শুক্রবার, ২১ আগস্ট, ২০১৫

তাহেরুল ক্বাদরীর আপত্তির জবাব

বিঃদ্র:-তাহেরুল ক্বাদরী সাহেব কে নিয়ে টোটাল ৮ আপত্তির মধ্য ৪ টা আপত্তির জবাব লিখিত আকারে আমি প্রদান করেছি । 
আজ ৫-৬ নং আপত্তির জবাব দেয়া হল । শেয়ার করুন ও জুতা মারুন সকল দেওবন্দি হারামিদের মুখে । 

আপত্তি নং (৫)-----
তাহেরুল ক্বাদরী সাহেবে অসুস্থ ছিলেন আর কি জন্য যেন বাইরে যাচ্ছিলেন পিছন থেকে কে যেন ডেকে বলল আপনি বাইরে যাচ্ছেন ? অথচ আলা হযরত আহমেদ রেজা খান আপনাকে দেখার জন্য তাশরীফ এনেছেন । 

তিনি দৌড়ে ঘরে গেলেন আর দেখতে পান আলা হযরত আহমেদ রেজা খান বসে আছেন ইহরাম পরিহিত অবস্থায় । আলা হযরত বললেন যে তুমি অসুস্থ বিধায় দেখতে এলাম । এর পর আলা হযরত তাহেরুল ক্বাদরী কে সীনায় লাগান এবং এহরামের কাপড় কাপড় খুলে মাটিতে পড়ে যায় আর তিনি তার থেকে ফয়েজ লাভ করেন ।

এখানে  আসলে তার পোষ্ট এ সে ওনেক বিকৃত করেছে তাহেরুল ক্বাদরী সাহেবের কথা গুলো । আমি চেষ্টা করে ও এত মিথ্যা লিখতে পারলাম না । 
আমি তার পোষ্টের  স্ক্রীন শুট দিলাম। নিজেই দেখে নিন ।

আপত্তি নং ৬-----
আলা হযরত তাহেরুল ক্বাদরী সাহেব কে বলেন যে কতদিন থাকবেন এখানে আর বেরেলী শরিফ কবে যাবেন ? 
তিনি বলেন যে তিনদিন পর তোমার যে ইলম এ তাসাউফ এর দরস আছে তা দেখে তারপর যাব । 

এগুলো তার আপত্তি । 
আসলে আপত্তি বললে ভুল হবে । বরং এগুলো তার দুষমনির নমুনা মাত্র । 

এবার জবাব গুলো দেখে নিন ;- 

আমি প্রথমে কিছু  তুলে ধরছি মুল আলোচনা একটু পরেই করছি ।
তাহেরুল ক্বাদরী সাহেবে কে যখন আলা হযরত দেখতে এসেছিল আর যখন  সীনায় সীনা মিলাল তখন তাহেরুল ক্বাদরী সাহেব বলেন ( যাব উননে মুঝে আপনে সীনে মে লাগায়া তাব ইহরাম কি কাপড়া সীনে ছে হাটগ্যায়া ) যখন ইনি আমাকে সীনায় লাগাল তখন ইহরামের কাপড় সীনে থেকে লা পাতা হয়ে গেল বা সরে গেল ।
আমার সালা আব্দুল সালাম হারামি ভিডিও টার কোন যায়গায় বলেছে যে কাপড়া খোলকার নিচে গিড়া ওর নাংগা হো গ্যায়া থা ? 

যাদের জন্মের দোষ তাঁরাই এমন মিথ্যা লিখে থাকে সব সময় । 

সে তার আপত্তির পর আবার লিখেছে যে আলা হযরত কি তখন উলংঙ্গ ছিল ? বলে মজা করা শুরু করল। 
আল্লাহর লানাত যারা এমন কথা বিকৃত করে মানুষ কে বিভ্রান্ত করার জন্য । 

আসলে আমি তার দাবি এখানে একটা ও দেখি না। শুধুই হিংসা দেখি । 

এখন কথা হচ্ছে যে ;- আলা হযরতের রুহ বা কোন মৃতের রুহ কি ফিরে আসে না ? বা কারো সাথে কথা বলে না ? 

সে কি মৃতের রুহ আসতে পারে ফিরে তাতে বিস্বাস করে না ? এটা কি কুফরি কালাম ? 

যদি এটা কুফরি কালাম ও মিথ্যা ও ভ্রান্ত কোরান সুন্নাহ ইজমা কিয়াস বিরোধি হয় তবে তার আগে এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে দেওবন্দি ওলামাগন । 

চলুন ঘুরে নিয়ে আসি আপনাকে ;- 

দেওবন্দের প্রখ্যাত আলেম মুফতি আব্দুর রহিম লাজপুরী স্বীয় ফতোয়া গ্রন্থ (ফাতওয়া-এ- রাহিমিয়া) তে উল্লেখ করেন যে ;- 
রুহ ফিরে আসে ও আসতে পারে । ঘটনা ও পর্যবেক্ষনই  তার প্রমান ( ফাতওয়া এ রাহিমিয়া , খ ২ পৃ ২৫২, প্রশ্ন নং ৩৫৫।

হানাফি মাঝহাবের কিতাব ( কিতাবুল জানায়েয) এ বলা হয়েছে যে ;- মৃত বেক্তির আত্বা  ৪০ দিন তার ঘরে থাকে  এটা ভ্রান্ত কথা । তবে হা এমন হতে পারে যে কিছু সময়ের জন্য আল্লাহর অনুমতি নিয়ে যে কোন যায়গায় ভ্রমন করতে পারে ।কিন্ত্ নির্দিষ্ট সময় ধরে নিজ ঘরে আসে এই কথাটা সত্যি নয় (কিতাবুল জানায়েয, হানাফি ফিকাহ ,পৃ ৩৬ ) 

দেওবন্দিদের আর ও একটু জনপ্রিয় বই ( মিত্তুর পরে কি হয় ) । এই কিতাবে ওনেক আশ্চর্য জনক ঘটনা দিয়ে (মৃতের কথা বলা) নামে একটা অধ্যায় কায়েম করেছেন তারা । বইটির লেখক আহমেদ সাইদ দেহলবী । ১ম খন্ড পৃ ৯৬ দেখে নিন ।


তো উপরে বর্নিত কিতাবের রেফারেন্স থেকে এটা সুস্পষ্ট ভাবে প্রমানিত যে ;- রুহ জীবিতদের সাথে কথা বলে থাকেন। দেখা ও করেন।  আর তাহেরুল ক্বাদরী সাহেবে দেওবন্দি আলেমদের আকিদা বিরুদ্ধে এমন কোন দাবি করেন নাই । 
কারন উপরে ফাতওয়ায়া এ রাহিমিয়ার উদ্ধৃতি আমি তুলে ধরেছি , কিতাবুল যানায়েজ হানাফি ফেকাহ থেকে তুলে ধরেছি ও তাদের আলেম আহমেদ সাইদ দেহলবীর কিতাবে থেকে ও তুলে ধরেছি । 
এটা এখন দুপুরের সুর্যের ন্যায় প্রকাশিত যে তাহেরুল ক্বাদরী সাহেবের দাবি যথার্ত । তিনি কোন ভুল করেন নাই আলা হযরত কে দেখার দাবি করে । 
এখন কথা হচ্ছে তাদের কিতাবে কি এমন প্রমান নেই ? যাতে এমন রুহ এর সাথে কথা বলা বা কোন মদদ করার কোন পাওয়া যায় ? 

চলুন দেখি ;--

ঘটনা নং---১----
 দেওবন্দী দের গুরু আশরাফ আলী থানবী এর লেখা কিতাব (হেকায়াত এ আওলিয়া ) ২২২ নং পেজে নাসির দারুল ইশক উর্দু বাজার করাচী থেকে প্রকাশিত ফোন নং ২১৩৭৬৮ (টেলিফোন) উক্ত পেজে লিখেছেন আম্মে মোহতারাম হজরত মৌলানা হাবিবুর রেহমান বলেছেন যে মলোবি আহমাদ হাসান আমরোহী আর মলবী ফখরুল হাসান সব গান্গুহী এর মাঝে কিছু মতভেদ ছিল কিন্তু ঝগড়া  করার কোন ইচ্ছা ছিল না মলবী আহমাদ হাসান সাহেব আমরোহির । কিন্তু কেন জানি তিনি একদিকে ঝুকে গেলেন আর ঝগড়া অনেক দূর পর্যন্ত বেড়ে গেল । তো মৌলানা রফিউদ্দিন সাহেব  মলবী আহমাদ হাসান আমরোহী কে ডেকে পাঠালেন দারুল উলুম দেওবন্দ এ। যখন মলবী আহমদ হাসান সাহেব আমরোহী রফিউদ্দিন সাহেবের কাছে পৌচিলেন তখন দেখেল্ন যে তিনি খালি গায়ে ঘরের বাইরে দাড়ায় ছিলেন আর মৌসুম অনেক বেশি ঠান্ডা শীত ছিল ।  তো রফিউদ্দিনসাহেব বললেন মলবী হাসান সাহেব এই মাত্র আমার সামনে মলবী কাসেম নানুতাভি ওনার সেই সুঠাম চেহরা নিয়ে একদম জিন্দা মানুষের মত হাজির হয়েছিলেন।  আর বললেন যে আহমাদ হাসান কে বল যেন সে এমন ঝগড়া বিবাদে না জরায় । আর আমি ওনাকে দেখে এই শীতের মধেও ঘামে ভিজে পানি পানি হয় গেলাম সাথে সাথে আহমাদ হাসান সাহেব মওলানা রফিউদ্দিন এর হাত ধরে তওবা করলেন আর ওয়াদা  করলেন আর কোনো দিন ও ঝগড়া  করবেন না । 

মন্তব্য ;- ভাই। আপনাদের আলেম কবর থেকেই জানতে পারে কার কার ঝগড়া হল আর এটার সুরাহ করার জন্য কবর থেকে এসে তার অনুসারীদের সাথে  সাক্ষাত করতে ঝগড়া করতে মানা করতে পারেন । 
আর আমাদের আলেম যদি কোন বুযুর্গের আত্বার সাক্ষাত পেয়েছে এমন দাবি করে তবে চুলকানি কেন হয় ? 

ঘটনা নং -২ 
মুনাজির আহসান গীলানি স্বীয় কিতাব সাওয়ানিয়াহে কাসেমী তে লিখেছেন যে তিনি একদিন ছাতা মসজিদে দেওবন্দি মাদ্রাসার মুহাতামিম মাওলানা ইয়াকুব নানুতভী বলেন যে ;-ভাইসব, আজ আমি ফজরের নামাযের সময় মরেই যেতাম , একটুর জন্য বেঁচে গেছি ।লোকেরা আশ্চর্য হয়ে জিগ্গেস করলেন কিনা কি হল ," শেষ পর্যন্ত কি না কি বিপদের সম্মুখীন হলেন ! এটাই শোনার বিষয় ।
এরপর তিনি বলতে শুরু করলেন যে আজ ফজরের নামাযের সময় আমি সুরা মুযাম্মিল পাঠ করছিলাম । হঠাৎ আমার সীনায় জ্ঞানের সমুদ্র প্রবাহিত হতে লাগল , যা আমি বহন করতে পারছিলাম না । আমার মারা যাওয়ার উপক্রম হল ।
তিনি আরো বলেছিলেন যে সেটা ঠিকমতই প্রবাহিত হয়ে গেল , যেমনি হঠাৎ করে এসেছিল ঠিক তেমনি প্রবাহিত হয়ে চলে গেল ।এ জন্য আমি বেঁচে গেলাম ।

জিগ্গেস করা হল যে এই জ্ঞান সমুদ্র হঠাৎ আত্বার উপর চড়াও হয়ে যে অতিবাহিত হয়ে গেল এটা আসলে কি ছিল ? 
তখন তিনি বললেন যে ;-আমি তখন নামাযের পর চিন্তা মগ্ন হলাম যে এটা কি ছিল ! 
তখন আমার কাশফ হল যে মাওলানা কাসেম নানুতভী মিরাট থেকে আমার দিকে মনোনিবেশ করেছিল ।এটা ওনার মনোনিবেশের ফল যে আমার মাঝে জ্ঞান সমুদ্র ঢেউ খেলছিল আর আমার শয্য করা কষ্টা হচ্ছিল ( সাওয়ানিয়ায়ে কাসেমী ১ম খন্ড ৩৪৫ নং পৃ )

মন্তব্য ;- আপনাদের আলেম কবরে থেকে একজনের দিলের মধ্য জ্ঞানের সমুদ্র বইয়ে দিতে পারেন, আমাদের আলেম যদি দাবি করেন যে বুকে বুক মিলিয়ে ওনাক থেকে ফয়েজ লাভ করেছি তবে এত চুলকানি কেন হয় ?  আমাদের আলেমের বেলায় কেন নয় ? জবাব দিবেন ? 

ঘটনা নং --৩ 
;-  দেওবন্দের অন্যতম আলেম মনজুর হাসান গীলানি (সাওয়ানিয়ায় কাসেমী ) নামে কাসেম নানুতভীর জীবনি নিয়ে একটা  বড় কিতাব রচনা করেন । তাকে এক অদ্ভুত মোনাযেরার কাহীনি তুলে ধরেন এই ভাবে যে ;-
দেওবন্দের এক ছাত্র পান্জাবের কোন এক এলাকায় গেলেন । লোকজন খুশি হয়ে তাকে মসজিদের ইমামতি করার দায়িত্ব দেন । দিন ভালই যাচ্ছিল । কিন্ত্ হঠাৎ এক ওয়ায়েজী মৌলভী ওয়াজ নসিহতের জন্য আগমন করেন ও মানুষ কে ওয়াজ নসিহত করে সাধারনের দিলে স্থান করে নেন । আর যখন তিনি জানতে পারেন যে মসজিদের ইমাম দেওবন্দ মাদ্রাসার ছাত্র তখন তিনি রেগে যান ও ফতোয়া দেন যে এই ইমামের পিছনে এতদিন ধরে যারা নামায আদায় করেছেন তাদের একটা নামায ও আদায় হয়নি । কারন দেওবন্দিদের আকিদা ঠিক নেই। তারা এমন বলে ওমন করে রাসুলের সাথে দুষমনি রাখে এমন ওনেক অভিযোগ তুলে ধরেন । 

এলাকার লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে সেই দেওবন্দি মাদ্রাসার ছাত্র যিনি ইমামতি করতেন  তার কাছে গেলেন ও বললেন যে হয় আপনি সেই ওয়ায়েজী মৌলভীর জবাব দেন , নয় আমরা আপনার সাথে কিরুপ আচরন করব বলে দিন ? 
বেচারা কম শিক্ষিত মৌলভী ছিল বলে ঘাবড়ে গেল, আর চিন্তা করল যে আমি সাধারান একজন অল্প শিক্ষিত মানুষ , আর ওয়ায়েজী সাহেব কতই না শিক্ষিত তিনি । যখন তিনি রেবায়েত ও দর্শনের বড় বড় বুলি বলা শুরু করব তখন নিজের কি হাল হবে তাই চিন্তা করে চিন্তিত । উপায় না দেখে তিনি মোনাযেরার সম্মতি দিলেন ।
দিন তারিখ সব ঠিক হয়ে গেল । সাময়মত ওয়ায়েজী মৌলভী সাহেব কিতাবের বড় বড় পুটলি নিয়ে মসজিদে হাজির হয়ে গেল । এদিকে বেচারা দেওবন্দি ইমাম সাহেব আল্লাহ আল্লাহ করে নিরুপায় হয়ে সামনে এগিয়ে আসলেন ।এরপর সেই দেওবন্দি ইমাম সাহেব বলেন যে ;- আমি এসে সেই ওয়ায়েজি মৌলভী সাহেবের সামনে এসে বসি । এমন সময় আমার পাশে এক মানুষ এসে বসে যায় । আমি তাকে কোনদিন দেখিনাই । তিনি বললেন যে আলোচনা শুরু কর । ভয় করিও না । হঠাৎ সেই লোকটি আমার  পাশে এসে বসার  কারনে আমার দিলে ওনেক সাহসের উৎপত্তি হয় ও আমি আলোচনা শুরু করতে বলি ।

এরপর ইমাম সাহেব বলেন যে আমার মুখ থেকে এমন সব কথা ও শব্দ বের হচ্ছিলাম যে আমি এসব কথা জীবনে শুনি নাই আর জানতাম ও না আর এটা ও বুঝতে পারছিলাম না কি বলছি আমি ।
প্রশ্নেত্তর বেশি দুর অগ্রসর হল না । প্রথমে ওয়ায়েজী মৌলভী সাহেব দুই একটার জবাব দিয়েছিল । কিন্ত্ পরে দেখি ওয়ায়েজী মৌলভী সাহেব আমার পায়ে মাথা রেখে কান্না শুরু করে দিয়েছে , আর বলেছে যে আমাকে ক্ষমা করে দিন , আপনি যা বলবেন তাই সত্যি ও বরহক, আমিই এতদিন ভুলের মধ্য ছিলাম । আপনি এতবড় মাপের আলেম আমার জানা ছিল না ।


এটা দেখে সকল সাধারন মানুষ হতবাক হয়ে গেল । কি ভেবে এসেছিল আর কি হয়ে গেল । এর পর দেখি আমার পাশে যে লোকটা এসে বসেছিল সেই লোকটা অদৃশ্য হয়ে গেল । তাকে আর খুঁজেই পেলাম না (সাওয়ানিয়ায়ে কাসেমী ) ১ম খন্ড ৩৩০-৩৩১ পৃ ।

এই পর্যন্ত আসল ঘটনা বর্ননা করার পর মনজুর হাসান গীলানি লিখেছেন যে ;-শাইখুল হিন্দ মাহমুদুল হাসান বলেছেন যে , আমি সেই ইমাম সাহেবে কে জিগ্গেস করলাম যে , হঠাৎ আবির্ভুত সেই বেক্তির চেহারা ও গঠন কেমন ছিল ? 
সেই ইমাম সাহেব যা যা বর্ননা করছিলেন তা শোনার পর উস্তাজুল ওলামা হযরত কাসেম নানুতভীর এক একটি অংঙ্গ আমার সামনে ভেসে উঠতে লাগল, এবং আমি বললাম যে ইনি তো শ্রদ্ধেয় ওস্তাদ রাহমাতুল্লাহ আলাইহে ছিলেন, যিনি তোমাকে সাহায্য করার জন্য হক তায়ালার পক্ষো থেকে আবির্ভুত হয়েছিলেন (সাওয়ানিয়া এ কাসেমী ) ১ম খ পৃ ৩৩২ 

মন্তব্য :--
আমার কথা হচ্ছে এখন যে আমাদের আলেম তাহেরুল ক্বাদরীর সামনে যদি আলা হযরত আসে , এ দর্স এ তাসাউফের মাহফিল দেখে ফিরে যাওয়ার আশা করেন ও এমন দাবি করেন , তাহলে দেওবন্দিদের চুলকানি শুরু হয়ে যায় ।

কিন্ত্ যখন দেওবন্দের আলেমগনের সাহায্য জন্য মোনাযেরার ময়দানে তাদের মৃত আলেম এসে সাহায্য করে , তখন কি সবই ঠিক আছে ? 

ইয়া আল্লাহ এর বিচার দুনিয়ার বুকে  কে  করবে ! 
তুমি ছারা ! 

(৪) আশরাফ আলী থানবীর জীবনি কিতাব ( আশরাফুছ ছাওয়ানেহ) গ্রন্থে  এমন কি আশরাফ আলি থানবীর কিতাব বেহেস্তি যেবার প্রথম খন্ডে লেখক পরিচিতি ও কারামত অধ্যায় তে ও এই ঘটানা টা উল্লেখ আছে যে ;- 
এক বিয়ের বরযাত্রীদের উপর ডাকাতের হামলা হলে আশরাফ আলী থানভির দাদা নিহত হন ও পীর সামাউদ্দিনের কবরের পাশেই তাকে দাফন করা হয় । কিন্ত মজার কথা হচ্ছে যে আশরাফ আলী থানবীর দাদা মিত্তুর পর ও তাদের বাড়িতে আসতেন  ।স্ত্রীর সাথে সাক্ষাত করতেন আর বলতেন যে কাউকে বলিও না তবে আমি রোজ আসতে পারব রাতে তোমার কাছে এবং বউ  কে মিষ্টি খেতে দিতেন 
কিন্তু  ছোট ছোট বাচ্চারা মিষ্টি খাচ্ছে দেখে পাছে কেউ কি না কি সন্দেহ করে এই চিন্তা করা কথাটা প্রকাশ করে দেন , এর পর থেকে আশরাফ আলি থানবীর দাদার আসা যাওয়া বন্ধ হয়ে যায় ( আশরাফুছ সাওয়ানিয়া ) প্রথম খন্ড পৃ ১২ 
এই ঘটনা টা বেহেস্তি যেবার কিতাবের লেখক পরিচিতি তে ও আছে । 

মন্তব্য ;- 
এখন আব্দুস শয়তান আমাকে জবাব দাও যে তোমাদের আলেমের দাদা মরার পর কবর থেকে বাড়িতে এলে বউয়ের সাথে দেখা সাক্ষাত করল কথা বলল মিষ্টি দিল । 

আর আমাদের আলেম যদি কারো কোন বুযুর্গের সাক্ষাতের  দাবি করেন তা হলে তোমাদের কেন চুলকানি শুরু হয় ? ?? 

এটা কি বেজনম্মা দের একটা বিশেষ রোগ নয় ? 

পোষ্টটা আরো একটু মজবুত ও অকাঠ্য করার আরো কিছু দলিলাদি যোগ করলাম ;- 

ঘটনা নং ---৫--
 আশরাফ আলি থানবি বলেন যে (- মাওলানা ইসমাইল দেহলভী( গুসতাক শাহ ইসমাইল ) এর কাফেলার কেদার বখত নামে এক লোক শহিদ হয়েছিল । কেদার বখত দেওবন্দের অধিবাসি ছিলেন । শহিদ হওয়ার খবর যাথাসময়ে বাড়িতে পৌছায় দেয়া হয়েছিল । এক রাতে কেদার বখত এর বাবা হাসমত আলী খান দেওবন্দে নিজের কামরায়  তাহাজজুদ আদায়  করছিলেন হঠাৎ বাইরে ঘোড়ার খুড়ের আওয়াজ শুনে বাইরে এসে দেখেন যে কেদার বখত বলছেন বাবা , মাওলানা শাহ ইসমাইল ও সাইয়েদ আহমেদ তাশরীফ আনছেন , আপনি তারাতারী এখানে একটা মাদুর পেতে দিন । 
মৃত কেদার বখতের বাবা তাই করলেন । তারা এসে বসার পর কেদার বখতের বাবা কেদার বখত কে জিগ্গেস করলেন বাবা কোথায় তোমার আঘাত লেগেছিল ? যা তোমার মিত্তুর কারন হয়ে গেল ? 
তখন কেদার বখত তার মাথার পট্টি খুলে হাত দিয়ে দেখিয়ে দেন । 
কেদার বখতের বাবা বলেন যে ;- বাবা ঢেকে রাখ ঢেকে রাখ । আমার শয্য হচ্ছে না । এরপর সকলে চলে যান । সকাল বেলা কেদার বখতের বাবা বলেন যে এটা কি স্বপ্নে ছিল নাকি জাগ্রত ? 
এই চিন্তা করে আংগিনায় গিয়ে দেখেন যে কেদার বখত ক্ষত দেখানের সময়ে মাথা থেকে পড়া রক্তের চিন্হ এখন ও পড়ে আছে মাটিতে । 
কেদার বখত এর বাবা হাসমত আলী খান রক্তের ফোটা দেখে বুঝতে পারলেন যে এটা স্বপ্নে নয় বরং জাগ্রত অবস্থায় ।শেষে কয়েকজন বর্ননা কারিদের নাম উল্লেখ করে বলেন যে এই ঘটনার আরো ওনেক নির্ভরযোগ্য বর্ননাকারী রয়েছে (মালফুজাত এ মাওলানা আশরাফ আলী থানভী ) পৃ ৪০৯

মন্তব্য ;--
আব্দুস শয়তান । এখন বল যে তোদের আলেমরা মরার পর ও ঘুরতে আসে আর হাসমত আলী খানের ছেলে কেদার বখতের মাথা থেকে তলোয়ারের আঘাতের অংশ থেকে রক্ত পড়ে , শাহ ইসমাইল কুত্তা ও সাইয়েদ আহমেদ কানা ও সাথে থাকে তবে তোমাদের কোন আপত্তি নাই , কারন এতে তোমাদের শান ও মান বৃদ্ধি হয় । কিন্ত্ যখন আমাদের আলেমরা এমন দাবি করে তখন তোমারে পেটে লুজ মোশন চালু হয়ে যায় ।

এই হচ্ছে হারামিদের নমুনা । 


আজ তোমার একটা পোষ্ট এর জবাবে আমার তৃতীয় জবাব মুলক পোষ্ট । 

তুমি যদি হালালের সন্তান হয়ে থাক তবে আমার পোস্ট এর লিখিত জবাব দাও নয় তো তওবা কর ।  
আর হারামি হলে নিজের কথায় অটল থাক ,,,,,,, মী

সোহেল রানা ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন