শনিবার, ২৩ আগস্ট, ২০১৪

Oparation bye sirate mustakim( shah Ismail dehlobi )

Oparation bye sirAte mustakim ( er, shah Ismail DEOBONDI alem ) 


২ দিন পর আজ পোস্ট লিখা সুরু করলাম আবার . বিষয় বিশ্ব বিখ্যাত কুফরী কিতাব সিরাতিম মুস্তাকিম ৷ নবী পাক সল্লেল্লাহু আলায়হে ছালাম এর সিরাত লিখতে গিয়ে এত পরিমান রিসালাত এর শান নিয়ে ছেড়া ছেরি করেছেন তাতে যা আখিরাত এর আগে দজ্জাল এর বংশধর ছাড়া আর কারো দ্বারা হবে বলে আমি মনে করি না ৷
আর কিতাব তার লেখক হিসেবে যেই লোক কে সবাই চেনে তিনি হচ্ছেন সাইয়েদ আহাম্মক এর মুরিদ ও প্রধান সেনা পতি শাহ ইসমাইল দেহলবী ৷ শাহ ইসমাইল দেহলবী ছিলেন একজন খানদানি আলেম ও আব্দুল আজিজ মুহাদ্দেস এ দেহলবী সাহেব কেবলা এর ভাই এর ছেলে ৷

তবে এই শাহ ইসমাইল এর বিসয় আলা হজরত সাহেব বলেছেন যে আমার মাসলক এ শাহ ইসমাইল হচ্ছে এজিদ এর মত ৷ তবে কেব কাফের বললে তাকে আমি মানা করি না৷

এই খানে অনেকে বলতে পারে যে সিরাতিম মুস্তাকিম একটা কুফরী কিতাব ৷ তবু তাকে কাফের বলল না কেন ? কিন্তু তিনি সাইয়েদ আহমাদ বেরেলবী , গোলাম আহমাদ কাদিয়ানী , আশরাফ আলী থানবী , রশিদ আহমাদ  গান্গুহী কে কাফের বলে ফতোয়া দিয়েছেন আর ইটা ও বলেছেন যে এদের কে কাফের বলবেনা সে ও কাফের  ৷শাহ ইসমাইল এর বলে অনার এত দরদ কেন হলো ? এই বিসয় এখন কথা বলা সুরু করব যে কার অনুমতিতে বা এই কিতাব টা কার কোথায় লিখা হল  ৷

বালাকটি দের  অনেক মাসিক পত্র পত্রিকায় বলা হয় যে সিরাতিম মুস্তাকিম এ সাইয়েদ আহাম্মক এর কোনো সম্পৃক্ততা নাই এবং এটাও বলা হয় যে সেই কিতাব এর সম্পুরন দায়ভার শাহ  ইসমাইল এর ওপর.   ! কিন্তু তোমাদের ওলামা দের কিতাব সখী আছে যে সেটা কার কথায় লিখা হয়ছে ৷

সাইয়েদ আহাম্মদ এর প্রধান খলিফা মৌলবী কারামত আলী যৌন্পুরি সাহেব ওনার কিতাব(জাখিরায়ে কারামত) এর ৩য খন্ডের ১৬৩ নং পেজ এ লিখেছেন যে সিরাতিম মুস্তাকিম   এর কথা গুলো সাইয়েদ আহাম্মদ এর মুখ নিস্সৃত বাণী বটে সুধু শাহ  ইসমাইল তা লিপিবদ্ধ করেছেন ৷এত গেল সিরাতিম মুস্তাকিম ৷ 

এখন দেখেন সেই তোমাদের ওলামা কারামত আলী সাহেব তার কিতাব জাখিরায়ে কারামত এর ২য় খন্ডের ২২৪ নং পেজ এ বলেছেন সিরাতিম মুস্তাকিম ও তাকবিয়াতুল ইমান এর বিসয় যেতাকবিয়াতুল ইমান লিখায় ছিলেন   সকল প্রকার সির্রক বিদাত কুফরী দূরীকরণ এর জন্য ও সিরাতিম মুস্তাকিম ছোট তাসাউফ সম্পর্কিত বই ও লেখায় ছিলেন শাহ ইসমাইল কে দিয়ে সাইয়েদ আহাম্মক৷

আর. বাংলাদেশ কওমী শিখা বোর্ড থেকে প্রকাশিত ( দেওবন্দ আন্দোলন ) নামক কিতাবের পেজ নং৯৯ তে বলা হয়ছে যে সাইয়েদ আহাম্মদ চোখে কানা ছিল সে কিতাব পড়তে পারত না৷ আর অনেক প্রমান আছে তিনি পড়তে পারতেন না  ৷ তাই সাইয়েদ আহাম্মক কোনো কিতাব লেখার প্রশ্ন আসে না ৷ ওপরে আমি ওদের ওলামা কারামত আলী সাহেবের কিতাবের উধৃতি দিয়ে তা প্রমান করেছি ৷

আর ইটা ও প্রমান করেছি যে কিতাবের কথা গুলো সাইয়েদ আহাম্মক এর কিন্তু লিপিবদ্ধ করেছেন শাহ ইসমাইল ৷

এই কারণে আলা হজরত আহমাদ রেজা খান সাহেব শাহ ইসমাইল কে কাফের এর ফতোয়া দেন নাই তবে সাইয়েদ আহাম্মদ কে কাফের বলে ফতোয়া দিয়েছেন  ৷ শাহ ইসমাইল কে লেয়ু কাফের বললে তাকে আহমাদ রেজা খান সাহেব মানা ও করতেন না   ৷

অনেকে ইটা বলেন যে সাইয়েদ আহাম্মক একজন সাইয়েদ ছিলেন তবু ওনাকে কাফের বলা কি ঠিক ? এই বিসয় একটা কাবিতা আছে শেখ সাদী সাহেবের


হুনার ব'নুমা আগর দাড়ি না গাহর 
গুল আজ্খারাস্ত ওয়া ইব্রাহিম আয আজর 

মানে বংশের গৌরব দেখায়োনা ইটা ও মনে রাখো ইব্রহিম আলায়হে সালাম একজন কাফের এর ঘরে জন্ম নিয়েছিলেন 
সাইয়েদ আহাম্মক সাইয়েদ হ্ক্য্ছে তো কি হয়ছে ? ইটা কি কেউ বলে দিবেন আমাকে ? চলবে পর্ব ১০ 




ইসমাঈল দেহলভীর কুফরি আক্বিদা নং-২ (পর্ব-৫)
***  ***  ***  ***  *** ওহাবী ইমাম ইসমাঈল দেহলভী বলেন...হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মরে মাটির সাথে মিশে গেছেন।নাউযুবিল্লাহ
(তাকভীয়াতুল ঈমান,পৃঃ ৬০)
কুফরি খন্ডনঃ
দলিল-১: এবং মরণের পরে নিশ্চয়ই আল্লাহ মাটির জন্য নবীদের দেহকে হারাম করে দিয়েছেন।আল্লাহর নবীগন জিন্দা,তাঁদেরকে রিযিক দেয়া হয়।(সংক্ষেপিত)
(আবু দাউদ,১ম খন্ড,১৫০ পৃঃ)
দলিল-২: হুযুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন,নবীরা কবরে জীবিত।আর তাঁরা সেখানে নামায পড়েন।
(বাজ্জার-৬৮৮৮,আবি ইয়ালা-৩৪২৫)
দলিল-৩: হুযুর পাক (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এরশাদ ফরমান, "আল্লাহ তায়ালা জমিনের জন্য নবীদের দেহ ভক্ষন হারাম করে দিয়েছেন।"
(ইবনে মাজাহ/১৬৩৭,বায়হাক্বী/৪৬৯,মুজামুল আওসাত/৪৭৮০,দারেমী/১৫৭২,বাজ্জার/৩৪৮৫,আবি শায়বা/৫৭৫৯)
দলিল-৪: দেওবন্দ মাদ্রাসার হেড মুহাদ্দীস আনওয়ার শাহ কাশ্মীরি বলেন.... পূর্ব জমানার ওলামাগনের ঐক্যমত হচ্ছে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বশরীরে জীবিত এবং অন্যান্য নবী গনও জীবিত।
(ফয়জুলবারী শরহে বুখারী,১ম প্যারা,১ম খন্ড)
একারনে দেওবন্দ মাদ্রাসা থেকে তার চাকরী চলে যায়।
__



ওহাবী ইমাম ইসমাঈল দেহলভীর কুফরি আক্বিদা নং-৩ (পর্ব-৬)
***   ***   ***   ***
ইসমাঈল দেহলভী বলেন,,,নবীর প্রসংসা কেবল মানুষের ন্যায় করো বরং এতেও সংক্ষিপ্ত করো।(নাউযুবিল্লাহ)
(তাকভীয়াতুল ঈমান,পৃঃ৩৫)
কুফরি খন্ডনঃ স্বয়ং আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা তাঁর প্রিয় হাবীবের প্রসংসা করে এরশাদ ফরমান,,,
*তোমাদের নিকট তোমাদের উত্তম ব্যক্তিদের মাধ্যমে এক মহান রাসূলের শুভাগমন ঘটেছে।
(তাওবা/১২৮)
*আল্লাহ তায়ালা ঈমানদারগনের উপর অনুকম্পা করেছেন যে,তাদের মধ্য থেকে এক মহান রাসূলকে প্রেরন করেছেন।
(আলে ইমরান/১৬৪)
*আমি আপনার আলোচনাকে সুউচ্চ করেছি,আপনাকে নুর হিসেবে সৃষ্টি করেছি এবং নবী ও রসূল হিসেবে আসমান জমীন ও সৃষ্টি জগতে প্রচার করেছি।সকল সৃষ্টির নিকট আপনাকে আমার প্রিয় হিসেবে প্রেরন করেছি এবং সকলের অন্তরে আপনার মান সম্মান এবং আলোচনাকে বসিয়ে দিয়েছি।
(সূরা ইনশিরাহ/৪)
*নিশ্চয় আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতারা ঐ অদৃশ্য স্বত্তা(নবী )র প্রতি দুরূদ প্রেরন করেন।হে ঈমানদারগন!তোমরাও তাঁর প্রতি দুরূদ এবং সালাম পেশ করো।
(আহযাব/৫৬)
আল্লাহ কুরআনে তাঁর প্রিয় হাবীবের শান নিজেই বর্ননা করেছেন।আর ঐ মুনাফিক ইসমাইল হুযুরের শানে বেয়াদবী করে কাফির হয়েছে।



দেওবন্দী-বালাকোটি একই মুদ্রার এপিট ওপিট (পর্ব-৭)
**   **   **   **   **   **
¤মৌলভী ইসমাঈল দেহলভীর কুফরি কিতাব "তাকভীয়াতুল ঈমান" সম্পর্কে দেওবন্দী ওহাবীদের মতামত¤
*ওহাবী মৌলভী রশিদ আহমদ গাঙ্গুহী বলেন,মৌলভী ইসমাঈল দেহলভী সাহেব ছিলেন পরহেজগার আলেম বেদআতের উচ্ছেদকারী ও সুন্নাতের প্রচলনকারী।কুরআন হাদীসের পরিপূর্ন আমল ও সৃষ্টির হেদাতকারী।সর্বশেষে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদের মধ্যে কাফের হাতে শহীদ হয়ে গিয়েছেন।তিনি আল্লাহর অলী এবং শহীদ।"তাকভীয়াতুল ঈমান" অত্যন্ত উত্তম কিতাব।উহা শিরিক ও বিদাতের খন্ডনে লা জওয়াব।উহাকে প্রত্যেকের নিকট রাখা,পড়া ও আমল করাই প্রকৃত ইসলাম।
(ফতোয়ায়ে রশীদীয়া,৪২ পৃঃ)
*ওহাবীদের হাকিমুল উম্মত মৌলভী আশরাফ আলী থানবী বলেন,তাকভীয়াতুল ঈমানের মধ্যে কোন কোন শব্দ যা শক্ত হয়ে গেছে তা ঐ যুগের জিহালত বা মূর্খতার ঔষধ ছিল।
(ইমদাদুল ফতোয়া,৪র্থ খন্ড,১১৫ পৃঃ)
সত্য অন্বেষী ভাইয়েরা আপনারা কী বুঝলেন?ইসমাঈল দেহলভী যদি খাটি সুন্নী হতো তাহলে ওহাবীদের নিকট সে এবং তার কিতাব এত প্রসংসনীয় কেন?এ কিতাব যদি আহলে সুন্নাতের আলোকে লেখা হতো তাহলে দেওবন্দী ওহাবীদের কাছে এই কিতাব কিভাবে গ্রহনযোগ্য হল?
আপনাদের কাছে প্রশ্ন রইল
__

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন