বৃহস্পতিবার, ১ জানুয়ারী, ২০১৫

পোশাক আশাক

পোশাক আশাক নিয়ে আমারে ওনেক খোঁচা শয্য করতে হয় প্রতিদিন । আর আমাদের কিছু লেজ কাটা ছুন্নি আছেন তারা ও পোশাক ও মুখে দাড়ির উপর গুরুত্ব আরোপ করেন । মাশা আল্লাহ উভয় সুন্দর কিন্তু যদি উপদেশ গুলো হিংসা পরায়ন হয়ে না হত । 
এখন আমি যা কিছু লিখছি তা ওনেক কঠিন হতে পারে যা কারো জন্য।   তবে সত্য । 
দাড়ি রাখা ওয়াজিব ও এক মুষটির বেশি দাড়ি রাখা ছুন্নাত । তবে আজকাল কিছু পন্ডিত আছে যাদের দাড়ি দেখলে হিন্দু ঠাকুরদের কথা আগে মনে পড়ে । আমার মুখে দাড়ি নাই । আর সপ্তাহ শুক্রবার আমি সেভিং করি । আর গোঁফ ও রাখি না । পোশাক পড়ি যা পাই তাই । দুই ইদ ছারা পাঞ্জাবি পড়ি না । সোজা ঝাপটা কথা । কারন সত্য কে লুকাতে গিয়ে একটা মিথ্যা বললে সেই একটা মিথ্যার জন্য হাজার টা বলার পৃয়োজন হয়ে পড়তে পারে । আর আমি সত্য একটা বলাই পছন্দ করি তা যত কঠিন হোক । 

গত কাল একজন আমাকে কটাক্ষ করল দাড়ি নাই মুখে , ইসলামি পোশাক নাই । আমি বলি ইসলামে পোশাকের কথা বলে ২ টাইপের লোক । এক জাহেল , ২ সুফি । সুফি দের বিষয় একটু পড়ে আসছে । আমারে কেউ যদি হাদিস থেকে ইসলামি পোশাকের বাধ্য বাধকথা দেখাতে পারেন আমি তওবা করব । 

আর দাড়ি । দাড়ি ওয়াজিব । এক মুষটির বেশি ছুন্নাত । কিন্তু যারা দাড়ি রেখে গোঁফে বেলেড লাগিয়ে জাহেরী হুজুরী প্রকাশে বেস্ত যেমন লালা সফি , তাকে বলব যা গোঁফে বেলেড লাগার দলিল দাও । আমার আঁকা গোঁফে যে সেভ করতেন তার পৃমান দাও । বরং গোঁফে বেলেড লাগা হারাম । 

তাই এটা পৃমানিত যে আপনি নিযেই এখনো পরিপূর্ন নন।  খোঁচা মারা বাদ দেন । 

বাকি রইল পোশাক । 

পোশাকের বিষয় বাধ্য বাধ্যবাধকতা নাই আপনার ও আমার জন্য । যা সহজলভ্য তাই উত্তম । 
তবে বর্রনিত আছে নবী পাক পশমি কাপড় পরতেন ও গাধার আরোহন করতেন । 

নবী পাক বলেছেন তোমরা পশমি কাপড় পড় যাতে ইমানের স্বাদ পও । 

নবী পাক আর ও বলেন হে আয়েশা । কাপড়ের অপচয় করবে না যতক্ষন না তালি লাগিয়ে পরিধান করবে । 

হযরত ওমর (রা) কাপের ৩০ টির মত তালি লাগানো থাকত । তিনি বলতেন যে যে কাপড়ের মুল্য কম তাই ভাল কাপড় । 
হযরত হাসান (রা) বলেছেন আমি বদর যুদ্ধে ৭০ জন সাহাবি কে পশমি কাপড় পরিধান করে যুদ্ধ করতে দেখেছি । 
হযরত আবু বকর (রা) পশমি কাপড পরতেন । 
হযরত হাসান বসরী  (রহ) বলেছেন আমি সালমান ফারশি (রা) কে পশমি কাপড় পরিধান করা অপসথায় দেখেছি । 

হযরত ওয়ায়েস কারনী (রহ) এর বিষয় হযরত ওমর . আলী ও হরম ইবনে আব্বাস বরননা করেছেন আমরা তাকে তালি যুক্ত পশমি কাপড় পরিধান অবস্থায়   দেখেছি । 
হযরত হাসান বসরী , সুফিয়ান সাওরি, মালেক ইবনে দীনার সকলেই পশমি কাপড় পরতেন । মোহাম্মদ ইবনে আলি তীরমিযি তার কিতাব তরিকুল মাশায়েখ কিতাবে লিখেছেন প্রথম দিকে ইমাম আবু হানিফা (রহ) পশমি কাপড় পরতেন ।  

আমি এই ভাবে লিখলে দেখা যাবে যে সকল বুযুরগানে দীন পশমি কাপড় বা গুদরী পরতেন । 

আর পৃমানিত যে গুদরী ইসলামের পোশাক হয়ে গেছে । 

আর এটা ও স্পষ্ট যে বেদীন দের অনুসরন করা মানেই বিপদ । 

দাতা আলী হাজবেরী রহ বলেছেন আমরা গুদরী বা পশমি কাপড় পড়ি ও পড়িধানকারি কে ভালবাসি।

সুফিদের পোশাক বা ইসলামি পোশাক পড়ার শর্ত ;- এ কথা ভুললে চলবে না যে পেশাদার সুফি দের কথা আলাদা । কিন্তু যারা সত্যি সুফি ও নিজ মুরিদদের গুদরী পড়া অত্যাবশ্যক ভাবেন তাদের মতে গুদরী পড়া ও কাফন পড়ার একই শর্ত । 

অর্থাৎ দুনিয়া সম্পুর্ণ রুপে ত্যাগ করা যেমন একজন মৃত মানুষ দুনিয়া ত্যাগ করে । 

অন্যথা যদি আপনি লোক দেখানোর জন্য গুদরী বা ইসলামিক পোশাক পরেন তা তা থাইয়া 
করে ঘুরে বেরাতে চান তো মনে রাখুন এই গুদরী বা পোশাকই আপনাকে জাহাননামে নিয়ে যাওয়ার জন্য যথেস্ট হবে । 


তাই আগে নিজের ভিতর কে পাক ও শুদ্ধ করুন এর পর দেখবেন বাহির আপনা আপনি শরিয়াত পালন শুরু করে দিয়েছে । 

আর পোশাক শরিয়াতের মুল বস্তু নয় ।
মুল বস্তু হচ্ছে বিশ্বাস ও কৃতগগতা । 

আর যদি আল্লাহ লেবাস দেখে বিচার করত তা হলে কিন্ত গোলাম আহমাদ কাদীয়ানি ও জান্নাতের হকদার হয়ে যাবে । 

আপনি বা আপনারা যদি কারো হিম্মত থাকে তো লিখিত আকারে আমার পোস্টের জবাব দিবেন।    

এর পর যা বলব কিতাবের পাতা দিয়ে বলব । 

আর আমি সবে তো শুরু করলাম যাত্রা । 

রাস্তা তো ওনেক  দূর 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন