীব হবে ।( আশরাফুস সাওয়ানেহ ) ১ম খন্ড পৃষ্টা নং ১২৫। 

একবার হাফেজ আহমেদ হুসাইন ও আশরাফ আলীর আলোচনা টা দেখে নিন । 

প্রথমত হাফেজ হুসাইন সাহেব একজন বুযুর্গ ছিলেন ও ওনার বদদোয়ার কারনে একজন লোক মারা গেছে । 
আর দ্বীতিয়ত থানভী সাহেব লিখেছেন যে ;- যদি হস্তক্ষেপ  করার ক্ষমতা থাকে , 
মানে আল্লাহ ছারা অন্যের মিত্তু তে তাদের মতে হস্তক্ষেপ করার ক্ষমতা থেকে থাকে ।

&& এর পরে লিখেচে ও যদি বদ দোয়া করার সময় সেই ক্ষমতা দ্বারা কাজ (হত্যা ) করে থাকেন , 
অর্থাৎ বদ দোয়া টা ইচ্ছাকৃত ধারনা ও ক্ষমতা বলে  করেছেন । 


এর মানে হল যে :- দেওবন্দ আলেম গন আল্লাহর জন্য নির্দিষ্ট কাজে হস্তক্ষেপ সহ কাউকে ইচ্ছাকৃত হত্যা ও করতে পারেন । 

তাকবিয়াতুল ইমানের মতে এই বিষয়গুলো শুধু মাত্র আল্লাহর জন্য নির্দিষ্ট , এমন কি এমন আকিদা আল্লাহ ছারা অন্য কারো বেলায়  পোষন করলে তা শিরক হইবে । 

শাহ ইসমাইলের মতে হাফেজ হুসাইন সাহেবের বেলায় থানবি এমন আকিদা রাখার কারনে স্পষ্ট ভাবে মুশরিক সাবস্ত হয় । 

কিন্ত্ না , তারা মুশরিক নয় । মুশরিক আমরাই তাদের মতে । এই হচ্ছে দেওবন্দ ।



এখন কথা হল কোন দেওবন্দি কি আমাকে বলবেন এখানে কে সঠিক আর কে ভুল ? 

শাহ ইসমাইল ভুল ? 
নাকি আশরাফ  আলী থানবী ? 


সোহেল রানা । 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন