শুক্রবার, ২১ আগস্ট, ২০১৫

আহলে কুফ্ফার দের আয়াত ব্যাবহার করে নবী (সা) কে মানুষ বানানোর

আজকে জবাব দেয়ার আগে এই সামান্য একটা কথা বলে রাখছি যে ;- আমার নবী (সা) কে শুধু তাঁরাই সাধারন মানুষের সাথে তুলনা করে যারা আহলে কুফ্ফার । আর তারা যে দলিল গুলো দিবে তাও আহলে কুফ্ফার দের জন্যই যা নাযিল করা হয়েছে তা ।

যেমন তার প্রথম নং আয়াত ;-
তারা আশ্চর্য হয় যে,তাদের(মানুষের) মধ্যে থেকেই তাদের নিকট একজন সতর্ককারী এসেছে। সুতরাং অবিশ্বাসীরা বলে, "এটা তো বড় আশ্চর্য ব্যাপার!”
-সূরা কাফঃ০২

এই যে অর্থ করেছেন , তা কি আপনার নিজের মত করে করা ? 
বরং তাফসীরে ইবনে কাসীর  এ এমন নেই । বলা হয়েছে যে ;-কাফেররা তাদের মধ্য একজন সতর্কাকী আবির্ভুত হতে দেখে বিষ্য়য় বোধ করে , আর বলে , এ চো আশ্চর্য ব্যাপার ।

এর অর্থ তারা বিস্বাস করতে পারে না, যে তাদের মধ্য আল্লাহর নবী এসেছেন , আবির্ভুত হয়েছেন এর মানে কি ? এর মানে হচ্ছে আগে গুপ্ত ছিলেন এর পর প্রকাশ হয়েছেন । 

আর তাফসীর ইবনে কাসীর খন্ড ১৭ পৃ ৫৬ পারা ২৬ এ বলা হয়েছে ;- কাফের রা আশ্চর্য রয়ে গেল যা তাদের মত একজন মানুষ কি করে রাসুল হয়ে গেল । 


ভাই , আপনি কি কাফের ? যে কাফেরদের প্রতি নাযিলকৃত আয়াত পেশ করতেছেন । এখানে কাফেরগন নবী (সা) কে মানুষ মনে করত ও নবী ও রাসুল মান্য করতে কষ্ট হত ।  আপনি ও তো তাই করতেছেন এখানে , যে নবী কে আগে আপনি মানুষ বানাচ্ছেন । 
আর আমি কাফের নই যে আল্লাহর নবী কে মানুষের মত দেখতে ছিল বলে মানুষ মনে করব।  বরং তিনি মানুষের রুপেই একজন আল্লাহর নবী ও রাসুল । 

২ নং আপত্তি ;- 
২)"(শুধু অাপনিই মানুষ নন) অাপনার পূর্বে যে সব পয়গম্বর আমি প্রেরণ করেছিলাম তারাও ছিলো মানুষ,যাদের জন্য আমি
ওহী মঞ্জুর করেছিলাম। যদি তোমরা তা না বুঝে থাক, তবে তাদের জিজ্ঞাসা কর যারা [আল্লাহ্র] বাণীকে ধারণ করে থাকে"
-সূরা আম্বিয়া ০৭

আল্লাহ তাদের উপর লানাত বর্ষন করুন যারা আয়াতে কম বেশি অতিরিক্ত সংযোজন করে থাকে । 
তাফসীর ইবনে কাসীর এ বলা হয়েচে ;- 
তোমার পূর্বে আমি ওহি সব মানুষই পাঠিয়েছিলাম ,তোমরা যদি না জান , তবে জ্ঞানীদের কে জিগ্গেস কর ( সুরা আম্বিয়া ) আয়াত ০৭

উপরে দেয়া তার আয়াত দেখুন ও নিতে আমি আয়াত দিয়েছি তা দেখুন।  কত শব্দের হেরফের । 
তাফসীর ইবনে কাসীর এর খ ১৪ পারা ১৭ সুরা নং ২১ পেজ নং ৩১৩ তে লেখা আছে যে ;- 
কাফিররা ও কাফেরদের পুর্ববরতি কাফেরগন এই কৌশল অবলম্বন করেছিল যে ;- তারা বলত, একজন মানুষ কি আমাদের পথ প্রদর্শন করবে ? (৬৪;৬) 
তারা নবী গন কে নবী মনে করত না বরং মানুষ মনে করত , আর আমার বিজ্ঞ প্রতিপক্ষ কাফেরদের দাবি গুলোকে মজবুত করার জন্য উঠে পড়ে লেগে আছে । 

এর পর বলা হয়েচে যে ;- আল্লাহ তায়ালা আহলে ইলম তথা ইহুদি ও খৃষ্টান ও অন্যন্যার দের কে জিগ্গেস করে দেখ তো , তাদের কাছে কি মানুষই   রাসুল হয়ে এসেছিল ? নাকি ফেরেস্তা ?   বরং এটা আল্লাহ তায়ালার একটা অনুগ্রহ যে ;- মানুষের কাছে তাদের মত মানুষকেই রাসুল রুপে প্রেরন করে থাকেন ,যাতে নবীগনের সাথে উঠাবসা করতে পারে ও শিক্ষা গ্রহন করতে সক্ষম হয় ।আর যাতে তারা তাদের কথাই বুঝতে পারে ।কেউই এমন দেহ বিশিষ্ট ছিলনা যে তাদের পানাহেরের প্রয়োজন হত না , বরং তারা পানাহারের মুখাপেক্ষি ছিল । যেমন আল্লাহ বলেন ;- তোমার পুর্বে আমি যত রাসুল প্রেরন করেছিলাম তারা খাদ্য খেত ও বাজারে চলাফেরা করত (২৫:২০)

তাফসীর ইবনে কাসীর এর খ ১৪ পারা ১৭ সুরা নং ২১ পেজ নং ৩১৩ তে) 

এখন এই আয়াত (১) তো কাফেরদের প্রতি নাযিল , 
(২) পরিবর্তি নবী গনের কথা বর্ননা করা হয়েচে ।
(৩) তা আমাদের নবীর কথা তো বলেনি এখানে ? তাফসির তে তাই বলছে । 

যদি এখানে আমার নবীর কোন নাম ও নিশানা বা কোন চিন্হ থাকে তবে তা পেশ করুন কোন তাফসির থেকে ।
আর হা।  এই আয়াতে ও কাফেরগন নবী দের কে মানুষের মত ছিল বলে মান্য করত না , ও নবী গনকে তাদের নিজ্দের মত মানুষ মনে করত , যেমন এখন তোমরা নিজেদের কে নবী গনের মত মনে কর ।

আমার বিজ্ঞ প্রতিপক্ষ আমার উপর অভিযোগ করেছে যে ;- আমি নাকি আয়াত ছোট খাট করি । 
এটা একটু দেখে নিল সকলে তার 
আপত্তি নং (৩) 
৩)“(মুহাম্মদ সা: অাপনি) বলুন, আমার প্রভু মহিমান্বিত আমি তো হচ্ছি কেবল একজন মানুষ,একজন রাসুল মাত্র"
-বনী ইসরাইল ৯৩

ইবনে কাসীর থেকে আমি পুরো আয়াত পেশ করছি নিচে ;- অথবা তোমার একটু স্বর্ণ নির্মিত গৃহ হবে , অথবা আকাশে আরোহন করবে ।কিন্তু তোমার আকাশে আরোহন করা আমরা বিস্বাস করব না যতক্ষন না সেখান থেকে এক কিতাব  অবতীর্ন না করবে , যা আমরা পাঠ করব ।বল মহান আমার প্রতিপালক , আমি তো শুধু মানুষদের রাসুল (বাসারার রাসুল )(৯৩) 

মিয়া ভাই , উপরের আয়াতের অংশ গুলো লুকিয়ে কেন রেখেছেন ? কাফেরগন আপনার ভাই , তাই ভাইদের কুকির্তি ভাই তো লুকাবেই। 

উপরোক্ত আয়াতের তাফসীর বেশ লম্বা চওড়া । আমি কিছু তুলে ধরছি মাত্র;- 
কাফেরগন যখন আমাদের নবী (সা) গোত্রপতিদের কে ইমানের দাওয়াত দিলেন তখন তারা প্রত্যাখ্যান করেছিল , আর এ ও বলেছিল যে তুমি যদি নবী হয়ে থাক তবে তোমার তো সোনার মহল হবে , তুমি আল্লাহ কে বলে মরুভূমির মাঝে নদী নালা কেন তৈরি করছ না , কেন এই মক্কার পাহাড় গুলো এখানে থেকে সরিয়ে দাও না , কেন এখানে আংগুরের বানা হয় না , এমন কত শত কথা বলত । এমন বলত যে তুমি আকাশে আরোহন করে যতক্ষন না আমাদের জন্য  কোন কিতাব নিয়ে আসবে ও সাথে ফেরেস্তা নিয়ে না আসবে , ততক্ষন পর্যন্ত আমরা ইমান আনব না । 

তাফসীর ইবনে কাসীরের ১৩ খন্ডের ৪২৯ নং পৃষ্টায় লিখেছেন যে ;- এই সব কথা বলার কারন শুধু নবী (সা) কে খাটো করে দেয়া ও লা জবাব করে দেয়া । ইমান অনয়নেক উদ্দেশ্য তাদের মোটেই ছিল না । তাদের ইমান আনার উদ্দেশ্য সত্যি যদি থাকত তবে আল্লাহ তাদের চাওয়া পুরান করতে অবশ্যই সক্ষম ছিলেন।  আর আমার নবী কে আল্লাহ তায়ালা বলেন যে আপনি যদি চাল তবে তাদের চাওয়া পুরা করা হবে , কিন্ত্ এর পর ও যদি তারা ইমান না আনে তা হলে তাদের কে তৎক্ষনাত  দৃষ্টান্ত মুলক সাজা দেওয়া হবে  যা কখনও কাউকে দেই নাই অথবা আপনি তাইলে তাদের উপর (তওবা) রহমতের দরজা খুলে রাখি । আমার নবী দ্বীতিয় টা কবুল করলেন । এবং কাফেরগন কে কিয়ামত পর্যেন্ত অবকাশ দেয়া হল ।(তাফসীর ইবনে কাসীরের ১৩ খন্ডের ৪২৯ নং পৃষ্টায় )

তো উক্ত এই আয়াত ও আহলে কুফ্ফার দের জন্য নাযিলকৃত আয়াত । যারা নবী কে নবী মান্য করত না।  সাধারন মানুষ মনে করত । 
আর আমার প্রতিপক্ষ ও আয়াতের শেষের অংশটুকু আমার পোস্ট এ কমেন্ট করে নবী (সা) কে তার মত মানুষ প্রমান করতে চান । 
কিন্ত্ তার এটুকু কি জানা নাই ? বাশারার রাসুল শব্দের অর্থ কি ? 



আমার বিজ্ঞ প্রতিপক্ষের আর একটা জাহেলিয়াত এর নমুনা দেখুন ;- 
আপত্তি নং ৪
(৪)“তোমাদের(মানুষদের) মধ্য থেকেই তোমাদের প্রতি রাসূল প্রেরণ করেছি , যে তোমাদের নিকট আমার আয়াতসমূহ আবৃত্তি করে, তোমাদের পরিশুদ্ধ করে, এবং তোমাদের কিতাব ও প্রজ্ঞা এবং নূতন জ্ঞান শিক্ষা দেয়।”
-সূরা বাকারাঃ১৫১

এবার আমি পেশ করছি তাফসীর ইবনে কাসীর থেকে , তাতে কি অর্থ কথা আছে দেখুন ;-আমি তোমাদের মধ্য এরুপ রাসুল প্রেরন করেছি , যে তোমাদের নিকট আমার নির্দেশাবলি পাঠ করে , তোদের কে পবিত্র করে ও তোমাদের কে বিজ্ঞান ও গ্রন্থ শিক্ষা দেয়, আর তোমরা যা অবগত ছিলে না তা শিক্ষা দান করে (সুরা বাকারা আয়াত ১৫১) 

তার একটা ঘৃন্য কাজ যে , যে কোন ভাবেই হোক , নবী (সা) কে তার নিজের মত প্রমান করার চেষ্টা করা ।

সে আয়াত বর্ননা করতে গিয়ে লিখেছে ;- তোমাদের(মানুষদের ) মধ্য থেকেই তোমাদের প্রতি রাসুল প্রেরন করেছি । 

আর বিখ্যাত তাফসীর ইবনে কাসীর এ বলা হয়েছে ;- আমি তোমাদের মধ্য এরুপ রাসুল প্রেরন করেছি । 


এখন দেখুন। মোনাফেক কি গাছে ধরে ? 

আপত্তি নং (৫)
৫)“এটা কি মানুষের জন্য আশ্চর্য্যের বিষয় যে, আমি তাদেরই(মানুষেরই) একজনের নিকট আমার ওহী প্রেরণ করেছি?”
-সূরা ইউনুসঃ০২

এই আয়াত ও কেটে পেশ করেছে।  যাই হোক।  

আমি এর একটা প্রমান দিচ্ছি , তাফসীর ইবনে কাসীর থেকে , 

যাহহাক (রহ) ইবনে আব্বাস (রা) থেকে বর্ননা করেছেনে যে (-আল্লাহ যখন মুহাম্মদ (সা) কে রাসুল করে পাঠালেন তখন আরবরা তাকে অস্বীকার করে বসল , আর বলতে লাগল ,আল্লাহ তো এর চেয়ে ওনেক বড় , যে আল্লাহ মুহাম্মদের ন্যায় মানুষ কে নবী করে পাঠাবেন ? 

তখন আল্লাহ বললেন এতে বিশ্বয়ের কিছুই নেই ।(সুরা ইউনুস পারা ১১ পৃ ৮৫৯ ) 

তো আমার ভাই।  এখানে আমার আল্লাহ তো নবী পাক (সা) কে বলেন নি তিনি তোমার মত মানুষ ছিলেন।   বরং কাফের বা বলত নবী পাক (সা) কে মানুষ । তুমি ও কি কাফের ? না তাদের ভাই ? 

যে এই কাফেরদের কে বেজজাত করে যে সব আয়াত নাজিল হয়েছে তুমি সেই সব আয়াত দেখাচ্ছে নবী কে মানুষ বানানোর জন্য ? 


আপত্তি নং (৬) 
৬)"তোমাদের মধ্যে থেকেই তোমাদের নিকট একজন রাসূল এসেছে।”
-সূরা তাওবাঃ১২৮

এই আয়াত কি এত টুকুই ? না আরো আছে ? 
লা ক্বাদ যা'আকুম রাসুলুম মিন আন ফুসিকুম , 
শুধু এই টুকুর বাংলা দিয়েছেন । তাই আবার উল্টা করে । তাফসীর ছারাই। 

তোমাদের নিকট প্রেরিত রাসুল , তোমাদেরই বংশবিজরিত । অর্থাৎ তোমাদের মত তিনিও হযরত ইসমাইলের অধস্তন পুরুষ ।
হযরত ইবনে আব্বাস (রা) বলেন যে আরবের সকল গোত্রের সংগে নবী পাকের বংশীয় সম্পর্ক ছিল ।ইমাম জাফর সাদেক (রহ) বলেছেন যে হযরত আদম (আ) থেকে রাসুলুল্লাহ (সা) সকল অর্ধস্তন পিতা অশুদ্ধ বিবাহ বন্ধন থেকে মুক্ত ছিল ( তাফসীর এ মাযহারী ) ৫ খ পেজ নং ৫৩৭ 

উক্তি আয়াত কাফেরগনের কে উদ্দেশ্য করেই।  কারন যখন কাফেরগন নবী পাকের বংশ নিয়ে ও ওনার জন্ম নিয়ে বাজে প্রোপাগান্ডা করেছিল এটা কখন নাযিল হয় । 

এবার আপনি ও কি এই আয়াত দিয়ে ওনাক জন্ম সুত্রের কোন দোষ প্রমান করতে চান নাকি ? 
আর আমরা কখনই অস্বীকার করি া যে নবী (সা) হযরত আদম (আ) এর সন্তান নন । বরং আমরা এটা মান্য করি যে ,ওনার জাহেরীয়াত বাবা আব্দুল্লাহ এর উরশে মা আমেনার কোলে থেকে জন্ম । কিন্তু দুদিন আগে যে নূর নিয়ে পোষ্ট করেছিলাম তা ছিল ওনার হকিকত । আপনার এই জাহেরীয়াত কে আকড়ে ধরে ওনার হকিকত কে অস্বীকার করে যান বার বার ।

আমি সম্ভব হলে কিছু যোগ করব পরে ।
৭ নং আপত্তি তার ;- 
৭)“তোমাদের পূর্বে আমি যত রাসুল প্রেরণ করেছি তারা সকলেই ছিলো মানুষ যারা খাদ্য গ্রহণ করতো, এবং রাস্তায় চলাফেরা করতো।বস্তুতঃ আমি তোমাদের একজনকে অন্যজনের জন্য পরীক্ষা স্বরূপ করেছি। [হে মোমেনগণ]
তোমরা কি ধৈর্য্য ধারণ করবে?নিশ্চয়ই আল্লাহ্ [সব কিছু] দেখেন(ফোরকান আয়াত ২০) 

এটা ও বিকৃত ; বরং প্রকৃত সত্য হচ্ছে (- 

তোমার পুর্বে আমি যেসব রাসুল প্রেরন করেছি তারা সবাই তো আহার করত, হাটে বাজারে চলাফেরা করত ।হে মানুষ , আমি তোমাদের মধ্য এককে অপরের জন্য পরিক্ষা স্বরুপ করেছি ।তোমরা ধর্যধারন করবে কি ? তোমার প্রতিপালক সব কিছু দেখেন (ফোরকান আয়াত ২০) তাফসীর ইবনে কাসীর থেকে । 

উপরে দেয়া তার কমেন্ট, হুবহু আমি কপি করে দিয়েছি । 

আর নিচে আমি দিয়েছি হুবহু তাফসীর থেকে । একটু মিলিয়ে নেন। নবী কে তার মত মানুষ বানানোর কত চাহিদা তার । আয়াতের অপব্যাক্ষা করতে কোন কম করেনি । 

আর তাফসীর দেখুন কি বলা আছে (- আল্লাহ তায়ালা বলেন যে ;- কাফেররা অভিযোগ উক্ষাপন করে নবী রাসুলদের পানাহার বা ব্যাবসা বানিজ্যের কি প্রয়োজন ? তাদের জবাবে আল্লাহ তায়ালা বলেন , পুর্ববরতি সকল নবী রাসুলই মনুষ্যজনিত প্রয়োজন রাখতেন । ব্যাবসা বানিজ্য , জীবিকা উপার্জন সবকিছুই করতেন ( তাফসীর ইবনে কাসীর , খন্ড ১৫ পারা ১৮ , সুরা ফোরকান আয়াত ২০ পৃ ২৩২) 

এখন কথা হচ্ছে শাখিল সাহেব , আমাদের নবী খানা পিনা করত , ব্যাবসা করত।  তাই কি আপনাদের ও নবী কে মানুষ মনে হয় ? 
যেমন কি কাফের রা বলে নবীর এসব করার কি দরকার ? 
আর আমাদের নবী এই সব করেছে বলেই আপনি মানুষ প্রমান করতে চান ? 
আর কাফেরদের জবাব দেয় এই আয়াত কে পেশ করছেন যে নবী দেখ এই সব কিছুই করত।  তাই তিনি আমার মত মানুষ ? 
আর আয়াত নাই তোমার ?
সব গুলোই কি আহলে কুফ্ফার এর বক্তব্য তোমার দলিল ? মুমিনদের নেই ? 


৮ নং আপত্তি তার ;- 

৮)“মুহাম্মদ একজন রাসুল ছাড়া কিছু নয়, তাঁর পূর্বে বহু রাসুল গত হয়েছেন। যদি তিনি মারা যান কিংবা নিহত হন তবে কি তোমরা পশ্চাতবরণ করবে ? এবং
কেউ পিছটান হলে কখনো সে আল্লাহর সামান্য ক্ষতি করতেও সক্ষম হবে না; আল্লাহ কৃতজ্ঞদের সত্বরই পুরষ্কার দিবেন”
-সূরা আলে ইমরান ১৪৪

মিয়া ভাই। এই আয়াতে তো নবী (সা) কে মানুষ প্রমান করার কিছু ব্যার্থ চেষ্টা তোমার দেখছি না । 
তবে রাসুল যখন বলা হয়েছে , আপনি হয়ত সেই সকল রাসুলের কাতারে দাড় করিয়ে আমার নবী কে খাঁচ করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন ।  করুন। করুন।  মানুষ তো বানাতে পারলেন এই আয়াত দিয়ে। তাই এড়িয়ে গেলাম । 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন