দেওবন্দী দের অনেক কিছু প্রকাশ করেছি মাবুদের সহায়। আশা করছি যতদিন সম্ভব চালায় যাওয়ার।
দেওবন্দী দের কিতাব ফাজায়েলে আমল এ এক বেক্তি সপ্নের বর্ননা করেছেন যে :-
নবী পাক বলছেন আদেশ এর সুরে মদ্য পান কর। (ফাজায়েলে আমল এর ফাজায়েলে দরুদ ২ য় পরিচেদ ৬৮ নং পৃষ্টা।
এখন দেখুন এমন একটি সয়তান এর ধোকা কে নবী পাকের নাম চালিয়ে দিয়ে তা আবার দেওবন্দী দের তাবলিগ জামাত এর আজিমুল সান কিতাব এ উল্লেখ করেছেন।
আচ্ছা আপনাদের কি এই কথাটা বিশ্বাস হয় যে নবী পাক কাউকে সপ্নে দেখা দিয়ে বলবেন যে মদ্য পান কর ? নিশ্চয় বলবেন যে না। ইটা আবার কেমন কথা ?
ঠিক আমার ও কথা এটাই। কিন্তু এই দেওবন্দী জ্ঞানপাপী গণ তাদের জ্ঞান যে কোথায় লাগে তা আল্লাহ মালিক জানে। এরা কি সামান্য চিন্তা ও করে না যে এমন কথা বা সয়তান এর ধোকা মানুষ কে ভুল রাস্তা দেখাতে পারে ? এই সপ্নের বর্ণনা এর কারণে লোকজন মদ্য পানের দিকে ঝুকে পড়তে পারে !!!! নাকি দেওবন্দ এ এসব চলে ? জবাব দিবেন।
কয়েক দিন থেকে সুধু দেওবম্দী দের সপ্নের বিষয় যেহেতু পোস্ট করেছি সেহেতু সপ্নের বিষয় তাদের আল্ব্মদের ২-১ টা উধৃতি ও দেওয়া প্রজন মনে করছি।
দেওবন্দী দের মুজাদ্দেদ আশরাফ আলী থানবী যিনি কি না সবচেয়ে বড় ইজ্জাত ওয়ালা বুজুর্গ দবন্দী আলেমদের কাছে তিনি সহীহ বুখারী শরীফের একটা হাদিস নবী পাকের ৯ম পার্ট এর আমার হাদিস নং টা মনে পরছে না। হাদিস টা হচ্ছে নবী পাক বলেছেন
যে আমাকে দেখে (সপ্নে) প্রকৃত পক্ষে সে সত্যই দেখে।
এই হাদিসের বেক্ষায় আশরাফ আলী থানবী তার কিতাব শামায়্ম-ই - ইমাদাদিয়া এর ৪৯ নং পৃষ্টায় লিখেছেন যে সপ্নে যে নবী পাক কে দেখে প্রকৃত পক্ষে সে আল্লাহ কেই দেখে।
এখন চিন্তা করুন দেওবন্দী দের সপ্নের মূল গুড় কথা। মানে কয়েকদিন থেকে যে পোস্ট করেছি তাদের কথা গুলো নবী পাক রান্না করতে চেয়েছেন হাজী ইমদাদুল্লাহ এর আলেম অতিথিদের জন্য সেটা ও আল্লাহ রান্না করতে চেয়েছেন থান্বির কোথায়। এর পর আবার মাথায় ইংলিশ টুপি পরা দেখেছে একজন সেটা ও আল্লাহ কেই দেখেছে প্রকৃত পক্ষে ইংলিশদের টুপি পরা অবস্থায়। আর আজকে যে সপ্নের কথা উল্লেখ করেছি নবী পাক বলেছেন আদেশ এর সুরে মদ্য পান কর ইটা ও আসলে প্রকৃত পক্ষে আল্লাহ পাক বলেছেন থান্বির কথায়। তার মানে মদ্য পান জায়েজ হয়ে গেল।
এর পর দেওবন্দী দের আর এক মহা পন্ডিত ও মুজাদ্দেদ লিখেছেন যে সয়তান একজন শায়েখ এর রূপ নিয়ে দেখা দিতে পারে না ( মাওলানা জাকারিয়া এর কিতাব (মাশায়েখ এ চিশত ২৫৬ )
(যেমন নবী পাকের রূপ নিয়ে দেখা দিয়ে পারে na রশিদ আহমাদ গান্গুহী এর কিতাব( ইর্শাদুল মুলুক ) ২৭ পৃষ্টা )
উপরের বর্ণিত কথা গুলো একটু ভালো করে মন দিয়ে পড়ুন এর পর নিচের কথা গুলো পড়ুন।
এখন দেখুন দেওবিন্দী দের কিতাব ফাজায়েলে আমল অ বর্ণনা করা হয়েছে যে একবার সয়তান জাকজমক পূর্ণ সিংহাসন এ অধিষ্টিত হয়ে শায়েখ আব্দুল কাদীর জিলানি (গাউসুল আজোম আমার কেবলা ) (রহ) এর সামনে হাজির হন। এবং সয়তান কেবলা যান কে বলেন আমি তোমার প্রভু। এর পর সয়তান ঘোসনা করেছিল যে যা তোমার( কেবলা জান ) হালাল তা অন্যদের জন্য হারাম। ফাজায়েলে আমল এর রেফারেস মনে পরছে না। তবে ইবনে তাইমিয়া এর (কিতাব আল অসিলা এর ৪৬ ) পৃষ্টায় এই ঘটনা বর্ণনা করা আছে।
আচ্ছা যে খানে শায়েখ আব্দুল কাদির জিলানি গাউসুল আজোম এর সামনে সয়তান রূপ ধরে এসে আল্লাহ দাবি করতে পারে আর আর আমাদের জন্য যা হারাম তা গাউসুল আজোম কেবলা কে ধোকা দেয়ার জন্য হালাল ঘোসনা করতে পারে তো কোথাকার কোন খেতের মূলা , বেগুন। তাদের কে কি সয়তান এর ধোকা দিতে শনিবার আর মঙ্গল বার এর প্রজন আছে ?
অথচ দেওবিন্দী গণ তাদের সপ্ন যাচাই না করে সব কিছুই যে যা যেমন বলেছে সেই রকমই কিতাবে চরায় দিছে। আর তা নবী পাকের নাম দিয়ে। আর থাম্বির কথা মতে তো সপ্নে নবী পাক ছিল না ছিল (সত্যই ) আল্লাহ।
আল্লাহ আমাদের কে হেফাজাত করুন।
সপ্নের বিষয় আর আমার কাছে নতুন কোনো দলিল নাই। পেলে ইনশাআল্লাহ প্রকাশ করা হবে।
সোহেল রানা
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন