বৃহস্পতিবার, ১২ নভেম্বর, ২০১৫

শিয়াদের মুতা বিবাহ

ডিবেট @  
উল্লেখ্য যে আমি প্রতি রেফারেন্স এর মুল পাতা দিতে বাধ্য রইলাম এই পোষ্ট এ । 
আপনি ও তৈরি হয়ে আসুন ও খন্ডন করুন মুতা বিবাহ যায়েয ও সুরা মুমিন আয়াত নং ৬-৭ মুতা  রহিত করে না 

বড় আফসোসের কথা যে আপনি শুধুই গোপন করে গেছেন ওনেক কিছুই , কিন্তু প্রকাশ করেন নাই ।

আপনি (اسْتَمْتَعْتُمْ) শব্দের তারকিব করেছেন। 
আমি জিগ্গেস করছি কোন হসপিটালে আপনাকে তারকিব করা শিক্ষা দিয়েছে ? জমাবেন কি ? আর যদি কোন তাফসীর গ্রন্থ থেকে দেন তা হলে তার রেফারেন্স দিন আমাকে । 

 فَمَا اسْتَمْتَعْتُمْ بِهِ مِنْهُنَّ فَآتُوهُنَّ أُجُورَهُنَّ فَرِيضَةً ۚ وَلَا جُنَاحَ عَلَيْكُمْ 
বিয়ের পর  যে সকল  নারী দের কে ভোগ কর , তাদের কে মোহর দাও। এটা ফরজ করা হয়েছে । 

এই আয়াতে (اسْتَمْتَعْتُمْ) (ভোগ শব্দ দ্বারা বিয়ের পর ফায়দা গ্রহন তথা স্ত্রীদের সাথে মিলন করা তা বোঝানো হয়েছে ।
অথবা (اسْتَمْتَعْتُمْ) দ্বারা শুধু মাত্র বিয়ের আকদ বোঝানো হয়েছে । 

আলোচ্য আয়াতে (فَمَا اسْتَمْتَعْتُمْ ) এসেছে । এখনে استمتاع যার শাব্দিক অর্থ انتفاعফায়দা গ্রহন ।তাফসীর এ জালালাইন ১ম খন্ড পৃষ্টা নং ً৭৯৯। 
আপনি বলেছেন আপনার প্রথম পোষ্ট এ اسْتَمْتَعْتُمْ শব্দ দ্বারা যদি শুধু ফায়দা গ্রহন বোঝায় তা হলে হবে এটা একটা ননসেন্স কাজ । প্রকৃত পক্ষে এটা ছিল ননসেন্স কাজ সেই জাহেলী যুগে । এক তা এখন ও আপনারা সমর্থন করে যাচ্ছেন যা একেবারেই সয্য করার মত না । 

আপনারা (দূররে মনসুর ) বা সুয়ুতি (রহ) কিতাব  কে দলিল দেন । 

কিন্তু তাফসীর এ জালালাইন এর ১ খ ৭৯৯ নং পেজে নিসা ২৪ নং আয়াতের বর্নানা করে মুতা 

বিয়ে হারাম তার ৩ টা কারন উল্লেখ করেছেন 

(১) আল্লাহ পাক স্ত্রী ও শরয়ী দাসী ছারা অন্য যে কোন মহিলার সাথে সহবাস হারাম করেছেন ।আর মুতা বিবাহ এর নামে যার সাথে মিলন করা হয় সে স্ত্রী ও নয় , শরিয়াত সম্মত দাসী ও নয় । চাই মুতা হারাম আল্লাহ পাকের কালাম ( 
 وَالَّذِينَ هُمْ 
 إِلَّا عَلَى أَزْوَاجِهِمْ أوْ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُهُمْ فَإِنَّهُمْ غَيْرُ مَلُومِينَ 
তবে তাদের স্ত্রী ও মালিকানাভুক্ত দাসীদের ক্ষেত্রে সংযত না রাখলে তারা তিরস্কৃত হবে না ।  

 
 
 فَمَنِ ابْتَغَى وَرَاء ذَلِكَ فَأُوْلَئِكَ هُمُ الْعَادُونَ 
অতঃপর কেউ এদেরকে ছাড়া অন্যকে কামনা করলে তারা সীমালংঘনকারী হবে।
এই আয়াতে স্ত্রী ও দাসী ছারা সকল নারী কে হারাম করা হয়েছে । (জালালাইন ১ খ ৭৯৯ নং পৃষ্টা ) 
 সাময়িক বিয়ে বা মুতা দ্বারা লব্দ মহিলা দাসী নয় তা স্পষ্টই । কারন তাদের কে কেনা বেতা করা যায় না , দান করা যায় না , আজাদ করার বিধান ও তার উপর জারী করা যায় না , 

আর স্ত্রী যে নন তা ও স্পষ্টই । কারন খুদ শিয়া গন তাদের কে স্ত্রী বলেন না । কারন  ঐ মহিলা ও মুতা কারী পুরুষের মধ্যে উত্তরাধিকার চলে না । আর স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে উত্তরাধিকার চলে । মুতার দ্বারা লব্দ মহিলার খানা পিনা ভরন পোষন বাসস্থান দেয়া ওয়াজীব না । তার জন্য স্বামীর  সন্তানদের বংশীয় সম্পর্ক ও সাবেত না এবং তালাক ইদ্দত মোহরের কিছুই মুতার মধ্যে আসে না । এথেকে প্রমানিত যে তারা স্ত্রী ও নয় শরয়ী দাসী ও নয় । তাই এদের কে মুতার নামে ব্যাবহার করা সম্পুর্ণ হারাম ) 

(২) হযরত আলি (রা) বলেছেন রাসুলুল্লাহ (সা) মুতা (সাময়িক বিবাহ) ও গাধার মাংস খেতে নিষেদ করেছেন 
(৩) হযরত রবিয়া বিন সাবুরা জুহানী তার পিতা 
থেকে বর্নানা করেছেন যে ;- আমি এক সকালে দেখলাম যে নবী পাক (সা) রুকন ও মাকামে ইব্রাহিমের মাঝখানে কাবার দেয়ালে ঠেস দিয়ে বললেন যে আমি তোমাদের কে এই সব মহিলাদের কে মুতা করার অনুমতি দিয়েছিলাম তবে নিশ্চয় জেনে রেখ আল্লাহ পাক তোমাদের কে কিয়ামত পর্যন্ত একে হারাম করে দিয়েছেন । এই হাদিস আল বিদা ওয়ান নিহায়া এর ৪থী খন্ড ৩৫০ নং পৃষ্টা তে ও আছে। 

(৪) ওমর ইবনে খাত্তাব (রা) তার খোতবার মধ্য মুতা কে নিষিদ্ধ ঘোষনা  করেছেন । 
তার এই ঘোষনায় কোন সাহাবী প্রতিবাদ করেনি । এতে বোঝা যায় যে সাহাবীগনের ও জানা ছিল আগে থেকেই যে মুতা হারাম (যদি হারাম না হত আগে থেকে তা হলে কেউই হযরত ওমরের কথা মান্য করত না )চার মাযহারের ঐক্যমতের মুতা হারাম করা হয়েছে , ইমাম সারখসী ও হেদায়া প্রনেতা ইমাম মালেক (র)  প্রতি যে মুতা বৈধতার সম্পর্ক করেছেন তা  ইবনে হুমার প্রভতি আলেমগণ নিষেদ করেছেন যে এটা ঠিক নয় । ইমাম মালেক (র)'র মত মুতা হারাম 
ইবনে আব্বাস (রা) প্রথমে গাধার মাংস ও মুতা যায়েয ফতোয়া দিলে ও পরবরতিতে তিনি হারাম ফতোয়া দিয়েছেন বিস্তারিত জানতে (তাফসীর এ কবির ) খ ৫ পৃষ্টা নং ৫১-৫৩ দেখুন 

উপরের এই সকল বর্নানা (তাফসীর এ জালালাইন ১ম খ সুরা নিসা এর ২৪ নং ওস্তাদের ব্যাখ্যা  ও মুল ফতোয়া পৃষ্টা নং ৮০০) 

শিয়া সম্প্রদায় :- মুতা যায়েয মনে করে । তারা استمتاع কে পারিভাষিক মুতা বলে । আর একেই তারা দলিল হিসেবে পেশ করে । কারন  তাতে বলা হয়েছে واتوهون اجورهون  । আর বিয়েতে মোহর প্রদান করা হয় । আজর বা বিনিময় নয়।
এতে বোঝা যাচ্ছে এখানে মুতা উদ্দেশ্য  । আর এই ভেবেছ ইবনে আব্বাস (রা) মুতা কে যায়েয ফতোয়া প্রদান করেছিলেন । 

জবাব;- استمتاع যে মুতার পারিভাষিক অর্থ নয় তা উপরে উল্লেখ করা হয়েছে । আর কোরানের বিভিন্ন যায়গায় اخور বলা হয়েছে । তাই এখানে اخور هون এর মর্ম হবে مهور هون ।আর ইবনে আব্বাস (রা) তার ফতোয়া থেকে প্রত্যাবর্তন করেছেন  ও মিত্তুর পুর্বে তিনি তওবা করেছেন । 
 
শিয়া দের মুতা ও ইসলামি মুতার পার্থক্য ;- শিয়ারা যে মুতা কে যায়েয বলে এমন মুতা ইসলাম তো দূরের কথা কোন ধর্মে কোন কালেই কোন সময় ও যায়েজ ছিল না । কারন শিয়া দের মুতা ও জেনার মধ্য কোন পার্থক্য নাই । আর জেনা তো কোন ধর্মে সমর্থন করে না তা আসমানি ধর্ম হোক বা মানুষের রচিত হোক । 

তাদের মুতা বিবাহ হচ্ছে হারাম ও সধবা নারীগন ছারা যে কোন নারীর সাথে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য যে কোন কিছুর বিনিময়ে সম্মত হয়ে আকদ করা । অতপর সেই নির্ধারিত সময় পার হয়ে গেলে সেই নারী আপনা আপনিই পৃথক হয়ে যাবে । পৃথক হয়ে যাওয়ার পর তার নির্দিষ্ট কোন ইদ্দত ও থাকে না । আর এই মুতা বিবাহ শিয়া দের নিকট এক প্রকার বিবাহ ও উচ্চ স্তরের ইবাদত । আর আহলে সুন্নাহ এর নিকট মুতা এক প্রকার নির্লজ্জ ও জেনার কাজ । 

আর ইসলামে মুতা যায়েয বা অনিষিদ্ধ ছিল তা এক প্রকার নিকায়ে মুয়াক্কাত বা সাময়িক বিবাহ । যা যে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সাক্ষিদের সম্মুখে অভিভাবক দের অনুমতি ক্রমে  বিবাহ । অতপর নির্দিষ্ট সময়ের পর তা পৃথক হয়ে যাবে ও ইস্তেহরায়ে রেহেমের জন্য এক হায়েয পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে যাতে একজনের বীর্যের সাথে অন্য জনের বীর্য মিলিয়ে না যায় ।কেবল মাত্র এই ধরনের মুতা মুর্খতার যুগে প্রচলিত ছিল ও করত  ও তখন পর্যন্ত শরিয়তে এর প্রতি নিষিদ্ধকরণ ও অবৈধতার কোন হুকুম নাযিল হয়নি  যেমন কি না সুদ ও মদের বিরুদ্ধে ইসলামের প্রাথমিক যুগে কোন হুকুম বা নির্দেষ নাযিল হয় নি । আল্লাহর পানাহ চাই , যায়েয অর্থ এই নয় হুযুর (সা) এই রকম মৌখিক নিকাহ মুতার অনুমতি দিয়েছিলেন ,


নিকাহ এ মুতা হারম হওয়ার বিষয় ঘোসনা করা হয়েছে , প্রথমত খাইবার যুদ্ধে , দ্বীতিয়ত আওতাস যুদ্ধে , তৃতীয়ত তাবুক যুদ্ধে ও পরবর্তিতে বিদায় হজ্জে মুতা হারাম করা হয় । 

মুতা হারাম ও তার বিষয় যাতে সাধারন লোকজন জেনে  নিতে পারে তাই নবী পাক বারংবার মুতা হারাম বলে ঘোষনা করেছেন । আর শিয়া দের যে ২ বা ৩ দিনের বিয়ে ! এটা নির্ভেজাল ব্যাভীচার । আর তা কোন সময় ইসলামের জন্য মোবাহ বা যায়েজ ছিল না । রহিত হওয়ার তো প্রশ্নই আসে না । 
যেমন কি না জেনা না কোন সময় মোবাহ ছিল , না রহিত হয়েছে ( মা'আরিফে ইদ্রিশিয়া) খন্ড ২ পৃষ্টা ১৭২-১৮৩ 

মাসয়ালা ;- নিকাহ এ মুতার ন্যায় নিকাহ এ মুয়াক্কাত ও হারাম ও বাতিল 
। মুয়াক্কাত বিবাহ হল নির্দিষ্ট মিয়াদের জন্য বিবাহ করা । পার্থক্য শুধু মুতা বিবাহ এ মুতা শব্দ ব্যাবহার হয় , আর মুয়াক্কাত বিবাহ এ নিকাহ শ্্যব্দ ব্যাবহার করা হয় । (মারিফুল কুরআন) খ ২ পৃষ্টা ৪০২ 

 (তাফসীর এ জালালাইন ১ম খন্ড ৮০০ পৃষ্টা সুরা নিসা এর ২৪ নং আয়াতের তাফসীর । 


উল্লেখ্য যে আমি যে গুলো কিতাবের রেফারেন্স দিয়েছি তার সব গুলোর মুল  কিতাব থেকে। আমি প্রত্যেকটি কিতাবের পাতা দিতে বাধ্য রইলাম । 


আর আমার বিজ্ঞ বন্ধু সুরা নিসা এর ২৪ নং আয়াত তো দিয়েছে । কিন্তু সুরা নূর ৩৩ নং আয়াতে দাসী দের কে ও জোর করা যাবে না বলা হয়েছে তা কিন্তু দেখেন নাই। 

তোমাদের দাসীরা নিজেদের পবিত্রতা রক্ষা করতে চাইলে তোমরা পার্থিব জীবনের সম্পদের লালসায় তাদেরকে ব্যভিচারে বাধ্য কারো না। যদি কেহ তাদের উপর জোর-জবরদস্তি করে, তবে তাদের উপর জোর-জবরদস্তির পর  ও আল্লাহ তাদের প্রতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
এই আয়াত দ্বারা এটা ও প্রমান হয় মুতা বিবাহ তো ওনেক দূর , দাসী দের কে ও লোভ দেখানো যাবে না ।

আর যে খানে আল্লাহ তায়ালা দাসীদের কে টাকা পয়সার লোভ দেখিয়ে বাধ্য করতে মানা করেছেন সেই খানে স্বাধীন নারীরা কি করে মুতা করবে ? 
জবাব দিবেন কি ? 

না কি এই আয়াত ও মদিনা তে নাযিল হয়েছে ? 

আয়াতের বিষয় এ পড়ে ওপারশন করব । আগে কিছু জবাব দিয়ে নেই । 

কাজী সানাউল্লাহ পাণীপথি (রহ) তার স্বীয় তাফসীর গ্রন্থ (তাফসীর এ মাযহারী) ৩ খন্ডে ৩০  পৃষ্টায় সুরা নিসা'র উপরোক্ত আয়াতের তাফসীর  করতে গিয়ে লিখেছেন যে ;- 
মাসয়ালা:- মুতয়া না যায়েজ ও হারাম হওয়ার ব্যাপারে ইজমা হয়েছে । এখন শিয়ারা ছাড়া অন্য কেউ তাকে হালাল মনে করে না ।মুতয়া হারাম করা হয়েছে এ আয়াত দ্বারা (
 وَالَّذِينَ هُمْ 
 إِلَّا عَلَى أَزْوَاجِهِمْ أوْ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُهُمْ فَإِنَّهُمْ غَيْرُ مَلُومِينَ 
তবে তাদের স্ত্রী ও মালিকানাভুক্ত দাসীদের ক্ষেত্রে সংযত না রাখলে তারা তিরস্কৃত হবে না। 

 
 
 فَمَنِ ابْتَغَى وَرَاء ذَلِكَ فَأُوْلَئِكَ هُمُ الْعَادُونَ 
অতঃপর কেউ এদেরকে ছাড়া অন্যকে কামনা করলে তারা সীমালংঘনকারী হবে
      )
যদি এই আয়াতের তাফসীর ইবনে আব্বাস (রহ) এর মতে করা হয় তা হলে মুতা রহিত হয়ে গেছে মেনে নিতে হবে (তাফসীর এ মাযহারী) ৩ খ ৩০ নং পৃষ্টা 

এই মাসয়ালা বর্ননা করার পর ৩০ নং পাতা থেকে ৩১-৩২-৩৩ নং পাতা পর্যন্ত মুতা যে হারাম তার স্বপক্ষের  বর্ননা করে গেছেন।  আপনি যদি কিতাবের পৃষ্টা চান আমি দিতে প্রস্তুত । 

এর পর আসুন তাফসীর ইবনে কাছির ৪ থা খন্ডের পৃষ্টা নং ৩৪৬ সুরা নিসা আয়াত নং ২৪ ;২:২২৯ আয়াত কে মুতার দলিল হিসেবে গ্রহন করা হয়েছে যে,  যা তাদের কে দাও তা ফিরিয়ে নেওয়া  বৈধ না (কারন  তোমরা তাদের কে ভোগ করেছো )  । এ খানে মোহর এর কথা বলা হয়েছে । 

এর পর আসুন তাফসীর ইবনে কাছির ৪ থা খন্ডের পৃষ্টা নং ৩৪৬ সুরা নিসা আয়াত নং ২৪ ;২:২২৯ আয়াত কে মুতার দলিল হিসেবে গ্রহন করা হয়েছে যে,  যা তাদের কে দাও তা ফিরিয়ে নেওয়া  বৈধ না (কারন  তোমরা তাদের কে ভোগ করেছো )  । এ খানে মোহর এর কথা বলা হয়েছে । 
ইবনে কাছীর আরো লিখেছেন যে ;- ইসলামের প্রাথমিক যুগে মুতাআ শরিয়াতের বিধান ছিল ।পরে তা  রহিত হয়ে যায় ।ইমাম শাফেয়ী (রহ) ও ওলামায়ে কেরামের একটি দল বলেন যে মুতা ২ বার বৈধ ও ২ বার রহিত করে হয়েছে । কেউ কেউ বলেছেন যে তার চেয়ে ও অধিকবার বৈধ ও রহিত করা হয় ।আবার কেউ কেউ বলেন যে মাত্র একবার তা  বৈধ করা হয় ও পরে রহিত করা হয় । ইবনে আব্বাস (রা) থেকে বর্নিত যে প্রয়োজনের সময় মুতা বৈধ হওয়ার সাক্ষ্য পাওয়া যায় । ইমাম হাম্বল (রহ) থেকে এই রকম একটা বর্ননা আছে । 

কিন্তু এ বিষয়ে উত্তম  মিমাংসা হচ্ছে এই বিষয় নিয়ে সহীহ মুসলিম ও বুখারীর হাদিস হযরত আলী (রা) থেকে বর্নিত রাসুলুল্লাহ (সা) খাইবার যুদ্ধের সময় সময় মুতাআ বিবাহ ও গৃহপালিত গাধার মাংস হতে নিষেধ করেছেন । 
সহীহ মুসলীমে ইবনে মা'বাদ জুহানী(রা) বর্ননা করেছেন যে তিনি মক্কা বিজয়ের দিন রাসুলুল্লাহ (সা) এর সাথে ছিলেন তখন তিনি বলেন (- হে মানব সকল আমি মুতা বিবাহে অনুমতি দিয়েছিলাম ,আর  আল্লাহ তায়ালা কিয়ামত পর্যন্ত মুতা বিবাহ হারাম করেছেন , যার নিকট এমন স্ত্রী আছে তারা যেন তাদের কে পরিত্যাগ করে ও তাদের কে যা কিছু দিয়েছো তা গ্রহন করিও না । (ইবনে কাছীর ৪থা খন্ড ) পৃষ্টা ৩৪৬ 

তাফসীরএ তাবারী সরীফে উক্ত আয়াতের তাফসীর এ মুতা বিবাহ এর রহিত করনের বিষয় ৯০৪২ নং হাদীসে লিখেছেন যে ;- শুবা (রা) থেকে বর্নিত , ইবনে হাঁকান (রহ) কে 

 وَالْمُحْصَنَاتُ مِنَ النِّسَاء إِلاَّ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُكُمْ كِتَابَ اللّهِ عَلَيْكُمْ وَأُحِلَّ لَكُم مَّا وَرَاء ذَلِكُمْ أَن تَبْتَغُواْ بِأَمْوَالِكُم مُّحْصِنِينَ غَيْرَ مُسَافِحِينَ فَمَا اسْتَمْتَعْتُم بِهِ مِنْهُنَّ
তবে তাদের স্ত্রী ও মালিকানাভুক্ত দাসীদের ক্ষেত্রে সংযত না রাখলে তারা তিরস্কৃত হবে না। 
অতঃপর কেউ এদেরকে ছাড়া অন্যকে কামনা করলে তারা সীমালংঘনকারী হবে।সুরা মুমিন ৬-৭ 

এই পর্যন্ত জিগ্গেস করে বললাম যে এই আয়াত কি মনসুখ হয়ে গেছে ?  হাকাম (রহ) বলেন না ! 
হাকাম (র) বলেন যে হযরত আলী (রা) বলেন যে হযরত ওমর যদি মুতা (অস্থায়ী) বিবাহ রহিত না করতেন , তা হলে মানুষ ভা্যভিচার এ লিপ্ত হয়ে গুনাহগার  হয়ে যেত । তাফসীর এ তাবারী (৯০৪২) নং হাদীস সুরা নিসা এর তাফসীর 

ইমাম তাবারী (রহ) বলেন যে ;- বর্নিত ব্যাক্ষা থেকে এটা স্পষ্ট যে যাদের কে তুমি বিয়ে করেছে তাদের সাথে মিলিত হয়ে তাদের মোহর আদায় কর , যেহেতু আল্লাহ মুতা হারাম করেছেন ,তথা সঠিক পন্থায় বিয়ে না করে মিলিত হওয়া আল্লাহ হারাম করেছেন ,যার দলিল প্রিয় নবীর হাদীসে রয়েছে । 
সুরা নিসা এর ২৪ নং আয়াতের তাফসীরে ৯০৪৩ নং হাদীসের টীকা ও মুল রায় । পৃষ্টা নং ১৬১ আর খন্ড ৭ 

৯০৪৪ নং হাদীসের ব্যাখ্যাতে ইমাম তাবারী লিখেছেন যে (- আমি অন্যত্র সুষ্পষ্ট ভাবে তুলে ধরেছি যে মুতা হারাম , এখানে তা আবারো তুলে ধরা নিষপ্রয়োজন ।সুরা নিষে এর ২৪ নং আয়াতের ব্যাখ্যা । 

এবার  দেখা যাক ইমাম তাবারী (রহ) যে বললেন আমি অন্য খানে তুলে ধরেছি , এই খানে সুরা মুমিন  এর ৬-৭ নং আয়াত দেখা যেতে পারে। ।

এই খানে আহলে সুন্নাহ এর বিশ্ব বিখ্যাত চার জন আলেমের আমি তাফসীর তুলে ধরেছি । তারা সকলে মুতা বিবাহ কে রহিত বলেছেন সুরা মুমিনের ৬-৭ আয়াত বলে । 

আপনি সাব্বির আহমেদ উসমানি এর একটা রেফারেন্স তুলে ধরেছেন । আমি সোজা করে বলতে চাই যে সাব্বির আহেমদ উসমানি এই রকম কোন কথা বলতে পারেন না নিজ কিতাবে । 

কারন সাব্বির আহমেদ উসমানি এর উস্তাদ মাওলানা আসরাফ আলি থানবী তিনি জালালুদ্দিন সুয়ুতি (রহ) এর বিষয় লিখেছেন যে 
(মালফুজাত এ হাকীমুল উম্মত থেকে ;- একদা তিনি (আশরাফ আলী থানভী)বলেন যে , এমন ধার্মিক লোক আছে যারা সর্বখন আল্লাহর রাসুল সল্লেল্লাহু আলায়হে সালাম কে দেখেন। যখন জালালুদ্দিন সুয়ুতি একটা বর্ণনা শুনতেন , তখন বলতে পারতেন সেটা হাদিস কি না। কোন বেক্তি সুয়ুতি কে প্রশ্ন করলেন আপনি ইটা কিভাবে করেন ? ইমাম জালালুদ্দিন সুয়ুতি (রহ) উত্তর দিলেন যে , যখন আমি কোনো বর্ণনা শুনি তখন নবী পাক সল্লেল্লাহু আলায়হে সালামের দিকে দেখি। যদি দেখি তিনি উত্ফুল্ল তাহলে মনে করি এটা হাদিস। আর যদি ওনাকে গম্ভীর দেখি , তাহলে মনে করি এটা হাদিস নয় ( মালফুজাত এ হালিমুল উম্মাহ ) ৭ খ পৃষ্টা ১০৯-১১০। মালফুজাত বক্তব্য নং ১৭১ 

তো এই খানে কি শান ও মান বর্ননা করেছেন থানবী সাহেব সুয়ুতি (রহ) এর । 
তার পর ও কি সাব্বির আহমেদ উসমানির কিতাবে গ্রহনযোগ্য হবে  কি দেওবন্দি দের কাছে ? 

বরং তারা নিজেরই প্রত্যাখ্যান করবে সাব্বির আহমেদ উসমানি কে । 


আপনি বলেছেন যে সুরা মুমিনের ৬-৭ এর ব্যাখ্যা তে কারা মুতা বিবাহ হারাম করেছেন 
কিছু দলিল নিন ;- 
(তাফসীর ফী যিলালীল কোরআন ) ১৪ খন্ড পৃষ্টা নং ২৬ লিখেছেন যে ;- স্ত্রী ও দাসী ছারা অন্য যে কোন ভাবে যারাই যৌন সম্পর্ক স্থাপন করবে সে হালাল পথের বাইরে চলে যাবে পরিষ্কার হারামে পতিত হবে । এ হারাম অবস্থায যে পৌঁছাত যাবে সে নিজেকে ধংসের দিকেই এগিয়ে  দিবে । 

তাফসীর এ মাযহারী তে  বলা আছে যে 

প্রথমত বলা হয়েছে যে এদেরকে (স্ত্রী ও দাসী ) ছারা অন্য কাউকে কামনা করলে সে হবে সীমা লংঘনকারী  ।এখানে (আ'দুন) অর্থ সীমা ওমান্যকারী ,হালাল কে ছেড়ে হারামের দিকে গমন কারী । উল্লেখ্য যে এই আয়াতের মাধ্যমে মুতা বিবাহ রহিত করা হয়েছে । 
হযরত ইবনে আব্বাস (রা) বলেছেন যে ইসলামের প্রথম দিকে মুতায়া বৈধ ছিল । কেউ দূরের কোন শহরে গেলে সেখানকার কোন মহিলা কে কিছু দিনের জন্য বিবাহ করত । ওই মহলা তার আহার্য রন্ধন ও মাল সামানা হেফাজত করত । এরপর পুর্ববরতি আয়াত নাযিল হয় । ফলে স্ত্রী ও দাসী ছারা সকল মহিলার সাথে যৌনচরিতর্তথা রহিত হয়ে যায় । তীরমিযি তে বলা হয়েছে , মুতা মাধ্যমে যে স্ত্রী গ্রহন করা হয় প্রকৃত পক্ষে সে কিন্তু তার স্ত্রী নয় । শিয়া সম্প্রদায় এ এখন ও মুতার চলিত থাকলে ও তারা কিন্তু স্বীকার করে মুতা স্ত্রীর উত্তরাধিকার নাই । এমতো ক্ষেত্র স্বমী ও স্ত্রীর উত্তরাধিকার পায় না । সুতরাং প্রকৃত রক্ষা তারা স্বামী-স্ত্রী নয় । কিন্তু স্বমী স্ত্রীর উত্তরাধিকার কোরান কর্তৃক স্বীকৃত । আমি সুরা নিসার তাফসীরে যথাস্থানে বর্নানা করেছি (তাফসীর এ মাযহারী ) সুরা মুমিন এর তাফসীর ৬-৭ নং আয়াতের । পৃষ্টা ২০৩ 

কিতাবের পাতা দরকার মনে করলে বলতে পারেন । 

আপনার দেয়া দলিল গত
(৪) আল্লামা সাব্বির আহমাদ উস্মানি তার ‘ফাতাহ আল মুলহিম সারাহ মুসলিম’ এর ৩য় খণ্ড ৪৪০ পাতাতে
৫) তাফসির রুহ আল মাআ’আনি, আল্লাম আলুসি, ভলিউম -৯, পৃষ্ঠা-১০:) 

এটা পুরা পুরী রদ  করা হল উপরে বর্নিত তাফসীর এ মাযহারী তে বর্নিত ইবনে আব্বাস (রা) এর বর্নিত হাদিস থেকে যে এই আয়াত নাযিলের পর স্ত্রী ও দাসী ব্যাতীত সকল মহিলা   হারাম হয়ে গেছে । 

আর একটা কথা বলেছেন আপনি মক্কা বিজয়ের সময় অনুমতি দিয়েছে । 
আপনি আপনার কথার সপক্ষে দলিল পেশ করুন যে নবী পাক মুতা করার অনুমতি দিয়েছে মক্কা বিজয়ের সময় । 

বরং আমি তাফসীর এ জালালাইন  থেকে বর্নানা করেছি যে বিদায় হজ্জের সময় নবী পাক (সা) মুতা করতে নিষেদ করেছেন।  তা উপরে দেখুন । 


আমি যে সকল কথা ও রেফারেন্স তুলে ধরেছি তার প্রত্যেকটি কিতাবের পাতা দিতে বাধ্য থাকলাম সকলের সুবিধার্থে। 

আপনি ও আপনার কপি পেষ্ট মাষ্টারি ছেরে দিয়ে কিতাবের পাতা পেশ করবেন আশা করছি । কারন শিয়া দের মিথ্যাচার থেকে পবিত্র তোরান পাক ও রেহাই পায় নাই । 

সোহেল রানা 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন