রবিবার, ১৮ জানুয়ারী, ২০১৫

ইমাম আহমেদ রেজা

আশরাফ আলী থানভী বলে, “(ইমাম) আহমদ রেযা খানের প্রতি আমার গভীর শ্রদ্ধা রয়েছে, যদিও তিনি আমাকে ‘কাফের’ বা অবিশ্বাসী বলেন; কেননা আমি ভালভাবে অবগত যে এর কারণ হলো মহানবী (দ:)-এর প্রতি তাঁর অগাধ ভালোবাসা ও ভক্তি-শ্রদ্ধা।” (সাপ্তাহিক চাতান, লাহোর, ২৩শে এপ্রিল ১৯৬২)

মওদূদী বলে, “মওলানা আহমদ রেযা খানের সুগভির পান্ডিত্য সম্পর্কে আমার শ্রদ্ধা রয়েছে। বস্তুতঃ ধর্মীয় দর্শনে তাঁর আছে গভীর জ্ঞান। তাঁকে বিদ্বান হিসেবে এমন কি সে সকল ব্যক্তিও স্বীকার করে, যারা অনেক বিতর্কিত বিষয়ে তাঁর সাথে একমত নয়।” (মাকালাতে এয়াওমে রেযা, ১-২ খন্ড, ৬০ পৃষ্ঠা)

ড: তাহিরুল কাদেরী বলেন, “ইসলাম ধর্মের প্রতি ইমাম সাহেবের নানাবিধ খেদমতের দিকে তাকানো এক সুখকর চমক। দৃশ্যতঃ তিনি একজন সংস্কারক (মোজাদ্দেদ), ব্যাখ্যাকারী (ভাষ্যকার), এবং এর পাশাপাশি উদ্ভাবক।

”ধর্মীয় বিশ্বাস ও মযহাবের দৃষ্টিকোণ থেকে তাঁর কর্মের মূল্যায়ন করলে তাঁকে মনে হবে একজন উদ্ভাবক ও ব্যাখ্যাকারী (ভাষ্যকার)। ফেকাহ বা শরয়ী বিধি-বিধানের দৃষ্টিকোণ থেকে তিনি একজন সৃজনশীল ফকীহ। সর্বোপরি, তরীকাপন্থী হিসেবে তিনি এক মহা-সংস্কারক।” (ড:তাহিরুল কাদেরী কৃত ‘হযরত মওলানা আহমদ রেযা খান বেরেলভী কা ইলমী নাযম’, লাহোর, ১৯৮৮, পৃষ্ঠা ১৫)

[ওপরের উদ্ধৃতিগুলো অধ্যাপক ড: মাসউদ আহমদ সাহেবের ‘ইমাম আহমদ রেযা’ শীর্ষক বই থেকে নেয়া হয়েছে, যার স্ক্যানকৃত কপি এর সাথে সংযুক্ত।]
SEP 30, 2013 · 5 PHOTOS · PUBLICPublic

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন