শুক্রবার, ২১ আগস্ট, ২০১৫

নবী কে মাটির তৈরি বলার আপত্তির জবাব

হাম হে সুন্নি ডরতে নেহি 
শের হে হাম ঘাস চড়তে নেহি 
আগার হিম্মত হে তো টক্বরাও হামছে 
হাম জিন্দা হে ওলিও কি দমছে 
বাংলা হচ্ছে ;- 
আমরা সুন্নি ভয় করি না 
বাঘ আমরা , ঘাস খাই না 
যদি হিম্মত থাকে তো টক্কর নাও আমাদের সাথে 
আমরা বেঁচে আছি ওলি আল্লাহ দের দমে (সাহস বুকে নিয়ে ) 

আমার প্রতিপক্ষ (Zeronine Tamim) সাহেব গতকাল মেনে নিয়েছে নবী (সা) কে মানুষ বলা যাবে না । তবে এবার দৌড় মেরেছে নূর বিষয় নিয়ে ও নবী (সা) কে মাটির প্রমান করার জন্য । 

আমার দোস্ত , নূর নিয়ে তো ৩ টা লিংক দিয়েছিলাম । তার জবাব কই ? নাই । 
আর গতকালকের  যে ২ টা কালামুল্লাহ শরিফের আয়াতের তাফসির চাইলাম সেগুলো কই ? 
উত্তর ;- খবর নাই । 
উল্টা আমারে ধমকি দেয় । সামনে এসে ধমক দেয় না । 

শোন , কারো পোষ্টের খন্ডন কি করে করতে হয় তা আগে শিক্ষা নাও । এর পর ফতোয়া প্রনয়ন্ করতে যেও । 

এই রকম অন্ধের লাঠির মত প্রশ্নের বাণ ছুড়িও না । 

আজকের পোষ্টে সে পোষ্ট করে বলেছে যদি আমি তা মান্য না করি তবে আমি মুশরিক । 
মাশাআল্লাহ । 

ছাল নাই কুত্তার নাম তার বাঘা । 
দম নাই বুকে নাম তার দমদার।

শরম করে এমন ফতোয়া বাণ করতে আমার । 
শুধু চোখে তোমার আংগুল দিলাম , ফতোয়া কার কাঁধে যায় দেখে নাও নিজে থেকে । 

আমার প্রতিপক্ষ্ দোস্ত তার পোষ্ট এ দাবি করেছে সকল মানুষ মাটি থেকে তৈরি । কয়েকটা আয়াত দিয়েছে তা প্রমান করার জন্য । 
তা হল ;- 

অতএব আল্লাহর ভাষায় বাশার হলো : মানুষ আর সকল মানুষই মাটির তৈরি। (সূরা আর রহমান, ৫৫:১২, আল হিজর, ১৫:২৬, আল মু'মিনুন, ২৩:১২)। সকল নবী ছিলেন বাশার। সকল মানুষ আল্লাহর খলিফা। সূরা আল বাকারা ২:৩০, মুহাম্মাদসহ সকল নবীই হচ্ছেন আল্লাহর খলিফা। 

তুমি মনু এই কটা আয়াত পাইছ ? 
আর পাও নাই ! 
দোস্ত, তুমি ঘুঘু দেখেছ , ফাঁদ না , 

আমি দেখাই তোমাকে , দেখে নাও এবার । 

কালামুল্লাহ শরিফে মোঠ ১৪ টা আয়াতে মানুষ মাটির তৈরি বলে পাওয়া যায় । 

আমি যদি সেই আয়াত গুলের তাফসির সমুহ পেশ করি তা হলে এই পোষ্ট হবে একটা কিতাব / 
আমি তবু ও সংক্ষেপে করলাম ;- 

(১) নং আয়াত শরীফ :

ان خلقكم من تراب ثم اذا انتم بشر تنتشرون

অর্থ: তাঁর ( আল্লাহ পাক) উনার নিদর্শনাবলীর মধ্যে এক নিদর্শন এই যে, তিনি মাটি থেকে তোমাদের সৃষ্টি করেছেন। এখন তোমরা মানুষ পৃথিবীতে ছড়িয়ে আছো।”

[ সূরা রুম ২০ নং আয়াত শরীফ]
এর তাফসীর কি দেখেছ ? 
না কি অন্ধেরর লাঠি ? 
আয় দেখ ;- 

 (ক)    ইমাম বাগাবী (রহ) এর কিতাবে 

(ان خلقكم) اي اباكم (من تراب ثم اذا انتم بشر) اي ادم وذريته (تنتشرون)

অর্থ: তিনি তোমাদেরকে অর্থাৎ তোমাদের পিতাকে (আদম আলাইহিস সালাম ) সৃষ্টি করেছেন মাটি থেকে। অতঃপর তোমরা অর্থাৎ হযরত আদম আলাইহিস সালাম ও উনার সন্তান জমীনে ছড়িয়ে পড়েছে।”

দলীল-
√ তাফসীরে বাগবী ৩য় খন্ড ৪৩১ পৃষ্ঠা।

(খ) →বিখ্যাত মুফাসসির, আল্লামা ইমাম কুরতুবী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন-

قوله تعالي (ومن اياته ان خلق كم من تراب) اي من علامته رب بيته و وحدا نيته ان من تراب اي خلق اباكم منه

অর্থ: (আল্লাহ পাক উনার নিদর্শন সমূহের মধ্যে একটি নিদর্শন এই যে, আল্লাহ পাক তোমাদেরকে মাটির থেকে সৃষ্টি করেছেন) অর্থাৎ আল্লাহ পাক উনার রুবুবিয়্যাত ও অহদানিয়্যাত এর নিদর্শন এই যে, তিনি তোমাদের পিতা (হযরত আদম আলাইহিস সালাম ) উনাকে মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন।”

দলীল-
√ তাফসীরে কুরতুবী

(গ)
→ইমামুল হুদা, আল্লামা কাজী ছানাউল্লাহ পানিপথী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন-

ان خلقكم اي خلق اصلكم ادم من تراب

অর্থ: তিনি (আল্লাহ পাক) তোমাদেরকে অর্থাৎ তোমাদের আছল হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনাকে মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন।”

দলীল-
√ তাফসীরে মাজহারী ৭ম খন্ড ২২৯ পৃষ্ঠা।

(ঘ) 
→আল্লামা আবুল লাইছ সমরকান্দী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন-

(ان خلقكم من تراب) يعني خلق ادم من تراب وانتم ولده (ثم اذا انتم) ذريته من بعده (بشر تنتشرون) يعني تبسطون

অর্থ: ( তিনি মাটি থেকে তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন) অর্থাৎ হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনাকে মহান আল্লাহ পাক মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন। আর তোমরা হলে উনার সন্তান উনার পরে পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়েছো।”
দলীল-
√ তাফসীরে সামারকান্দী ৩য় খন্ড ৯ পৃষ্ঠা।


(ঙ)  →বিখ্যাত মুফাসসির, আল্লামা আলাউদ্দীন আলী ইবনে মুহম্মদ ইবনে ইব্রাহিম বাগদাদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি লিখেন-

(ان خلقكم من تراب) اي خلق اصلكم وهو ادم من تراب -(ثم اذا انتم بشر تنتشرون) اي تبسطون في الارض

অর্থ: (তিনি তোমাদেরকে মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন) অর্থাৎ তোমাদের আছল হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনাকে মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন। অতঃরর তোমরা যমীনে ছড়িয়ে পড়েছ মানুষ হিসেবে।”

দলীল-
√ তাফসীরে খাযেন ৩য় খন্ড ৪৩১ পৃষ্ঠা।

এই খানে এই আয়াতে হযরত আদাম (আ) কে বলা হয়েছে যে তিনি মাটি থেকে ও আমরা তাদের সন্তান । 

আমাদের কে মাটি থেকে সৃষ্টি এই কথা কোরআন এর কোন আয়াতে আছে ? 
বরং মানুষ মাটির তৈরি বলতে হয়রত (আদম আ) কে বোঝানো হয়েছে ।

(২)নং আয়াত শরীফ :

মহান আল্লাহ পাক ইরশাদ মুবারক করেন-

ولقد خلقنا الانسان من سلالة من طين

অর্থ: আমি মানুষ মাটির সারাংশ থেকে সৃষ্টি করেছি।”

[ সূরা মু’মিনুন ১২ নং আয়াত শরীফ]

উক্ত আয়াত শরীফ এর তাফসীরে নির্ভরযোগ্য এবং সর্বজনমান্য মুফাসসিরানে কিরামগন কি বলেছেন দেখুন–>>

(ক) বিখ্যাত মুফাসসির, আল্লামা আবু আবদুল্লাহ মুহম্মদ ইবনে আহমদ আনছারী আল কুরতুবী রহমাতুল্লাহি আলাইহি লিখেন-

(ولقد خلقنا الانسان) الانسان هنا ادم عليه اصلاة والسلام قاله وغيره

অর্থ: (নিঃসন্দেহে আমি মানুষকে মাটির সারাংশ থেকে সৃষ্টি করেছি) এখানে “ইনসান” বা মানুষ দ্বারা হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনাকেই বুঝানো হয়েছে। হযরত ক্বাতাদা রদ্বিয়াল্লাহু আনহু এবং উন্যান্য মুফাসসিরগন এরূপই বলেছেন।”

দলীল-
তাফসীরে কুরতুবী ৬ষ্ঠ খন্ড ১০৯ পৃষ্ঠা।
আমি নিচে শুধু তাফসির কিতাব ও রেফারেন্স তুলে ধরলাম ;- 

(খ) - তাফসীরে মাযহারী ৬ষ্ঠ খন্ড ৩৬৭ পৃষ্ঠা।
(গ)- তাফসীরে সামারকান্দী ২য় খন্ড ৪০৯ পৃষ্ঠা।
(ঘ)-তাফসীরে খাযেন ৩য় খন্ড ৩০১ পৃষ্ঠা।
(ঙ)-তাফসীরে বাগবী ৩য় খন্ড ৩০১ পৃষ্ঠা।
(চ)-তাফসীরে মুদ্বিহুল কুরআন ৩৫১ পৃষ্ঠা।

সূতরাং “সূরা মু’মিনুন ১২ নং আয়াত শরীফ” এবং উক্ত আয়াত শরীফ এর ব্যাখ্যা এটাই প্রমান করে যে, সকল মানুষের পিতা হযরত আদম আলাইহিস সালাম তিনিই সরাসরি মাটি দ্বারা সৃষ্টি। অন্যকোন মানুষ নয়। যে কারনে মুফাসসিরিনে কিরামগন উক্ত আয়াত শরীফে “ইনসান” দ্বারা আদম আলাইহিস সালাম উনাকেই বুঝিয়েছেন।

(৩) নং আয়াত ;- 
আল্লাহ পাক কালামুল্লাহ শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন-

واذ قال ربك للملءكة اني خالق بشرا من طين

অর্থ: যখন আপনার পালনকর্তা ফেরেশতাগনকে বললেন, আমি মাটির মানুষ সৃষ্টি করবো।'”

[সূরা ছোয়াদ ৭১ নং আয়াত শরীফ]

মূলত উক্ত আয়াত শরীফ এর তাফসীরে সকল তাফসীরের কিতাবেই এসেছে “মাটির মানুষ” হচ্ছেন হযরত আদম আলাইহিস সালাম।

→এ প্রসঙ্গে বিখ্যাত মুফাসসিরে কুরআন, আল্লামা আবু লাইছ সমারকান্দী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন-

(اني خالق بشرا من طين) يعني ادم عليه السلام

অর্থ: (নিশ্চয়ই আমি সৃষ্টি করবো মাটি থেকে বাশার) অর্থাৎ হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনাকে।”
(ক)-তাফসীরে সামারকান্দী ৩য় খন্ড ১৪১ পৃষ্ঠা।

(খ)-মুদ্বিহুল কুরআন ৪৮১ পৃষ্ঠা।
(গ)-তাফসীরে ক্বাদেরী ২য় খন্ড ৩২৩ পৃষ্ঠা।
এ ছাড়াও 
তাফসীরে বাগবী।

√ তাফসীরে মাযহারী।

√ তাফসীরে রুহুল বয়ান।

√ তাফসীরে রুহুল মায়ানী।

√ তাফসীরে কবীর।

√ তাফসীরে কুরতুবী।
প্রভতি তাফসীর গ্রন্থে হযরত আদম (আ) কেই বোঝানো হয়েছে ।

সূতরাং, পবিত্র কুরআন শরীফের “সূরা ছোয়াদ ৭১ নং আয়াত শরীফ” উনার তাফসীরে জগৎ বিখ্যাত সকল তাফসীরর কিতাব থেকেই আমরা জানতে পারলাম উক্ত আয়াত শরীফ দ্বয়ে “মানুষ মাটির সৃষ্টি” বলতে শুধুমাত্র হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনাকেই বুঝানো হয়েছে, পৃথিবীর আর কোন মানুষকে বুঝানো হয় নাই।

৪) নং আয়াত 
মহান আল্লাহ পাক কুরআন শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন-

الذي احسن كل شءي خلقه وبدأ خلق الانسان من طين

অর্থ: যিনি তাঁর প্রত্যেকটি সৃষ্টিকে সুন্দর করেছেন এবং কাদামাটি থেকে মানব সৃষ্টির সূচনা করেছেন।”

[ সূরায়ে সিজদাহ ৭ নং আয়াত শরীফ]

উক্ত আয়াত শরীফের তাফসীরে মুফাসসিরিনে কিরামগনের অভিমত উল্লেখ করা হলো-

→ বিখ্যাত মুফাসসির আল্লামা আবুল লাইছ সামারকান্দী রহমাতুল্লাহি আলাইহি লিখেন-

(وبدأ خلق الانسان من طين) يعني خلق ادم عليه السلام من طين من ادم الارض

অর্থ: ( তিনি কাদামাটি থেকে মানুষ সৃষ্টির সূচনা) অর্থাৎ হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনাকে জমিনের কাদামাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন।”


(ক) তাফসীরে সামারকান্দী ৩য় খন্ড ২৯ পৃষ্ঠা।
(খ)-তাফসীরে মাযহারী ৭ম খন্ড ২৬৯ পৃষ্ঠা।
(গ)-তাফসীরে খাযেন ৩য় খন্ড ৪৪৫ পৃষ্ঠা।
(ঘ) তাফসীরে কুরতুবী ৭ম খন্ড ৯০ পৃষ্ঠা।
(ঙ)-তাফসীরে রূহুল মায়ানী ১১ তম খন্ড ১২৩ পৃষ্ঠা।
(চ) তাফসীরে রূহুল বয়ান ৭ম খন্ড ১১১ পৃষ্ঠা।
(ছ)-তাফসীরে বাগবী ৩য় খন্ড ৪৪৫ পৃষ্ঠা।
(জ)-তাফসীরে কাদেরী ২য় খন্ড ২৩৬ পৃষ্ঠা।
(ঝ)

সুতরাং:-সূরাতুস সিজদাহ” এর উক্ত আয়াত শরীফ ও ব্যাখ্যা দ্বারা দিবালোকের ন্যায় সুস্পষ্ট ভাবে প্রমানিত হলো, শুধুমাত্র হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনাকেই মহান আল্লাহ পাক সরাসরি মাটি থেকে সৃষ্ট ।

(৫) নং আয়াত ;- 
৫ নং আয়াত শরীফ :

পবিত্র কুরআন শরীফে আল্লাহ পাক ইরশাদ মুবারক করেন-

قال له صاحبه وهو يحاوره اكفرت بالذي خلقك من تراب ثم من نطفة ثم سواك رجلا

অর্থ: তাঁর সঙ্গী তাকে কথা প্রসঙ্গে বললো, তুমি তাকে অস্বীকার করছো যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন মাটি থেকে, অতঃপর বীর্য থেকে অতঃপর পূর্নাঙ্গ করেছেন তোমাকে মানবাকৃতিতে।”

[ সূরায়ে কাহাফ ৩৭ নং আয়াত শরীফ ]

উক্ত আয়াত শরীফে ‘খলাক্কা মিন তুরাব” বা সৃষ্টি করেছি মাটি থেকে, এখানে মাটি থেকে কাকে সৃষ্টি করা হয়েছে সে প্রসঙ্গে মুফাসসিরিনে কিরাম গনের অভিমত উল্লেখ করা হচ্ছে—>

→ মুহিয়্যুস সুন্নাহ, আল্লামা আলাউদ্দীন আলী ইবনে মুহম্মদ ইবনে ইব্রাহীম বাগদাদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার বিখ্যাত তাফসীর গ্রন্থে লিখেন-

(خلقك من تراب) اي خلق اصلك من تراب لان خلق اصله يبب في خلقه

অর্থ: (তোমাদের মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন) অর্থাৎ তোমার আছল ( হযরত আদম আলাইহিস সালাম ) উনাকে মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন। কেননা উনার আছলের সৃষ্টি উনার সৃষ্টির কারন।”

(ক)-তাফসীরে খাযেন ৩য় খন্ড ১৯৯ পৃষ্ঠা।
(খ)-তাফসীরে রূহুল মায়ানী ৮ম খন্ড ২৭৬ পৃষ্ঠা।
(গ)-তাফসীরে মাযহারী ৬ষ্ঠ খন্ড ৩৫ পৃষ্ঠা।
(ঘ)-তাফসীরে সামারকান্দী ২য় খন্ড ২৯৯ পৃষ্ঠা।
(ঙ)-তাফসীরে রূহুল বয়ান ৫ম খন্ড ২৪৭ পৃষ্ঠা।

সুতরাং :-সুরায়ে কাহাফের” এর উক্ত আয়াত শরীফ ও তফসীর দ্বারা প্রমানিত হলো যে, মহান আল্লাহ পাক শুধুমাত্র হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনাকে মাটি দ্বারা সৃষ্টি করেছেন। তাই মুফাসসিরিনে কিরামগন আয়াত শরীফে বর্নিত خلقك “তোমাকে সৃষ্টি করেছেন” এ বাক্যের অর্থ করেছেন হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনাকে মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন, যেহেতু শুধুমাত্র আদম আলাইহিস সালাম মাটির সৃষ্টি ।


উপরেক্ত বর্ননা গুলো থেকে এটা প্রতিয়মান যে মাটি থেকে শুধু হযরত আদম (আ) তৈরি । 

এবার এক নজরে নিচে দেখুন আমরা কিসের তৈরি ;- 
১)-

أَكَفَرْتَ بِالَّذِي خَلَقَكَ مِنْ تُرَابٍ ثُمَّ مِنْ نُطْفَةٍ ثُمَّ سَوَّاكَ رَجُلا 
তুমি কি অস্বীকার করছ? যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন মাটি থেকে এরপর বীর্য থেকে এরপর তোমাকে পূর্ণাঙ্গ করেছেন মানুষের আকৃতিতে? আল-কাহ্ফ, ১৮/৩৭

পেয়েছেন ? 

২)-

الَّذِي أَحْسَنَ كُلَّ شَيْءٍ خَلَقَهُ وَبَدَأَ خَلْقَ الإنْسَانِ مِنْ طِينٍ ثُمَّ جَعَلَ نَسْلَهُ مِنْ سُلالَةٍ مِنْ مَاءٍ مَهِينٍ ثُمَّ سَوَّاهُ وَنَفَخَ فِيهِ مِنْ رُوحِهِ وَجَعَلَ لَكُمُ السَّمْعَ وَالأبْصَارَ وَالأفْئِدَةَ قَلِيلا مَا تَشْكُرُونَ 
তিনি তাঁর প্রতিটি সৃষ্টিকে অতি উত্তম করে সৃষ্টি করেছেন আর মানুষ সৃষ্টির সূচনা করেছেন কাদামাটি হতে; তারপর তার বংশধর বানিয়েছেন তুচ্ছ পানির নির্যাস থেকে; এরপর তাকে সুঠাম করেছেন ও তার মধ্যে রূহ ফুকে দিয়েছেন আর তোমাদের জন্য কান, চক্ষু ও অন্তরসমুহ দিয়েছেন, তোমরা অতি সামান্যই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর। আস-সাজদাহ, ৩২/৭-৯

উপরোক্ত আয়াতে কারীমায় আল্লাহ তায়ালা সুন্দর করেই এর ধারা বর্ননা করেছেন । 

আবার দেখি একটু 

৩)-

إِذْ قَالَ رَبُّكَ لِلْمَلائِكَةِ إِنِّي خَالِقٌ بَشَرًا مِنْ طِينٍ
যখন তোমার রব ফেরেশতাগণকে বলেছিলেন, নিশ্চয়ই আমি মাটি থেকে একজন মানুষ সৃষ্টি করতে যাচ্ছি। সোয়াদ, ৩৮/৭১



>>> আদম আলাইহিস সালাম হতে সকল মানুষকে সৃষ্টি করা হয়েছে <<<
يَا أَيُّهَا النَّاسُ اتَّقُوا رَبَّكُمُ الَّذِي خَلَقَكُمْ مِنْ نَفْسٍ وَاحِدَةٍ وَخَلَقَ مِنْهَا زَوْجَهَا وَبَثَّ مِنْهُمَا رِجَالا كَثِيرًا وَنِسَاءً وَاتَّقُوا اللَّهَ الَّذِي تَسَاءَلُونَ بِهِ وَالأرْحَامَ إِنَّ اللَّهَ كَانَ عَلَيْكُمْ رَقِيبًا
হে মানুষ! তোমরা তোমাদের রবকে ভয় কর, যিনি তোমাদেরকে এক ব্যক্তি থেকে সৃষ্টি করেছেন আর তার থেকে তার সঙ্গিনীকে সৃষ্টি করেছেন; এবং তাদের দুজন থেকে বিস্তার করেছেন বহু পুরুষ ও নারী। আর তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, যাঁর দোহাই দিয়ে তোমরা একে অপরের নিকট দাবী করে থাক এবং আত্নীয়তার সম্পর্কের ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন কর, নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের উপর দৃষ্টিবান রয়েছেন। আন্-নিসা, ৪/১


উপরের আয়াত গুলো থেকে এটা আরো প্রমান হয় যে সকল মানুষ মাটির তৈরি নয় । 


আরো একটু যোগ করলাম ;-لِيَسْكُنَ إِلَيْهَا فَلَمَّا تَغَشَّاهَا حَمَلَتْ حَمْلا خَفِيفًا فَمَرَّتْ بِهِ فَلَمَّا أَثْقَلَتْ دَعَوَا اللَّهَ رَبَّهُمَا لَئِنْ آتَيْتَنَا صَالِحًا لَنَكُونَنَّ مِنَ الشَّاكِرِينَ 

তিনিই সেই আল্লাহ, যিনি তোমাদেরকে এক ব্যক্তি থেকে সৃষ্টি করেছেন আর তার থেকে তার সঙ্গিনীকে বানিয়েছেন যেন তার নিকট থেকে স্বস্তি পেতে পারে অতঃপর যখন সে তার সঙ্গিনীর সাথে মিলিত হল তখন সে অতি হালকা গর্ভ ধারণ করল এবং তা নিয়ে চলাফেরা করতে থাকল; তারপর যখন ভারী হয়ে গেল, তখন উভয়ে তাদের রব আল্লাহকে ডাকল, যদি আপনি আমাদিগকে সুসন্তান দান করেন তবে আমরা আপনার শুকরিয়া আদায়কারীদের অন্তর্ভুক্ত হব। আল-আ‘রাফ, ৭/১৮৯

خَلَقَكُمْ مِنْ نَفْسٍ وَاحِدَةٍ ثُمَّ جَعَلَ مِنْهَا زَوْجَهَا وَأَنْزَلَ لَكُمْ مِنَ الأنْعَامِ ثَمَانِيَةَ أَزْوَاجٍ يَخْلُقُكُمْ فِي بُطُونِ أُمَّهَاتِكُمْ خَلْقًا مِنْ بَعْدِ خَلْقٍ فِي ظُلُمَاتٍ ثَلاثٍ ذَلِكُمُ اللَّهُ رَبُّكُمْ لَهُ الْمُلْكُ لا إِلَهَ إِلا هُوَ فَأَنَّى تُصْرَفُونَ 
তিনি তোমাদেরকে এক ব্যক্তি থেকে সৃষ্টি করেছেন অতঃপর তার থেকে তার সঙ্গিনীকে বানিয়েছেন, এবং তিনি তোমাদের জন্যে অবতীর্ণ করেছেন আট জোড়া চতুষ্পদ জন্তু; তিনি তোমাদেরকে তোমাদের মাতৃগর্ভে সৃষ্টি করেছেন এক সৃষ্টির পর আরেক সৃষ্টির মধ্য্ দিয়ে, ত্রিবিধ অন্ধকারে। তিনি আল্লাহ তোমাদের রব, রাজত্ব তাঁরই; তিনি ব্যতীত কোন (সত্য) ইলাহ নেই, তারপরও তোমদেরকে কোথায় ফিরানো হচ্ছে? আয্-আয-যুমার, ৩৯/৬



এখানে থেকে মানুষের সৃষ্টি সমন্ধে পরিষ্কার যে আমরা মাটি থেকে নই । কোরানের আয়াতে চোখ বুলান । সেখানে থেকে উত্তর গ্রহন করুন । 


সো এটা প্রতিয়মান হল পরিষ্কার ভাবে যে সকল মানুষ মাটি থেকে নয় । 

এখন আমি নূর নিয়ে কথা বলতে চাই । কারন আগে মাটি বিষয় টা খন্ডন করলাম এই কারনে যে নবী ( সা) কে মাটির বানানোর জন্য কতগুলো আয়াত ব্যাবহার করা হওয়া থাকে । 
আমি সেই গুলির তাফসির ও পরবর্তিতে 
কিছু আয়াত দিলাম যাতে প্রমান হয় আসলে সকল মানুষ মাঠি থেকে নয় ।

এবার নূর ;- 
নূর বিষয় নিয়ে আমার বিজ্ঞ প্রতিপক্ষ বেশ চালাকির আশ্রয় নিয়েছেন । 
কিন্তু ওনার জানা নেই যে ;- 
উসুল জিন্দা হে হার বে-উসুল কি লিয়ে 
বাংলা হল ;- হক(সত্য) জিন্দা আছে প্রতিটা ভ্রান্তির জবাব দেয়ার জন্য ।
ওনি যা দিব করেছেন তা হল ;-
সুরা মায়েদা আয়াত নং ১৫ ও সুরা আজাবের ৪৫ নং আয়াত ।
এর অর্থ লেখার পরে কোন তাফসীর গ্রন্থের বরাত না দিয়ে নিজে নিজে এই আহলে হাদিসের মুজতাহিদ ফতোয়া প্রনয়ন করেছেন যে ;- সুরা মায়েদা আয়াত ১৫ তে যে নূর বলা হয়েছে তা আমাদের নবী কে নয় বরং তা দ্বীন ইসলাম কে নূর বলা হয়েছে । 

আমি তার কথা গুলো হুবহু তুলে ধরলাম না । কারন এক পোষ্ট এ সব কিছুই শেষ করার ইচ্ছা আমার , নয়তো পোষ্ট ওনেক বড় হয়ে যাবে ।

আমি উক্ত সুরা মায়েদা এর আয়াত নং ১৫ এর তাফসিরুল বিখ্যাত সেই মহান তাফসীরকারকের বক্তব্য তুলে ধরলাম । 

বিশ্ব বিখ্যাত মুফাসসিরে কোরআন হযরত ইবনে আববাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এর বিশ্ব বিখ্যাত তাফসীর গ্রন্থ ইবনে আববাস এর মধ্যে আছে-
قد جاءكم من الله نور و كتاب مبين يعني محمدا صلي الله عليه ؤسلم-
অর্থঃ নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট হতে তোমাদের  কাছে নূর অর্থাৎ মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এসেছেন। (তাফসীরে ইবনে আববাস পৃষ্ঠা ৭২)।
দলিল নং ২
ইমাম আবু জাফর মুহাম্মদ ইবনে জারীর আত্-তবারী রহমতুল্লাহি আলাইহি বিখ্যাত তাফসীর গ্রন্থ ইবনে জারীর এর মধ্যে বলেন-
قد جاءكم من الله نور و كتاب مبين يعني باالنؤر محمدا صلي الله عليه ؤسلم الذي انار الله به الحق واظهربه الاسلام ومحق به الشرك-
অর্থঃ নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট হতে তোমাদের  কাছে নূর অর্থাৎ মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এসেছেন, যে নূর দ্বারা আল্লাহ সত্যকে উজ্জ্বল ও ইসলামকে প্রকাশ করেছেন এবং শিরিককে নিশ্চিহ্ন করেছেন। ( তাফসীরে ইবনে জারীর ৬ষ্ঠ খন্ড, পৃষ্ঠা ৮৬, সূরা মায়িদা আয়াত ১৫)।
দলিল নং ৩
মুহীউস্সুন্নাহ আল্লামা আলাউদ্দীন আলী ইবনে মুহাম্মদ রহমতুল্লাহি আলাইহি  (যিনি ‘খাজিন’ নামে পরিচিত) তাফসীরে খাজেনের মধ্যে বলেন-
قد جاءكم من الله نور و كتاب مبين يعنى باالنؤر محمدا صلي الله عليه وسلم انما سماه الله نور الانه يهداى بالنور في الظلام-
অর্থঃ নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট হতে তোমাদের  কাছে নূর অর্থাৎ মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এসেছেন। আল্লাহ তায়া’লা তাঁর নামকরণ করেছেন নূর, কারণ তাঁর নূরেতে হেদায়ত লাভ করা যায়। যেভাবে অন্ধকারে নূর দ্বারা পথ পাওয়া যায়। (তাফসীরে খাজিন ১ম খন্ড, পৃষ্ঠা ৪১৭)।
দলিল নং ৪
ইমাম হাফেজ উদ্দীন আবুল বারাকাত আব্দুল্লাহ ইবনে আহমদ আন- নাসাফী রহমতুল্লাহি আলাইহি এই আয়াত শরীফ  ( قد جاءكم من الله نور و كتاب مبين) প্রসঙ্গে বলেন-
والنور محمد عليه والسلام لانه يهتداي به كما سمي سراجا منيرا-
আর নূর হলেন মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। কেননা তাঁর নূরেতে হেদায়ত লাভ করা যায়, যেমন তাঁকে উজ্জ্বল প্রদীপ বলা হয়েছে। (তাফসীরে মাদারিক ১ম খন্ড, পৃষ্ঠা ৪১৭)।
দলিল নং ৫
ইমামুল মুতাকাল্লেমীন আল্লামা ফখরুদ্দীন রাযী রহমতুল্লাহি আলাইহি  এই আয়াত শরীফ  ( قد جاءكم من الله نور و كتاب مبين) প্রসঙ্গে বলেন-
ان المراد بالنور محمد صلي الله عليه و سلم وبالكتاب القران-
অর্থঃ নিশ্চয়ই নূর দ্বারা মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং কিতাব দ্বারা আল কোরআন মজীদকে বুঝানো হয়েছে। (তাফসীরে কবীর ৩য় খন্ড, পৃষ্ঠা ৩৯৫, সূরা মায়িদা আয়াত ১৫)।
আর যারা বলে যে ‘নূর ও কিতাবে মুবীন’ দ্বারা কুরআন মজীদকেই বুঝানো হয়েছে, ইমাম রাযী রহমতুল্লাহি আলাইহি  সে সম্পর্কে বলেন-
هذا ضعيف لان العطف يوجب المغايرة بين المعطوف والمعطوف عليه-
এই অভিমত দুর্বল, কারণ আতফ (ব্যাকরণগত সংযোজিত) মা‘তুফ (সংযোজিত) ও মা‘তুফ আলাইহি (যা তার সাথে সংযোজন কারা হয়েছে ) এর মধ্যে ভিন্নতা  প্রমাণ করে। (তাফসীরে কবীর ৩য় খন্ড, পৃষ্ঠা ৩৯৫)।
দলিল নং ৬
ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেনঃ
قد جاءكم من الله نور هو نور النبى صلي الله عليه وسلم-
অর্থঃ নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট হতে তোমাদের কাছে নূর এসেছে, তা হল নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নূর মোবারক।
 (তাফসীরে জালালাইন শরীফ পৃষ্ঠা ৯৭)

দলিল নং ৭
আল্লামা মাহমূদ আলূসী বাগদাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি  বলেন-
  قد جاءكم من الله نور هو نورعظيم هو نور الانوارالنبى المختار صلى الله عليه وسلم الى ذهب قتادة والزجاج-
অর্থঃ নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট হতে তোমাদের কাছে মহান নূর এসেছে । আর তিনি হলেন নূরুল আনোয়ার নবী মোখতার সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। এটাই হযরত কাতাদাহ ও যুজাজের অভিমত। (তাফসীরে রুহুল মাআনী ৬ষ্ঠ খন্ড, পৃষ্ঠা ৯৭)।
দলিল নং ৮
আল্লামা ইসমাঈল হক্কী (রা) বলেন-
قيل المراد باالاول هو الرسول صلى الله عليه وسلم وبالثانى القران-
অর্থঃ বলা হয়েছে যে, প্রথমটা অর্থাৎ নূর দ্বারা রাসূলে করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে বুঝানো হয়েছে এবং দ্বিতীয়টা অর্থাৎ কিতাবে মুবীন দ্বারা কুরআন কে বুঝানো হয়েছে। (তাফসীরে রুহুল বয়ান ২খন্ড, পৃষ্ঠা ২৬৯)
আর অগ্রসর হয়ে বলেন-
سمى الرسول نورا لان اول شيئ اظهره الحق بنور قدرته من ظلمة العدم كان نور محمد صلي الله عليه و سلم كما قال اول ما خلق الله نورى-
অর্থ: আল্লাহ তায়া‘লা রসূল আকরাম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নাম রেখেছেন নূর। কেননা আল্লাহ তায়া‘লা তাঁর কুদরতের নূর থেকে সর্বপ্রথম যা প্রকাশ করেছেন তা তো মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নূর মোবারক। যেমন তিনি ফরমায়েছেন- আল্লাহ তায়া‘লা সর্বপ্রথম আমার নূর মোবারক কে সৃষ্টি করেছেন। (তাফসীরে রুহুল বয়ান ২য় খন্ড, পৃষ্ঠা ৩৬৯)।
দলিল নং ৯
ইমাম মুহীউস সুন্নাহ আবু মুহাম্মদ আল- হোসাইন আল-ফাররা আল-বাগাভী রহমতুল্লাহি আলাইহি  বলেন-
قد جاءكم من الله نور يعنى باالنؤر محمدا صلي الله عليه وسلم-
অর্থঃ নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট হতে তোমাদের  কাছে নূর অর্থাৎ মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এসেছেন। (তাফসীরে মাআলিমুত তান্যীল, ২য় খন্ড, পৃষ্ঠা ২৩, তাফসীরে খাযিনের পাদ টীকা)
এ ছাড়া আরো অনেক তাফসীর গ্রন্থর মধ্যে আছে যে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর নূরঃ-
সুরা মায়েদা পারা ৬, ১৫ নং আয়াতে  নূরের ব্যাখ্যাঃ-
১। তাফসীরে মারেফুল কোরআন পৃষ্ঠা ৫৪।
২। তাফসীরে আবি সউদ ২য় খন্ড, পৃ- ২৫১,
৩। তাফসীরে রুহুল বয়ান ২য় খন্ড, পৃ- ৩৬৯,
৪। তাফসীরে রুহুল মায়ানী ১ম খন্ড, পৃ- ৩৬০, ৬ষ্ঠ খন্ড, পৃষ্ঠা ৯৭,
৫। তাফসীরে ইবনে জারীর ৬ষ্ঠ খন্ড, পৃ- ৮৬,
৬। তাফসীরে কবীর ১১তম খন্ড, পৃ- ১৬৩,
৭। তাফসীরে কুরতুবী ৬ষ্ঠ খন্ড পৃ- ১১৮,
৯। তাফসীরে বায়জাভী ১ম খন্ড, পৃ- ৬৪,
১০। তাফসীরে মাজহারী ৩য় খন্ড, পৃ- ৬৮,
১১। তাফসীরে কবীর ৬ষ্ঠ খন্ড, পৃ- ৪৬২,
১২। ছফওয়াতুত তাফাসীর ২য় খন্ড, পৃ- ১৪০,
১৩। তাফসীরে দুররে মানসুর ২য় খন্ড, পৃ- ১৮৭, তাফসীরে নূরুল কোরআন ৬ষ্ঠ খন্ড, পৃষ্ঠা ১৬১, তাফসীরে নঈমী ৬ষ্ঠ খন্ড, পৃষ্ঠা ২৯৫।


আমার দোস্ত , তুমি কি দুষমনি করতে চাও ? না কি নিভাতে চাও ? 
বড় পড় ঐক্য ও সংহতির বুলি ছুড়ত্ই আছ তুমি । 
কিন্ত্ নিজে কত বড় জাহেল হলে নিজে নিজে মুজতাহিদ হয়ে ফতোয়া দিতে পারো ! চিন্তা কি করেছে ? 


তোমার যা দাবি ছিল সুরা মায়েদা ১৫ নং আয়াতে যে দ্বীন ইসলাম কে নূর বলা হয়েছে তা যথাযত দলিলাদি দিয়ে খন্ডন নয় শুধু বরং তুলে ছুড়ে মারা হয়েছে । 

এর পর সুরা আজাবের ৪৫ নং আয়াত কে টেনে এনেছ , ভাল কথা । 
এই খানে আর একটা ছলচাতুরির আশ্রয় গ্রহন করেছে সে ।
 সেটা হচ্ছে উক্ত আয়াতে নবী (সা) কে নূর বলা হয়েছে । কিন্তু নূরের তৈরি বলা হয় নাই । 

কথা হচ্ছে আবু জাহেল আবু লাহাব সেই যুগে ও নবী পাক (সা) কে সাধারন মানুষ মনে করত আজ যারা বেচা আছে তাদের উরসজাত তারা নির্বিঘ্নে বে-হায়ার মত এই কাজটি করেই যাচ্ছে । 
কোরানে নবী (সা) কে উক্ত আয়াতে নূর বলা হয়েছে , সে কিন্তু তা মেনে নিয়েছে । এখন মানতে পারছে না নবী নূরের তৈরি । 

আমি উপরে হযরত আদম (আ) এর তৈরিকৃত বর্ননা ও কিছু আয়াতের ব্যাখা তাফসির সরকারে এটা প্রমান করেছিলাম যে ;- হযরত আদম (আ) ব্যাতীত কোন মানুষ মাটির তৈরি না । 
যদি বন্ধু তোমার কাছে এ থেকে কোন দলিল থাকে খন্ডন করার মত তবে করে দেখাও । 

আমি এবার হাদিসের দিকে চোখ দিলাম । 
আমার নবী নূর ছিল কি না তা প্রমানের জন্য । 


وعن ابلى هريرة رضى الله عنه ان رسول الله صلى الله عليه و سلم سائل جبريل عليه السلام فقال يا جبريل كم عمرك من السنين فقال يا رسول الله مست اعلم غير ان فى الحجاب الرابع نجما يطلع في سبعين الف سنة مرة رايته اثنين و سبعين الف مرة فقال يا جبريل و عزة ربى جل جلا له انا ذالك الكوب-

অর্থ :  হযরত আবু হোরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু  থেকে বর্নিত,

কোন এক সময় হযরত রাসুল করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হযরত জিব্রাঈল আলাইহিস সালাম এর নিকট জিজ্ঞাসা করিলেন " হে জিব্রাইল! তোমার বয়স কত বৎসর হইয়াছে?"হযরত জিব্রাইল আলাইহিস সালাম উত্তর করিলেন," হে আল্লাহর রাসূল! আমি আমার বয়স সম্পর্কে কিছুই বলিতে পারিনা। তবে আমি আপনাকে আমার বয়স সম্পর্কে এতটুকু তথ্য জানাইতে পারি যে, চতুর্থ আসমানে একটি উজ্জ্বল তারকা ছিল, উক্ত তারকাটি ৭০ হাজার বৎসর পর পর আসমানে একবার উদয় হইত। আমি উহাকে ৭২ হাজার বার উদয় হইতে দেখিয়াছি।
তখন নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হে জিব্রাঈল! আমার প্রতিপালকের ইজ্জতের কসম।

 নিশ্চয় আমিই ছিলাম সেই উজ্জ্বল নক্ষত্র বা তারকা ।"

★ ইমাম বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি : আত তাশরীফাতে ফি খাসায়েস ওয়াল মুজিজাত ২/২৫৪ পৃ:
★ইমাম বুখারীর রহমাতুল্লাহি আলাইহি লিখিত : তারিখ উল কাবির
★ ইমাম বুরহান উদ্দিন হালাবী শাফেয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি: সিরাতে হালাবিয়্যাহ ১ম খন্ড:৪৯ পৃ: [ইমাম বুখারীর সুত্রে]
★ আল্লামা ইসমাইল হাক্কী রহমতুল্লাহি আলাইহি : তফসীরে রুহুল বয়ান : ৩/৫৪৩ : সুরা তওবা ১২৮
★ আল্লামা শায়খ ইউসুফ নাবহানী রহমতুল্লাহি আলাইহি : যাওয়াহিরুল বিহার : ৩/৩৩৯ [নিজস্ব সনদে আবু হুরায়রা রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে]
★ আল্লামা শফী উকাড়ভী রহমতুল্লাহি আলাইহি : যিকরে হাসীন : ৩০ পৃ:

® ইমাম বুরহান উদ্দিন শাফেয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহিএকজন গ্রহনযোগ্য মুহাদ্দিস। মোল্লা আলী কারি রহমতুল্লাহি আলাইহি শরহে শিফা ১/৩৭ সহ অসংখ্য স্থানে ইমাম হালাবীর মতামত উল্লেখ্য করেছেন।

® ইমাম হালাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি তার সিরাতে হালাবিয়্যার প্রথমে বলেন, সীরাত গ্রন্থ সমুহে সহিহ, সাক্বীম, দ্বইফ, বালাগ, মুরসাল, মুনকাতা ও মু'দাল হাদিস সমুহ একত্রিত করা হয় কিন্তু জাল বা মওদ্বু হাদিস নয়।
★ সিরাতে হালাবিয়্যাহ : ১ম :৭ পৃ

® ইমাম জাফর সাদেক রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, আন-নাজম বলতে রাসুলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে বুঝানো হয়েছে।

★ ইমাম কুরতুবী রহমতুল্লাহি আলাইহি: জামিউল আহকামুল কুরআন : ১৭/৮৩ পৃ:
★ ইমাম বাগভী রহমতুল্লাহি আলাইহি: মুয়ালিমুত তানযিল : ৭/৪০০ পৃ:
★ ইমাম আলুসী রহমতুল্লাহি আলাইহি: তফসীরে রুহুল মা'য়ানী : ১৪/৪৪ পৃ:
★ কাজী সানাউল্লাহ পানিপথী রহমতুল্লাহি আলাইহি: তফসীরে মাযহারী : ৯/১০৩ পৃ:
★ ইমাম সাভী রহমতুল্লাহি আলাইহি: তফসীরে সাভী : ৪/১২৯ পৃ:
★ ইমাম খাযেন রহমতুল্লাহি আলাইহি: তফসীরে খাযেন : ৪/২০৩ পৃ:
★ ইমাম ইসমাইল হাক্কী রহমতুল্লাহি আলাইহি: তফসীরে রুহুল বয়ান : ৯/২০৮ পৃ:

নুর সম্পর্কিত হাদিসটি নিম্নরোপ :-

حضرت جابر بن عبد اﷲ رضی اﷲ عنہما سے مروی ہے فرمایا کہ میں نے بارگاہِ رسالت مآب صلی اللہ علیہ وآلہ وسلم میں عرض کیا : یا رسول اﷲ! میرے ماں باپ آپ پر قربان! مجھے بتائیں کہ اﷲ تعالیٰ نے سب سے پہلے کس چیز کو پیدا کیا؟ حضور نبی اکرم صلی اللہ علیہ وآلہ وسلم نے فرمایا : اے جابر! بے شک اﷲ تعالیٰ نے تمام مخلوق (کو پیدا کرنے) سے پہلے تیرے نبی کا نور اپنے نور (کے فیض ) سے پیدا فرمایا، یہ نور اللہ تعالیٰ کی مشیت سے جہاں اس نے چاہا سیر کرتا رہا۔ اس وقت نہ لوح تھی نہ قلم، نہ جنت تھی نہ دوزخ، نہ (کوئی) فرشتہ تھا نہ آسمان تھا نہ زمین، نہ سورج تھا نہ چاند، نہ جن تھے اور نہ انسان، جب اﷲ تعالیٰ نے ارادہ فرمایا کہ مخلوق کو پیدا کرے تو اس نے اس نور کو چار حصوں میں تقسیم کر دیا۔ پہلے حصہ سے قلم بنایا، دوسرے حصہ سے لوح اور تیسرے حصہ سے عرش بنایا۔ پھر چوتھے حصہ کو (مزید) چار حصوں میں تقسیم کیا تو پہلے حصہ سے عرش اٹھانے والے فرشتے بنائے اور دوسرے حصہ سے کرسی اور تیسرے حصہ سے باقی فرشتے پیدا کئے۔ پھر چوتھے حصہ کو مزید چار حصوں میں تقسیم کیا تو پہلے حصہ سے آسمان بنائے، دوسرے حصہ سے زمین اور تیسرے حصہ سے جنت اور دوزخ بنائی۔ ۔ ۔ یہ طویل حدیث ہے۔

অর্থ : হযরত জাবির (রা:) আরজ করলেন, ইয়া রাসুলুল্লাহ صلى الله عليه و آله وسلم !!আমার পিতা-মাতা আপনার কদম মোবারক এ কোরবানি হোক,আপনি বলে দিন যে আল্লাহ্ পাক সর্ব প্রথম কি সৃষ্টি করেছেন?রাসুলুল্লাহ صلى الله عليه و آله وسلم বললেন”হে জাবের, নিশ্চই আল্লাহ্ তা'য়ালা সর্ব প্রথম স্বীয় (নিজ) নূর হতে তোমার নবীর নূর মোবারক সৃষ্টি করেছেন !!”তারপর সেই নূর আল্লাহর কুদরতে ও ইচ্ছায় ভ্রমণ রত ছিল। কেননা ঐ সময় লাওহ-কলম , জান্নাত – জাহান্নাম ফেরেশতা , আসমান- জমিন কিছুই ছিল না ।তারপর আল্লাহ্ মাখলক সৃষ্টি করার ইচ্ছা করলেন..তখন এই নূর কে ৪ ভাগ করলেন..প্রথম ভাগ দিয়ে কলম;দ্বিতীয় ভাগ দিয়ে লৌহে-মাহফুজ;তৃতীয় ভাগ দিয়ে আরশ এবং চতুর্থ ভাগ দিয়ে বাকি সবকিছু সৃষ্টি করলেন....।
Note : হযরত জাবের রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উক্ত হাদিসের সনদখানা ইমাম বুখারীর রহমতুল্লাহি আলাইহি দাতা এবং শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক ইবনে হুমাম রহমতুল্লাহি আলাইহি ওনার "জান্নাতুল খুলদ" কিতাবে লিপিবদ্ধ করেছেন। উক্ত হাদিস খানা শাব্দিক পরিবর্তন সহ ""উমর ইবনুল খাত্তাব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু " থেকেও বর্নিত আছে।

References
►Musannaf Abdur Razaq, al-Juz al-Mafqud min al-Juz al-Awwal min al-Musannaf Abdur Razaq, Page No. 99, Hadith Number 18

►Qastalani in Mawahib ul Laduniyah Volume 001, Page No. 71,
►Zurqani in Sharah Mawahib ul Laduniyah Volume 001, Page No. 89-91,

►Ajluni in Kashf al-Khafa (وقال : رواه عبد الرزاق بسنده عن جابر بن عبد اﷲ رضي اﷲ عنهما) Volume 001, Page No. 311, Hadith Number 827

►Halabi in his Sirah Volume 001, Page No. 50,

►Ashraf Ali Thanvi in Nashar ut-Tib Volume 001, Page No. 13

From : 'Iydarusi
Book : Tarekh An Nur as Saafir
Volume : 1
Page : 8

From : Muhaddith 'Abdur Haq Dihlavi
Book : Madarij al-Nubuwwa

He declared this Hadeeth Sound and Authentic

মুহাদ্দিসে আব্দুল হক দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, " এই হাদিস বিশুদ্ধ এবং সহিহ "

[Madarij al Nabuwah, Volume No.2, Page No. 2 (Persian edition), Volume No.2, Page # 13 (Urdu Edition), Published by Shabbir Brothers, Urdu, Bazaar Lahore.]

From : Ahmad al-Shami Son of Ibn e `Abidin
Book : commentary on Ibn Hajar al-Haytami's poem al-Ni`mat al-kubra `ala al-`alamin

From : Nabhani
Book : Jawahir Al Bihar
Volume : 3
Page : 354

এই হাদিসটি আরো বিভিন্ন কিতাবে বর্নিত আছে:-

♦দালায়েলুন নবুওয়াত ১৩/৬৩
♦যুরকানী ১/৪৬
♦রুহুল মায়ানী ১৭/১০৫
♦মাতালেউল মাসাররাত ২৬৫ পৃ
♦ফতোয়ায়ে হাদীসিয়া ১৮৯ পৃ
♦আন-নিআমাতুল কুবরা ২ পৃ
♦হাদ্বীকায়ে নদীয়া ২/৩৭৫
♦দাইলামী শরীফ ২/১৯১
♦মাকতুবাত শরীফ ৩ খন্ড ১০০ নং
♦মওজুয়াতুল কবীর ৮৩ পৃ
♦ইনছানুল উয়ুন ১/২৯
♦নূরে মুহম্মদী ৪৭ পৃ
♦আল আনোয়ার ফি মাওলিদিন নবী ৫ পৃ
♦আফদ্বালুল ক্বোরা
♦তারীখুল খমীস ১/২০
♦নুজহাতুল মাজালিস ১ খন্ড
♦দুররুল মুনাজ্জাম ৩২ পৃ
♦কাশফুল খফা ১/৩১১
♦তারিখ আননূর ১/৮
♦আনোয়ারে মুহম্মদীয়া ১/৭৮
♦আল মাওয়ারিদে রাবী ফী মাওলীদিন নবী ৪০ পৃষ্ঠা ।
♦তাওয়ারীখে মুহম্মদ
♦আনফাসে রহীমিয়া
♦মা’ য়ারিফে মুহম্মদী
♦মজমুয়ায়ে ফতোয়া ২/২৬০
♦আপকা মাসায়েল আওর উনকা হাল ৩/৮৩
♦শিহাবুছ ছাকিব ৫০
♦মুনছিবে ইছমত ১৬ পৃ
♦রেসালায়ে নূর ২ পৃ
♦হাদীয়াতুল মাহদী ৫৬পৃ
♦দেওবন্দী আজিজুল হক অনুবাদ কৃত বুখারী শরীফ ৫/৩

ভাই , চোখ দিয়ে কি সর্ষের ফুল দেখ না কি ? 
সুয়াইয়া সবুর বাবা।

এবার আরো কিছু হাদিস সংখিপ্ত ভাবে তুলে ধরছি ;-
১- হাদীছে কুদসী শরীফ-এ এসেছে “মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন “আমি গুপ্ত ভা-ার ছিলাম। যখন আমার মুহব্বত হলো যে, আমি প্রকাশিত হই, তখনই আমি প্রকাশ হওয়ার জন্য সৃষ্টি করলাম মহানতম সৃষ্টি অর্থাৎ আমার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে।” (দাকায়িকুল আখবার)

২)-
 হাদীছ শরীফ-এ এসেছে- হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, আল্লাহ পাক প্রথমে কলম সৃষ্টি করেছেন একখানা নূর মুবারক হতে। (ইবনে আবি হাতিম ১/৪৯, আহমদ ৫/২১৭১, আত্তায়ালিসি ৫৭৭, তিরমিযী ২/২৩, দায়লামী ২)

৩)-ইরশাদ হয়েছে, হযরত মাইসারাতুল ফাজর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, “আমি তখনো নবী ছিলাম, যখন হযরত আদম আলাইহিস্ সালাম রূহ মুবারক ও শরীর মুবারকে ছিলেন।” (আহমদ, তারীখে বুখারী, আলহাবী, ইত্তেহাফুচ্ছাদাত, তাযকিরাতুল মাউজুয়াত, কানযুল উম্মাল, দায়লামী, ত্ববরানী, আবূ নঈম, মিশকাত

৪)-আমি তখনো নবী ছিলাম, যখন হযরত আদম আলাইহিস সালাম পানি ও মাটিতে ছিলেন।” (মিরকাত শরীফ ১১/৫৮)

৫)-, আমি তখনো নবী, যখন হযরত আদম আলাইহিস সালাম তিনি রূহ মুবারক ও মাটিতে ছিলেন। (ইবনে সা’দ, কানযুল উম্মাল ৩২১১২
৬)-আমি তখনো নবী ছিলাম, যখন পানিও ছিল না, মাটিও ছিল না।” (মিরকাত শরীফ ১১/৫৮)

৭)-আল্লামা হযরত আবুল হাসান বিন আবদিল্লাহ আল বিকরী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ‘আল আনওয়ার ফী মাওলিদিন্ নাবিয়্যিল মুহম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ নামক কিতাবের ৫ম পৃষ্ঠায় লিখেন “হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, শুধুমাত্র মহান আল্লাহ পাক তিনিই ছিলেন, তখন অন্য কোন অস্তিত্বই উনার সাথে ছিলোনা। অতপর তিনি পানি, আরশ, কুরসী, লৌহ, ক্বলম, জান্নাত, জাহান্নাম ও পর্দাসমূহ ইত্যাদি সৃষ্টি করার পূর্বে উনার হাবীব সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নূর মুবারক অর্থাৎ উনাকে সৃষ্টি করেন।”

৮)-ইমামুল মুহাদ্দিসীন আল্লামা হযরত শায়খ আব্দুল হক্ব মুহাদ্দিসে দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ‘মাদারিজুন নুবুওওয়াত’ ২য় জিলদ ২য় পৃষ্ঠায় লিখেন ছহীহ হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত হয়েছে যে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, “মহান আল্লাহ পাক সর্বপ্রথম আমার নূর মুবারক অর্থাৎ আমাকে সৃষ্টি করেন।”

৯)-ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, “মহান আল্লাহ পাক সর্বপ্রথম আমার নূর মুবারক তথা আমাকে সৃষ্টি করেন এবং আমার নূর মুবারক থেকে সব কিছুই সৃষ্টি করেন।” (মাতালিউল মাসাররাত, পৃষ্ঠা ২৬৫)



উপরে যো সকল হাদিস দেয়া হয়েছে তাতে এটা সুষ্প্স্ট ভাবে প্রমানিত যে ;- আমাদের নবী হযরত মোহাম্মদ (সা)  তখন ও নবী ছিলেন , যখন হযরত আদম (আ) পানি ও মাটিতে মিশ্রিত ছিলেন । 
তাই আমাদের নবীরে মানুষ বলার কোন উপায় নেই । কারন তেলিকোন তিন মানুষ ছিলেন না , বরং নবী ছিলেন । 

আর যেহেতু আমাদের নবী (সা) হযরত আদম (আ) এর ও আগেই তৈরি তাই মাটি হওয়ার প্রশ্ন আসেই না । কারন তোমাদের কথা থেকে এটা প্রমানিত যে , হযরত আদম (আ) মাটির তৈরি ও ওনেক থেকে সকল মানব তৈরি । 
যেহেতু আমার নবী আগেই তৈরি ছিলেন , সেহেতু মাটি থেকে তিনি মুক্ত । 

আরো কিছু দলিল ;-

মাটির দেহের ছায়া পড়ে , যদি বলি আমার নবী যদি মাটির তৈরি হয় , তবে ওনার ছায়া নেই কেন ;- 
বিস্বাস হয় না ? 
দোস্ত আর একটু দেখ-

১) এ প্রসঙ্গে বিখ্যাত মুহাদ্দিস আল্লামা হাকীম তিরমীযি রহমাতুল্লাহি আলাইহি বর্ননা করেন--

ان رسول الله صلي الله عليه و سلم لم يكن يري له ظل في شمس ولاقمر

অর্থ: নিশ্চয়ই সূর্য ও চাঁদের আলোতে হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছায়া মুবারক দেখা যেত না।"

দলীল-
√ নাওয়াদেরুল উছুল।

(২) ইমামুল মুহাদ্দিসিন, ফক্বীউল মিল্লাত, আল্লামা হযরত মুল্লা আলী ক্বারী রহমাতুল্লাহি আলাইহি আরেকটি সনদে হাদীস শরীফ বর্ননা করেন-

وفي حديث ابن عباس قال لم يكن لرسول الله صلي الله عليه و سلم ظل ولم يقع مع الشمس قط الا غلب ضوءه ضوء الشمس ولم يقع مع سراج قط الا غلب ضوءه ضوء السراج

অর্থ: হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছায়া মুবারক ছিলো না, এবং সূর্যের আলোতেও কখনো উনার ছায়া পড়তো না। আরো বর্নিত আছে, উনার নূর সূর্যের আলোকে অতিক্রম করে যেত। আর বাতির আলোতেও কখনো উনার ছায়া মুবারক পড়তো না। কেননা, উনার আলো বাতির আলোকেও ছাড়িয়ে যেত।"

দলীল-
√ জামউল ওয়াসিল ফি শরহে শামায়িল ২১৭ পৃষ্ঠা

পোষ্ট আমার অতিরিক্ত বড় হয়ে গেছে ;- 
আমি শুধু রেফারেন্স তুলে ধরলাম :- 
(১)-খাছায়েছুল কুবরা ১ম খন্ড ১২২ পৃষ্ঠা ।
২)-আল মাওয়াহেবুল লাদুন্নিয়া আলা শামায়েলে মুহম্মদীয়া ১০৫ পৃষ্ঠা।
৩)-জাওয়াহিরুল বিহার ১ম খন্ড ৪৫৩ পৃষ্ঠা।
৪)-মাদারেজুন নবুওয়াত- ১ম খন্ড- ১ম অধ্যায় ।
৫)তাফসীরে আযীযি-৩০ পারা- সূরা আদ দ্বুহা উনার তাফসী
৬)-মকতুবাত শরীফ-৩য় খন্ড- ১০০ নং মকতুব।
৭)- সুবহুল হুদা ওয়ার রশীদ আল মারুফ বিহী " সীরাতে শামী" ২য় খন্ড ১২৩ পৃষ্ঠা।
৮)-ফতোয়ায়ে ফয়জুর রসূল ২৭ পৃষ্ঠা।
৯)-মুফরাদাত ৩১৭ পৃষ্ঠা 
১০)- এমন কি দেওবন্দিদের রশীদ আহমেদ গাংগুহি লিখেছেন ;- মৌলবী রশীদ আহমদ গাঙ্গুহী লিখেছে --

بتواتر ثابت ثد كه انحضرت صلي الله عليه و سسلم سايه ند اثتند- وظاهر است كه بجز نور همه اجسام ظل مي دارند

অর্থ-- একথা মুতাওয়াতির বর্ননা দ্বারা প্রমানিত যে, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শরীর মোবারকের ছায়া ছিলো না। প্রকাশ থাকে যে নূরের দেহ ছাড়া সকল দেহের ছায়া থাকে।"

দলীল--
;-ইমদাদুস সুলুক ৮৬ পৃষ্ঠা |
১১)- আশরাফ আলী থানবীও বলেগেছেন যে ;- 
এমনকি দেওবন্দী গুরু মৌলবী আশরাফ আলী থানবী বর্ননা করে--

يه بات مثهور ھے كه ھمارے حضرت صلي عليه و سلم كے سایه نهيی تها ( اسلءے كه) همارے حضرت صلي الله عليه و سلم صرتاپا نور هي نور تہے

অর্থ -- একথা প্রসিদ্ধ যে , হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শরীর মোবারকের ছায়া ছিলো না।কেননা হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আপাদমস্তক নূর তথা নূরে মুজাসসাম !"
(শুকরুন নি'মাহ ৩৯ পৃষ্ঠা ।

এমনকি  বিখ্যাত সুফী সাধক, আল্লামা জালালুদ্দীন রুমী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন-

چو فناشي از فقر. پيرا يه او محمد. وار بے سايه بود

অর্থ: যে ব্যক্তি হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জাত মুবারকে ফানা হবে, সে ব্যক্তিও উনার মত ছায়াহীন হয়ে যাবে।


আর বেশি কিছু বলার ইচ্ছা আপাতত নাই । 

আমার হিম্মত দেখতে গিয়ে কতজন যে কই কই হারায় গেল , তুমি মিয়া আমার হাসির খোরাক হইছ ।
তার এই কমেন্ট টা দেখুন ;-আরে আবালের দল,,,,, তোদের সাহস নেই বলে, তোরা একটাও কমেন্ট করিস নি,আমার পোষ্টে। আর আমি প্রতিনিয়ৎ তোদের পোষ্ট গুলোকে দলিল বিত্তিক কমেন্ট করে যাচ্ছি।  #সুফিবাদেরআসলরুফ তোর কলিজাটা কত বড়, তোর কাপুরুষতা দেখাই যাচ্ছে। বুকের মধ্যে সাহস থাকলে, তুই আমার পোষ্টগুলোতে, যে গুলো তোকে ট্যাগ করলাম, ঐ দ্বিতীয় টাতে কমেন্ট করররররররর। যদি মায়ের দুধ খেয়ে থাকিসসসস।

উপরে বলেছিলাম , 
ছাল নাই কুত্তার নাম তার বাঘা । 
দেখে নেন এরে ।

আর এবার আমি বলছি মায়ের দুধ খেলে তুই আমার পোষ্ট এর জবাব দিবি । 
পাপের পয়দা হলে সামনে এসে কথা বলবি ।
হারমজাদা হলে এই বিষেয পরিত্যাগ করে অন্য বিষয় নিয়ে কথা বলা শুরু করবি । 

সোহেল রানা 



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন