রবিবার, ৩০ আগস্ট, ২০১৫

আহমেদ ইয়ার খান নঈমি (রহ) কে নিয়ে আপত্তির জবাব ।দেওবন্দি রা মিথ্যাবাদি

মাহমুদুল হাসান হানাফি তার নিজে থেকে ঘোষনা কৃত ৫০ হাজার টাকার চ্যালেন্জ এ নাকানি চুবানি খেয়ে এখন শুরু করেছে আমাদের সুন্নিদের বিরুদ্ধে কপি পেষ্ট করা ।
সে যে পোষ্ট টা করেছে তা মুলত ইন্টারনেট থেকে কপিকৃত। 
দেখুন তার মুল লিংক ;-http://ahlehaqmedia.com/3597?print=print

আশা করি দেখেছেন । 

কিন্ত্ সে তার পোষ্ট এ আবার চালাকি করে লিখেছে যে ;- সংকলক, মাহমুদুল হাসান হানাফি ।

উপরের লিংক থেকে কপি করে সে কি করে সংকলক হয় ? 
সে কি মিথ্যাবাদি প্রমানিত হয় না অন্যর লেখা পোষ্ট করে নিজে সংকলক দাবি করে ? 

বিচার আপনাদের হাতে ।

তার কথা গুলো আমি নং ব্যাবহার করে কপি আকারে পেশ করে এর পর জবাব দিয়ে তার উত্তর দেয়ার চেষ্টা করছি ।


তাদের চিরচড়িত অভ্যেস অনুযায়ী মাসলাক আলা হযরত (রহ) এর লোকদের প্রতি বিদ্বেষ পোষনের  পরে আহমেদ ইমার খান নঈমি (রহ) এর কিতাবের রেফারেন্স তুলে ধরেছে । 
আমি তা পেষ করছি 

(১)শয়তান এবং তার বংশধররা গোটা পৃথিবীর
সবাইকে দেখে। কিন্তু মানুষ তাদের
দেখে না। যেখানেই কেউ ভাল কাজ
করার ইচ্ছে করে, তার নিয়তের খবর
পেতেই ততক্ষনাৎ সে ধোঁকা দিতে
ছুটে আসে। যখন আল্লাহ তাআলা
গোমরাহকে এত ইলম দিয়েছেন
যে, সে সর্বত্র হাজির নাজির, তাই
নবীজী সাঃ যিনি সারা পৃথিবীর
পথপ্রদর্শক তাকেও হাজির নাজির
বানিয়েছেন। {তাফসীর নূরুল
ইরফান-২৪৩, আলআরাফ-২৭}

এখন তার আপত্তি দেখুন ;- এ লেখায় বেরেলবী
রেজাখানীদের হাকীম সাহেব
নিজেদের যে আক্বিদার কথা প্রকাশ
করল, তা একটু ভেবে দেখুনঃ
শয়তানের ব্যাপারে লিখেছে যে,
সে সর্বত্র হাজির নাজির। যখন
দুজাহানের সর্দার রাসূল সাঃ এর ব্যাপারে
লিখেছে যে, তাকেও হাজির নাজির
বানানো হয়েছে। শয়তানের ব্যাপারে
“সর্বত্র” ব্যাবহার করা হয়েছে, আর
রাসূল সাঃ এর থেকে “সর্বত্র” শব্দকে
বাদ দেয়া হয়েছে।
তাহলে কি শয়তান সর্বত্র হাজির নাজির,
আর রাসূল সাঃ শুধুই হাজির নাজির?


জবাব;-উপরের কথা গুলো থেকে সে আপত্তি পেয়েছে যে , শয়তান সর্বত্র হাজির ও নাযির ,
কিন্ত নবী (সা) হাজীর নাজির , তার সামনে (সর্বত্র ) শব্দ টা ব্যাবহার না করা টা ভুল হয়ে গেছে । এতে শয়তানের প্রতি নাকি মুহাব্বাত প্রকাশ করা হয়েছে ।

আচ্ছা মিয়া ভাই , শয়তানের নামের সামনে সর্বত্র শব্দ টা দেখেছেন , কিন্ত আপনার পোষ্টেই তো লেখা আছে যে ( যিনি সারা পৃথিবীর  পথ প্রদর্শক  তাকে ও হাজির নাযির বানিয়েছেন )
আচ্ছা আপনি এই কথা টা কেন দেখলেন না ? 
সারা পৃথিবীর পথ প্রদর্শনের চেয়ে কি সর্বত্র কথা টা বেশি ইজ্জত ওয়ালা ? 

পাঠাক মন্ডলি , বিচার করুন । । 

আচ্ছা মিয়া ভাই , একটা বলবেন !  ,শয়তান কি হাজির ও নাযির নয় ? 
আপনারা বলে থাকেন যে আল্লাহ ছারা কেউ হাজির ও নাযির নেই। আল্লাহ ছারা হাজীর নাযির দাবি করা শিরক । 
তো এই আয়াত টা কি করবেন ? 
(إِنَّهُ يَرَاكُمْ هُوَ وَقَبِيلُهُ مِنْ حَيْثُ لَا تَرَوْنَهُمْ ۗ [٧:٢٧]

সে [শয়তান] এবং তার দলবল তোমাদেরকে দেখে, যেখান থেকে তোমরা তাদেরকে দেখ না।{সূরা আরাফ-২৭}

জবাব দিন । 
আপনি কি আজকের পোষ্টে নবী (সা) কে হাজির নাজির মেনে নিয়েছেন ? 
আর শয়তান কে কি মেনে নিয়েছেন ? 

যদি মেনে নিয়ে থাকেন তবে কি আজ থেকে নবী (সা) হাজির নাযির হওয়া আকিদা কি প্রমানিত হল ? 

নাকি আল্লাহ ছারা অন্য কাউকে হাজির নাযির দাবি করা শিরক হলে , তোমার পোষ্ট কিন্তু প্রমান করে শয়তান ও হাজির নাযির , কারন তুমি মিয়া প্রতিবাদ কর নাই । বরং আপত্তি করেছ যে নবীর শান কম করা হয়েছে শয়তানের শান বেশি করা হয়েচে ।

আর তাদের আকিদা দেখুন ;-১)
 শয়তান এবং মালাকুল মওত এর জ্ঞান হুজুর আকরাম সাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়ালিহি ওয়াসাল্লাম এর চেয়ে বেশী। “নাউযুবিল্লাহ” (বারাহীনে কাতেয়াহ, পৃঃ নং-৫১, লেখক-খলিল আহমেদ আম্বেটবী) 
এখানে সুস্পষ্ট ভাবে লিখে দিলেন , যে হুজুর এ আকরাম (সা) এর জ্ঞানের চেয়ে নাকি মালাকুল মউত ও শয়তানের ইলম বেশি । এখন কি বলবেন নিজের আলেম কে ? 
নাকি এসব চক্ষে দেখেন না ! 

(২) তাদের আর এক পন্ডিত লিখেছে ;- 
আল্লাহর নবীর স্বীয় পরিণতি এবং দেয়ালের পেছনের জ্ঞানও নাই। “নাউযুবিল্লাহ” (তাফসীরে বালাগাতুল হাইরান, পৃঃ নং-১৫৭, লেখক-হুসেইন আলী ) 

দেখুন , ভাল করে দেখুন , আপনাদের নবীর জ্ঞান হচ্ছে এই , এবার কি বলবেন ? 
সর্বত্র শব্দ ব্যবহার না করার কারনে যদি শয়তানের প্রতি মুহাব্বাত বেশি প্রকাশ করা হয়, তবে মালাকুল মউত ও শয়তানের ইলম বেশি বলে মত প্রকাশ করার কারনে ও নবীর দেয়ালের পিছনের ইলম নাই বলে প্রচার করার কারনে কি ইমানদার হবেন আপনারা ? 
নিচে (শিফা  শরিফে) উদ্ধৃতি তুলে ধরা হয়েছে। দেখে নিবেন । 


(২) আপত্তি ;- ইবলিস একই সময়ে প্রতিটি দিকে
প্রতিটি ব্যক্তির কাছে পৌঁছতে পারে।
সে কোন সীমায় সীমিত নয়”।
{তাফসীরে নাঈমী-৮/৩২৬}



জবাব ;- মিয়া । আপনি মিথ্যা প্রমান করছেন না কেন ? 
এমন কোন স্থান নেই , যেখানে শয়তান পৌঁছতেই পারে না ।
এই শক্তি শয়তান আল্লাহর কাছে থেকে চেয়ে নিয়েছে ।যাতে মানুষ কে গোমরাহ করতে পারে ।আরো শয়তান কিয়ামত পর্যন্ত অবকাশ চেয়েছে , যেমন পবিত্র কোরানে আল্লাহ তায়ালা বলেন যে ;--- সে বললো , হে আমার প্রতিপালক , পুনরুখ্খান দিবস পর্যন্ত আমাকে অবকাশ দিন ( সুরা হিজর আয়াত নং ৩৬) 

এবং আল্লাহ তায়ালা পরবর্তি আয়াতে বলেছেন যে ;- তিনি বললেন , যাদেরকে অবকাশ দেয়া হয়েছে তুমি তাদের অন্তরভুক্ত হলে ( সুরা হিজর আয়াত নং ৩৭) 

তো এঅ সকল ক্ষমতা আল্লাহ তায়ালাক কাছে  থেকে চেয়ে নিয়েছে শয়তান । 

আরো শুনুনন।  আপনার যদি দম থেকে থাকে আর মায়ের দুধ খায়ে থাকেন তবে এটা প্রমান করুন যে , শয়তান যে কোন সময় যে কোন স্থানে পৃথিবীর বুকে যে কারো কাছে  পৌঁছতেই সক্ষম নয় । 
যদি বলেন যে , আমাদের হুজুর তেতুল সফির কাছে শয়তান পৌঁছতেই পারে না , তা হলে মেনে নিব ।  কারন সে নিজে একটা শয়তান।  তার কাছে এই শয়তান কি করে পৌছতে পারবে ? 
ইমাম জালালুদ্দিন সুয়ুতি (রহ) এর কিতাব ( জিন জাতির রহস্য ) এর পেজ নং ২৪৯ থেকে পেজ নং ২৬৯ পর্যন্ত শয়তান ও আল্লাহর নবী গনের কথোপকথন ও আল্লাহর নবী গনকে বিভ্রান্ত করতে চেষ্টা করার কাহিনি বর্ননা করা হয়েছে ।

তো যেখানে আল্লাহর নবীগন কে শয়তান হত্যা পর্যন্ত করাতে পারে (জাকারিয়া আঃ কে শয়তান হত্যা করিয়েছে ) তখন আমাদের মত সাধারন মানুষের কিই বা শক্তি আছে তার থেকে বেচে থাকার ! 
 যদি আল্লাহ না চায় হেফাজত করতে আমাদের কে । 
আর (জীন জাতির রহস্য ) কিতাবের ১১১ নং পৃষ্টায় লেখা হয়েছে যে ;- আমাদের নবীর সাথে ও শয়তান থাকত । তবে আমাদের নবীর সাথে যে শয়তান ছিল , সে মুসলমান হয়ে গেছে । 

হযরত সাবেত (রহ) বলেছেন যে , আমাদের কাছে এ কথা পৌঁছেছে যে , ইবলিশ বলেছিল হে প্রভু, আপনি আদম কে সৃষ্টি করেছেন আর তার ও আমার মাঝে শত্রুতা ঘটিয়ে দিয়েছেন ।
অতএব আপনি তার(আদম) উপর আমাকে প্রবল করে দিন ।তখন আল্লাহ তায়ালা বলেন , মানুষের বুক হবে তোর বাসা ।
ইবলিশ বলেন আরো প্রবল করে দিন , আল্লাহ বলেন তোর ১০ টা বাচ্চা না হওয়ার আগে মানুষের একচট বাচ্চা ও হবে না ( জীন জাতির রহস্য ) পৃ৪৯ 

আমি শুধু আহমেদ ইয়ার খান নঈমি (রহ) এর কথা গুলো আরো যুক্তি পেশ করে মজবুত করে দিলাম।  তুমি যদি হালালের সন্তান হয়ে থাক তবে খন্ডন করে দেখাও । 

(৩) নং আপত্তি ;---

এ বিতাড়িত সৃষ্টি শয়তানকেও আল্লাহ
তাআলা এত শক্তি দিয়েছেন যে, সে
যদি ভ্রমণ করতে চায়, তাহলে অল্প
সময়ে পুরো দুনিয়া চক্কর দিয়ে
আসতে পারে। {তাহাফ্ফুজে
আকায়েদে আহলে সুন্নাত-৪৬৮, সৈয়দ
মুহাম্মদ মদনী মিয়া}


মিয়া ভাই। এটা তো আমাদের আকিদা । আপনি এটা খন্ডন করুন কোরান হাদিস দিয়ে । আপনি কেন নিজের কথা বলে যাচ্ছেন ? 

বরং যদি দম থাকে তবে রেফারেন্স দিয়ে খন্ডন করুন  যদি মায়ের দুধ খেয়ে থাকেন । 

আমি আরো একটু যোগ করে দিচ্ছি সাথে যে ;- মিশকাত শরিফের (ফায়ায়েল এ আজান) অধা্যয় বলা আছে যে ;- যখন আসমানে আজান হয় তখন শয়তান ৩৬ মাইল দুরে পালিয়ে যায় । আবার যখন আজান শেষ হয় তখন পুনরায় উপস্থিত হয় । 

আর শুধু শয়তান নয় , একটা সাধারন জীন ও পলকের মধ্য দুনিয়া এ প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে পৌছাতে পারেন । 
এমন কি মানুষের রুহ যদি পাক থাকে তবে ঘুমের ঘোরে আল্লাহর আরশে পৌছে সেজদা করে থাকে । 

আর যদি না পাক থাকে তবে দুর থেকে সেজদা করে ( হাফেজ ইবনে কাইয়ু্যম রচিত  রুহ জগতের রহস্য )

আর কেউ ডাক দিলে সাথে সাথে তা দেহের মধ্য ফিরে আসে ও তার ঘুম ভাঙ্গে। এসব কি দেখ না ? 

এর পর সেই একই কথা ঘোরা ফেরা করেছে । সে মনে হয় বিস্বাস করে না শয়তান সব খানেই আছেন । না করলে কোরানের আয়াত কেই অস্বীকার করা হবে , সেই জবাব দিবে ।

আপত্তি নং (৪)
যাই হোক। আরো একটা রেফারেন্স দিয়ে লিখেছে ;- যে, রেজাখানী বেদআতিরা
শয়তানকে শুধু হাজির নাজিরই বিশ্বাস করে
না, বরং রাসূল সাঃ এর চেয়েও ক্ষমতাধর
হাজির নাজির বিশ্বাস করে থাকে।
শয়তান নবীজী সাঃ এর চেয়েও উঁচু
স্তরের হাজির নাজির?!
মৌলভী আব্দুস সামী রামপুরী
বেরেলবী রেজাখানী সাহেব
লিখেনঃ
“মিলাদ মাহফিলের দাবিদাররাতো দুনিয়ার
সমস্ত পাক-নাপাক স্থানের মজলিসে,
ধর্মীয় ও অন্যান্য মজলিসে রাসূল সাঃ
হাজির একথার দাবি করে না। মালাকুল মওত
এবং ইবলিসের হাজির হওয়া এর চেয়ে
অধিক স্থানে তথা পাক, নাপাক, কুফর ও
গায়রের  কুফরী স্থানে হয়ে থাকে।
{আনওয়ারে সাতেআ}


আচ্ছা ভাই। আল্লাহ আপনার বিবেক দান করুন।  
কত সুন্দর কথা বলা হয়েচে (- মিলাদ পালন কারী গন এমন দাবি করে না যে , নবী (সা) পাক বা নাপাক বা  সকল ধর্মিয়  মাহফিলে হাজির হন , 

কিন্তু শয়তান বা মালাকুল মউত তো সব যায়গায় হাজির হয়ে যায় । কথা টি মিথ্যা ! নাকি সত্যি ! 
যেমন তাফসির এ খাযেন, কাবীর,রুহুল বয়ান এ সুরা আনআম এর তাফসীরে বলা হয়েছে ;- মালাকুল মওতের কাছে সমগ্র ভুপৃষ্টকে থালার মত করে দেয়া হয়েছে ।তার ইচ্ছা অনুযায়ি সেই থালা থেকে যা ইচ্ছা তুলে নিতে পারেন ( যা আল হক ১ম খন্ড পেজ নং ২৩২) 

রুহুল বয়ান এ আরও বলা হয়েছে যে ;- মালাকুল মওত কে কারো জীবন নেয়ার জন্য কোন বেগ পেতে হয় না ( যা আল হক ১ং খন্ড পেজ ২৩২)

হযরত সাবেত (রহ) বলেছেন যে , আমাদের কাছে এ কথা পৌঁছেছে যে , ইবলিশ বলেছিল হে প্রভু, আপনি আদম কে সৃষ্টি করেছেন আর তার ও আমার মাঝে শত্রুতা ঘটিয়ে দিয়েছেন ।
অতএব আপনি তার(আদম) উপর আমাকে প্রবল করে দিন ।তখন আল্লাহ তায়ালা বলেন , মানুষের বুক হবে তোর বাসা ।
ইবলিশ বলেন আরো প্রবল করে দিন , আল্লাহ বলেন তোর ১০ টা বাচ্চা না হওয়ার আগে মানুষের একটা বাচ্চা ও হবে না ( জীন জাতির রহস্য ) পৃ৪৯ 

উপরের হাদিসে আল্লাহ তায়ালা সুস্পষ্ট ভাবে বলেছেন , মানুষের বুক হবে তোর বাসা । 
এর মানে প্রত্যেকটি মানুষের কাছেই শয়তান আছে । 

আর হা। শয়তান কি পাপের যায়গায় থাকে না ? 

ইমাম জালালুদ্দিন সুয়ুতি (রহ) ওনার কিতাব (জীন জাতির রহস্য ) ৬৩ নং পেজে লিখেছেন যে :- সাধারণত জীনরা থাকে নাপাক ও নোংরা যায়গায় , যেমন খেজুরের ঝাড় ময়লা গাঁদা নর্দমা গোসলখানা প্রভতি যায়গায় । এই কারনে এসব যায়গায় নামায পড়তে মানা করা হয়েছে 

হযরত যায়েদ বিন আরকাম (রা) বর্ননা করেছেন যে ;- রাসুলুল্লাহ (সা) ইরশাদ করেছেন ;- এই নোংরা যায়গা গুলো জ্বীন ও শয়তানের থাকার যায়গা ।অতএব তোমাদের মধ্য কেউ যদি পেসাব পায়খানার জন্য যায় , তবে সে যেন এই দোয়া পড়ে ( আল্লাহ হুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল খুবুসি ওয়াল খাবায়েস ) জ্বীন জাতির রহস্য পৃষ্টা নং ৬৩ 

উপরের হাদিস থেকে জানা যায় শয়তান কোথায় থাকে না থাকে । 
তো আমার নবী ও কি এমন যায়গায় যাবেন ? নিজের হাজির নাযির প্রমানের জন্য ? 

এখন যদি আপনারা বলেন যে হে যেতে হবে , তা হলে বলব যে আপনাদের আল্লাহ কি বাথরুমে আছে ? 
জবাব দিবেন। এই নিয়ে বাকি কথা পরেই হবে । 

 আর মালাকুল  মউত কি থাকে না ? উপরে তাফসীর এ কবির তাফসীর এ খাযেন রুহুল বয়ান থেকে বর্ননা করেছি মালাকুল মৃতের বিষয় দেখে নেন ।  


পাপের যায়গায় কি মানুষ মরে না ? 

তাই বলে কি আমার নবী ও সেখানে থাকবেন যেখানে পাপ কার্য হয় !  

আর এই কথা টা স্বীকার করা কি নবীর শান মান কম করা ? 


কি আশ্চর্যের বিষয় , 
সত্য কি কিভাবে মানুষ অস্বীকার করতে পারে ! 
এ কি শুধু হিংসা ? 
হিংসা নয় তো কি এটা ? 

শয়তান তার শয়তানি তে আগে , আর আমার নবী তার রহমতে ভরপুর । এটা বুঝতে হবে । তোরা তেঁতুলের জাত। তোদের মাথায় হিংসা আর মোনাফেকি ছারা কিছুই ঢুকে না । 

আপত্তি নং (৫)
এর পর লিখেছে যে ;- 

শয়তান নবীজী সাঃ এর তুলনায় অধিক
স্থানে হাজির নাজিরই নয় বরং শয়তানের
আমলের পরিমাণ এত বেশি যে,
আমলের কারণে নবুওয়ত পাওয়া
গেলে শয়তান নাকি নবুওত পেত।
দেখুন কি বলে?
শয়তান নবুওয়তের হকদার
“যদি নবুওয়ত আমলের উপর ভিত্তি
করে হত, তাহলে শয়তানের তা পাওয়া
উচিত”। {তাফসীরে নাঈমী-১/৩১২}
নাউজুবিল্লাহ! তাহলে কি শয়তানের আমল
নবীওয়ালা ছিল? [আস্তাগফিরুল্লাহ!]

এইকথা টা লেখার পর শুরু করে দিয়েছে নাক ছিটকানী । এই কথা টা নাকি ভুল বলেছে । 

আরে ভাই তেতুল।  ঠান্ডা হ ।

হযরত ইবনে আব্বাস (রা) বলেছেন ;- ফেরেস্তাদের মধ্য শয়তান খুব উঁচু মানের ছিল । তার গোত্র এ ফেরেস্তাদের থেকে সেরা ছিল । সে ছিল জান্নাতের প্রহরী ও ভারপ্রাপ্ত ।দুনিয়া ও আসমানে তার রাজত্ব চলত ।পারস্য আর রোম উপসাগর তার আয়ত্বে ছিল ।একটি পুর্বে প্রবাহিত হত অন্যটি পশ্চিমে । এই পৃথীবির বাদশাহি ও ইবলিশের ছিল ( জীন জাতির রহস্য ) পৃ ২৩৪

হযরত ইবনে মাসউদ (রা) বলেছেন ইবলিশ কে প্রথমে আসমানের তত্বাবধাক করা হয়েছিল (জীন জাতির রহস্য ) পৃ ২৩৪

জুওয়াইবির ও উসমান নিজেদের সনদসহ বর্ননা করেছেন যে ;- যখন জীন জাতি পৃথীবিতে রক্তপাত ও অশান্তি শুরু করে দেন তখন , আল্লাহ তায়ালা এক ফেরেস্তাবাহীনি পাঠিয়ে দেন । তাতে ইবলিশ ও ছিল । ইবলিশ ছিল ৪০০০ জন ফেরেস্তারা সরদার ( জীন জাতির রহস্য ) ২৮ 

হযরত কাতাদা (রহ) বলেন তার কাজ ছিল বায়ু সনচালন করা (জীন জাতির রহস্য ) পৃ ২৩৪

আরে বর্নানাতে পাওয়া যায় যে শয়তান ৬ লক্ষ বছর আল্লাহর ইবাদত করেছে । 

সুরা হিজর এর ৩৪ নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন যো ;-তবে তুমি এখান থেকে বের হয়ে যাও , কারন তুমি অভিশপ্ত . উক্ত আয়াতের তাফসীরে হাফেজ ইবনে কাসীর দামেস্কি (রহ) লিখেছেন যে ;- আল্লাহ তায়ালা বলেন যে , তুমি এই উত্তম মর্যাদা সম্পন্ন দল থেকে বের হয়ে যাও , কারন তুমি অভিশপ্ত ( সুরা হিজর আয়াত নং ৩৪ এর তাফসির ইবনে কাসীর পৃষ্টা নং ১০৭) 

উপরের তাফসির থেকেও এটা বোঝা যায় যে শয়তান অভিসপ্তের আগে ওনেক মর্যাদাবান ছিলেন । আমরা এগুলো অস্বীকার করতে পারি না । কারন এতে কোরান কে অস্বীকার করা হবে ।

আমরা কি এই উপরের কোরান  হাদিসগুলোকে অস্বীকার করব ? 
না। তা করতে পারি না। কারন এই গুলো সত্যি।  অস্বীকার করলে আমরা মিথ্যাবাদি ও কোরান হাদিস অস্বীকারকারী হব ।

আল্লামা আহমেদ ইয়ার খান নঈমি (রহ) বলেছেন যে , যদি ইবাদতের মাধ্যমে নবুয়াত লাভ করা যেত , তবে শয়তানের তা পাওয়া উচিত ছিল । 
এখানে ভুল কোথায় ? উপরের বর্ননা থেকে তো এটা প্রমানিত যে , শয়তান ও আল্লাহর ইবাদত করেছে । কিন্ত পরে অভিশপ্ত হয় ।

ইবাদত দিয়ে কেউ নবী হতে পারে না ।
নবী আল্লাহ তায়ালা নির্বাচন করেন । 
 

কিন্তু আপনাদের আকিদা মনে হয় এ নিয়ে জানা নাই ;---- নবী এবং উম্মতের মধ্যে পার্থক্য শুধু এলেমের দিকে। আমলের দিক দিয়ে কখনও কখনও উম্মত নবীর সমান হয়ে যায়। বরং কখনও কখনও নবীর উপরেও চলে যায়। “নাউযুবিল্লাহ”। (তাহযিরুননাছ, পৃঃ-৫, কাশেম নানতুভী দেওবন্দী, কওমী)।

এখন কি বলবেন ? 

আপনার নানুতভীর কথা মতে শয়তান নবীর চেয়ে আসলেই ওনেক আগে চলে গেছে । কারন তার মত ইবাদত কেউ করতে পারে নাই দুনিয়ার বুকে ।

কিন্তু আমাদের আকিদা হচ্ছে ও আহমেদ ইয়ার খান নঈমি (রহ) ওনার স্বীয় কিতাব (যা আল হক) এর ১ম খন্ডের ২৬৭ নং পেজে শিফা শরিফের উদ্ধৃতি দিয়ে লিখেছেন যে ;- শিফা শরিফে আছে , কোন বেক্তি যদি বলে যে ; কোন বেক্তি বিষেশের জ্ঞান হুজুর (সা) এর জ্ঞানের চেয়ে বেশি তাহলে সে কাফের । 
যে কোন পুর্নতা বিষয়ক গুন হুজুর (সা) এর থেকে বেশি মনে করা কুফর ।জ্ঞান ও আমলের দিক থেকে কেউ নবী (আ) গনকে ডিঙ্গিয়ে যেতে পারে না । যদি কারো বয়স ৮০০ বছর হয় ও সারা জীবন আল্লাহর বল্দোগীতে কাটিয়ে দেয় আর বলে আমি ইবাদত করেছি ৮০০ বছর ,আর হুজুর (সা) এর জাহেরী ইবাদত হচ্ছে ২৫ বছর । আমি হুযুর (সা) কে  ইবাদত দিয়ে ডিঙ্গিয়ে গিয়েচি , তবে সে ধর্মদ্রোহি ।

হুজুর (সা) এর এক একটি সেজদার সওয়াব আমাদের লক্ষ বছরের ইবাদতের চেয়ে ও বেশি ।( যা আল হক, আহমেদ ইয়ার খান নঈমি লিখিত ১ম খন্ড পেজ নং ২৬৮) 

যে আলেম তার কিতাবে কত সুন্দর করে নবীর শান ও মান নিয়ে বলে গেলেন , সেই সম্মনিত আলেমকে এরা দোষি সাবস্ত্য করতে কতই না বদ্ধ পরিকর । 

আমি তাদের কাশেম নানুতভীর বক্তব্য তুলে ধরেছি উপরে যে , তিনি তাহযিরুন নাস কিতাবে লিখেছেন ;- আমলের দিক দিয়ে কখনও কখনও উম্মত নবীর সমান হয়ে যায়। বরং কখনও কখনও নবীর উপরেও চলে যায়। “নাউযুবিল্লাহ”। (তাহযিরুননাছ, পৃঃ-৫, কাশেম নানতুভী )

এমন কি তাদের আলেম ;-কথিত মৌলভী হুসাইন আহমেদ মাদানী তার কিতাব (রুজুমুল মুযনেবীন) এ লিখেছেন যে ;- রানী বিলকিসের সিংহাসন নিয়ে আসার ক্ষমতা হযরত সুলাইমান (আ) ছিলনা , কিন্তু আসিফের এই ক্ষমতা ছিল ।
যদি সুলাইমান (আ) এর ক্ষমতা থাকত তবে তিনি নিজেই নিয়ে এলেন না কেন বিলকিসের সিংহাসন ? ( রুজুমুল মুযনেবীন) 

এই হচ্ছে তাদের আকিদা । 
তারা আমল দিয়ে আল্লাহর নবী (আ) গনকে পিছনে ফেলে আসার আকিদা রাখেন। 

ওয়াক্তের নবীর চেয়ে তার উজীরের ক্ষমতা বেশি মনে করেন । 
কিন্ত্ এটা তাদের মাথায় আসে না , যে তিনি নবী , একজন নারীর সিংহাসন তিনি নিজে নিয়ে আসলে ওনার শান বৃদ্ধি পাবে না , বরং কমে যাবে । তাই তিনি একজন উজির কে দিয়েই করিয়ে নিলেন ।
তাদের চোখে এসব পড়ে না।  এরা আপত্তি করতে জানে শুধু । 


আপত্তি নং ৬ 
তারপর সে লিখেছে ;-----
তাযকেরায়ে গাউসিয়্যার ২৫৭ নং পৃষ্ঠায়
লিখেছেঃ
আশেকদের কাছে রং সব একই: ইবলিস
ও মুহাম্মদ [সাঃ] সমান সমান।

জবাব ;- মিয়া ভাই। এই রকম কোন কথা কোন সুন্নি আলেম বলতে পারেন না।  বরং তোমরা বলে থাক যে নবী আমাদের মত মানুষ। 

আমরা নবী (সা) কে যখন আমাদের মত মানুষ মনে করি না , তবে কি করে আল্লাহর অভিশাপ প্রাপ্ত শয়তানের মত মনে করতে পারি ? 

এই কথায় যদি আপনার দিল না ভরে তবে দয়া করে কিতাবের পাতা টা পেশ করুন। যদি সত্যি এমন কথা বলে থাকে কোন ব্যাখা ছারা , তবে আমি দেওবন্দি হয়ে যাব।  চ্যালেন্জ ।

আপত্তি নং ---৭ 

এর পর আসুন  সে লিখেছে (- শুধু আল্লাহ তাআলা তাওহীদতো
শয়তানও মানে। আর অনেক কাফেরও
একত্ববাদে বিশ্বাসী”। [তাফসীরে
নাঈমী-৩/৪৯}
বুঝে আসে না তাওহীদ তথা একত্ববাদ
বিষয়ে ওদের এত দুশমনী কিসের?

জবাব;- আমার এলাকায় একটা  কথা বলে থাকে যে ;- যারে যে দেখতে পারে না , তার হাঁটা টা ও বাঁকা লাগে । 

এখানে সেই অবস্থা । 
আচ্ছা এখানে আহমেদ ইয়ার খান নঈমি (রহ) ভুল কি বললো ? শয়তান কি জানে না ! , আল্লাহ এক ও অদ্বীতীয় । 

যেমন আল্লাহ তায়ালা নিজেই কোরানে বলেছেন যে ;- সে তখন বললো(শয়তান) , হে আমার প্রতিপালক , আপনি আমাকে বিপথগামী করলেন( সুরা হিজর আয়াত ৩৯) 
এখানে দেখ শয়তান ও মান্য করে আল্লাহই তার প্রতিপালক ।

সুরা হিজর ৩৬ নং আয়াতে ও অনুরুপ বলেছে শয়তান (-সো বললো(শয়তান) হে আমার প্রতিপালক ,কিয়ামত পর্যন্ত আমাকে অবকাশ দিন ) 
এখানে শয়তান ও স্বীকার করেছে যে আল্লাহ তায়ালাই তার প্রতিপালক । শয়তান মুশরিক নয় , বরং শয়তান আল্লাহর অবাধ্য । 

যেখানে কোরানে প্রমান পাওয়া যায় শয়তান ও তাওহিদপন্থি , সেখানে আহমেদ ইয়ার খান নঈমি (রহ) বললে দোষ হবে কেন ? বরং সত্যি বলার কারনে সওয়াব হবে । 

আরবের পৌত্তলিকগন কি তখন আল্লাহ তায়ালা কে ডাকত না ? 
বর্তমানে যারা হিন্দু আছে বা ইহুদি আছে ততারা কি মান্য করে না ইশ্বর এক । 
তারা সকলেই মানে । শুধু মান্য করে না দ্বীন এ ইসলাম কে , মুহাব্বাত করে না আমার নবী (সা) কে । 
এত সুন্দর কথা গুলো কি করে তোমাদের কে খারাপ লাগে ? আমার তো বুঝে আসে না ভাই । 
এ তো শুধুই হিংসা ।

আপত্তি নং----৮ 
তারপর লিখেছে যে ;- 

যায়গায় যায়গায় তাওহীদ বিষয়ে ঠাট্টা করা
হয়েছে। মুফতী আহমাদ ইয়ারখান
গুজরাটি রেজাখানী বলেনঃ
মুআহহিদ তথা একত্ববাদে বিশ্বাসী
হয়ো না, নতুবা মার খাবে। {নয়ি
তাক্বরীরী-৭৬}
আমরা বেরেলবী রেজাখানীদের
জিজ্ঞেস করি, যদি তাওহীদের দ্বারা
মুক্তি না পাওয়া যায়,তাহলে কি শুধু
মোহাব্বতের দ্বারা মুক্তি পাওয়া যাবে?
কস্মিনকালেও নয়। 

জবাব;- আল্লামা আহমেদ ইয়ার খান নঈমি খারাপ কোথায় বলেছেন ? 
তিনি তো তাদের কে বলেছেন যারা পৌত্তলিক ছিল ও একত্ববাদে বিস্বাসী ছিল , কিন্ত্ আমার নবী কে স্বীকার করেন নাই , যারা আমার নবী কে স্বীকার করেন নাই , তারা কি লাভবান হবে ? নাকি ক্ষতিগ্রস্ত হবে ? 
এবার জবাব টা তুমিই দাও ।
আর হা। শুধু মুহাব্বাত দিয়েই মুক্তি পাওয়া যাবে । 
যেমন বুখারি শরিফের ১ খন্ডের (হুব্বে রাসুল ) অধ্যায় তে আবু ইয়ামান ,(র) ,,,,,, আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্ননা করেছেন যে ;- রাসুলুল্লাহ (সা) ইরশাদ করেছেন , সেই পবিত্র সত্তার কসম ,যার হাতে আমার প্রান ,তোমাদের কেউ মুমিন হতে পারবে না ,যতক্ষন না তার পিতা মাতা সন্তানদের থেকে আমি বেশি প্রিয় হই ( হাদিস নং ১৩ বুখারি শরিফ ) 

অনুরুপ হযরত আনাস (রা) থেকে বর্নিত হয়েছে যে রাসুলুল্লাহ (সা) ইরশাদ করেছেন , তোমাদের কেউ মুমিন হতে পারবে না , যতক্ষন না তার পিতা মাতা সন্তানদের থেকে আমি বেশি প্রিয় হই ( বুখারি শরিফ ১ ম খন্ড হাদিস নং ১৪)

তো আমরা এই মুহাব্বাত নিয়েই মুক্তি পাওয়ার আশা করি । 

আপত্তি নং ----৯ 
তারপর লিখেছে ;- 
যেমনিভাবে
একত্ববাদে বিশ্বাসী কাফেররা
জান্নাতে যাবে না, ঠিক তেমনি মুশরিক
আশেকরাও জাহান্নাম থেকে বাঁচতে
পারবে না। 

জবাব;-
জবাব;- একত্বাবাদী রা কাফের কেন হল ? 
কারন তারা মুহাম্মদ (সা) কে মান্য করেনি , ওনাকে ভালবাসেনি ,ওনার বিরুদ্ধাচরন করেছেন। 
আর বলেছেন , মুশরিক আশেকরা ও জাহান্নাম থেকে বাঁচতে পারবে না । 

 ভাই , উপরে হযরত হোরাইরা ও আনাস (রা) থেকে বর্নিত হাদিস আপনি দেখেছেন । 
আমরা নবী (সা) কে মুহাব্বাত করি , নিজের জীবনের চেয়ে ভালবাসি । তো এমন ভালবাসা কে আপনি মুশরিক কি করে বলতে পারলেন ? 

নবী (সা) এর প্রতি মুহাব্বাত রাখা যদি মুশরিকের কাজ হয় , তবে আমি ও সেই মুশরিক । নবী (সা) কে ভালবাসার প্রতিদান যদি জাহান্নাম হয় তবে সেই জাহান্নান কবুল করলাম ।
কারন নবী (সা) কে ভালবেসেছে সকল সাহাবাগন । সেই সকল সম্মনিত সাহাবাগন যদি নিজের জীবনের চেয়ে নবী (সা) কে ভালবেসে মুশরিক হয় আর জাহান্নামি হয় তবে সেই জাহান্নাম এর সামান্য টুকরা আল্লাহ আমাকেও দান করুন (আমীন)



আচ্ছা বলুন তো , আমার নবী যখন হযরত ওমর (রা) কে বলেছিলেন যে , ততক্ষন পর্যন্ত কেউ মুমিন হতে পারবে না , যতক্ষন না কেউ তার জান মালের চেয়ে আমাকে বেশি মুহাব্বাত করবে না । তখন হযরত ওমর (রা) বলেছিল , ইয়া রাসুলুল্লাহ , আপনি আমার জান মাল থেকে সবচেয়ে বেশি প্রিয় । তখন আমার নবী (সা) বললেন যে ,হে ওমর , এবার তুমি মুমিন হতে পেরেছ ।


তো আমার নবী তো এই কথা বলেন নাই যে , তুমি মুশরিক হয়ে গেলে । 

আর হযরত ওমর যদি নবী (সা) কে ভালবেসে মুশরিক হয় আপনাদের কথা মতে তবে সেই রকম মুশরিক আমরা ও হতে চাই। আল্লাহ আমাদের কে কবুল করুন। আমীন। 

এরপর লিখেছে কোরানের আয়াত (--

ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻟَﺎ ﻳَﻐْﻔِﺮُ ﺃَﻥ ﻳُﺸْﺮَﻙَ ﺑِﻪِ ﻭَﻳَﻐْﻔِﺮُ ﻣَﺎ ﺩُﻭﻥَ
ﺫَٰﻟِﻚَ ﻟِﻤَﻦ ﻳَﺸَﺎﺀُ ۚ ﻭَﻣَﻦ ﻳُﺸْﺮِﻙْ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ ﻓَﻘَﺪْ ﺿَﻞَّ
ﺿَﻠَﺎﻟًﺎ ﺑَﻌِﻴﺪًﺍ [ ٤ : ١١٦ ]
নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা তাকে ক্ষমা
করেন না, যে তাঁর সাথে কাউকে
শরীক করে। এছাড়া যাকে ইচ্ছে
ক্ষমা করেন। যে আল্লাহর সাথে
শরীক করে সে সদূর ভ্রান্তিতে
পতিত হয়। {সূরা নিসা-১১৬}


আপনারা যে বলে থাকেন , আল্লাহ ছারা কেউ হাজির নাযির নেই , যে আল্লাহ ছারা কাউকে হাজির নাযির মনে করে সে মুশরিক । হাজীর ও নাযির যে হতে পারে সে শুধুই আল্লাহ ।  

হাজির ও নাযির হওয়া যদি আল্লাহ হওয়ার শর্ত হয় আপনাদের মতে তবে কোরানের এই (সে [শয়তান] এবং তার দলবল তোমাদেরকে দেখে, যেখান থেকে তোমরা তাদেরকে দেখ না।{সূরা আরাফ-২৭} আয়াত বলে আপনারা মুশরিক।  কারন কোরান বলছে শয়তান তোমাদের কে এমন যায়গা থেকে দেখে যেখান থেকে তোমরা তাদের কে দেখ না । 

মুশরিক তোমরাই প্রমানিত হলে । 


আর আমাদের কাছে হাজির নাযির হওয়া আল্লাহ হওয়ার জন্য শর্ত নয় । 

এর পর লিখেছে ;- 

আসছে শেষ পর্ব শিঘ্রই  
অপেক্ষায় থাকুন ! দোয়া করুন !
পারলে কেউ জবাব দাও !


জবাব :- মিয়া ভাই।  আসবে আর কি ? করবেন তো কপি ।


আর দোয়া আর কি করব ? আল্লাহ আপনাকে হেদায়েত দান করুন।  



আর জবাব দেয়া হল।  পারলে আপনি দেন জবাব এবার। মায়ের দুধ আরো কয়েকবার খেয়ে আসতে হবে মিয়া । 



সোহেল রানা 


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন