সোমবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০১৫

খোদা তায়ালা মিথ্যা বলতে পারেন । দেওবন্দি দের আকিদা

খোদা তায়ালা মিথ্যা বলতে পারেন । 

এটা আমার কথা না।  এটা হচ্ছে আমাদের দেশের তেতুল সফির পুর্বসুরী দের। 
যেমন ইসমাইল দেহলোভি (দেওবনদি ও আহলে হাদীস দের ইমাম)  লিখেছেন ;- সুতরাং আমরা মানি না যে আল্লাহ তায়ালা সত্তাগত ভাবে মিথ্যা বলতে অক্ষম। অন্যথায় ( যদি মেনে নেই মিথ্যা বলতে পারে না) একথা অনিবার্য হয়ে যাবে যে মানুষের ক্ষমতা মহান রবের ক্ষমতা থেকে ওনেক বেশি (রেসালায়ে এক রোযাহ) ফার্সী। পাকিস্তান মুলতান থেকে মুদ্রিত। পৃষটা ১। 

এই কথা টা একটু খেল দেখি। মিথ্যা বলা কি ক্ষমতাবান দের কাজ ? যে আল্লাহ যদি মিথ্যা না বলেন আর বানদা মিথ্যা বলে আল্লাহ কে পিছনে ফেলে যাবেন !
বান্দা এমন ওনেক কিছু করে থাকেন যা মহান আল্লাহ পাকের করা তার নিজের শান এর খেলাপ। যেমন আমরা বিয়ে করি মিলন করি বাচ্চা পয়দা করি। আল্লাহ পাক কি এসব করেন ? (নাউযুবিললাহ ) আপনার কথা মতে কি ওল্লাহ এই সকল ক্ষেত্র বান্দার পিছনে পড়ে গেলেন না ? 
এই জন্য বলি ওহাবি দের মাথায় গোবর আর চোখে দেখে ইংরেজ দের ডলার। 
জবাব দিবেন যদি কোন মাতের লাল থেকে থাকেন। 

ওহাবি দের ইমাম সানাউল্লাহ অনৃতসরী লিখেছেন ;- আল্লাহ তায়ালা মিথ্যা বলতে পারেন বলে বিশ্বাস করা  অবিকল ইমানই (আখবার এ আহলে হাদীস ) পৃষ্ঠা ২ , ২৭ আগষ্ট ১৯১৫

আল্লাহ মিথ্যা বলতে পারেন বলে বিশ্বাস করা যদি পুর্নাংগ ইমান হয় তা হলে তো বানদা দের মিথ্যা বলার কারনে তারা জন্নাত পাবে। কারন আল্লাহ ও মিথ্যা বলেন (নাউযুবিললাহ ) তো আমরা মিথ্যা বললে সাজা পাব কেন ? এটা কি যুলম নয় বান্দার প্রতি ? তবে আপনাদের মতে আল্লাহ পাক ও যুলুম করেন।  পরে কোন দিন লিখব এই বিষয়। 


আর এক পন্ডিত লিখেছেন যে ;- আল্লাহ তায়ালা মিথ্যা বলতে পারেন বলে বিশ্বাস করা কুফর নয় (সাম এ তাওহিদ ) পৃশঠা ১ 
তোর আল্লাহ মিথ্যা বাদি।   তোর বিশ্বাস ঠিকই আছে তোর আল্লাহর বিষয়।  আমার মালিক এই সরল না পাক থেকে মুক্ত।  

দেওবন্দি দের ইমাম ও কুতুব রশিদ গাংগুহী লিখেছেন যে ;- ইমকান এ কাযেব (আল্লাহর পক্ষে মিথ্যা বলে সম্ভব) এ অর্থাৎ যে যা কিছুর আল্লাহ তায়ালা নির্দেশ দিয়েছেন তার বিরুধিতা করতে পারেন। কিন্তু তিনি তা সেচছায় করবেন না । এ আকিদা আমার( ফাতওয়ায়ে এ রাশিদিয়া (১ খ পৃষ্টা ৫৫

আচ্ছা আল্লাহ আমাদের কি কি কি করার নির্দেষ দিয়েছেন ? নামায,রোযা,হজ্জ ,যাকাত,কালেমা, সদা সত্য বল।  আল্লাহ যা দেখে ক্রোধান্বিত হন তা না করা।  শিরক না করা। এমন ওনেক আছে।  

আচ্ছা আল্লাহ আমাদের কে যা কিছু করার নির্দেশ দিলেন আবার সেই সকল কিছুর বিরুধিতা করবে কেন ? 
এটা কি আল্লাহ পাক কে মিথ্যাবাদি ও ধোঁকাবাজ বলা হল না ? আবার বলেছেন যে তবে তিনি সেচছায় করবেন না।  আচ্ছা আল্লাহ কে মিথ্যা বলতে ও ধোকা দিতে বাধ্য করতে পারে এমন কে এমন কে আছে ? 
তার মানে হচ্ছে আল্লাহ কে একই সাথে , মিথ্যাবাদি ,ধোঁকাবাজ, ও আল্লাহ কে আল্লাহ বেতীত অন্য কেউ বাধ্য করতে ও পারে। 
আল্লাহ কে যে বাধ্য করবে নিশ্চিত সে আওলাক চেয়ে ক্ষমতাবান হবে।  আর এ ক্ষেত্রে কি গাংগুহির ইমান এখন ও আছে ? 

মোহাম্মদ ওবাইদুল হক।   জবাব দিবেন আমার কথা গুলোর যদি এক বাপের সন্তান হন। 

তবে কথা হচ্ছে আপনাদের মাঝে এক বাপের সন্তান খুব কম।  কারন উনচিললা দিতে গিয়ে তো বাড়ি খালি হয় আর থাক।  বললাম না।  

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন