ইলিয়াছ মেওয়াতি কে সাহাবা দের সাথে তুলনা :-
তাবলিগ সমাচার :-৩
মাওলানা ইলিয়াছ মেও-য়াতি কে সাহাবীদের সাথে তুলনা।
সাইয়েদ আবুল হাসান নদভী এর লেখা (মাওলানা ইলিয়াচ ও তার দ্বীনি দাওয়াত) এ লিখেছেন যে উম্মী বিবি (মাওলানা ইলিয়াছ এর মা) মাওলানা ইলিয়াছ কে অত্যান্ত স্নেহ করতেন। আর প্রায় বলতেন আখতার( ইলিয়াচ এর ডাক নাম) আমি তোমার মাঝে সাহাবীদের সুঘ্রান পাই। কখনো পিঠের উপর হাত রেখে বলতেন আমি জানি না কি রহস্য। সাহাবা কেরামদের মত কিছু আকৃতি আমি তোমার সাথে চলা ফেরা করতে দেখি। (মাওলানা ইলিয়াছ ও তার দ্বীনি দাওয়াত পৃষ্টা ৪৯)
এর পর লিখেছেন যে সুরু থেকেই মাওলানা ইলিয়াছ এর মাজে সাহাবা সুলভ বৈশিষ্ট ও জজবা বিদ্দিমান ছিল যা দেখে শায়খুল হিন্দ মাহমুদুল হাসান বলতেন ইলিয়াছ কে দেখলে আমার সাহাবাদের কথা মনে পরে যায়। পৃষ্টা ৪৯ একই কিতাব।
এবার লক্ষ্য করুন। উক্ত কিতাবে ৪৯ নং পৃষ্টায় একবার বলা হয়েছে যে সাহাবাদের সুঘ্রান পায় তার মা তার সরির থেকে। এই কিতাবের সুরু তে পৃষ্টায় তার বর্ণনা দিতে গিয়ে আবুল হাসান তিনি সব সময় অত্যান্ত রোগা ছিলেন এমন কি জীবনের শেষ নিশ্বাস ও অত্যান্ত রোগাক্রান্ত হয়েই তিনি দুনিয়া ছেড়ে চলে যান।
আর এনার মাঝে তার মা সাহাবাদের সুগ্রান পেত।
এর পরই বলেছে যে আমি জানি না কি রহস্য তোমার সাথে আমি সাহাবাদের কিছু আকৃতি চলা ফেরা করতে দেখি।
আবার দেখুন সাহাবাদের আকৃতি চলা ফেরা করতে দেখতে পেত মাওলানা ইলিয়াছ এর সাথে। তার মানে কিছু সাহাবী তার সাথে চলা ফেরা করত।
অব্চচ।
আচ্ছা সাহাবা গণ কার সাথে চলা ফেরা করত ? আমার নবী হজরত মুহাম্মদ সল্লেল্লাহু আলায়হে ওয়া সাল্লাম এর সাথে। কিন্তু তার মা দেখত সাহাবা দের কিছু আকৃতি মাওলানা ইলিয়াছ এর সাথে ঘুরা ফেরা করত। আর এই কথা দেওবন্দী গণ তাদের কিতাবে ফলাউ করে প্রচার করে আর একটা বার চিন্তা ও করে না আমরা কি বলতে যাচ্ছি। এটা কি মাওলানা ইলিয়াছ এর জন্য নবীর দরজা খোলা হলনা ! জবাব দিবেন আপনারা।
এর পর দেওবন্দিদের আর এক মহান আলেম শায়েখ উল হিন্দ , যার অর্থ গোটা হিন্দুস্থান এর শায়েখ তার উপর আর কেউ নাই। সে কি বলে ইলিয়াছ কে দেখলে আমার সাহাবাদের কথা মনে পরে। তার মানে হচ্ছে যে তিনি অনার মাঝে সাহাবাদের কে দেখতে পাতেন। পিছের কথা ও বলে রাখি যে এই ইলিয়াছ সাহেব যখন ছোট ছিলেন তখন রশিদ আহমাদ গান্গুহীর কাছে যখন পরতেন এই কিতাবের ৫১ নং পৃষ্টায় বলা হয়েছে যে রশিদ আহমাদ গান্গুহিকে না দেখলে তার মনে শান্তি আস্ত না। মাঝে মাঝে গভীর রাতে ও রসদ আহমাদ এর কামরায় যেতেন ও তার চেহরা দেখে মন কে তৃপ্ত করতেন। আর তখন তার বয়স ছিল ১৯ বছর
এই সেই রশিদ আহমাদ গান্গুহী যিনি সকলের সামনে কাসেম নানুতাভির সাথে সমকামিতার আচরণ করেছেন। আর কাসেম নান্য্তাভি বলত জনাব এ কি করছেন সবার সামনে। একা একা হলে অন্য কথা। গোপনে গোপনে যে কত করেছে তা আল্লাহ জানে ( আরওয়া -এ- ছালাছা ) পৃষ্টা ২৮৯।
রাতের অন্ধকারে কি দেখে মন তৃপ্ত করত এখন যা পারেন আপনারা বোঝেন।
যার নামে লোকজন সমকামিতার উভিযোগ ও উক্খাপন করে সেই ইলিয়াছ মেওয়াতি কে দেখলে নাকি মাহমুদুল হাসান এর সাহাবাদের কথা মনে পরত। সাহাবীরা কি এমন হয় ?
নিজেদের আলেমদের ইজ্জাত বাড়ানোর জন্য আর কত মিথাচার করবেন ? নবী ,রাসুল, উম্মুল মোমেনিন , মা ফাতেমাতুজ জোহরা সবার প্রতি আপনারা নিজেদের ইজ্জাত বাড়ানোর জন্য মিথ্যা অপবাদ দিয়েছেন। এখন আপনাদের আলেম কে সাহাবা এর সাথে তুলনা করছেন। সাহাবা গণ এদের মাওলানা ইলিয়াছ এর সাথে ঘোরে বা সাহাবাদের কথা মনে পরে তাকে দেখলে !!!! কি এসব ?
সাহাবা গণ এর ইজ্জাত এত কম !!!! আপনাদের কাছে ?
জবাব দিন দেও-ভুত গণ
সোহেল রানা
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন