শুক্রবার, ২১ আগস্ট, ২০১৫

তাহেরুল ক্বাদরীকে নিয়ে আপত্তির জবাবা --২

এর জবাব 
পর্ব :--২ 


গতকালকের পোষ্ট এর জবাবে এখন ও কোন জবাব পেলাম না। যদি কারন সুর্য় যখন উদুত হয় তখন অন্ধকার যেন মিলিয়ে যায় ঠিক তেমনি আব্দুস ছালাম ও মিলিয়ে গেছে। 

৪ থা আপত্তি ;-স্বপ্নযোগে দিদার লাভ করেন নবী পাকের আর কাকুতি মিনতি করে তাহেরুল কাদরি রাজি করান নবী (সা) কে আর শর্ত দেন যে তাহের আমি থাকব তবে মেজবান তোমারে হতে । আমার থাকা খাওয়া পড়া মদিনা যাওয়া আসা সব খরচ তোমারে বহন করতে হবে । এমন কি পাকিস্তান এর আনাচে কানাচে যাওয়ার খরচ তুমিই বহন করবে । 
তাহেরুল ক্বাদরী রাজী হয়ে গেলেন ও নবী (সা) সাত দিন পাকিস্তান ও তার ঘরে  থেকে যান ।

জবাব ;- আসলে হিংসা কাকে বলে কারো যদি জানা না থাকে তবে তার শেয়ার করা ভিডিও টা আল্লাহর ওয়াস্তে দেখুন ও বুঝতে চেষ্টা করুন।  

এক নং আপত্তি যে সে যেমন জালালুদ্দিন সুয়ুতি (রহ)  যায়গায় জালালুদ্দিন রুমী (রহ)। এর নাম লিখেছে ঠিক এখানে হিংসায় অন্ধ হয়ে শত শত মিথ্যা ও অপব্যাক্ষা জুড়িয়ে দিয়েছে । 

আমি তার বক্তব্য থেকে তুলে ধরার চেষ্টা করছি ;- 
তিনি স্বপ্নে দেখেন যে নবী (সা) পাকিস্তান থেকে ফিরে যাচ্ছিল , আর তাশরীফ আনার জন্য আমি বারবার বারবার আকুতি করতে লাগলাম । তিনি বললেন আমি এই লোকদের  উপর নারাজ । ওনেকক্ষন আকুতি করার পর আমার  আঁকা (সা) এর রাগ মোবারক একটু ঠান্ডা হয় আর তিনি বলেন তাহের আমি থাকব , তবে এক শর্তে । ক্বাদরী সাহেব বলেন যে হুযুর আমি তো কমজোর আমি তো নাদান , আপনার সাথে ওয়াদা কি করে করতে পারি আমি ? 
হুজুর বলেন , তুমি ওয়াদা কর , বাকি সকল বন্দোবস্ত আপনাআপ হয়ে যাবে । ক্বাদরী সাহেব তখন বলেন হুজুর শর্ত মনজুর করলাম । এবার বলুন কি সেই শর্ত ? 
হুজুর বলেন যে আমি পাকিস্তান তাশরীফ আনব এক শর্তে যে তুমি আমার মেজবান হয়ে যাও আর আমি তোমার মেহমান । তুমি এই ওয়াদা কর আমি ওয়াদা করছি যে পাকিস্তান এ আমি আগামি সাঁত দিন থাকব । ক্বাদরী সাহেব বলেন হুজুর আমার সেই অওকাদ (যোগ্যতা) কি আছে ! 
এর পর তিনি হুজুর বলেন যে আমি যতবার পাকিস্তান আসব ততবার আমার যাওয়া আসা খানা পীনা  সব কিছুই তোমাকে বহন করতে হবে এমন কি মদিনা ফিরে যাওয়া পর্যন্ত ।

এর পর তাহেরুল বলেন যে .- আমার জানা নাই এই সাত দিনের কি অর্থ ? তিনি বলেন যে এই আমার কথা গুলোর ২ টা দিক আছে । 
১:- আমি সত্যি বলছি 
২ :- আমি মিথ্যা বলছি 

যদি আমি সত্যি পলে থাকি তবে আপনাদের কে মোবারক হো 
আর যদি মিথ্যা বলে থাকি তা হলে মিথ্যাবাদির উপর আল্লাহ ও তার রাসুলের লানাত(অভিশাফ) 


উপরে আব্দুল সালাম কয়েকটা কথা বেশি বাড়িয়ে বলেছে যা জন্মগত হারামিদের অভ্যেস হয়ে থাকে । যেমন এর পর এক সপ্তাহ আমার ঘরে অবস্থান করেন । এটা একটা কথা বেশি চাপিয়ে  দেয়া হয়েছে । আমি টাকা নিয়ে আসিনাই।  এটা একটা মিথা্য বানানো কথা । মিথ্যাবাদিদের উপর আল্লাহর লানাত । 

এটা একটা স্বপ্ন । আর এটা ও সতি্য যে মুমিনের স্বপ্ন নবুওযাতের ৪৬ ভাগের একভাগ । 
স্বপ্নের ব্যাক্ষা যদি আমরা করতে যাই তা হলে আমাদের কে আগে হাদীস কোরান ফেকাহ ও হকিকত এর ইলম থাকতে হবে । কারন কোরানের আয়াত দিয়ে ও স্বপ্নের ব্যাক্ষা করে হয় হাদিস দিয়ে ও করা হয় তাফসির দিয়ে ও করা । আর ইলম এ হকিকত না থাকলে যদি কেউ শুধু শুধু হাতে গনা  কোরানের আয়াত ও হাদিস থেকে স্বপ্নের ব্যাক্ষা করতে চায় তবে তা হবে এক যুগান্তকারী ভুল । 

আমাদের শ্রদ্ধেয় ইমাম আবু হানিফা (রহ) তার জীবনে স্বপ্ন দেখেন যে ;- তিনি নবী (সা) এর কবর খুড়ে খুড়ে হাড্ডি গুলো বের করছিলেন আর তিনি একটা হাড্ডির চেয়ে অন্য হাড্ডি টা ওনেক সুন্দর পাচ্ছিলেন । 
তিনি এই স্বপ্ন দেখে ঘাবড়ে যান ও দ্রুত স্বপ্ন বিষারদ এর ইমাম হযরত ইবনে সীরিন (রহ) কাছে চলে যান ও সব কিছু খুলে বলেন । 
ইমাম ইবনে সীরীন (রহ) বলেন এ তো ইমাম আবু হানিফার জন্য নির্দিষ্ট কৃত স্বপ্ন । তুমি কে ? তখন ইমাম আবু হানিফা বলেন আমিই আবু হানিফা । 
উল্লেখ্য যে ইমাম ইবনে সীরীন (রহ) আবু হানিফা (রহ) কে চিনতেন না । তখন স্বপ্নের ব্যাখা করেন যে আল্লাহ তায়ালা তোমাকে দিয়ে উম্ম্তে মোহাম্ম্দির সুন্নাত জিন্দা করবেন ও দ্বীনের খেদমত নিবেন । ( ইমাম এ আজমের গল্প) 


কপাল ভাল ছিল ইমাম আবু হানিফা (রহ) এর যে আব্দুল সালামের মত কোন জাহেলের  কাছে এই স্বপ্ন প্রকাশ করেন নাই । করলে হয়ত রাসুলের কবর হেফাজত করার জন্য ও স্ব্পনে রাসুলের কবর খোড়াড় বেয়াদবি করার  দায়ে আপনি মিত্তু দন্ড চেয়ে আবেদন করতেন খলিফার কাছে । 

আরো একটা ঘটনা যে ;- ইমাম ইবনে সীরীন এর সময়ের খলিফার স্ত্রী স্ব্পনে দেখল যে তাকে উল্টা করে পাছার মধ্য পেরেক মারা হচ্ছে । একটা একটা করে  মোট সাতটা পেরেক মারা হল । 
খলিফার স্ত্রী বাদি কে ডেকে বললেন যে তুমি ইমাম সাহেবের কাছে গিয়ে এই স্বপ্নের কথা বলবে যে তুমিই দেখেছে।  খলিফার স্ত্রী নিজের নাম প্রকাশ করতে মানা করেন। 

বাদি গিয়ে ইমাম সাহেব কে স্বপ্ন খুলে বললে ইমাম সাহেব বলেন তুমি কে ? 
বাদি বলেন যে ওমুকের দাসী । 
ইমাম সাহেব বলেন তুমি যে স্বপ্ন দেখার দাবি করছ এই স্বপ্ন তুমি কোন দিন এ দেখতে পারবে না । সতি্য করে বল কে দেখেছে এই স্বপ্ন ? 
তখন বাদি সত্যি স্বীকার করে বলেন যে খলিফার স্ত্রী । 
তখন ইমাম সাহেব বলেন যে গিয়ে মোবারক বাদ দিবেন । আর বলবেন যে আপনার ওরস থেকে এমন এক সন্তান  জন্ম নিবে যে তার ঘরে, যে  সপ্তম সিড়ি পর্যন্ত তারা বাদশাহি করবে ।  আর ইমাম সাহেবের স্বপ্ন ব্যাখা সত্যি হয়েছিল । 

আরো একটা  কথা যে ইমাম সাহেবের বক্তব্য থেকে এটা ও প্রমান পাওয়া যায় যে সব স্বপ্ন সবার জন্য নয় । 
আল্লাহ মাফ করুক আপনার কাছে যদি এই স্বপ্ন প্রকাশ করা হত তবে আপনি নিশ্চয় তাকে পাপি ও গোনাহগার মনে করতেন আর এটা এ বলতেন যে আল্লাহ ওঁকে তার পাপের জন্য যে সাজা দিবেন তার নমুনা দেখাচ্ছে ।


এমনি করে আর এক ঘটনা যে এক লোক বিদেশ থেকে বাড়ি আসার পথে রাস্তায় স্বপ্নের দেখল যে তার স্ত্রীর গুপ্তাঙ্গের মধ্য ২ টা ভেড়া তার শিং  দিয়ে আঘাত করে করে রক্তাক্ত তরে দিয়েছে ।
স্বামী বিদেশ থেকে বাড়ি ফিরে এসে ওই স্বপ্নের কারনে স্ত্রীর কাছে থেকে দুরে থাকতে সুরু করে । 
এক সপ্তাহ পরে ইমাম সাহেবের কাছে গিয়ে বলেন হুজুর , লজ্জার কথা কি করে বলি ? 
ইমাম সাহেব লিখে দিতে বলেন । 
লেখা দেখার পর ইমাম সাহেব বলেন যে শোন ,তোমার স্ত্রীকে দূরে রেখ না । সে নেহায়েত একজন পুন্যবতী স্ত্রী তোমার । আসলে তুমি বাড়ি ফিরে আসছ এই খবর পাওয়ার পর সে নিচের গুপ্তাঙ্গের লোম পরিষ্কার করতে মনোযোগি হয় । হাতের কাছে লোম উপড়ানোর কোন কিছু না থাকায়  সে কাচি দিয়ে তা ছেঁটে ফেলে । আর তাতে কয়েক যায়গায় তোমার স্ত্রীর গুপ্তাঙ্গ কেটে যায় । তুমি ফিরে যাও ও স্ত্রীকে কাছে ডেকে নাও । তাকে আর দূরে রেখ না ।

স্বামী বাড়ি ফেরার পর স্ত্রীকে কাছে ডাকলে স্ত্রী তার জিগ্গেস করে আজ এক সপ্তাহ বাড়িতে এসেছেন ও আমাকে দূরে রেখেছেন । 
তার কারন বলুন আমাকে ও এখন কেন কাছে ডাকছেন তার ও কারন বলুন ।

তখন সেই স্ত্রীর স্বামী সব খুলে বলেন।  
তখন তার স্ত্রী কাপড় উত্তোলন করে তার স্বামীকে দেখায় বলেন যে ইমাম সাহেব সতি্য বলেছেন ।   দেখুন আমার খত স্থানে এখন ও তুলা লাগানো আছে । (স্বপ্নের ব্যাখ্যা ) পৃ ৬৭ প


আব্দুস  সালাম । তরে যদি এই স্বপ্ন কেউ বলত তবে তুই বলতে যে না জানি তুই বিদেশ থাকার সময় কত ছাগলের পাঠা মিলে তোর বউয়ের কাছে দিয়েছিল আর তোর বউয়ের গুপ্তাঙ্গ ফাটাত ফেলেছে তা আল্লাহ জানে । 
আর তুই বলতি  এই বউ কে রেশন পানি দিয়ে বিদেয় কর বাড়ি থেকে । 

তো মোঠ কথা হচ্ছে কারো স্বপ্নের ব্যাখা করতে হলে বা স্বপ্নের ক্ষতিকারক কোন কিছু তুলে  ধরতে চাইলে আগে আপনাকে এক স্বপ্নের কয়েকটা মানা জানতে হবে।  স্বপ্ন এমন যে শীতের  সময়ে এক মানা , গরমের সময় আর এক । দিনে এক ব্যাখা রাতে হলে আর এক । সফরে হলে এর ব্যাখা ভোরে হলে আর এক ব্যাখা । 

আর যে কোন স্বপ্নের ব্যাখা করতে হলে আগে কোরানের আয়াত এ দেখতে হবে । 
তাহেরুল ক্বাদরী সাহেব যদি সতি্য স্বপ্নের দেখে থাকেন তা হলে এর মানা এমন হবে যে (- নবী পাক (সা) কে আল্লাহ সারা দুনিয়ার জন্য রহমত স্বরুপ প্রেরন করছেন । আল্লাহ বলেন আমি আপনাকে সম্গ্র দুনিয়ার রহমত স্বরুপ প্রেরন করলাম।  আর সেই রহমত নবী পাক (সা) যদি স্বপ্নে তাহেরুল ক্বাদরীর মেহমান হয়ে আসতে চান তা কি  রকম সৌভাগ্যের বিষয় তা ভেবে দেখ । 

এরপর ওয়াদা করেছেন যে সাত দিন আমি তোমার মেহমান হয়ে থাকব । 
আপনি যদি বাস্তব দুনিয়া দেখেন তো পুরা দুনিয়ার বুকে দিন টোটাল ৭ টা । ৮ টা দিন নাই । শুক্রবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত । এর মানে প্রতিদিন এই রহমত তাহেরুল ক্বাদরীর মেহমান । এই রহমত নবী পাক নিজে ও হতে পারেন বা ওনার সুন্নাত ও হতে পারে  যা তাহিরুল ক্বাদরী নিজে মেজবান হয়ে খেদমত করেই যাচ্চেন । 

এর পর বলেছেন যে আমার মদিনা থেকে যাওয়া আসা , ও পাকিস্তানের খানি পিনা সকল দায়ভার তারের তোমার । 

এর মানে এটাই হতে পারে যে আমার মদিনা থেকে পাকিস্তান  পর্যন্ত যে সম্পর্ক আছে তা যেন বহাল থাকে ও পাকিস্তানের ভিতরে নবীর শরিয়ত এর খেদমতের দায়িত্বে ও তার । 

স্বপ্নের ব্যাখ্যা আমি দিলাম । যা তাহেরুল কাদরী সাহেবের জীবন যাপন মান ও সম্মানের দিকে মাদ্দা নজর রেখে ।  

যদি আপনার কোন আপত্তি থাকে তবে কোন যায়গায় আপত্তি টা  তুলে ধরবেন । 

এবার চলুন দেখা যাক আপনাদের আলেমদের কিছু স্বপ্নের নমুনা ;- 
নমুনা ১ ;- 

দেওবন্দী দের বিখ্যাত ও কুখ্যাত কিতাব (ফাজায়েলে আমল ) যে ভাই পড়েছেন একটা বিষয় লক্ষ্য করে দেখুন গড়ে প্রতি ২ টা পাতার পর একটা সপ্নের কথা বর্ণনা আছে। এদের প্রতিটা কিতাবে এমন অবস্থা। যে ভাবে দেওবন্দী দের সপ্ন দিন দিন বেড়েই চলেছে একদিন সপ্নই হবে এদের মাদ্রাসা আর সপ্নের কথা গুলো হবে পাঠ।  
 এমনি এক সপ্নের বর্ণনা বলব দেওবন্দী দের কিতাব থেকে :-
বেহ্জাতুল কুলুব দেওবন্দী দের কিতাবের ১৬ পৃষ্টায় লিখেছেন যে এক বেক্তি নবী পাক সল্লেল্লাহু আলায়হে ওয়া সাল্লাম কে সাদা দাড়ি ও চশমা পরিহিত অবস্থায় দেখেছেন (
বেহ্জাতুল কুলুব পৃষ্টা ১৬ ) সূত্র (দেওবন্দ ও তাবলিগ জামাত ১৫৪ নং পৃষ্টা ) 


উল্লেখ্য যে নবী পাক (সা) এর ওফাতের সময় ওনার চুল মোবারক মতান্তরের ১৪-১৮ টার মত সাদা হয়েছিল । 
আপনাদের আলেম দেখল সকল চুল মোবারক পেকে গেছে ও চোখে চশমা পড়েছে । 

এটার ব্যাখা কি  দিবেন ? 
চুল পেকেছে ওনার বয়সের ভারে ! 
চোখে চশমা পড়েছে চোখের জ্যোতী কম হওয়ার কারনে ? 

আমি ফতায়া প্রনয়ন করতে চাই না । শুধু প্রশ্ন রাখছি আপনি উত্তর দিন । 

নমুনা নং ২ :----
আবার অন্য এক কিতাবে লিখেছেন যে মাওলানা আনোয়ার শাহ কাশ্মিরি একটি সপ্নের বর্ণনা করেন যে এক বেক্তি নবী পাক কে ইংলিশ টুপি  পরিহিত অবস্থায় দেখেছেন। (ফয়জুল বাড়ি ২ খ পৃষ্টা ২০৩-২০৪) সূত্র (দেওবন্দ ও তাবলিগ জামাত ১৫৪ নং পৃষ্টা ) 

মিয়া ভাই । নবী পাক (সা) কি এখন ইংলিশদের অনুসরন করা শুরু করেছেন  নাকি ? 
জবাব দিন তো। 

নমুনা নং ৩;------

আবার মাওলানা জাকারিয়া তার কিতাব (মাশায়েখ-এ- চিসত ) লিখেছেন একবার হাজী ইমদাদুল্লাহ একবার নবী পাকের কবর( রওজা) মুবারক জিয়ারত করে অনার কবর থেকে ফয়েজ লাভ করছিলেন। তিনি নবী পাক এর রওজা ও মিম্বার এর মধ্যবর্তী জায়গায় মোরাকাবা করছিলেন। আর তখন নবী পাক হাজী ইমদাদুল্লাহ কে পাগড়ি পরিয়ে দিয়েছিলেন।  
(মাশায়েখ-এ-চিশত) ২২১ নংপৃষ্টা সূত্র (দেওবন্দ ও তাবলিগ জামাত 153 নং পৃষ্টা ) 


আপনাদের আলেমের মাথায় পাগড়ি পড়ায়  দিলে আপনাদের শান ও মান বৃদ্ধি হয় । আর আমাদের আলেমরা যদি এমন কিছু দাবি করে তখন ভন্ডামি হয় কেন ! 
জবাব দিবেন ? 

আর সব চেয়ে মজার কথা হচ্ছে যে :- আমাদের আলেম স্বপ্নে দেখলেন  নবী (সা) মেহমান হতে চাইলেন তাই মহা ভারত অশুদ্ধ হয়ে গেল ও দেওবন্দের বুক ফেটে আহাজারী শুরু হয়ে গেল । 

আর যখন আমার নবী তাদের মেহমানদারী করতে চায় তখন কি মুখ ফুটে হাসি বের হয় ? 
নিচের ঘটনা দেখুন ;- 

মাওলানা জাকারিয়া বলেন যে একবার হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজেরে মক্কী এর শালী সপ্নে দেখলেন যে নবী পাক বলছেন ওঠো (চলে যাও) . ইমদাদুল্লাহ এর আলেম অথিতি বৃন্দের জন্য আমি খানা বানাবো।

মাশায়েখ-এ-চিসত পৃষ্টা ২২১,ইখ্মালুস শিয়াম পৃষ্টা ৪৫, ইর্শাদুল -মুলুক পৃষ্টা ৩২ , ইমদাদুল মুস্তাক পৃষ্টা ৮-৯ ,দেওবন্দ ও তাবলিগ জামাত ১৫৩ 


আমার আঁকা (সা) তাহেরুল ক্বাদরীর মেহমান হতে চাইল ও খানা পিনার  দায়িত্ব নিতে বলল তাহেরুল ক্বাদরী কে আর দেওবন্দি যায়গা পায় না এই কথা শোনার পর । 

কিন্ত্ দেওবনিদদেরে পীর হাজী ইমদাদুল্লাহর আলেমবৃন্দের জন্য দেখি নবী পাক নিজেই খানা পিনা তৈরির বন্দোবস্ত করতে চাচ্ছেন । 
এটা কেমন হয়ে গেল ভাই ? এটা কি ঠিক আছে ? 

আর খলিল আহমেদ এর মুরিদ আলী হুসাইন তো স্বপ্নে দেখেছে যে নবী পাক (সা) সহ পুলসিরাত পার হচ্ছিলেন এমন সময় তিনি (নবী) পড়ে যেতে ধরলে আলী হুসাইন তার (নবীর) হাত ধরে পড়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করেন ( রেফারেন্স মনে পড়ছে না ) খুঁজতে হবে একটু।

তাছারাও এরা আবার নবী (সা) কে উর্দু ও শিষা দেয় দেখুন ;----তারা কখনো নবী পাক কে উর্দু সেখান দেওবিন্দ মাদ্রাসা থেকে আর নবী স্বপ্নে এদের কে বলে দেন ( বারাহিনে কাতেয়া পৃষ্টা ৩০) 

আম্ তাহিরুল ক্বাদরীর স্বপ্নের ব্যাখা দিয়েছি।  এবার যদি বাপের ব্যাটা হয়ে থাক তবে আমার তুলে ধরে আপত্তি গুলোর জবাব পেশ কর । 

পোষ্ট ওনেক লম্বা হয়ে যাচ্চে জবাব গুলো সুবিন্যাস্ত করে দেওয়ার কারনে । 

হয়ত আর ও দুই দিন পোষ্ট করতে হবে।  কারন তাদের কিতাবের উদাহরন  দেয়া একান্ত জরুরি । 
কারন তাদের মুখ তাদের কিতাব ছারা বন্ধ করা সম্ভব নয় । তারা কাউকে মান্য করবে না । 

ধীরে ধীরে  সব পেয়ে যাবে । 

আল্লাহ হাফেজ। 
সোহেল রানা 

সোহেল রানা 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন