শুক্রবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০১৫

ইমান আর ইবাদত

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম।  

লক্ষ  কোটি সালাম ও দরুদ সেই মহান রাসুলে আকরাম সাল্লেল্লাহু আলায়হে ওয়া সাল্লামের প্রতি যিনি আল্লাহর দীন এ ইসলাম কে পূর্ণাঙ্গ রূপে প্রকাশ করেছেন। আরো সালাম  খোলাফায়ে রাশেদিনদের প্রতি ও সকল আহলে বায়েতের প্রতি।  

সালাম এক লক্ষ চব্বিশ হাজার আম্বিয়া কেরামের গনের  প্রতি ও ১২ ইমামের প্রতি।  সালাম খাজা খাজেগানের প্রতি ও কাদেরিয়া ,চিস্তিয়া , নকশাবন্দী , মুজাদ্দেদিয়া  তরিকার ছাড়াও সকল তরিকার শায়েখ দের প্রতি ও যাদের মাধ্যমে আমরা আল্লাহর করুনা লাভ করেছি।  

আল্লাহ তাদের প্রত্তেকের ইজ্জাত বুলন্দ থেকে উচ্চতর বুলন্দ করুন  (আমিন) 


পর কথা এই যে আমরা সকলে মুসলমান (আলহামদুলিল্লাহ) 

আমরা সবাই এক কথায় সীকার করি আল্লাহ এক ও অদিতিয় ও নবী হজরত মোহাম্মদ সাল্লেললাহু আলায়হে ওয়া সাল্লাম আমাদের রাসুল ও আমাদের দ্বীন ইসলাম। ও আমরা এটা ও সীকার করি কিয়ামতের দিনে আমাদের কে হিসাব নিকাশের কাতারে দন্ডায়মান হতে হবে , আল্লাহ বেহতর জানেন কি মসিবত আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে সেই কঠিন দিনে।  


আমাদের ইমান যদি মজবুত হয় তা হলে আমরা সেই দিন আল্লাহর করুনা লাভ করতে সক্ষম হব।  অন্যথায় আমাদের জায়গা হবে সেই জাহান্নাম যে খানে অন্তহীন দুক্ষ কষ্ট ছাড়া কিছুই নাই।  

তাই আগে আমাদের ইমান কে মজবুত করা প্রয়োজন   .


কথা আজ ইমান নিয়ে।  নিজের ইমান কোন খাতে আছে তা একটু দেখে নিন  



ইমান হচ্ছে সেই আখরোট ফলের মত।  যার উপরে শক্ত একটা খোল।  সেটা  ভেদ করে ভিতরে গেলে থাকে সেই মগজ।  সেই মগজে যদি মেহনত করা যায় তা হলে সেখান থেকে তেল বের করা সম্ভব   অন্যথায় নয়   .

ঈমানের প্রকার ;- 

(১) অন্তরের মধ্যে কোন প্রকার প্রত্যয় সৃষ্টি করা বেতীত মুখে (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলা ) আজকের এই দিনে এরূপে উচ্চারণ করা মুসলিম কিন্তু কম নয়।  আর এরূপে উচ্চারণ করার মাঝে মোনাফেকরা বা বেদীন রা ও সামিল আছে।  হয়ত আপনি ও দেখেছেন কথার মাঝে কোন বেধর্মী ও কালেমা পরেছে।  আর যদি না দেখে থাকেন তো মনে করে দেখুন অনেক বেধর্মী আছে যারা যুদ্ধ ক্ষেত্রে মুসলিম মুজাহিদ বাহিনীর হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য মুখে কালেমা উচ্চারণ করে থাকে।  আর তখন সেই সকল বেধর্মী কে ও মুসলিম বাহিনী হেফাজাত করতে বাধ্য হয়ে যায় কালেমা উচ্চারণ করার কারণে।  

কিন্তু তাদের সেই বিপদে পরে কালেমা পাঠ করে মুসলিম বাহিনী থেকে ও নিরাপত্তা তো পায় , কিন্তু আল্লাহ পাকের কাছে কি তাদের সেই মোনাফেকাত গোপন থাকে ? নিশ্চয় থাকে না. /


তারা সেই দিন এই মোনাফেকাতের শাস্তি অবশ্যই পাবে।  

ঠিক এমনি অনেক মুসলিম ও আছেন যারা মুসলিম ঘরে জন্ম নিয়েছেন , মসজিদে যান নামাজ ও পড়েন রোজা ও রাখেন নিজেকে মুসলিম হিসেবে প্রকাশ  করার জন্য।  আর সেই কারণে তারা মুসলিম সমাজে মুসলিম হিসেবেই গণ্য হয়ে থাকে , আর মুসলিম হিসেবে সকল সুযোগ সুবিধা ও ভোগ করে থাকেন। 

কিন্তু তাদের বিশ্বাস দৃর থাকে না. শুদু নিজের ফায়দার কারণে এমন করে থাকেন। এমন ইমান আপনার হুয়তো দুনিয়ায়র জীবনে অনেক ফায়্দামন্দ হতে পারে।  কিন্তু আল্লাহর কাছে তা কোন কাজে আসবে না. 


গুনিয়াতুত তালেবিন কিতাবে হযরাত বড় পীর আব্দুল কাদের জিলানি কাদ্সর্হুল আজিজ রাহমাতুল্লাহে আলায়হে লিখেছেন যে ;- কিয়ামতের দিন আল্লাহ আল্লাহ ৩ প্রকার লোক কে ডাকবেন  (১) আলেম (২) শহীদ (৩) দানী বেক্তিকে /


আর আল্লাহ বলবেন আলেমকে তুমি কি করেছ  দুনিয়ার বুকে ? 

আলেম বলবে যে ইয়া আল্লাহ আমি তো সারাজীবন মসজিদের  ইমামতি করেছি।  লোকদের কে ওয়াজ ও নসিহত করেছি।  ইসলামের শিক্ষা দিয়েছি।  


ফেরেস্তারা সাক্ষী দিবে ; ইয়া আল্লাহ এ মিথ্যা বলছে।  আল্লাহ পাক ও বলবেন তুমি মিথ্যা বলছ।  কারণ তুমি মসজিদে ইমামতি , লোকদের কে ওয়াজ নসিহত , ও শিক্ষা দিয়েছো এই কারণে যে যাতে তারা তোমাকে বড় আলেম ও ইবাদত গুজার লোক বলে।  আর সাধারণ লোকেরা তা বলেছে ও মেনেছে আর তুমি ও তাই পেয়েছ যা তুমি চেয়েছিলে।  তুমি আমার জন্য এসব কিছুই কর নাই./ তাই তোমার জন্য আমার কাছে কিছুই নাই। 


তখন তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।  


আজ আমাদের মাঝে এমন কোটি কোটি লোক আছে আর হাজারো আলেম। যারা মানুষ কে ডাকে নিজেকে বড় করার জন্য।  নিজের ইলম ও ইবাদত প্রকাশ করার জন্য।  মানুষের বাহবা কুড়ানোর জন্য।  আর তারা এই দুনিয়ায়র বুকে তা পেয়ে থাকে।  


আল্লাহ পাক বলেছেন তোমরা যার জন্য ইবাদত করবে তাই তোমাদের কে দেয়া হবে।  যে দুনিয়ার জন্য ইবাদত করে মানুষ কে দেখানোর জন্য আল্লাহ তাকে তাই দান করেন। আর আল্লাহর কাছে তার জন্য কিছুই  থাকে না. / 


তাই আমাদের উচিত এই রকম মুখে কথা বলে অন্তরে প্রত্যয় সৃষ্টি না করে ইবাদত করে ও লোকদের  মাঝে ওয়াজ নসিহত করে কোন লাভ হবে না।  কারণ আপনার নিজের ও ফায়দা  হবে না আর না আখেরাতের , আর আপনার কথা সুনে মানুষ তো বাহবা দিবে কিন্তু তারা হেদায়াত ও  প্রাপ্ত  হবে না।  


তাই এসব থেকে দুরে থাকায় উত্তম।  


চলবে 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন