শুক্রবার, ২১ আগস্ট, ২০১৫

তাহেরুল ক্বাদরীকে নিয়ে আপত্তির জবাবা --১

Abdus Salam এর টোটাল ৮ টা আপত্তির জবাব লিখিত আকারেই দিব ইনশাল্লাহ । 

আর যারা হিংসা মুলক আপত্তি  উত্থাপন করে তাদের উপর আল্লাহর লানাত দিয়ে শুরু করলাম । 
আজকে তার প্রথম ৩ টা আপত্তির জবাব দেয়া হল । 


আপত্তি (১)
তাহেরুল পাদ্রী (ক্বাদরী ) বলেছেন ইমাম জালালুদ্দিন রুমি (রহ)  স্বপ্ন যোগে ১৫ বছর ওনাকে ইলম শিক্ষা দিয়েছেন ।অতপর ইলম এর চুড়ান্ত পর্যায় পৌছে গেলে তিনি তাকে নিজের ছেলে করে নেন তাহেরুল পাদ্রী(ক্বাদরী) কে । (ওয়ারিশ বানা দিয়া ) বে ওয়ারিশ উত্তরাধিকারি বানিয়ে দিয়েছেন এই কথা টা ও বলেছেন । কিন্ত্ আমার প্রতিপক্ষ যে কেন যোগ করল না কথা টা ! মনে হয় খোঁট আছে । 

আপত্তি (২) 
ইমাম আজমের কাছে তিনি ১৫-২০ বছর আলম-এ-রুইয়া (দর্শন বা স্বপ্নের জগতে ) শিক্ষা লাভ করেছেন ।

আপত্তি (৩) 
ভিন্ন বয়ানে  বলেছেন যে ৯ বছর ইমাম এ আজমের কাছে থেকে তিনি আলম-এ-রুইয়া (দর্শন বা স্বপ্নের জগতে ) শিক্ষা লাভ করেছেন ।

আপত্তি ৩ টা হলেও মুলত কথা গুলো একই যে শিক্ষা লাভ করার দাবি করেছেন তাহেরুল ক্বাদরী সাবেক আলম-এ-রুইয়া তে ১৫ বছর জালালুদ্দিন রুমি (রহ)র আমার মতে জালালুদ্দিনি সুয়ুতি (রহ) এর কাছে থেকে 
ও এক বর্নানাতে ২০ বছর ইমাম এ আজমের কাছে থেকে ও অন্য বর্ননা থেকে ৯ বছরে ।

আল্লাহর দোহাই লাগে সকলকে যে দল মত বাদ দিয়ে আজকের পোষ্ট এর ফায়সালা করুন আপনারা । 



 ;- ক্বাদরী ওনার নামের পিছনে এই কারনে যে তিনি কাদেরীয়া তরিকার একজন খলিফা ও বড় পীরের মুরিদরা ক্বাদেরী লাগিয়ে থাকে । 
তিনি ক্বাদেরী কে পাদ্রী বলেছেন । বরং তা বড় পীর আব্দুল ক্বাদের জীলানি (রহ) এর নামই বিক্রিত করলেন। ইয়া   আল্লাহ , এর বিচার তোমার হাতেই । 

এর পর তিনি হিংসা তে এতই ডুবে ছিলেন যে জালালুদ্দিনি সুয়ুতি ও জালালুদ্দিন রুমি (রহ) এর মধ্য কোন পার্থক্য দেখতে পারেন না। 

মিয়া ভাই আসলে তিনি জালালুদ্দিন সুয়ুতি (রহ) এর কথা বলেছেন ।  আবার শুনে নেন ভিডিও টা ।

আর প্রত্যেক আকাবের আমাদের রুহানী পিতা । যা আপনাদের কিতাব থেকে শতশত প্রমান বিধ্যমান আছে। তার কিছু তুলে ধরলাম ;-
মাওলানা আশরাফ আলী থানবী বলেছে যে (-আধ্যাত্মিক প্রশিক্ষনের সাথে শায়েখ জড়িত ।পিতা যেমন বৈষয়িক বিষয়ে শিক্ষাদানের সময় স্নেহ করে থাকেন ঠিক তেমন শায়েখ ।
সত্যি বলতে কি আধ্যাত্মিক গুরু পিতার চেয়ে বেশি স্নেহ করে থাকেন ।আধ্যাত্মিক গুরু যা করে থাকেন পিতা তা করতে সমর্থ নন ।আধ্যাত্মিক গুরু মানুষ কে আল্লাহর সাথে যুক্ত করে থাকেন ( আদা-বুল মুয়াশারাত , শায়েখের প্রতি আদব অধ্যায় ) পৃ ৮৯-৯০ ।

শায়েখের আদব কেমন হতে হয় তা জানতে আরো দেওবন্দি আলেমদের কিতাব ( তারবিয়াতুঁত তালেবীন , আকাবির কা সুলুক ও এহসান, মাহমুদুস সুলুক , রুহে তাসাউফ , এরশাদুল মুলক, শরিয়াত  তরিকার কা তালাজুম ) কিতাব গুলো দেখে নিতে পারেন । 

উপরে আশরাফ আলি থানবীর বক্তব্য এটা প্রমানিত যে প্রত্যেক হক পন্থি শায়েখ আমাদের রুহানী  পিতা । 

আমরা তাদের রুহানী সন্তান ।

এই খানে আর একটা আপত্তি আসতে পারে যে ;- মাওলানা জালালুদ্দিন রুমি (তাদের মতে) আমার মতে জালালুদ্দিন সুয়ুতি (রহ) তো মারা গেছেন । তবু ও কি তারা আমাদের রুহানী পিতা ? 

ইমাম গাজালী (রহ) এর কিতাব ইহইয়ুয়ায়ে উলুমুদ্দীন কিতাবে শায়েখের আদব অধ্যায় লিখেছেন যে যদি তোমার শায়েখ ওফাত পেয়ে থাকেন তবে ওনাকে আরো বেশি ইজ্জত ও সম্মান করবে । 
এই বলে তিনি একটা  ঘটনা তুলে ধরেন যে ;- এক মুরিদের মিত্তু দন্ড হয় । তা কার্যকর করার সময় হলে কেবলার দিকে মুরিদের  মাথা করে কাটার সময় তিনি নিজের মুখ স্বীয় পীরের কবরের দিকে করেন । জাল্লাদ বলেন যে ;- কেবলার দিকে মুখ কর । 
আসামী বলেন তুমি তোমার কাজ কর । এই নিয়ে বাদানুবাদ শুরু হওয়ার একটু পরেই রাজা হুকুম দেন যে তাকে ছেরে দেওয়া হোক । 
এর পর গাজালী সাহেব লিখেছেন যে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করেছেন তার স্বীয় শায়েখের মুহাব্ব্তের কারনে । 

হয়ত এখন ওরা গাজালী সাহেবের কথা মান্য করা কষ্টকর হবে কাদের জন্য  ।

শরিয়াত ও তরীকত কা তালাজুম কিতাবের ২০ নং পৃষ্টায় মাওলানা যাকারিয়া লিখেছেন ্যে (- আজকাল ওনেক দুই কলম মাদ্রাসা পড়ুয়া কে বলতে শোনা যায় যে ;- ইমাম গাজালির হাদিস গুলো জাল ও যয়ীফ । অথচ তাদের জানা নাই যে ;- ইমাম গাজালীর ইলম থেকে আমাদের ইলম পার্থক্য করার ইলম টুকুই ও আমাদের নেই 

আর শরীয়ত ও তরিকাত কা তালাজুম কিতাবের লেখক হচ্ছেন সেই  মাওলানা যাকারিয়া যিনি তাবলিগ জামাতের কিতাব ফাযায়েল এ আমললিখেছেন ।  

এর পর মুল  আপত্তি হচ্ছে তাদের যে ;- তিনি স্বপ্নের মধ্য  ১৫ বছর মাওলানা জালালুদ্দিন রুমির কাছে থেকে শিক্ষা লাভ করেছেন । 

এটা তাদের মান্য করতে কষ্ট হয় । 

আল্লাহ তায়ালা ওনেক ভাল  জানে কি সত্যি আর কি মিথ্যা । 

আমি শুধু জবাব দিচ্ছি এই কারনে যে ;- আপনারা যে কারনে তাহেরুল ক্বাদরী সাহেব কে আজ কাটগড়ায় দাড় করিয়েছেন , একই কারনে আপনারা শত বছর আগেই সেই কাটগড়ায় দাড়িয়ে আছেন । দেখুন ;- 

দেওবন্দিগণ দাবী করেন যে, সপ্ন বা ইলহামের মাধ্যমে পুরো একটা কিতাবই একজনের মনে উদ্ভাসিত করা যায়। এটাও দাবী করা যায় যে, সুফীবাদের উপর ভিত্তিকৃত মাসনাবী কাব্যগ্রন্থটি আল্লাহর পক্ষ থেকে জালাল উদ্দিন রুমির মনে জাগরিত করা হয়েছিল।
কিন্তু মিয়া ভাইরা এইটা মানতে রাজী না যে একজন ওলি চাইলে কাউকে শিক্ষা দেওয়া বড় কোন কথা না । 

 দেওবন্দী আলিম মাওলানা হাকিম মুহাম্মদ আকতার  এর লেখা মাসনাবীর উপর ভাষ্যগ্রন্থ, (মারিফ আল-মাসনাবীর ) ২৬ পৃষ্ঠায় বর্ণিত হয়েছে যে, মাসনাবী ঐশী প্রেরণার ফল, যা পরক্ষভাবে মুহাম্মদ রুমীর কাব্যে প্রকাশিত হয়েছে। 

আরো বলা হয় যে, জালাল উদ্দিন রুমীর মৃত্যুর পর স্বর্গীয় অনুপ্রেরণা বন্ধ হয়ে যায়, ফলে মসনবী অসম্পূর্ণ থেকে যায়, যাহোক…মাওলানা রুমী ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে, তারপরে একজন আলোকিত রুহ সম্পন্ন লোক আসবেন, যিনি মসনবী সম্পূর্ণ করবেন। যা নিম্নে উল্লেখ করা হয়েছে ( যা এর বৃত্তান্ত অসমাপ্ত রয়ে যায় . অন্তঃসত্ত্বা রুদ্ধ হয়ে যায় , আর কিছু প্রকাশিত হয় না ।এই কাহিনির অবশিষ্ট অংশ কোন অন্তরদৃষ্টি সম্বলিত লোকের অন্তরে নির্বাকে কথিত হবে ) এই অনুসারে সেই অন্তর দৃষ্টি ওয়ালা হযরত হচ্ছেন মুফতি ইলাহী বখশ কান্ধালভী ( মা-আরিফ এ মসনবী) পৃ ২৭

মুফতি ইলাহী বখশ দ্বাদশ শতাব্দীর লোক ছিলেন আর মাওলানা রুমি ছিলেন সপ্তম শতাব্দীর লোক (মা-আরিফ এ মসনবী ) পৃ ২৮ 

একটা পুরা কিতাবে ঢেলে দিতে পারলেন মাওলানা রুমি এলাহী বখশ এর বুকে । 
আর স্বপ্নের শিক্ষা দিতে পারেন তাহেরুল ক্বাদরী সাহেব কে তা মানতে কষ্ট হয় । আবসোস ।

মাওলানা যাকারিয়া আরো বলেন যে (-মুফতি এলাহি বখশ কান্ধালভী আলম-এ-রুইয়া (দর্শন-স্বপ্নের জগত) থেকে মুল গ্রন্থকার মাওলানা রুমীর থেকে মসনবীর জ্ঞান অর্জন করেছেন এবং তিনিই(রুমী)  মুফতি সাহেব কে মসনবীর ৭ম অধ্যায় সংযোজন করার কাজে নিয়েজিত করেছেন( মাওলানা যাকারিয়ার লেখা (মাশায়েখ এ চিশত , পৃ ২১৯)

আরো মাওলানা আশরাফ আলী থানভী সহ অনেক খলিফাদের থেকে এই ভাষ্যের অনুমদন পাওয়া যায়,। দেখুন মাআরিফ-ই মাসনাবী, পৃষ্ঠা ১০-১৭।

আমি এই (মা-আরিফ এ মাসনবী ) নিয়ে আর বেশি লিখতে চাই না । শুধু এটা প্রমান করতে চেয়েছি যে মাওলানা জালালুদ্দিন রুমি (রহ) ৭ম শতাব্দিত মানুষ হয়ে দ্বাদশ শতাব্দীর মানুষ এলাহী বখশ এর দিলে যদি মসনবী শরিফের ৭ম খন্ড ঢেলে দিতে পারেন তবে ইমাম জালালুদ্দিন রুমি কেন স্বপ্নের মাধ্যমে বর্তমান জামানার মোজাদ্দেদ তাহেরুল ক্বাদরী কে কেন শিক্ষা দিতে পারবেন না ? 
আর আব্দুস সালাম বিশাল একটা ভুল করেছে । ভিডিও তে বলা হয়েছে ইমাম জালালুদ্দিন সুয়ুতি (রহ) এর কথা আর তিনি জালালুদ্দিন রুমি (রহ) কথা বলেছেন । 
আমি জবাব দিয়ে দিলাম ।তা মাওলানা জালালুদ্দিন রুমি (রহ) হোক আর ইমাম জালালুদ্দিন সুয়ুতি (রহ) হোক ।
তাদের উভয়কেই আমরা মান্য করে থাকি । 

আরো কিছু উদাহরন তাদের কিতাব থেকে ;-

আরওয়া এ ছালাছা কিতাবে বলা হয়েছে যে ;-

যে একদা রশীদ আহমেদ গাংগুহি বললেন আমি কি বলব ?  
তাকে বলতে বলা হল যে হযরত বলুন ।
 আবার জিগ্গেস করল আমি কি বলব ? 
আবার ও বলতে বলা হল , 
তিনি আবার জিগ্গেস করলেন আমি কি বলব ? 
অতপর তিনি বললেন যে তিন বৎসর যাবৎ আমার পীর হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজের এ মক্কি (রহ) এর মুখচ্ছবি আমির অন্তরে ছিল , আমি তাকে জিগ্গেস  না করে কিছুই বলতাম না । 

 এর পর তিনি আবার জিগ্গেস করলেন  যে আমি কি বলব ? 
আবার ও লোকজন তাকে বলতে অনুরোধ করলেন ।তিনি উত্তেজিত হয়ে  আবার  বললেন আমি কি বলব ?  ওনাকে বলতে বলা হলে  তখন তিনি বললেন যে :-কিছু বৎসরের জন্য হযরত মোহাম্ম্দ (সা) আমার ভিতরে ছিলেন । আমি তাকে জিগ্গেস না করে কোন কাজই করতাম না ।এর পর তিনি আবার ও জিগ্গেস করলেন যে আমি কি বলব ? তখন লোকজন তাকে (গাংগুহী ) কে পীড়াপিড়ি করতে লাগল যে বলুন । তখন তিনি চুপ করে রইলেন আর কিছুই বললেন না (আরওয়া এ ছালাছা কিতাবের ২৬৫ নং পৃষ্টা , দারুল ইশাক করাচি থেকে প্রকাশিত কাহিনি নং ৩০৬ ও আশেক ইলাহী মারাঠি লিখিত তাযকিয়াত উর রশিদ এর খ ২ পৃ ১৯৭) ( মনে হয় শেষে বলতে চেয়েছিল যে আল্লাহ আমার ভিতরে ছিল কিছু দিনের জন্য , পরে হোস হলে আর বলেন নাই ও চুপ থেকেছেন ) 

আমাদের আলেম কে ইমাম এ আজম আবু হানিফা (রহ) শিক্ষা দিল স্বপ্নের মাঝে বা ইমাম জালালুদ্দিন সুয়ুতি (রহ) হোক আর ইমাম জালালুদ্দিন রুমি (রহ) হোক তাতে তোমাদের আপত্তি থাকে । 

আর যখন তোমাদের আলেমের দিলের মধ্য তিন বছর তার নিজের পীরের ছবি থাকে তখন কি ঠিক আছে সব ? 
আর যখন তোমাদের আলেমের মাঝে (ভিতরে ) হযরত মোহাম্ম্দ (সা) থাকে ও ওনাকে জিগ্গেস না করে একটা কাজ ও করেন না তখন কি সবই ঠিক আছে ? জবাব কি দিবেন ? 

আমার এলাকায় একটা কথা বলে থাকে যে ;- 
তোর বউ মানে  আমার বউ , আর আমার বউ হচ্ছে তোর খালা আম্মা ।
মানে তোর বউয়ের সাথে আমি ফস্টি নষ্টি করতাম তো ঠিক আছে আর আমার বউ তোর খালা আম্মা যেহেতু সেহেতু তুমি ফস্টি নষ্টি করতে পারবে না ।

আপনার চরিত্র ওনেক টা সেই রকম ।

আমরা মান্য করে থাকি যে একজন আল্লাহর ওলি চাইলে তার সাথে সাক্ষাত করা সহ তাকে শিক্ষাদান করতে পারেন ।
যেমন হযরত শাহ জালাল ইয়েমেনি (রহ) হযরত খিজির (আ) থেকে আশির্বাদ পুষ্টি । খাজা গরিব নেওয়ার ও একজন ওলির থেকে আশির্বাদ পুষ্ট । এমন ওনেক আছে। যেতে চাচ্ছি না এ নিয়ে । 

এখন যদি কোন দেওবন্দি বলেন যে এটা কি করে সম্ভব ? ইমাম এ আজম ওফাত পেয়েছেন । এরপর ইমাম জালালুদ্দিন সুয়ুতি বা জালালুদ্দিন রুমী (রহ) তারা উভয় ওফাত লাভ করেছেন । সেহেতু তা কি করে সম্ভব যে তিনি বা তাহারা শিক্ষা দান করবেন ? 

সম্ভব কি করে তা আমার জানা নাই , শুধু জানতে চাইছি উপরে যে মসনবী ঢেলে দিল এলাহী বখশ এর দিলে , তা কি করে সম্ভব ? 
নাকি আপনাদের আলেম বলে সব ঠিক আছে । আপ আমাদের বেলায় দোষ !!!! 


আমি আপনাদের কাছে পাল্টা প্রশ্ন উখ্খাপন করতে চাই আবার ও  এর জবাবে ।

কারন এমন ঘটনা আপনারা কিতাবে লিখিত হয়েছ্ শত বছর আগে । আপনাদেরই উচিত এর জবাব তুলে ধরা আমাদের কাছে আগে । আর তাহেরুল ক্বাদরী সাহেব তো আজ ও জীবিত আছেন । পারলে তার নিজের মুখে থেকে ও এর ব্যাক্ষা শুনে নিতে পারবে । 

আমার আপত্তি তোদের কিতাবে থেকে যা 
তুলে ধরলাম নিচে ;- 

দেওবন্দী দের গুরু আশরাফ আলী থানবী এর লেখা কিতাব (হেকায়াত এ আওলিয়া ) ২২২ নং পেজে নাসির দারুল ইশক উর্দু বাজার করাচী থেকে প্রকাশিত ফোন নং ২১৩৭৬৮ (টেলিফোন) উক্ত পেজে লিখেছেন আম্মে মোহতারাম হজরত মৌলানা হাবিবুর রেহমান বলেছেন যে মলোবি আহমাদ হাসান আমরোহী আর মলবী ফখরুল হাসান সব গান্গুহী এর মাঝে কিছু মতভেদ ছিল কিন্তু ঝগড়া  করার কোন ইচ্ছা ছিল না মলবী আহমাদ হাসান সাহেব আমরোহির . কিন্তু কেন জানি তিনি একদিকে ঝুকে গেলেন আর ঝগড়া অনেক দূর পর্যন্ত বেড়ে গেল তো মৌলানা রফিউদ্দিন সাহেব  মলবী আহমাদ হাসান আমরোহী কে ডেকে পাঠালেন দারুল উলুম দেওবন্দ এ। যখন মলবী আহমদ হাসান সাহেব আমরোহী রফিউদ্দিন সাহেবের কাছে পৌচিলেন তখন দেখেল্ন যে তিনি খালি গায়ে ঘরের বাইরে দাড়ায় ছিলেন আর মৌসুম অনেক বেশি ঠান্ডা শীত ছিল ।  তো রফিউদ্দিনসাহেব বললেন মলবী হাসান সাহেব এই মাত্র আমার সামনে মলবী কাসেম নানুতাভি ওনার সেই সুঠাম চেহরা নিয়ে একদম জিন্দা মানুষের মত হাজির হয়েছিলেন।  আর বললেন যে আহমাদ হাসান কে বল যেন সে এমন ঝগড়া বিবাদে না জরায় । আর আমি ওনাকে দেখে এই শীতের মধেও ঘামে ভিজে পানি পানি হয় গেলাম সাথে সাথে আহমাদ হাসান সাহেব মওলানা রফিউদ্দিন এর হাত ধরে তওবা করলেন আর ওয়াদা  করলেন আর কোনো দিন ও ঝগড়া  করবেন না । 

আমার নবী তাদের মত তার উম্মাতের বিষয় গাফেল ও কোন কিছুই তিনি অবহিত নন ও কাউকে লাগায় করার ইখত্য়ার ও নেই । 

আর 
আপনাদের আলেম কবরে থেকে ও আপনারে মনমালিন্যর সমাধান করতে আসতে পারে ও শিক্ষা দিথে পারে যে ঝগড়া বিবাদে যেন না জড়ায় ও কি হচ্ছে না হচ্ছে তাও জানতে পারেন ।  
তবে ইমাম আজম আবু হানিফা (রহ) ও ইমাম জালালুদ্দিন রুমী বা সুয়ুতি (রহ) কেন পারবেন না ? 

নিচের কাহীনি টা একটু খুঁজে পেত সময় লাগল আমার ;- 
মুনাজির আহসান গীলানি স্বীয় কিতাব সাওয়ানিয়াহে কাসেমী তে লিখেছেন যে তিনি একদিন ছাতা মসজিদে দেওবন্দি মাদ্রাসার মুহাতামিম মাওলানা ইয়াকুব নানুতভী বলেন যে ;-ভাইসব, আজ আমি ফজরের নামাযের সময় মরেই যেতাম , একটুর জন্য বেঁচে গেছি ।লোকেরা আশ্চর্য হয়ে জিগ্গেস করলেন কিনা কি হল ," শেষ পর্যন্ত কি না কি বিপদের সম্মুখীন হলেন ! এটাই শোনার বিষয় ।
এরপর তিনি বলতে শুরু করলেন যে আজ ফজরের নামাযের সময় আমি সুরা মুযাম্মিল পাঠ করছিলাম । হঠাৎ আমার সীনায় জ্ঞানের সমুদ্র প্রবাহিত হতে লাগল , যা আমি বহন করতে পারছিলাম না । আমার মারা যাওয়ার উপক্রম হল ।
তিনি আরো বলেছিলেন যে সেটা ঠিকমতই প্রবাহিত হয়ে গেল , যেমনি হঠাৎ করে এসেছিল ঠিক তেমনি প্রবাহিত হয়ে চলে গেল ।এ জন্য আমি বেঁচে গেলাম ।

জিগ্গেস করা হল যে এই জ্ঞান সমুদ্র হঠাৎ আত্বার উপর চড়াও হয়ে যে অতিবাহিত হয়ে গেল এটা আসলে কি ছিল ? 
তখন তিনি বললেন যে ;-আমি তখন নামাযের পর চিন্তা মগ্ন হলাম যে এটা কি ছিল ! 
তখন আমার কাশফ হল যে মাওলানা কাসেম নানুতভী মিরাট থেকে আমার দিকে মনোনিবেশ করেছিল ।এটা ওনার মনোনিবেশের ফল যে আমার মাঝে জ্ঞান সমুদ্র ঢেউ খেলছিল আর আমার শয্য করা কষ্টা হচ্ছিল ( সাওয়ানিয়ায়ে কাসেমী ১ম খন্ড ৩৪৫ নং পৃ ) 

আমার ভাই বিচার দিলাম আপনার হাতে ।
আল্লাহর ওয়াসতে দল মত বাদ দিয়ে বিচার করুন ।
আমার নবী তার উম্মাতের বিষয় বে-খেয়াল
ও কারো সাহায্য করতে পারেন না । 
আর দেওবন্দের আলেম কবরে থেকে তার অনুসারীর মধ্য জ্ঞানের সমুদ্র বইয়ে দিতে পারেন । 

কিন্ত্ যখন আমাদের আলেম দাবি করেন যে আমাকে ও আলম-এ-রুইয়া তে শিক্ষা দিয়েছেন ইমাম এ আজম বা রুমী রহ বা সুয়ুতি (রহ) তখন এদের পেটে মোচড় মারে কেন ? 

নাকি দুষমনি ? 

আর মজার কথা হচ্ছে যে ওফাত প্রাপ্ত বুযুর্গানে দ্বীনের আত্বাদের সাথে জীবিত মুমিন বান্দাদের আত্বা সাক্ষাত করে থাকেন  নিস্বন্দেহ তা প্রমানিত । 
আপনাদের মহিমান্বিত ও সম্মনিত আলেম ইবনে তাইমিয়া এর ছাত্র হাফেজ ইবনে কাইয়ু্যম তার কিতার (রুহের রহস্য ) এর (মৃত ও জীবিত বেক্তিত্তের রুহ সাক্ষাত করে কি না ) নামে একটা  অধ্যায় কায়েম করেছেন । সেখানে হাদিস কোরান ইজমা থেকে তিনি প্রমান ও করেছেন যে মৃত বেক্তির রুহ ও জীবিতদের রুহ পরষ্পর সাক্ষাত করে থাকে (রুহের রহস্য ) পৃ ৩৩ থেকে ৫৭ পর্যন্ত দেখে নিন ।

আমার দেয়া উপরের রেফারেন্স সহ প্রত্যেকটি কাহিনির আমি নির্ভর যোগ্য প্রমান দিতে বাধ্য থাকলাম । 

আপনারা যদি হালালের সন্তান হয়ে থাকেন তবে ;- 
হয় মেনে নিবেন যে আপনাদের আলেমগন মিথ্যাবাদি , ধোঁকাবাজ ছিলেন ? 

সোহেল রানা 




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন