মঙ্গলবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

পীর ওলি দের নাম দিয়ে ভন্ড রাজনীতি

গনতন্ত্র > রাজনীতি > ভন্ড ইসলামিক দল> তাসাউফ বা সুফীবাদ নীতি । 


দাতা আলী হাজবেরী রহ বলেছেন আমরা গুদরী বা পশমি কাপড় পড়ি ও পড়িধানকারি কে ভালবাসি।

সুফিদের পোশাক বা ইসলামি পোশাক পড়ার শর্ত ;- এ কথা ভুললে চলবে না যে পেশাদার সুফি দের কথা আলাদা । কিন্তু যারা সত্যি সুফি ও নিজ মুরিদদের গুদরী পড়া অত্যাবশ্যক ভাবেন তাদের মতে গুদরী পড়া ও কাফন পড়ার একই শর্ত । 

অর্থাৎ দুনিয়া সম্পুর্ণ রুপে ত্যাগ করা যেমন একজন মৃত মানুষ দুনিয়া ত্যাগ করে । 

অন্যথা যদি আপনি লোক দেখানোর জন্য গুদরী বা ইসলামিক পোশাক পরেন তা তা থাইয়া 
করে ঘুরে বেরাতে চান তো মনে রাখুন এই গুদরী বা পোশাকই আপনাকে জাহাননামে নিয়ে যাওয়ার জন্য যথেস্ট হবে । (কাশফুল মাহজুব) 

এই কথা গুলো এ জন্য বললাম যে আজকে আমাদের দেশে সুফী দের দেখি রাজনৈতিক দল ও আছে। এরা উপরে তো সুফীবাদের প্রশংসায় মুখরিত।   কথায় কথায় ওলি আওলিয়ার বাংলাদেশ ১২ আওলিয়ার বাংলাদেশ। কিন্তু এরা কিন্তু আওলিয়া কেরামের পথ থেকে সম্পুর্ণ রুপে বিচ্যুত । 

এরা সুফীর কাপড় পরে লোক দেখানোর জন্য।  লোকদের কে মুরিদ করে দল ভারি করার জন্য। 
এরা আজ ক্ষমতার যাওয়ার জন্য কতই মিঠা মিঠা কথা গুলো কে নিজের হাতিয়ার করে নিয়েছে। 

আর রাসুলের দুষমন যারা তাদের কে এরা চোখেই দেখে না। এদের সকাল থেকে সন্ধা কাটে ওহাবি ও জামাত কে গালি দিতে দিতে।  এরা যে নিজে কত বড় ভুল করছে তা দেখে না। 

ইমাম গাজালী সাহেবের কিতাব (ইইউয়ায়ে উলুমুদ্দীন ) এর ৩ য় খন্ডের ১৪২ নং পৃষ্টা তে লিখেছেন যে আমার কাছে ইযিদ ইবনে জাবের ও তার কাছে আব্দুর রেহমান ইবনে ওমর আনসারী (রা) বর্ননা করেছেন যে হজরত ফারুকে আজোম (রা) জৈনিক আনসারী সাহাবীকে যাকাত আদায়ের কাজে নিযুক্ত করলেন ও বললেন যে তুমি এই কাজে জিহাদ কারী রূপে সওয়াব পাবে। কয়েকদিন পর দেখলেন যে সে কাজে যোগদান করেনি। তো ওমরে ফারুক (রা) তাকে জিগ্গেস করলেন তুমি কাজে যোগদান করনি কেন ? তোমার জানা নাই তুমি এই কাজে জিহাদ্কারী রূপে সওয়াব পাবে ? আনসারী সাহাবী জবাব দিলেন সাহস পাই না। ফারুকে আজোম বললেন কেন ? সে জবাব দিল আমি সুনেছি যে বেক্তি মুসলমানদের কোনো কাজে নিযুক্ত হবে কিয়ামতের দিন তাকে ঘাড়ে হাত বাধা অবস্থায় উপস্থিত করা হবে। এক মাত্র নেয় বিচার ছাড়া কোনো কিছু তার হাত খুলতে পারবে না। এর পর তাকে পুলসিরাতের উপর খাড়া করা হবে আর পুল এমন ভাবে নারা দিবে যে তার গ্রন্থী সমূহ আপন স্থান থেকে সরে যাবে। এর পর আবার পুন অবস্থায় ফিরে আসবে এর পর তার বিচার সুরু হবে। আর যদি সে পাপী হয় তা হলে পুল সেখানেই দ্বিখন্ডিত হয়ে সে জাহান্নামে পতিত হবে ৭০ বছরের পথের নিচে। ফারুকে আজোম বলেন তুমি এই হাদিস কার কাছ থেকে সুনেছ ? তিনি জবাব দেন যে আমি আবু যর ও সালমান ফারেসী (রা) এর কাছ থেকে সুনেছি। ফারুকে আজোম আবু যর ও সালমান ফারেসী (রা) কে ডেকে পাঠান ও এই হাদিসের বিসয় জিজ্ঞাসা করলে তারা বলেন যে নিস্সন্দেহে আমরা রাসুল (সা  এর মুখ থেকে এই হাদিস সুনেছি। তখন ফারুকে আজোম বলেন শাষন কার্যে এত অনিস্ট থাকলে এ কাজ কে করবে ? আবু যর (রা) বলেন সেই করবে এ কাজ যার নাক আল্লাহ তায়ালা কেটে দেন আর গন্ড মাটিতে মিশিয়ে দেন। আওজাজি বলেন এ পর্যন্ত সুনে মনসুর নাকে রুমাল দিয়ে কাদতে সুরু করেন আর এত কাদলো যে আমাকে ও কাদিয়ে দিল। আমি বললাম হে আমিরুল মোমেনিন আপনার মিতাম্হ আব্বাস ইবনে আব্দুল মুত্তালিব রাসুলুল্লাহ (স) এর কাছে মক্কা ,তায়েফ অথবা ইয়েমেনের শাসন ক্ষমতা চেয়েছিলেন। তখন তিনি এরশাদ করেন যে চাচাজান যদি আপনি নিজেকে কষ্ট থেকে দুরে রাখেন তবে ইটা সেই রাজত্ব থেকে উত্তম যা আপনি বেষ্টন করতে পারবেন না। পিত্রব্বের হিতাকাংখেই তিনি এমন কথা বলেছিলেন। (ইউইয়ায়ে উলুমুদ্দীন ৩ খ ১৪২-১৪৩ নং পৃষ্টা।  
এখন আমার কথা হচ্ছে যে উক্ত হাদিসে একজন আনসারী সাহাবী মুসলমানের একটা সামান্য দায়িত্ব নিতে সাহস পান নাই আল্লাহ পাকের ভয়ে। আর যখন ওমর ফারুক বলেন শাসন কাযে এত অনিস্ট থাকলে কে করবে এই কাজ ? তখন আবু যার (রা) বলেন যার নাক আল্লাহ কেটে দিয়েছেন আর গন্ড মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছেন। এমন লোক এই কাজ করবে। আচ্ছা যার নাক নাই তার কি সরম আছে ? আর যার গন্ড মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছেন আল্লাহ পাক তার কথার দাম আছে ? আর এমন লোকদের দিয়ে আমাদের কি উপকার হতে পারে ? আর এরা কোরান কে হাদিস কে নবীর সীরাত কে হাতিয়ার বানিয়েছে ক্ষমতার যাওয়ার জন্য 


আপনাদের কে যদি কোন পীর কোন সুফী তার কথা গুলো কোরান ও হাদিস ওনুসার্ বলেন তা হলেই তার কথা গুলো আপনাকে মানতে হবে। অন্যথায় নয়। 

বাংলাদেশের সকল বড় বড় আলেম আপনাদের সাথে। কিন্তু মাথার উপর গনতন্ত্র  নামের বেদাত নিয়ে আছেন । কি লাভ এই রকম বেদাত কে মাথায় নিয়ে। 

বেদাতি রা তওবা করার সময় পায় না।  মনে রাখবেন।  আর এই রাজনীতি কে বিদায় করে দাও।  
শুধু  সুফীবাদ যথেষ্ট ইসলাম কায়েমের জন্য যদি ইমান থাকে।   

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন