শনিবার, ১৫ আগস্ট, ২০১৫

কসরের নামায

মুসাফীর ও কসর নামাজ সংক্রান্ত কিছু আলোচনা
[অত্যাধিক গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয় কথা। অবশ্যই শেয়ার করুন]

মুসাফীর কাকে বলে?
মুসাফীর শব্দটি আরবী। এর অর্থ হলো সফরকারী,ভ্রমনকারী।
‘কোন ব্যক্তির স্বাভাবিক বিশ্রাম বজায় রেখে মধ্যম পন্থার পথ চলার তিন বা ততোধিক দিনের ভ্রমন পথ অতিক্রমের ইচ্ছা নিয়ে নিজ
আবাসস্থল থেকে যাত্রা শুরু করাকে সফর বলে।’ আর যিনি সফর করবেন
তাকে বলা হয় ‘মুসাফীর’। মুসাফীরের জন্য শরীয়তের অনেক বিধানই সহজ ও শিথিল করে দেয়া হয়। যেমন...

১. ফরয রোজা ভেঙ্গে ফেলে পরে কাযা করার অনুমতি।
২. চার রাকা’য়াত বিশিষ্ট নামাজ কসর করে দুই রাকায়াত পড়া।
৩. যান বাহনে উপবিষ্ট থাকা অবস্থায় নামায আদায়ের অনুমতি।
৪. যোহর-আসর ও মাগরীব-এশা একত্রে পড়ার অনুমতি। ...

এখানে কসর নামায সংক্রান্ত কিছু আলোচনা করলাম.....
কতটুকু দূরত্ব সফরের নিয়তে কসর হবে?

অধিকাংশ আলেমদের মতে- সাধারণত ৪৮ মাইল দূরত্বের পথ

অতিক্রমের নিয়ত করে ঘর থেকে বের হলে নামায কসর করতে হবে।

কসর শুরু করার স্থান কি হবে?

সফরকারী ব্যক্তি সফরের নিয়তে ঘর থেকে বের হলেও সে নিজ এলাকা/মহল্লায় থাকা অবস্থায় স্বাভাবিকভাবেই নামায আদায় করবে।
যখন সে এলাকা ত্যাগ করবে, তখন থেকে নামাজ কসর করবে।

হযরত আনাস ইবনে মালেক (রা.) বর্ণনা করে বলেন, নিশ্চয়ই রাসুল (সা.) (বিদায় হজ্জের নিয়তে) মক্কা সফরের সময় মদীনায় যোহরের নামায চার রাকায়াত আদায় করেছেন। আর (সফর শুরু করে) যুলহুলায়ফা নামক স্থানে পৌছে আসরের নামায দু’রাকায়াত আদায় করেছেন।
(বুখারী, মুসলিম, মেশকাত-১২৫৪)
# এখানে যুলহুলায়ফা নামক স্থানটি মদীনা হতে প্রায় মাইল দূরে অবস্থিত,
যেখানে এসে রাসুল (সা.) নামায কসর করেছেন।
কতদিনের নিয়তে সফর করে গন্তব্যস্থলে পৌছে কসর করবেন? ...
## যে স্থানে যাওয়ার উদ্দেশ্যে সফর করা হবে, সে স্থানে যদি ১৫ দিনের
কম থাকার নিয়ত হয়, তাহলে ব্যক্তি গন্তব্যস্থলে পৌছে তার নামাজ
কসর করবেন।
## আর যদি গন্তব্যস্থলে তার ১৫ দিনের বেশী থাকার নিয়ত হয়, তাহলে সে স্বাভাবিক চার রাকায়াত নামাজই পড়বেন।
## যদি কেহ ১৫ দিনের কম অবস্থানের নিয়তে বের হয়ে ১৩/১৪ দিন পর দেখেন তার প্রয়োজন পূর্ণ হয়নি, তিনি আবারও ১৫ দিনের কম নিয়ত করে কসর নামায পড়তে পারবেন 
## অন্য শহরে বাসিন্দাগণ নিজ বাড়িতে সফর করলে কোন কসর
পড়া যাবে না। শুধু যাত্রা পথে কসর করবেন।
## রাসুল (সা.) সফরে ফজরের সুন্নত ও বিতরের তিন রাকায়াত ছাড়া
অন্য কোন সুন্নত নামায পড়েন নি। [অত্যাধিক গুরুত্বপূর্ণ পোষ্ট। অবশ্যই শেয়ার করুন]

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন