মঙ্গলবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০১৫

তাবলীগি দোর কে নবী পাকের সাথে তুলনা

ওহাবিদের মধ্য আক্কেল মন্দ কম আর বে-আক্কেল বেশি।  তাদের কিতাব পড়লে তাদের বিবেক বুদ্ধির পরিচয় পাওয়া যায়। আর ভিমের ঘোরে সপ্ন এদের দলিল ।

মানুষ যেমন ঘুম থেকে উঠে মাঝে মাঝে উল্টা পাল্টা কথা বলে ঠিক 
তেমনি একটা বিষয় ( মালফুজাত এ মাওলানা ইলিয়াছ) ৫৩ নং মালফুজাত এ বলেছেন যে :- তোমরা নবীদের মত মানুষের উপকার করার জন্য প্রেরিত হইয়াছ। 

এখন কথা হচ্ছে নবীদের মত কি কোন নবীর উমমত হতে পারে ? 
নিজেকে কি আপনি বলতে পারবেন আমি নবীর পাকের মত ? 
তবে হা  , আপনাদের আলেম কাশেম নানুতভী তো এ ও বলেছেন যে উমমত নিজ ইবাদতের দ্বারা কখনও কখনও নবীদের কে ও পিছনে ফেলে যায়(নাউযুবিললাহ ) 

যে বেক্তি বিশ্বাস করবে সে নবীর মত তার কি ইমান থাকবে ? 
নবী পাক বলেছেন ;- লাসতুকা আহাদিম মিনকুম ;- আমি তোমাদের কারো মতই না। 

তারা আর একটা কথা বলে আমরা তো ভাল কথা বলি।  সবাই কে নামাজের জন্য ডাকি।  
আর একটা আয়াত কে দলিল দেয় যো উপরে দেয়া আছে কিতাবের পাচায়। ;- তোমাদের মধ্য এমন এক দল হওয়া উচিত যারা ইসলাম বা কল্যানের দিকে ডাকবে , সৎ কাজের উপদেশ মন্দ কাজে নিষেধ করবে . তাঁরাই প্রকৃত সফলকাম ও কামিয়াব। (আল ইমরান আয়াত ১০৪) 

এই আয়াত কে দলিল দেয়। 
আর বলে আমরা সেই শ্রেষ্ট উমমত ।

 তারা ডাকে আমাদের(মুসলিম) কে মসজিদে ঘুমানোর জন্য মুসলিম হয়ে তাদের দলে যেতে।  কিন্তু হিন্দু খৃষ্টান কে কোন দিন কি ডেকেছে ? যদি ডেকে থাকে তো প্রমান দিন।  

আর আয়াত কাদের জন্য ? সবাই কে এই কাজ করতে পারে ? 
না।  বরং এই কাজ কে আল্লাহ এক দল কে উদ্দেশ্য করে বলেছেন। এটা সবার জন্য।  কিন্তু তারা বলে আমরাই সেই দল। 

তাদের দাবির কোন মুল্য নাই।  কারন এই কাজ শুধু আলেম সম্প্রদায় ও হক্কানী পীর মাশায়েখ গন করে আসছেন।
এমন কি হাদিসে এ ও আছে উমমতে মোহাম্মদি এর আলেম গন বনীইসরাইলের নবীগনের মত(কারো যদি চুলকানি হয় তো তাদের কিতাব থেকে প্রমান করব) ।  তাঁরাই হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান কে দীনের দাওয়াত দিয়ে মুসলমান করেছেন।  মুসলমান ডেকে ডেকে মসজিদ ভর্তি করে নাই।  পিকনিক স্পষ্ট বানায় নাই।     আর নির্ভরযোগ্য তাফসীর থেকে তা প্রমানিত।  কেউ প্রমান চাইলে দিতে রাজী আছি আমি।  


তো বল এখন কোথায় তোমাদের ইমান আর কোথায় থাকে তোমাদের তাবলীগ ? 
যা কোন কাজে আসবে না।  

নবী পাকের শরীর মোবারক যারা চুরি করতে গিয়েছিল তারা ও নামাজ পড়ত, নামাজ পড়ে আর আল্লাহ করে যদি জান্নাত পাওয়া যায় তা হলে কিন্তু তাদের কে ও জান্নাত দিতে হবে আল্লাহ পাক কে।  
তাই শুধু নামাজ কালাম না।  বরং আকিদা ও বিশুদ্ধ হতে হবে।  এমন আকিদা থাকা সমীচীন নয় যে আমরা নবীর মত।  আর নবী আমার মত।  
আর যদি থাকে তো জাহাননাম তোমার যায়গা তা মনে রাখ।  


সোহেল রানা 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন