বৃহস্পতিবার, ১ জানুয়ারী, ২০১৫

মিলাদের দলিল ও ফতোয়া

তাকবীর হাসান আমার পোস্টে দেওবন্দ থেকে প্রকাশি অনলাইন ফতোয়া কমেন্টা করেছে।  আর চালেঞ্জ ছুড়েছে দেখি কোন বাপের বেটা আছে জবাব দেয়।  

আমি বলি বেটা তু খুদ কা গন্ড সামলা।  দেখি তর কত হিম্মত তর আব্বা আশরাফ আলী থানবী হেকিমুল সেক্সি মেডিসিন অফ, হাই ,ফাই ,এইস,  ডি ডিগ্রী।  তার কিতাব ইসলাহুর রুসুম দেখ কি লিখেছে।  আর ফতোয়া মার।  


আমার পোস্টে করা তার কমেনটস 


(বিশ্ববিখ্যাত দ্বীনী প্রতিষ্ঠান দেওবন্দের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে ফতোয়া দিলাম ; মিলাদ কিয়ামের বিষয়ে [যারা ইংরেজি বুঝেন না তারা দয়া করে বলবেন] । ফতোয়ার নাম্বার সহ ফতোয়া দিলাম । http://darulifta-deoband.org/showuserview.do?function=answerView&all=en&id=2162&limit=6&idxpg=0&qry=%3Cc%3EFAB%3C%2Fc%3E%3Cs%3EIAC%3C%2Fs%3E%3Cl%3Een%3C%2Fl%3E



আমার জবাব 

মিলাদ '' এর নাম শুনলে দেওবন্দিদের বা ওহাবীদের যে কত জলন সুরু হয় তা দেওবন্দিরাই ভালো করে জানে , আমি বা সুন্নি activitis রা এত পরিমান দলিল প্রমান দেয়ার পর ও তারা মিলাদ কে বেদাত ছাড়া আর কিছুই তাদের চোখে পরে না ।

দেওবন্দী দের মোজাদ্দেদ আশরাফ আলী থানবীর কিতাব (ইচ্লাহুর রূসুম ) কিতাবের তৃতীয় অধ্যায় এর প্রথম পরিচ্ছেদ ১০১ নং পৃষ্টায় লিখেছেন যে ;- মিলাদ ৩ প্রকারে ভাগ করে প্রথম প্রকার মিলাদ এর বিষয় বলেছেন যে ;- এই প্রকার মিলাদ মেহফিলে কোনো প্রকার সর্তাবলী অনুসরণ করা হয় না। মুলুত কিছু লোক একত্রিত হয়ে নবী কুল শিরোমনি আহমাদ মুস্তফা মোহাম্মদ মুস্তফা সল্লেল্লাহু আলাহিস সালাম এর প্রতি দরুদ ও সালাম পাঠ ও অনার জন্ম,জীবন,চাল,চলন,সান,শওকাত ,মুজেজা সমন্ধে বিশুদ্ধ বর্ণনা করা ও কোনো কিতাব পাঠ করা। আলোচনার সাপেক্ষে সৎ কাজের আদেশ ও মন্দ কাজের না করার উপদেশ্দানে কুন্ঠিত বোধ না করা অথবা শরীয়াতের বিধিবিধান হুকুম আহকাম শিক্ষাদানের নিমিত্তে আয়োজিত মেহফিলে নবী পাক অলায়হিস সালাম এর জীবনী বর্ণনা করা। এই প্রকার মিলাদ মেহফিল নির্ভেজাল,জায়েজ ও মুস্তাহাব ও সুন্নাত।এই ভাবেই রাসুল সল্লেল্লাহু আলাইহিস সালাম শিয় জীবন ও মর্যাদার আলোচনা করে গেছেন। সাহাবীদের থেকে ও এই ভাবে মিলাদ এর বর্ণনা পাওয়া যায়। মুহাদ্দিসীন কেরামগণ আজ পর্যন্ত যথারীতি চালু রেখেছেন আর আর কিয়ামত পর্যন্ত এই বিশুদ্ধ নীতি চালু থাকবে। (ইচ্লাহুর রূসুম ) তৃতীয় অধ্যায় প্রথম পরিচ্ছেদ পৃষ্টা ১০১.

কিতাবের পেজ যার প্রয়োজন কমেন্টস এ বলুন। ইনশাল্লাহ দিয়ে দিব। 

নিচে আরো অনেক কথা আছে তা তুলে ধরা আবশ্যক মনে না করে তুলে ধরলাম না। কেউ দেখতে চাইলে কিতাবের পাজেই দিয়ে দিব। দেখে নিয়েন। 
এখন আমার কথা হচ্ছে যে মাওলানা আশরাফ আলী থানবী দেওবিন্দী দের আজিম মোজাদ্দেদ ,হাকীমুল উম্মত এর কিতাবে মিলাদ সরিফ পালন করা কে নির্ভেজাল ,জায়েজ, মুস্তাহাব ও সুন্নাত বলে নিজের রায় দিলেন। 
আর আমার মতে আশরাফ আলী থান্বির তুলে ধরা সর্ত গুলো ও যথাযথ পালন করা হয় প্রতিটা মিলাদের অনুষ্ঠানে। 
তো আমার কথা হচ্ছে আপনাদের বুজুর্গ আশরফ আলী থানবী সাহেবের মত উপেক্ষা করে কেন বেদাত বলে গলা ফাটান ? আর সময় নষ্ট করেন ? আর কেন নিজেদের আলেমদের এই ভাবে বিরুধিতা করেন ? নাকি আপনারা দেওবন্দী নামের নিচে লুকায়িত দেওভুত ? যে সুধু বেদাত বেদাত বেদাত বলে পাগলা কুত্তার মত ঘেউ ঘেউ করে ? আপনারা যদি সত্যিকারের দেওবন্দের আকিদার বিশ্বাসী হন তাহলে আপনাদের উচিত মিলাদের বিরুদ্ধে কথা না বলা। কারণ আপনাদের বুজুর্গের চেয়ে আশাকরি আপনারা কেউ বেশি জানেন না। বাশের চেয়ে যেমন কঞ্চি সক্ত হয় না !! বাপের আগে যেমন ছেলের বাল পাকে না ঠিক তেমন আপনাদের বুজুর্গদের চেয়ে আপনারা ও বেশি বোঝেন না 

এবার দেখি তর কত হিম্মত আছে।  তুই ফতোয়া মার দেওবন্দী থান্বির বিরুদ্ধে।  

অ সালারা এত বড় হারামি যে নিজের বাপের বিরুদ্ধে কথা বলে।  যে সন্তান বাপের বিরুদ্ধে কথা বলে সে কি হারামি নয় ? 

সে কি ভাবে হালালের হতে পারে ? 


সোহেল রানা
 —  

1 টি মন্তব্য: