শুক্রবার, ২১ আগস্ট, ২০১৫

নবী (সা) কে মানুষ বলা না বলা



সাইয়েদ আলাভী (রহ) বর্নানা করেন যে , যখন আমি ইমামুল মুফাচ্ছেরিন আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা) এক যিয়ারতের জন্য বের হলাম ও তায়েফ পৌঁছলাম , তখন আল্লামা তাহের সম্বুল হানাফি ইবনে আল্লামা শায়েখ মোহাম্ম্দ সম্বুল শাফেঈ (রহ) সাথে সাক্ষাত ঘটে । তখন তিনি বলেন আমি দলটির খন্ডনে একটা কিতাব রচনা করেছি ও নাম দিয়েছি (ইন্তাসারুল আওলিয়া-ইল আবরার) 

আশা করছি যে , যে লোকের ভিতর নজদি বিদয়াত ঢুকেছে , তার সফলতার আশা করা যায় না , কারন  বুখারী শরিফে বলা হয়েছে যে তারা দ্বীন থেকে এমন ভাবে বের হয়ে যাবে যে তারা ফিরে আসবে না (আদ-দুরুসুস স্যানিয়া ) পৃ ৯০

তো আমি ও তাদের কে ফিরে আনতে পারব না । কারন আমাদের যারা বুযুর্গ ছিল তাঁরাই এদের বিষয় ফায়সালা দিয়েই দিছে । অবশ্যই তারা জ্ঞানী  ছিল আমাদের থেকে । তাই বলতে পেরেছেন। 
কিন্তু আপত্তি উখ্খাপনের কারনে জবাব দিতেই হচ্ছে ;- 

তার প্রথম কথা (অপ্রাসংগিকভাবে কুরঅানের কয়েকটা অায়াত দিলেন তাও অায়াতের সম্পূর্ণ অংশ কেটে মাঝখানের অংশ! অাবার তাফসিরেররও কোন খবর নেই!!!) 

আমি তাফসীর দিয়েছি ছোট করে। কারন পোষ্ট অতিরিক্ত বড় হয়ে গিয়েছিল।   যদি মায়ের দুধ খেয়ে থাকেন আর হালালের পয়দা হয়ে থাকেন তবে বিগত দিনে যা জবাব দিয়ে পোষ্ট করেছি সেই সকল আয়াতের তাফসীর ভুল প্রমান করুন । 

এর পরে লিখেছে যে ;- কাফেরদের আপত্তি তুলে ধরেছিলাম আমি যে তারা নবী (সা) কে মানুষ মনে করত ও এর কারনে ইমান আনত না । 

আমি বলছি মিয়া ভাই শোন।  তারা নবী(সা) কে মানুষ মনে করত যেমন আপনি নবী (সা) কে নিজের মত মনে করেন । তারা নবী (সা) কে নবী মনে করত না ।  আপনারা সেই কাফেরদের প্রতি সহমত পোষন করে নবী (সা) কে আপনার নিজের মত আর নিজেকে নবী (সা) এর মত মনে করেন।  
আর হযরত ওমর আলী ওসমান আবু বক্কর কখনই নিজেকে নবীর মত বা নবী (সা) কে নিজের মত মনে করতেন না ।  বরং সব সময় নবীই মনে করতেন।   যদি কোন প্রমান থাকে যে আপনি যেমন বলছেন (তিনি (নবী) আমাদের মতই মানুষ , ) এমন ওমর আলী ওসমান আবু বক্কর এর থেকে বর্নানা করে দেখা ? 

আবু জাহেলের চোখে মুহাম্ম্দ মানুষ ছিল । আবু বক্করের চোখে না । 


এরপর সে লিখেছে সাহাবীগনের বর্নানা দিয়েছে , কিন্ত্ তাতে কি বলা আছে তিনি মানুষ নন ? 

মুল কথা হচ্ছে তেলির গরু উল্টা দিকেই ঘুরবে সব সময় এটাই রীতি । ঠিক তেমন তুমিও। 
সাহাবাগন যখন বলেছেন যে আমি নবী (সা) এর মত আর কাউকে দেখিনাই , সেখানে তোমরা তোমাদের নিজেদের কে নবী (সা) এর মত মনে কর । নবী (সা) কে নিজেদের মত মানুষ মনে কর । 
এটা কি সাহাবীগনের বিরুদ্ধে কথা হয়ে গেল না ? আর যারা সাহাবীগনের মতের বিরুদ্ধে রায় দিবে , তাদের কথা অগ্রাধিকার না দিয়ে নিজেদের দাবি কে যথাযথ মনে করবে এটা কি গুসতাক এ সাহাবা নয় ? 

আমরা  বরং আমাদের নিজের কথা বলার চেয়ে নবী রাসুল গনের মুল্যবান বানী বা সাহাবা গনের কোন বর্ননা , বা আলেমগনের মতামত পেশ করাই নিরাপদ মনে করি । 


এর পর লিখেছে ১ টা নয় ২ টা নয় ৮ টা কোরানের আয়াত দিলাম । 
আল্লাহর রহমতে একটা আয়াত ও মুমিনদের জন্য নাযিলকৃত নয় বরং সব গুলোই আহলে কুফ্ফার এর । নিজেই দেখুন ;- 



যেমন তার প্রথম নং আয়াত ;-
তারা আশ্চর্য হয় যে,তাদের(মানুষের) মধ্যে থেকেই তাদের নিকট একজন সতর্ককারী এসেছে। সুতরাং অবিশ্বাসীরা বলে, "এটা তো বড় আশ্চর্য ব্যাপার!”
-সূরা কাফঃ০২

এই যে অর্থ করেছেন , তা কি আপনার নিজের মত করে করা ? 
বরং তাফসীরে ইবনে কাসীর  এ এমন নেই । বলা হয়েছে যে ;-কাফেররা তাদের মধ্য একজন সতর্কাকী আবির্ভুত হতে দেখে বিষ্য়য় বোধ করে , আর বলে , এ চো আশ্চর্য ব্যাপার ।

এর অর্থ তারা বিস্বাস করতে পারে না, যে তাদের মধ্য আল্লাহর নবী এসেছেন , আবির্ভুত হয়েছেন এর মানে কি ? এর মানে হচ্ছে আগে গুপ্ত ছিলেন এর পর প্রকাশ হয়েছেন । 

আর তাফসীর ইবনে কাসীর খন্ড ১৭ পৃ ৫৬ পারা ২৬ এ বলা হয়েছে ;- কাফের রা আশ্চর্য রয়ে গেল যা তাদের মত একজন মানুষ কি করে রাসুল হয়ে গেল । 


ভাই , আপনি কি কাফের ? যে কাফেরদের প্রতি নাযিলকৃত আয়াত পেশ করতেছেন । এখানে কাফেরগন নবী (সা) কে মানুষ মনে করত ও নবী ও রাসুল মান্য করতে কষ্ট হত ।  আপনি ও তো তাই করতেছেন এখানে , যে নবী কে আগে আপনি মানুষ বানাচ্ছেন । 
আর আমি কাফের নই যে আল্লাহর নবী কে মানুষের মত দেখতে ছিল বলে মানুষ মনে করব।  বরং তিনি মানুষের রুপেই একজন আল্লাহর নবী ও রাসুল । পরে আসছে বাকিটা ।

২ নং আপত্তি ;- 
২)"(শুধু অাপনিই মানুষ নন) অাপনার পূর্বে যে সব পয়গম্বর আমি প্রেরণ করেছিলাম তারাও ছিলো মানুষ,যাদের জন্য আমি
ওহী মঞ্জুর করেছিলাম। যদি তোমরা তা না বুঝে থাক, তবে তাদের জিজ্ঞাসা কর যারা [আল্লাহ্র] বাণীকে ধারণ করে থাকে"
-সূরা আম্বিয়া ০৭

আল্লাহ তাদের উপর লানাত বর্ষন করুন যারা আয়াতে কম বেশি অতিরিক্ত সংযোজন করে থাকে । 
তাফসীর ইবনে কাসীর এ বলা হয়েচে ;- 
তোমার পূর্বে আমি ওহি সহ মানুষই পাঠিয়েছিলাম ,তোমরা যদি না জান , তবে জ্ঞানীদের কে জিগ্গেস কর ( সুরা আম্বিয়া ) আয়াত ০৭

উপরে দেয়া তার আয়াত দেখুন ও নিতে আমি আয়াত দিয়েছি তা দেখুন।  কত শব্দের হেরফের । 
তাফসীর ইবনে কাসীর এর খ ১৪ পারা ১৭ সুরা নং ২১ পেজ নং ৩১৩ তে লেখা আছে যে ;- 
কাফিররা ও কাফেরদের পুর্ববরতি কাফেরগন এই কৌশল অবলম্বন করেছিল যে ;- তারা বলত, একজন মানুষ কি আমাদের পথ প্রদর্শন করবে ? (৬৪;৬) 
তারা নবী গন কে নবী মনে করত না বরং মানুষ মনে করত , আর আমার বিজ্ঞ প্রতিপক্ষ কাফেরদের দাবি গুলোকে মজবুত করার জন্য উঠে পড়ে লেগে আছে । 

এর পর বলা হয়েচে যে ;- আল্লাহ তায়ালা বলেছেন , আহলে ইলম তথা ইহুদি ও খৃষ্টান ও অন্যন্যার দের কে জিগ্গেস করে দেখ তো , তাদের কাছে কি মানুষই   রাসুল হয়ে এসেছিল ? নাকি ফেরেস্তা ?   বরং এটা আল্লাহ তায়ালার একটা অনুগ্রহ যে ;- মানুষের কাছে তাদের মত মানুষকেই রাসুল রুপে প্রেরন করে থাকেন ,যাতে নবীগনের সাথে উঠাবসা করতে পারে ও শিক্ষা গ্রহন করতে সক্ষম হয় ।আর যাতে তারা তাদের কথাই বুঝতে পারে ।কেউই এমন দেহ বিশিষ্ট ছিলনা যে তাদের পানাহেরের প্রয়োজন হত না , বরং তারা পানাহারের মুখাপেক্ষি ছিল । যেমন আল্লাহ বলেন ;- তোমার পুর্বে আমি যত রাসুল প্রেরন করেছিলাম তারা খাদ্য খেত ও বাজারে চলাফেরা করত (২৫:২০)

তাফসীর ইবনে কাসীর এর খ ১৪ পারা ১৭ সুরা নং ২১ পেজ নং ৩১৩ তে) 

এখন এই আয়াত (১) তো কাফেরদের প্রতি নাযিল , 
(২) পুর্বর্তি নবী গনের কথা বর্ননা করা হয়েচে ।
(৩) তা আমাদের নবীর কথা তো বলেনি এখানে ? তাফসির তে তাই বলছে । 

যদি এখানে আমার নবীর কোন নাম ও নিশানা বা কোন চিন্হ থাকে তবে তা পেশ করুন কোন তাফসির থেকে ।
আর হা।  এই আয়াতে ও কাফেরগন নবী দের কে মানুষের মত ছিল বলে মান্য করত না , ও নবী গনকে তাদের নিজেদের  মত মানুষ মনে করত , যেমন এখন তোমরা নিজেদের কে নবী গনের মত মনে কর ।

আমার বিজ্ঞ প্রতিপক্ষ আমার উপর অভিযোগ করেছে যে ;- আমি নাকি আয়াত ছোট খাট করি । 
এটা একটু দেখে নিন  সকলে তার 
আপত্তি নং (৩) 
৩)“(মুহাম্মদ সা: অাপনি) বলুন, আমার প্রভু মহিমান্বিত আমি তো হচ্ছি কেবল একজন মানুষ,একজন রাসুল মাত্র"
-বনী ইসরাইল ৯৩

ইবনে কাসীর থেকে আমি পুরো আয়াত পেশ করছি নিচে ;- অথবা তোমার একটু স্বর্ণ নির্মিত গৃহ হবে , অথবা আকাশে আরোহন করবে ।কিন্তু তোমার আকাশে আরোহন করা আমরা বিস্বাস করব না যতক্ষন না সেখান থেকে এক কিতাব  অবতীর্ন না করবে , যা আমরা পাঠ করব ।বল মহান আমার প্রতিপালক , আমি তো শুধু মানুষদের রাসুল (বাসারার রাসুল ) (সুরা বনী ইসরাইল ৯৩) 

মিয়া ভাই , উপরের আয়াতের অংশ গুলো লুকিয়ে কেন রেখেছেন ? কাফেরগন আপনার ভাই , তাই ভাইদের কুকির্তি ভাই তো লুকাবেই। 

উপরোক্ত আয়াতের তাফসীর বেশ লম্বা চওড়া । আমি কিছু তুলে ধরছি মাত্র;-   যখন আমাদের নবী (সা) গোত্রপতিদের কে ইমানের দাওয়াত দিলেন তখন তারা প্রত্যাখ্যান করেছিল , আর এ ও বলেছিল যে তুমি যদি নবী হয়ে থাক তবে তোমার তো সোনার মহল হবে , তুমি আল্লাহ কে বলে মরুভূমির মাঝে নদী নালা কেন তৈরি করছ না , কেন এই মক্কার পাহাড় গুলো এখানে থেকে সরিয়ে দাও না , কেন এখানে আংগুরের বাগান হয় না , এমন কত শত কথা বলত । এমন বলত যে তুমি আকাশে আরোহন করে যতক্ষন না আমাদের জন্য  কোন কিতাব নিয়ে আসবে ও সাথে ফেরেস্তা নিয়ে না আসবে , ততক্ষন পর্যন্ত আমরা ইমান আনব না । 

তাফসীর ইবনে কাসীরের ১৩ খন্ডের ৪২৯ নং পৃষ্টায় লিখেছেন যে ;- এই সব কথা বলার কারন শুধু নবী (সা) কে খাটো করে দেয়া ও লা জবাব করে দেয়া । ইমান অনয়নেক উদ্দেশ্য তাদের মোটেই ছিল না । তাদের ইমান আনার উদ্দেশ্য সত্যি যদি থাকত তবে আল্লাহ তাদের চাওয়া পুরান করতে অবশ্যই সক্ষম ছিলেন।  আর আমার নবী কে আল্লাহ তায়ালা বলেন যে আপনি যদি চান  তবে তাদের চাওয়া পুরা করা হবে , কিন্ত্ এর পর ও যদি তারা ইমান না আনে তা হলে তাদের কে তৎক্ষনাত  দৃষ্টান্ত মুলক সাজা দেওয়া হবে  যা কখনও কাউকে দেই নাই অথবা আপনি চাইলে তাদের উপর (তওবা) রহমতের দরজা খুলে রাখি । আমার নবী দ্বীতিয় টা কবুল করলেন । এবং কাফেরগন কে কিয়ামত পর্যেন্ত অবকাশ দেয়া হল ।(তাফসীর ইবনে কাসীরের ১৩ খন্ডের ৪২৯ নং পৃষ্টায় )

তো উক্ত এই আয়াত ও আহলে কুফ্ফার দের জন্য নাযিলকৃত আয়াত । যারা নবী কে নবী মান্য করত না।  সাধারন মানুষ মনে করত । 
আর আমার প্রতিপক্ষ ও আয়াতের শেষের অংশটুকু আমার পোস্ট এ কমেন্ট করে নবী (সা) কে তার মত মানুষ প্রমান করতে চান । 
কিন্ত্ তার এটুকু কি জানা নাই ? বাশারার রাসুল শব্দের অর্থ কি ? 



আমার বিজ্ঞ প্রতিপক্ষের আর একটা জাহেলিয়াত এর নমুনা দেখুন ;- 
আপত্তি নং ৪
(৪)“তোমাদের(মানুষদের) মধ্য থেকেই তোমাদের প্রতি রাসূল প্রেরণ করেছি , যে তোমাদের নিকট আমার আয়াতসমূহ আবৃত্তি করে, তোমাদের পরিশুদ্ধ করে, এবং তোমাদের কিতাব ও প্রজ্ঞা এবং নূতন জ্ঞান শিক্ষা দেয়।”
-সূরা বাকারাঃ১৫১

এবার আমি পেশ করছি তাফসীর ইবনে কাসীর থেকে , তাতে কি অর্থ কথা আছে দেখুন ;-আমি তোমাদের মধ্য এরুপ রাসুল প্রেরন করেছি , যে তোমাদের নিকট আমার নির্দেশাবলি পাঠ করে , তোমাদের  কে পবিত্র করে ও তোমাদের কে বিজ্ঞান ও গ্রন্থ শিক্ষা দেয়, আর তোমরা যা অবগত ছিলে না তা শিক্ষা দান করে (সুরা বাকারা আয়াত ১৫১) 

তার একটা ঘৃন্য কাজ যে , যে কোন ভাবেই হোক , নবী (সা) কে তার নিজের মত প্রমান করার চেষ্টা করা ।

সে আয়াত বর্ননা করতে গিয়ে লিখেছে ;- তোমাদের(মানুষদের ) মধ্য থেকেই তোমাদের প্রতি রাসুল প্রেরন করেছি । 

আর বিখ্যাত তাফসীর ইবনে কাসীর এ বলা হয়েছে ;- আমি তোমাদের মধ্য এরুপ রাসুল প্রেরন করেছি যা তোমাদের কোমার নির্দেশাবলি পাঠ করে শোনায়। 


এখন দেখুন। মোনাফেক কি গাছে ধরে ? 

আপত্তি নং (৫)
৫)“এটা কি মানুষের জন্য আশ্চর্য্যের বিষয় যে, আমি তাদেরই(মানুষেরই) একজনের নিকট আমার ওহী প্রেরণ করেছি?”
-সূরা ইউনুসঃ০২

এই আয়াত ও কেটে পেশ করেছে।  যাই হোক।  

আমি এর একটা প্রমান দিচ্ছি , তাফসীর ইবনে কাসীর থেকে , 

যাহহাক (রহ) ইবনে আব্বাস (রা) থেকে বর্ননা করেছেনে যে (-আল্লাহ যখন মুহাম্মদ (সা) কে রাসুল করে পাঠালেন তখন আরবরা তাকে অস্বীকার করে বসল , আর বলতে লাগল ,আল্লাহ তো এর চেয়ে ওনেক বড় , যে আল্লাহ মুহাম্মদের ন্যায় মানুষ কে নবী করে পাঠাবেন ? 

তখন আল্লাহ বললেন এতে বিশ্বয়ের কিছুই নেই ।(সুরা ইউনুস পারা ১১ পৃ ৮৫৯ ) 

তো আমার ভাই।  এখানে আমার আল্লাহ তো নবী পাক (সা) কে বলেন নি তিনি তোমার মত মানুষ ছিলেন।   বরং কাফের বা বলত নবী পাক (সা) কে মানুষ । তুমি ও কি কাফের ? না তাদের ভাই ? 

যে এই কাফেরদের কে বেজজাত করে যে সব আয়াত নাজিল হয়েছে তুমি সেই সব আয়াত দেখাচ্ছে নবী কে মানুষ বানানোর জন্য ? 


আপত্তি নং (৬) 
৬)"তোমাদের মধ্যে থেকেই তোমাদের নিকট একজন রাসূল এসেছে।”
-সূরা তাওবাঃ১২৮

এই আয়াত কি এত টুকুই ? না আরো আছে ? 
লা ক্বাদ যা'আকুম রাসুলুম মিন আন ফুসিকুম , 
শুধু এই টুকুর বাংলা দিয়েছেন । তাই আবার উল্টা করে । তাফসীর ছারাই। অথচ আমাকে দোষারোপ করেছেন তাফসীর দির্ঘ না দেওয়ার কারনে । আমি তো চাই কেউ কথা বলুক তাফসীর দিয়ে ।

তোমাদের নিকট প্রেরিত রাসুল , তোমাদেরই বংশবিজরিত । অর্থাৎ তোমাদের মত তিনিও হযরত ইসমাইলের অধস্তন পুরুষ ।
হযরত ইবনে আব্বাস (রা) বলেন যে আরবের সকল গোত্রের সংগে নবী পাকের বংশীয় সম্পর্ক ছিল ।ইমাম জাফর সাদেক (রহ) বলেছেন যে হযরত আদম (আ) থেকে রাসুলুল্লাহ (সা) সকল অর্ধস্তন পিতা অশুদ্ধ বিবাহ বন্ধন থেকে মুক্ত ছিল ( তাফসীর এ মাযহারী ) ৫ খ পেজ নং ৫৩৭ 

উক্তি আয়াত কাফেরগনের কে উদ্দেশ্য করেই।  কারন যখন কাফেরগন নবী পাকের বংশ নিয়ে ও ওনার জন্ম নিয়ে বাজে প্রোপাগান্ডা করেছিল এটা তখন নাযিল হয় । 

এবার আপনি ও কি এই আয়াত দিয়ে ওনার জন্ম সুত্রের কোন দোষ প্রমান করতে চান নাকি ? 
আর আমরা কখনই অস্বীকার করি না যে নবী (সা) হযরত আদম (আ) এর সন্তান নন । বরং আমরা এটা মান্য করি যে ,ওনার জাহেরীয়াত বাবা আব্দুল্লাহ এর উরশে মা আমেনার কোলে থেকে জন্ম । কিন্তু দুদিন আগে যে নূর নিয়ে পোষ্ট করেছিলাম তা ছিল ওনার হকিকত । আপনার এই জাহেরীয়াত কে আকড়ে ধরে ওনার হকিকত কে অস্বীকার করে যান বার বার 
আমি সম্ভব হলে কিছু যোগ করব শেষে এ নিয়ে ।

৭ নং আপত্তি তার ;-
 
৭)“তোমাদের পূর্বে আমি যত রাসুল প্রেরণ করেছি তারা সকলেই ছিলো মানুষ যারা খাদ্য গ্রহণ করতো, এবং রাস্তায় চলাফেরা করতো।বস্তুতঃ আমি তোমাদের একজনকে অন্যজনের জন্য পরীক্ষা স্বরূপ করেছি। [হে মোমেনগণ]
তোমরা কি ধৈর্য্য ধারণ করবে?নিশ্চয়ই আল্লাহ্ [সব কিছু] দেখেন(ফোরকান আয়াত ২০) 

এটা ও বিকৃত ; বরং প্রকৃত সত্য হচ্ছে (- 

তোমার পুর্বে আমি যেসব রাসুল প্রেরন করেছি তারা সবাই তো আহার করত, হাটে বাজারে চলাফেরা করত ।হে মানুষ , আমি তোমাদের মধ্য এককে অপরের জন্য পরিক্ষা স্বরুপ করেছি ।তোমরা ধর্যধারন করবে কি ? তোমার প্রতিপালক সব কিছু দেখেন (ফোরকান আয়াত ২০) তাফসীর ইবনে কাসীর থেকে । 

উপরে দেয়া তার কমেন্ট, হুবহু আমি কপি করে দিয়েছি । 

আর নিচে আমি দিয়েছি হুবহু তাফসীর থেকে । একটু মিলিয়ে নেন। নবী কে তার মত মানুষ বানানোর কত চাহিদা তার । আয়াতের অপব্যাক্ষা করতে কোন কম করেনি । 

আর তাফসীর দেখুন কি বলা আছে (- আল্লাহ তায়ালা বলেন যে ;- কাফেররা অভিযোগ উক্ষাপন করে নবী রাসুলদের পানাহার বা ব্যাবসা বানিজ্যের কি প্রয়োজন ? তাদের জবাবে আল্লাহ তায়ালা বলেন , পুর্ববরতি সকল নবী রাসুলই মনুষ্যজনিত প্রয়োজন রাখতেন । ব্যাবসা বানিজ্য , জীবিকা উপার্জন সবকিছুই করতেন ( তাফসীর ইবনে কাসীর , খন্ড ১৫ পারা ১৮ , সুরা ফোরকান আয়াত ২০ পৃ ২৩২) 

এখন কথা হচ্ছে শাখিল সাহেব , আমাদের নবী খানা পিনা করত , ব্যাবসা করত।  তাই কি আপনাদের ও নবী কে মানুষ মনে হয় ? 
যেমন কি কাফের রা বলে নবীর এসব করার কি দরকার ? 
আর আমাদের নবী এই সব করেছে বলেই আপনি মানুষ প্রমান করতে চান ? 
আর কাফেরদের জবাব দিয়ে  এই আয়াত কে পেশ করেছেন যে দেখ এই সব কিছুই করত নবী (সা) ।  তাই তিনি আমার মত মানুষ। এটা প্রমান করতে চান ? 
আর আয়াত নাই তোমার ?
সব গুলোই কি আহলে কুফ্ফার এর বক্তব্য তোমার দলিল ? মুমিনদের নেই ? 


৮ নং আপত্তি তার ;- 

৮)“মুহাম্মদ একজন রাসুল ছাড়া কিছু নয়, তাঁর পূর্বে বহু রাসুল গত হয়েছেন। যদি তিনি মারা যান কিংবা নিহত হন তবে কি তোমরা পশ্চাতবরণ করবে ? এবং
কেউ পিছটান হলে কখনো সে আল্লাহর সামান্য ক্ষতি করতেও সক্ষম হবে না; আল্লাহ কৃতজ্ঞদের সত্বরই পুরষ্কার দিবেন”
-সূরা আলে ইমরান ১৪৪

মিয়া ভাই। এই আয়াতে তো নবী (সা) কে মানুষ প্রমান করার কিছু ব্যার্থ চেষ্টা তোমার দেখছি না । 
তবে রাসুল যখন বলা হয়েছে , আপনি হয়ত সেই সকল রাসুলের কাতারে দাড় করিয়ে আমার নবী কে খাটো করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন ।  করুন। করুন।  মানুষ তো বানাতে পারলেন এই আয়াত দিয়ে। তাই এড়িয়ে গেলাম । পোষ্ট বড় হয়ে যাচ্ছে তাই । 

এরপর লিখেছে ;- আপনি (আমি বলেছি ) বললেন-"ইমাম মুসলিম রহমাতুল্লাহি আলাইহি ইমাম বুখারী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনাকে লক্ষ্য করে বলেন--
ﺍﺷﻬﺪ ﺍﻧﻪ ﻟﻴﺲ ﻓﻲ ﺍﻟﺪﻧﻲ ﻣﺜﻠﻚ
অর্থ: আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, পৃথিবীতে আপনার মেছাল বা আপনার মত আরেকজন নাই!

অাইছা ভাইসাব! এ কথার মানে কি ইমাম বুখারী(রহ:) মানুষ নন??? কি বলেন??? একথার দ্বারা ইমাম বুখারি মানুষ নন যদি প্রমাণিত না হয় তাহলে এই একই কথার দ্বারা রাসুল(সা:) নন প্রমাণ হয় কিভাবে???


উত্তর ;- এই কথার মানে যে , কত গুলো বেজন্মা  কুলাংগার হারামি ও নাযায়েয সন্তানেরা নবী (সা) কে তার নিজের মত ও নিজেকে তার মত মানুষ মনে করে থাকে । 

সেই মত খন্ডন করার জন্য উপরের ইমাম মুসলিম (রহ) এর মত তুলে ধরা হয়েছে যে ইমাম বুখারি (রহ)'র মত যদি কাউকে খুঁজে না পান তিনি দুনিয়ার বুকে , তাহলে কোন হালালের সন্তান কি করে নবী (সা) কে তার নিজের মত মানুষ মনে করতে পারে ? 

এখন বুঝে নে নবী কেমন মানুষ ছিল , বাকিটা পরে আসছে । 


এর পর লিখেছে (- বিখ্যাত ইমাম, ইমামে আযম,ইমামুল আইয়িম্মা, তাবেয়ী, হযরত ইমাম আবু হানীফা রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন--
ﻭﺍﻟﻠﻪ ﻳﺎﺳﻴﻦ ﻣﺜﻠﻚ ﻟﻢ ﻳﻜﻦ
ﻓﻲ ﺍﻟﻌﺎﻟﻤﻴﻦ ﻭﺣﻖ ﻣﻦ ﺍﻧﺒﺎﻙ
অর্থ - আল্লাহ পাকের কসম ! হে ইয়াসিন ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সারা জাহানে আপনার কোন মেছাল নাই !"(কথা টা আমি বলেছি ) 

আমার কথা দেখে সে লিখেছে (এশকের ঠেলায় কি মাথা নষ্ট হয়ে গেছে হুজুর???? :-)

ভাই। আমার মাথা তো পাগল হয়নি , আমি তো যা বলেছি তা রেফারেন্স সহ বলেছি। আর ইমাম মুসলিম (রহ) ইমাম আবু হানিফা (রহ) যদি পাগল হয়ে থাকেন ইস্কের ঠেলায় , তবে উছ রংমে মুঝে ভি রাংঙ্গাদো 
বাংলা ;- ওই ইস্কের রং এর মধ্য আমারে চুবায় ধর । আমিও একটু রং মাখি । 

কত বড় বেআদব হলে এমন কথা বলা যেতে পারে যে হুজুর , ইস্কের ঠেলায় কি মাথা নষ্ট হয়ে গেছে ? অথচ উপরের বর্ননা টা ইমাম আবু হানিফা (রহ) এর । 

বিচার করবেন আপনারা ।

এবার প্রশ্ন করেছে যে :- নবী (সা) মানুষ জাতির অন্তর্ভুক্ত না হলে তিনি কোন জাতির অন্তরভুক্ত । 

কথা টা আমি গত দিনে খন্ডন করেছিলাম ওনাকে মানুষ মনে করে কাফের গন । 

কিন্ত্ তার একটা জবাব দেয়া হয়নি , তিনি কোন জাতির । কি আমাদের আকিদা নবী (সা) এর বিষয়ে । আজ তুলে ধরলাম । 



আমাদের শ্রদ্ধেয় আলেম আহমেদ ইয়ার খান   নঈমি (রহ) লিখেছেন যে ;- বেক্তি হযরত মোহাম্মাদ (সা) এর বিষয় এক  কথা ও হকিকতে মোহাম্ম্দি আর এক কথা । ব্যাক্তি মোহাম্মদ ওই দেহ মোবারকের নাম যা হযরত আদম (আ) থেকে পর্যায়ক্রমে মা আমেনার থেকে দুনিয়া তে এসেছেন ।যিনি সকল নবীর পরে দুনিয়া তে এসেছেন ও যিনি দুনিয়ার বুকে সর্বপ্রকার সম্পর্কের সাথে যুক্ত ছিলেন ।( এই হচ্ছে বাশার (বেক্তি)মোহাম্মাদ (সা) )

আর হকিকতে মোহাম্মাদি (সা) হচ্ছেন :- 
সুফী গনের দৃষ্টিতে  হকিকতে মোহাম্ম্দি (সা) হল জাতে মোতলাকা বা আল্লাহর সত্তার  প্রথম অস্তিত্বের নাম । কোন প্রকার দৃষ্টান্ত ব্যাতিরেকে এটা বুঝে নিন যে মাছদার এর প্রথম অস্তিত্বের নাম মজি মোতলাক ,যা মাছদার হতে সৃষ্টি ।
আবার সমস্ত ছিগা ওই মাজি মোতলাক হতে সৃষ্ট ।সুতরাং মাজি মোতলাক মাছদার এর প্রথম অস্তিত্ব  এবং অবশিষ্ট অন্যান্য ছিগা সমুহ পরবর্তিতে মজি মোতলাক হতে সৃষ্ট ।
অনুরুপ আল্লাহর সমস্ত তাজাল্লির কেন্দ্রবিন্দু হুজুরে পাক তার তাজাল্লি এবং অন্যান্য সৃষ্ট জগত তারই (নবী পাকের) তাজাল্লি হতে সৃষ্টি।(
সুত্র :- নূর এ মোহাম্মাদির প্রমান , আহমেদ ইয়ার খান নঈমি লিখিত , পৃ ১২ 

এর পর আহমেদ ইয়ার খান নঈমি (রহ) তুলে ধরেছেন যে ;- ব্যাক্তি মুহাম্মদ (সা) সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা কোরানে পাকে বলেছেন ( কুল ইন্নামা আনা বস্সারু মিছলুকুম ) 
অর্থ ;- হে নবী আপনি বলেদিন যে (- আমি তোমাদের মতই মানুষ । 

আর হকিকতে মোহাম্মদি (সা) সম্পর্ক নবী পাক বলেছেন যে ( কুনতু নাবওয়াওদামু বায়নাল মায়া ওত্বীন)  আমি তখন ও নবী ছিলাম যখন আদম (আ) মাটি ও পানির মধ্যে নিহিত ছিল । এটা হকিকত । 

হকিকতে মোহাম্ম্দি যেমন হযরত  আদম (আ) এর বংশদ্ভুত নন তেমনি হকিকতে মোহাম্ম্দি বশর ও নন । তিনি কারো পিতা ও নন আবার কারো সন্তান ও নন । সমগ্র সৃষ্টির মুল উৎস ।
এটা প্রকাশ থাকে যে বশরের সুচনা হযরত  আদম (আ) থেকে , আর আমাদের নবী তার ও আগে থেকে নবী  যখন কিনা আদম ( আ) তৈরির উপকরন ও সৃষ্টি হয়নি ।আর আমাদের নবী হযরত মোহাম্ম্দ মোস্তফা (সা) যদি বশর হতেন তা হলে হযরত আদম (আ) আবুল বশর( আদি মানব  পিতা) হতেন না । কারন বশরের শুরু হযরত আদম থেকে , তাই তিনি আদি মানব পিতা । যদি বশরের সৃষ্টি আমাদের নবী থেকে হত তা হলে আদম (আ) কি করে বশরদের (মানুষদের ) আদি পিতা হন ? জবাব দিবেন , কেমন । 
সুত্র ;- নূর এ মোহাম্ম্দি এর প্রমান 
আহমেদ ইয়ার খান নঈমি লিখিত পৃ ১৩

এখান থেকে এটা প্রমানিত যে নবী পাক সাল্লেল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লামে'র হকিকত কোন দিন বশর  ছিল না  , বরং নবী ছিল  । 

আহমেদ ইয়ার খান নঈমি (রহ) এই কিতাবে বিখ্যাত তাফসির (রুহুল বয়ান)র উদ্ধৃতি দিয়ে লিখেছেন যে ;- (হুওল্লাজী খালাকাকুম মিনান নাফছে ওহেদাত ) এই আয়াতের তাফসীরে যিনি লিখেছেন যে ;- সমস্ত আত্বা হুজুর পাক (সা) এর আত্বা থেকে সৃষ্টি । তাই তিনি ( আবুল আরওয়াহ) বা রুহ জগতের পিতা ।  
তো এখানে থেকে নবী (সা) এর ২ টা রুপ প্রকাশ পায় , যদিও অন্য কিতাবে ৩ টা রুপের কথা বলা হয়েছে । 
(১) বেক্তি মোহাম্মাদ (সা) বা জাহেরী 
(২) হকিকতে মোহাম্মাদি ( বাতেনি ) 
(৩) আল্লাহর দেয়া ক্ষমতা বলে মালেকি (ইখতিয়ার ভুক্ত বিষয়াদি ) 

আর ওনার একটা প্রশ্ন বাকি আছে , তা হাল (এখানে অামাদের নবী(সা:) অাদম(অা:) এরও অাগে নবী প্রমাণিত কিন্তু তিনি মানুষ নয় একথা এখানে কোথাই পেলেন??????

জবাব ;- ভাই। নবী (সা) যদি হযরত আদমের আগে নবী প্রমানিত হয়ে থাকেন , তবে আর কোন সময়ে তিনি মানুষ ছিলেন ? মানুষের শুরুই তো হযরত আদম (আ) থেকে । যদি আপনার মেনে নিতে কষ্ট হয় যে নবী (সা) হযরত  আদমের আগে সৃষ্টি হয়ে থেকে ও মানুষ নন , তা হলে ওনাকে মানুষ প্রমান করতে আগে আপনাকে কয়েকটা কাজ করতে হবে । আর তা হল কোরানের আয়াত গুলো বদলে ফেলতে হবে , যেগুলোতে  প্রমান আছে সর্ব প্রথম সৃষ্টি মানব হযরত আদম (আ) । 
আপনি আগে হযরত আদম (আ) কে সর্ব প্রথম সৃষ্টি মানব অস্বীকার করুন। কারন হযরত মোহাম্মাদ(সা) যেহেতু হযরত আদম (আ) এর আগে সৃষ্টি আর তা আপনি আপনার কমেন্ট এ মেনে ও নিয়েছেন । তাই হযরত মোহাম্মাদ (সা)ই হবেন প্রথম মানুষ আপনার কথা মতে । কারন তিনি ও আপনার মত মানুষ আপনি দাবি করে থাকেন । 
তাই আগে হযরত আদম (আ) আবুল বশর বা আদি পিতা বলা ও ছেরে দিন । 
এর পর আপনার ইমান পরিক্ষা করুন )


তো আমরা নবী (সা) কে বাবা আদমের সন্তান ও মান্য করি  যা মা আমেনা ও বাবা আবদুল্লাহর মাধ্যমে দুনিয়ায় তাশরিফ এনেছেন । এতে আমি নতুন করে কোন বিবিধ দেখি না । 

কিন্ত্ আপনারা যদি মা আমেনার  কোলে তাশরিফ অনয়নের  কারনে হকিকতে মোহাম্মাদি কে অস্বীকার করে শুধু মানুষ প্রমান করতে চান তাহলে এই বিরোধ জীবনে নিষ্পত্তির মুখ দেখবে না । 

আপনারা যদি কথাটা এমন ভাবে বলেন যে ;- হকিকতে মোহাম্মাদি (সা) সুরতে বাশার(মানুষের রুপে ) এসেছেন । আমাদের কোন আপত্তিনাই এই কথা মেনে নিতে । কিন্তু যদি বলেন , হযরত নবী (সা) আপনার মতই মানুষ তবে কাছে থাকলে আপনি , আমার পায়ের সুজ এখনই হাতে আসত । 


সোহেল রানা 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন