শুক্রবার, ২১ আগস্ট, ২০১৫

ইলম এ গায়েব

কাহু তো কেয়া কাহু ! বোল নেহি আতে 
কাশ হামারী বেখুদি কো 
আপ ভী সামাঝ যাতে

বাংলা হল ;-
 বলব তো কি বলব ? ভাষা পাইনা খুঁজে 
যদি আমার এই ব্যাকুলতা 
আপনারও আসতো বুঝে 

তবে হয়ত এই ব্যাকুলতা আমার মিথ্যা যেত না ।
কোন নির্দিষ্ট বিষয় ছারা আমার লিখতে ভাল লাগে না । 
যেহেতু গতকালকের পোষ্ট ছিল নবী পাক (সা) কে ধ্যান করা গরু মহিষের ধ্যান করার চেয়ে খারাপ এই নিয়ে জবাব , তাই আজ এমন একটা বিষয় যা দেওবন্দি দের গুরু জনাব আশরাফ আলী থানবীর ভাষ্য ;- 





আমার নবীর ইলম এ গায়েব কে আহলে হাদিস রা সীকৃত করে যে আল্লাহ ওনার কাছে গায়েব প্রকাশ করেছেন ও তিনি যখন ইচ্ছা প্রয়োজন বোধে প্রকাশ করেছেন । 

আর এই দেওবন্দি আলেম বলে যে ;- 
নবীর (হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর) যদি কিছু ইলমে গায়েব থেকেও থাকে তাহলে এতে তাঁর বিশেষত্ব কী? এমন ইলমে গায়েব তো সকল চতুষ্পদ জন্তু, পাগল ও শিশুরও আছে। নাঊযুবিল্লাহ! (আশরাফ আলী থানবী, হিফজুল ঈমান, পৃষ্ঠা ৭)

যদি ওনার গায়েবের ইলম থেকে ও থাকে তবে এমন গায়েবের ইলম পশু পাখির ও আছে । 

আমরা যখন সালাম ও দরুদ পেশ করি তখন আমাদের একটা মনে আশা থাকে যে , হয়ত আমার আঁকা যদি চায় তাশরীফ আনতে ও পারেন । আবার ও বলা হচ্ছে যে হয়ত বা আসতে ও পারেন । 

দেওবন্দি আলেম 
আব্দুল হাই লক্ষনভি তার এক কিতাবে লিখেছেন যে ;- নবী পাক (সা) এর কবর জীবনের অন্যতম একটা কাজ হল যে তিনি উম্ম্তে মোহাম্ম্দির কোন মুমিন বান্দা ওফাত পেলে তার জানাযা তে শরিক হয়ে থাকেন ।

তো এই ক্ষেত্রে যদি ধরা হয় যে তিনি মিলাদ ও দরুদ মাহফিলে আসতে ও পারেন তবে তা ভুল হবার নয় বলে মনে করছি । আর যদি ওনার রহমতের দৃষ্টি মদিনা মুনাওয়ারা থেকে ও রোখ করেন তাও কম কিসে ? 
আমাদের কোন আপত্তি নেই এই দুই এ । 

কিন্ত্ তখন দেওবন্দি আলেম রা কিন্ত্ বলে থাকে যে ;- আল্লাহ বলেছেন তোমরা তোমাদের রাসুলের সামনে নিজের আওয়াজ উঁচু করিও না , হয়ত এতে তোমাদের সকল নেক আমল বর্বাদ হয়ে যাবে । 
তো তোমরা যে নবী (সা) কো হাজীর ও নাযির মনে করে জোরে জোরে সালাম দাও , তো ওনার সামনে চো আওয়াজ উঁচু করতে মনা করা হয়েছে , তোমরা কেন কর ? এতে তো তোমাদের আমল নষ্ট হয়ে গেছে সব । 
এই খোরা যুক্তি পেশ করে ওরা । 

অথচ জংগের ময়দানে কি উচ্চস্বরে তাকবির ধ্বনি দেয়া হত না ? 
নবী (সা) এর সামনে নাত গাওয়া কি হয় নাই ? 
 নাকি তাদের ও নেক আমল বর্বাদ হয়্ গেছে ? 

মাঝখানে এই মিলাদ ও দরুদ বিষয়টা ওনেক লম্বা হয়ে গেল । 

তারা আমাদের কে দরুর ও সালাম পেশ করা থেকে দূরে রাখতে চায় এমন সব দলিল গিয়ে যার সাথে এর সম্পর্কই নাই ।
ঘটনা এমন যে শাক দিয়ে মাছ ঢাকা । 

তারা এতই নবীর ইজ্জতের খায়াল করে যে গলা উচ্চ করে সালাম দেওয়া যায়েয মনে করে না । 
আবার তারা কত সুন্দর করে বলে যে ;- যদি ধরেও নেওয়া হয় যে নবী (সা) এর গায়েবের ইলম ছিল , তো এমন ইলম তো পশু পাখির ও পাগল ও শিশুর ছিল , এতে বিশেষত্ব কি ?

ইয়া রব . যারা এতই নবীর ইজ্জতের দাবিদার তারা কি না শেষে  নবীর ইলম কে তুলনা করার জন্য পশু পাখিই খুঁজে পেল ? 
আর কি কিছুই উদাহরন দেয়ার ছিল না ? 

আল্লাহই তাদের বিচার করুন । 

এই গুসতাক এ রাসুল যারা আছে তারা আবার হযরত আহমেদ রেজা খাঁন (রহ) কে গালাগালি করে ও ইংরেজদের দালাল বলে । আল্লাহ ক্ষমা করুন আমার ভাই আপনাকে , আমি একটা ঘটনা তুলে ধরতে চাই ।

এক সময় বেরেলীর সকল আলেম একটা বিষয় নিয়ে ফায়সালা নিতে পারছিল না যে ;- ওনেক সময় নবী পাকের কাপড় মুবারকে ধুলা জমে যেত , ময়লা ও হয়ে যেত । এখন নবী (সা) এর কাপড় ধুলা জমে ময়লা হয়ে গেছে এমন বলতে ওনার ইজ্জ্তের খেলাপ মনে করতে থাকেন সেই আলেম সমাজ। হয়ত বা এটা বেআদবি হয়ে যাবে । তারা কোন ফায়সালা করতে না পেরে ইমাম আহলে সুন্নাত আহমেদ রেজা খান (রহ) কাছে গেলেন আর জিগ্গেস করলেন যে এখন কি বলব ? আমরা যদি বলি ধুলা লেগে আপনার কাপড় ময়লা হয়ে গেছে , আমাদের দিলে ভয় হয় এটা বেআদবি না হয়ে যায় নবী (সা) এর শানে । 
এবার আপনি ফায়সালা করুন আমরা কি বলব ? 

ইমাম আহলে সুন্নাহ আহমেদ রেজা খান (রহ) বলেন যে ;- তোমরা এমন করে কেন বলো না যা , দামান এ মোস্তফা (সা) মে ধুল ওর মিট্টি পানাহ লেলিয়া । 
বাংলা হল ;- তোমরা এমন করে কেন বলো না যে , মোস্তফা (সা) এর কাপড় মোবারকে ধুলি আর মাঠি আশ্রয় নিয়ে নিয়েছে । 


এটা আদব এ মোস্তাফা । এটা ইজ্জত এ মোস্তফা । এটাই শান এ মোস্তফা , এটাই মাকাম এ মোস্তফা । 

অথচ তারা কত সহজেই বলে দেয় যে ;- এমন ইলম তো পশু  পাখির পাগল ও জানোয়ার এর আছে । 
অথচ এদের আলেমের গায়েবের ইলম দেখলে আশ্চর্য হয়ে যাবেন যে এরা এদের দাবি মতে নবী (সা) এর গায়েবের ইলম নেই কিন্ত্ এদের আলেম গায়েবের ইলম দিয়ে নবী রাসুল গনকে পিছনে ফেলে গেছেন । 

আল্লাহ ক্ষমা করুন আমাদের কে এমন আকিদা ও বিস্বাস থেকে । 

সোহেল রানা 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন