মঙ্গলবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

তাসাউফ এর আসল রুপ ইমাম আবু হানিফা




দাঁতা গানজ বখশ আলী হাজবেরী (রহ) ওনার স্বীয় কিতাব (কাশফুল মাহজুব) এ তাবে তাবেয়ীন দের মিয়া তরিকতের ইমাম দের বরননা করতে গিয়ে লিখেছেন ইমাম এ আজম আবু হানিফা (রহ) এর জীবনী।  ওনার বরননা দিতে গিয়ে তিনি লিখেছেন তো ওনেক আমি তা সব কিছু তুলে ধরা মোনাসেফ মনে করছি না। 
কিন্তু বর্তমান সুফীবাদের নোংরা চরিত্র তুলে ধরতে যা প্রয়োজন তা পেশ করলাম ( 
ইমাম এ আজম আবু হানিফা (রহ) এর সময়কার খলিফা আবু জাফর মনসুর সিদ্ধান্ত নিলেন যে :- ইমাম আবু হানিফা , ছুফিয়ান ছাওরি, শরিক ও ইবনে আছিন এর মধ্য যে কাউকে কাজীর পদে বসাতে পারলে তাদের ইমানদারী ও শারাফাত এর ফায়দা উঠানো যাবে।  তাই তিনি এই চার জন কে দরবারে ডেকে পাঠালেন। (উল্লেখ্য যে এই চারজন তাবে তাবেয়ী ছিলেন সেই সময়ের বিখ্যাত আলেম) 

ইমাম আবু হানিফা (রহ) তিন সাথী কে বললেন আমি কোন বাহানা করে কাজীর পদ নিব না ,সুফিয়ান পালিয়ে যাবে , ইবনে আছিম পাগলের ভান করবে , শরিক কাজীর পদ গ্রহন করবে । 

সুফিয়ান ছাওরি (রহ) নদী পথে ফোরাত পার হওয়ার সময় মাঝি দের কে বললেন আমাকে লুকিয়ে রাখ , আমাকে লোকজন খুঁজছে হত্যা করার জন্য। 
ওনার এই কথা মিথা্য নয়। আমার নবী বলেছেন যে কাজীর পদ গ্রহন করে তাকে ছুরি বিহিন জবাই করা হয়। 
লোকজন তাকে লুকিয়ে রাখল 

ইমাম আবু হানিফা (রহ) বললেন দরবারে গিয়ে যে আমি আরব নই। তাই আমার হুকুম লোকজন মানবে না। খলিফা মনসুর বললেন যে কাজীর পদের জন্য আরব হতে হবে এমন কোন শর্ত নাই। কাজী হওয়ার শর্ত হচ্ছে আলেম হওয়া। আপনি এ যুগের শ্রেষ্ঠ আলেম। 
ইমাম আবু হানিফা রহ বলেন;- আমি এ কাজের জন্য উপযুক্ত নই। আর একজন অনুপযুক্ত লোক কে এই বিরাট দায়িত্ব দেয়া অনুচিত। 
আর যদি বলেন আমি মিথ্যা বলছি তা হলে একজন মিথ্যাবাদি কে কাজীর পদ দেয়া তো একদম ঠিক না। 
খলিফা মনসুর চিন্তা করলেন এমন এক রোখা লোক কে কাজী লা বানানো উচিত। 
ওনাকে যেতে বললেন আর ডাক দিলেন ইবনে আছিন কে। ইবনে আছিন এসে পাগলের ভান করা শুরু করলেন। বললেন কেমন আছো ? তোমার বিবি বাচ্চা রা কেমন আছে ? টাকা পয়সার কোন ওভাব তো নাই ? আমাকে বলিও কোন ওভাব হলে। একটা বেবসথা করে দিব। 
খলিফা মনসুর দেখলেন এ বড্ড পাগল। তাই ইবনে আছিন কে বিদায় করে দিলেন। 
আর শরিক কাজীর পদ গ্রহন করল।  

এর পর ইমাম আবু হানিফা (রহ) শরিকের সাথে তার পবিত্র জীবদ্দশায় কোন দিন কথা বলেন নাই( কাশফুল মাহজুব) পেজ নং ১২৬-১২৭

তো এই হচ্ছে আমাদের ইমাম এ আজমের আকিদা।  
তাবেয়ী দের আকিদা। তাবা তাবেয়ীন দের আকিদা।  

তারা দুনিয়া কে লাথ মেরেছেন আর আখেরাত কে গ্রহন করেছেন। কবর থেকে এলাকা উত্তম শিক্ষা গ্রহন করেছেন। তাই আজকে আমি ওনাদের কথা গুলো তুলে ধরলাম। 

কিন্তু আজ !!! 
আমাদের বাংলাদেশে পীর পীর ভরে গেছে। 

দরবারে এ দরবার এর উপর ছেয়ে গেছে। 
চোখ ঘুরালে আজ মাযার আর দরবার। 
বাংলাদেশে প্রতিদিন কোথাও না কোথাও তাফসির , মিলাদ, দস্তারবন্দি ওরশ চলছে। 
আর এগুলোর পর আবার সরকারী ভাবে ও শুরু হয়েছে সুফীবাদের বেবসা।  সুফীদৈর রাজনৈতিক দল আছে। মার্কা হচ্ছে (মোমবাতি , চেয়ার) 
দাড়ী পাল্লার কথা বললাম না। কারন সে সুফী দাবি করে না। 

আজকে মোমবাতির আলোতে চেয়ারে বসে আরাম করার জন্য তারা ভোট চায়। তারা আওলাদ এ রাসুল তাহের শাহ কে পাকিস্তান থেকে ডেকে এনে মিলাদ পালন করে। আর দেখায় আমরা সুফী। 

আজ যাকে আপনারা ইমাম মনে করেন।  সেই আপনাদের ইমাম তিনি সামান্য কাজীর পদ নিতে রাজী হন নাই। 

আর আপনারা তার মাঝহাবের অনুসরন কারী দাবি করে কি করে দেশের দায়িত্ব নেয়ার দন্য অন্যের মোকাবেলা করেন ? বলবেন কি ? 

এত কিছুর পর ও কি আপনারা সুফী আছেন ? 

না কি ধর্ম ব্যাবসায়ী দুনিয়াবি মানুষ আপনারা ? 

আপনারা হয় সুফীর পথ ভালো তরে ধরুন নয় তো দুনিয়া কে ধরুন ভাল করে।  

আর যদি একবার আল্লাহ আর একবার দুনিয়া এর কথা বলেন তো তা হলে আপনাদের কোন কিছুই মিলবে না। 
মানুষ কে ধোকা দিতে পারবেন শুধু।  আর কিছু পারবেন না। 




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন