বৃহস্পতিবার, ১ জানুয়ারী, ২০১৫

হুক্কা খোর দেওবনদি

রশীদ আহমাদ গান্গুহির কিতাব (মহমুদুস সুলুক) এর ২৬ নং পৃষ্টায় হাফেজ শহিদ মোহাম্মদ যামিন সাহেবের জীবনী বর্ণনা করতে গিয়ে লিখেছেন যে ;- যার নির্দেশে রশিদ আহমাদ গান্গুহী (ইম্দাদুস সুলুক) কিতাব রচনা করেছেন তিনি হচ্ছেন হাফেজ শাহিদ মোহাম্মদ জামিন সাহেব। তিনি থানা ভবন শহরে মোজাফফর নগর জিলায় জন্ম গ্রহণ করেন। তার সুপারিশে আলা হজরত হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজেরে মক্কী (রহ) রশিদ আহমাদ  
গান্গুহি কে বায়েত করে নেন। হাফেজ শাহিদ যামান সাহেব ও হাজী ইমাদাদুল্লাহ সাহেব দুজনই মিয়াজী নূর মোহাম্মদ ঝান্ঝানাবি (রহ) এর খুব প্রসিদ্ধ ও বড় খলিফা ছিলেন। 

আমি এই খানে এই কথা গুলে তুলে ধরলাম কারণ এই যে ;- হাফেজ যামিন সাহেব কে তারা আবার অস্বিকার না করে বসে যে আমাদের আলেম না। কারণ তারা তাদের কিতাব গুলো অস্বিকার করে। আমি নিজেই তার জলন্ত প্রমান। 

এই কিতাবের ২৮ নং পৃষ্টায় লিখেছেন যে ;- কয়েকটি বিচ্চিন্ন ঘটনা শিরোনাম দিয়ে :- 
হজরত হাফেজ যামিন সাহেবের খেদমতে কেউ আসলে হজরত তাকে বলতেন যে ,ভাই কি উদ্দেশে এসেছ ? যদি মাসালা মাসায়েল জানার জন্য এসে থাক তো শায়েখ মোহাম্মদ সাহেবের দিকে ইসারা করে বলতেন ওই দিকে যাও। আর যদি মুরিদ হওয়ার জন্য এসে থাক তা হলে হাজী ইমদাদুল্লাহ সাহেবের দিকে ইসরা করে বলতেন ওই দিকে যাও। আর যদি হুক্কা পান করতে এসে থাক তা হলে আমার মত বন্ধু-বান্ধবদের নিকটে বসে যাও। 
শায়খুল হাদিস হজরত মাওলানা জাকারিয়া বলেন যে ;- এর দ্বারা উদ্দেশ্য নয় যে হজরত হাফেজ সাহেব সর্বদা হুক্কা পান করায় মশগুল থাকতেন। বাস্তবতা হলো তার দরবারে অন্যান্য দরবারের মত মেহমানদারীর জন্য হুক্কা রাখা থাকত। 

আমাদের কে বলে জিলাপি সুন্নি , সালা বলদের দল। 

ভাইয়েরা আমার আর সুশ্রী বালকেরা দেওবিন্দিদের জন্য , কারণ তারা সমকামী। 
তারা আমাদের কে কথায় কথায় খোটা মারে হালুয়া খোর বলে। তারা সত্যিই হারামি , কারণ আমার নবী পাক আলাইহিস সালাম হালুয়া খেতে পছন্দ করতেন। আর তারা সেই হালুয়া নিয়ে মস্করা করে এদের ইমান দেখুন। 

আর জিলাপি সুন্নি বলে। অথচ ওদের কিতাবে থেকেই প্রমানিত ওরা হুক্কা দেওবন্দী , ওদের আলেমেদের দরবারে মেহমানদারির জন্য হুক্কা রাখা হয়। এখন আপনাদের কাছে আমি বিচার দিলাম যে তাদের কথা মত আমরা জিলাপি আর হালুয়া খোর সুন্নি। 
কিন্তু তারা তাদের কিতাব থেকে হুক্কা দেওবন্দী , কারণ মাওলানা জাকারিয়া সাহেব এর কথায় স্পষ্ট ভাবে প্রমানিত যে অনন্য দরবারের মত মেহমানদারীর জন্য হাফেজ যামিন সাহেবের দরবারে ও হুক্কা রাখা হত এবং হাফেজ যামিন সাহেব নিজে তার খেদমতে আশা লোকদের কে বলতেন যে হুক্কা পান করতে এসে থাকলে আমার মত বন্ধু-বান্ধবের নিকট বসে যাও। 

মাওলানা জাকারিয়া এর কথায় এটাও প্রমানীত হয় যে তাদের সকল খানকা গুলোতে হুক্কা রাখা ও হত। 

এখন বলুন কোন জিনিস ভালো ? 
জিলাপি , আর হালুয়া ? 
নাকি হুক্কা ? 

ইটা থেকেই আজ কে নিজের মন থেকে ফয়সালা করে ফেলুন কারা হক আর কারা বাতেল 

সোহেল 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন