বৃহস্পতিবার, ১ জানুয়ারী, ২০১৫

রাজারবাগের পীর ও কাদিয়ানী-এর মধ্যে মিল :

রাজারবাগের পীর ও কাদিয়ানী-এর মধ্যে মিল :

কাদিয়ানীরা অন্য কোনো ইমামের পিছনে নামাজ পড়ে না , রাজারবাগের পীরের মুরিদরাও অন্য কোনো ইমামের পিছনে নামাজ পড়ে না ।

কাদিয়ানীরা তাদের বিরোধীতাকারীদের কাফের মনে করে , রাজারবাগের পীর ও তার অনুসারীরা তাদের বিরোধিতাকারীদের কাফের মনে করে । যদিও তারা প্রকাশ্যে তাদের পীরকে নবী বলে না কিন্তু আচার আচরনে তাই মনে করে। যেমন দেখুন আমাকে বিনা প্রমানে তারা মোনাফেক বলেছে ।

কাদিয়ানীর অনুসারীরা তাদের নেতা কাদিয়ানীকে সেজদা করত, রাজারবাগের পীরের অনুসারীরা তাদের পীর ও পীরের স্ত্রীকে কদম বুছির নামে মাথা ঠেকিয়ে চুমা খায়, যা প্রকৃতপক্ষে সেজদার নামান্তর ।

কাদিয়ানীরা হজ্ব পালন করে না, কেননা সৌদি আরবে তারা অমুসলিম হিসেবে পরিচিত। রাজারবাগের পীর হজ্ব পালন করাকে হারাম বলে। তারা ইসলামের মৌলিক বিষয়ে মতভেদ করেছে । এমনকি রাজারবাগের পীর তার মুরিদ হজ্বে যেতে চাইলে তাদের টাকা কেড়ে নেয়।

কাদিয়ানীরা নবীজির (সাঃ) রওজা জিয়ারত করে না, কেননা তারা উনাকে শেষ নবী মনে করে না । রাজারবাগের পীর তার অনুসারীদের নিষেধ করে নবীজির রওজা জিয়ারত করতে । এমনকি তারা বলে “যে করে ওমরাহ, সে হয় গোমরাহ” । [ নাউজুবিল্লাহ ]

কাদিয়ানীরা কোরান শরীফের ভুল ব্যাখ্যা করে, রাজারবাগের পীর তার পত্রিকা “আল বাইয়িনাত” কে বাংলা কোরআন শরীফ বলে ।

কাদিয়ানীরা জুমার নামাজ তাদের কেন্দ্রিয় আখড়া ব্যতীত অন্য কোথাও পড়ে না , রাজারবাগের পীরের অনুসারীরা জুমার নামাজ অন্য কোথাও আদায় করে না তাদের মসজিদ ব্যতিত ( অবশ্য তাদেরটা মসজিদ নয়, ওটা ওয়াকফ করা হয়নি )

কাদিয়ানীরা অন্য কোনো মুসলমানকে সালাম দেয় না , রাজারবাগের মুরীদরাও অন্য কোনো মুসলমানকে সালাম দেয় না।

কাদিয়ানী ও তার অনুসারীরা জীবনে লেখালেখী ও বক্তব্যের অর্ধেক অংশ ব্যয় করেছে নিজ প্রশংসায় ও দাবীর স্বপক্ষে প্রমান পেশ করার জন্য আর বাকী অর্ধেক ব্যয় করেছে অন্যের গালাগালি করার জন্য, রাজারবাগের পীর দিল্লুর রহমান ওরফে অরুন তার লেখালেখী ও বক্তব্যের অর্ধেক অংশ ব্যয় করেছে নিজ লক্বব, নিজের প্রশংসা করার জন্য আর বাকী অর্ধেক ব্যয় করেছে অন্যের গালগালি করার জন্য। কি অপূর্ব মিল!

কাদিয়ানী কোনো মাদ্রাসা শিক্ষা করে নাই । সে নিজে ইসলাম সম্পর্কে যা বুঝেছে সেটাই প্রকাশ করে গোমরাহ হয়েছে । রাজারবাগের পীরও একই কেস । সে নিজেও মাদ্রাসা শিক্ষা করে নাই এবং কোনো আলেমের সাথে পর্যালোচনা করে নাই । তাই এই পীরের ইসলাম বিষয়ে সব মতামত গোমরাহীতে পরিপূর্ন ।

কাদিয়ানী কথায় কথায় মিথ্যা বলতে এবং কোনো বিষয়ে আটকিয়ে গেলে সাথে সাথে কথা ঘুরিয়ে নিত । রাজারবাগের পীরও কথায় কথায় মিথ্যা বলে । সবচেয়ে প্রকৃষ্ট উদাহরন হলো “মতিঝিল বিমান অফিসের সামনের বগ ভাংগা ” । তার নির্দেশে তার জংগী মুরিদরা বগলার মুর্তি ভাংতে যায় এবং চেষ্টা করে । অথচ ধরা পড়ার সাথে সাথে পীর ভোল পাল্টিয়ে বলে আমি কিছু জানি না ।

কাদিয়ানীর বাহ্যিক সুরত ছিল আলেমদের মতো , পাগরী জোব্বা । রাজারবাগের পীর ও তার অনুসারীদের বাহ্যিক সুরত এমন ।

রাজারবাগের পীর যে কত বড় ভন্ড এর নমুনা আপনারা দেখলেন । এছাড়া এই সুদী মহাজন ব্যাংক থেকে সুদে টাকা নিয়ে “মুহম্মদিয়া মেডিকেল সার্ভিসেস লি:” তৈরীর নামে নিজের পকেটে টাকা আত্মসাৎ করেছে । ব্রডওয়ে বিজিনেস এর নামে টাকা আত্মসাৎ, সি এন জি কেনার কথা বলে দুর্নীতি করে।
 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন