শনিবার, ১১ জুলাই, ২০১৫

নবী পাক তে মানুষ বলা

দুনিয়া ভরকে মে টুপ কে দেট্টি
কোন হে নজদি কোন হে রাফজি, 
পান্জাতানদা দর্দা সওয়ালি কন হে 
মে জাফর ইতনা তজরবা রাখদা
দূর কানে মে তার ঘিনদা 
হারামি কন হে হালালি কন হে 

বাংলা হচ্ছে;- 
সারা দুনিয়া আমি ঘুড়ে দেখেছি 
কে নজদি কে রাফজি 
পাক পান্জাতান এর দরযার ভিখারি কে 
আমি যাফর এতটুকু তজর্বা(জ্ঞান) রাখি 
দূর থেকে আমি চিনতে পারি 
হারামি কে আর হালালি কে ।

উপরের এই শায়ের টা পাকিস্তানের শেরেকি জবানে লিখিত জাফর সাদেক নামের একজন শায়ের এর লিখিত ( আল্লাহ তার উপর মেহেরবান হউক) 

আমি কথা গুলো খুলে বলার চেষ্টা করে থাকি সব সময় তবে কথা হচ্ছে যে পারি না । আমার এক নতুন বন্ধু কিছুক্ষন আগে বলল যে তুমি পার না সুন্দর করে পোষ্ট করতে । সে তার কথার (বৃষ্টির) পাথরের মত বর্ষন করে গেল ।

চেষ্টা করছি আজ একটু সুন্দর করতে ।

Zeronine tamim সাহেবের ভয়ে নাকি আমি পলায় গেছিলাম । 
এর এমন হাল যে ;- 
(ঝড়ে বক পড়ছে 
আর ফকিরের কারামতি বেড়েছে ) এর মত ।

মুল কথা হচ্ছে যে আমাদের নবী নাকি মানুষ  ।
আমি নূর প্রমান করতে যাব না আজ । কারন এই (মানুষ ) শব্দের খন্ডন পড়চেই ওনেকের চোখের ঘুম আসবে । 

তার প্রথম দাবি ;- জন মানুষ <<<<
قُلْ سُبْحَانَ رَبِّي هَلْ كُنْتُ إِلا بَشَرًا رَسُولا আপনি বলুন, ‘পবিত্র ও মহান আমার রব! আমি একজন মানুষ রাসূল ছাড়া অন্য কিছুই নই’? আল-ইসরা, ১৭/৯৩
قُلْ إِنَّمَا أَنَا بَشَرٌ مِثْلُكُمْ يُوحَى إِلَيَّ أَنَّمَا إِلَهُكُمْ إِلَهٌ وَاحِدٌ فَمَنْ كَانَ يَرْجُو لِقَاءَ رَبِّهِ فَلْيَعْمَلْ عَمَلا صَالِحًا وَلا يُشْرِكْ بِعِبَادَةِ رَبِّهِ أَحَدًا
আপনি বলুন, আমি তোমাদের মতই একজন মানুষ। আমার নিকট ওহী করা হয় যে, তোমাদের ইলাহই এক ইলাহ, সুতরাং যে তার রবের সাক্ষাত কামনা করে, সে যেন সৎকর্ম করে এবং তার রবের ইবাদতে কাউকে শরীক না করে। আল-কাহাফ, ১৮/১১০

দোস্ত। মাশা আল্লাহ আমার ভাই। কোরানের আয়াত । 

কিন্ত্ দোস্ত । তাফসীরে কি এই আয়াত মুসলমানদের জন্য নাযিল হয়েছে ? 
না কি আহলে কাফেরদের জন্য ? 
আগামি কাল তা তুলে ধরবেন । 
আমার ভাল করেই জানা আছে এর তাফসীরে কাদের কথা বলা আছে । 
আমার এই একটা দাবি থাকল (১)

তার দ্বীতিয় দাবি ;- 


قُلْ إِنَّمَا أَنَا بَشَرٌ مِثْلُكُمْ يُوحَى إِلَيَّ أَنَّمَا إِلَهُكُمْ إِلَهٌ وَاحِدٌ فَاسْتَقِيمُوا إِلَيْهِ وَاسْتَغْفِرُوهُ وَوَيْلٌ لِلْمُشْرِكِينَ
আপনি বলুন, আমি তোমাদের মতই একজন মানুষ। আমার নিকট ওহী করা হয় যে, তোমাদের ইলাহই এক ইলাহ, সুতরাং তোমরা তার পথে দৃঢ়ভাবে অটল থাক এবং তার কাছে ক্ষমা চাও আর মুশরিকদের জন্যে রয়েছে ধ্বংস। ফুসসিলাত, ৪১/৬
দোস্ত । এই আয়াতের ও তাফসির দাবি করে গেলাম (২)
কারন তাফসীর ছারা কোন কোরানের আঁতাত সোজাসোজী ভাবি গ্রহনযোগ্য নয় । যেমনটা তোমারা কানার মত লাঠি চালাও। নির্ভরযোগ্য তাফসির পেশ করুন। 



বাকি আয়াত যা দিয়েছেন তাতে পুরা মানব জাতি কে বোঝানো হয়েছে , নবী পাকের সাথে যেহেতু সেগুলোর কোন সংযোগ দেখতে পাচ্ছি না তাই সেই গুলোর তাফসির পেশ করার দরকার ও নাই। আপনি উপরের ২ টা আয়াতের তাফসীর পেশ করবেন ।

এটা আমার দাবি থাকল ।
আপনার পোষ্ট যখন পাল্লায় উঠবে তখন এমনে এমনে তুলা হতে যাবে । পাল্লায় চড়ায় তখন যখন আপনি তাফসির পেশ করবেন । 

এবার আমি বলি ;- 
আমার আল্লাহ বলেন ;-
হে আমার হাবীব ! আমি আপনার যিকিরকে বুলন্দ করে দিয়েছি !"
( সূরা আলাম নাশরাহ ৪)

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, আল্লাহ পাক উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যিকির/আলোচনা/মর্যাদাকে কতটুকু বুলন্দ বা উঁচু করেছেন ??
উত্তর হচ্ছে, আল্লাহ পাক হচ্ছেন অসীম | তাই তিনি উনার হবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যে মর্যাদা দিয়েছেন সেটাও অসীম !
সুবহানাল্লাহ্ !!

কিন্তু দেওবন্দী/কওমী/তাবলীগী/ জামাতি/ লা মাযহাবী/ সালাফী সহ অন্যান্য বাতিল ফির্কার লোকেরা হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মর্যাদা বুঝতে চরম ভাবে ব্যার্থ হওয়ার করনে উনাকে নিজেদের মত মানুষ বলে থাকে !
নাউযুবিল্লাহ !!


قل انما انا بشر مشلكم يوحي الي

অর্থ : হে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ! আপনি বলুন আমি তোমাদের মেছাল একজন বাশার বা মানুষ , তবে আমার প্রতি ওহী নাযিল হয় !"
( সূরা কাহাফ ১১০)

উক্ত এই আয়াত শরীফের মর্ম বুঝতে চরম ভাবে ব্যার্থ হওয়ার কারনে বাতিল পন্থিরা নিজেদের মত মানুষ বলে থাকে |
গাধা আর ঘোড়ার মধ্য তারা পার্থক্য দেখে না , পীর সাব আর পেসাব তারা একই কথা মনে করে । দস্ত আর দাস্ত কেও একই মনে করে । 
এটা জানা জানা নাই তাদের যে দস্ত মানে হাত আর দাস্ত মেনে মানুষের গু । 

উপরে  আয়াত শরীফ থেকেই কিন্তু প্রমান হয় হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কারো মত নন !

নিচে এর  ব্যাখ্যা ;

উক্ত আয়াত শরীফে بشر مثلكم একটা শব্দ উল্লেখ করা হয়েছে |

উক্ত " মেছাল" শব্দটা দৃষ্টান্তের জন্য ব্যাবহার হয় |
যেটা কবি বলেছেন--
محمد بشر ليس كالبشر ياقوت حجر ليس كالحجر
অর্থ - হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বাশার তবে তিনি অন্য বাশারের মত নন | যেমন ইয়াকুত পাথর, অন্য পাথরের মত নয় |"

সর্বপ্রথম আমাদের বুঝতে হবে, " বাশার" মানে কি !

بشر
" বাশার" মানে হচ্ছে একটা প্রজাতির নাম | যেমন উদাহরণ স্বরুপ বলা যায় "পাখি" | এই পাখি বলতে আমরা কি বুঝি ?
পাখি হচ্ছে এক প্রজাতির প্রানী যা দুই ডানায় ভর করে আকাশে উড়ে থাকে | তার এই আকাশে উড়া এবং আনুষঙ্গিক বৈশিষ্ঠের কারনে পাখ বলা হয়ে থাকে |

তদ্রুপ " বাশার" বা "মানুষ" হচ্ছে একটা প্রজাতির নাম | যারা দুই হাত, দুই চোখ, ব্যতিক্রম বুদ্ধিমত্তা, এবং শরীয়তের আদেশ পালনের জন্য বাধ্য এবং আদিষ্ট প্রজাতিই হচ্ছে " বাশার" বা " মানুষ" |
এখন আল্লাহ পাক হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে এই মানব জাতিতে বা প্রেরন করেছেন | আর সেকারনেই মানুষ হয়েছে আশরাফুল মাখলুকাত !
হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যেহেতু "বাশার" বা " মানুষ" প্রজাতির মাঝের তাশরিফ এনেছেন সেকারনে উনার বাহ্যিক আকৃতিও মানুষ প্রজাতির হবে এটাই স্বাভাবিক |
আর সেটাই আয়াত শরীফে বলা হয়েছে | بشر مثلكم বা মানব প্রজাতির যে আকৃতি, মানুষের মাঝে আসার কারনে উনারও সে আকৃতি |
আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের বক্তব্যও হচ্ছে, আদম আলাইহিস সালাম থেকে শুরু করে হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পর্যন্ত যত নবী-রসূল তাশরীফ এনেছেন সবাই বাশার !
এ প্রসঙ্গে আক্বায়িদের কিতাবে উল্লেখ আছে -
الرسول انسان بعثه الله تعالي الي الخلق لتبليغ الاحكام

অর্থ- শরীয়তের পরিভাষায় রসূল এমন একজন বাশার কে বলা হয়, যাকে আল্লাহ তায়ালা মানব জাতির জন্য পাঠিয়েছেন !"

দলীল-
√ শরহে আক্বাইদে নসফী

কিন্তু তার মানে এই নয় যে, তিনি আমাদের মত মানুষ | প্রথমেই একটা আরবী কবিতা উল্লেখ করেছিলাম , যেখানে বলা ছিলে - " ইয়াকুত" পাথর , কিন্তু অন্য পাথরের মত নয় | প্রজাতিগত ভাবে ইয়াকুত পাথর হলেও কেউ কিন্তু রেল লাইনের পাথরের সাথে ইয়াকুত পাথরের তুলনা করার সাহসও পাবে না | কারন ইয়াকুত হচ্ছে অত্যন্ত মূল্যবান !
তদ্রুপ হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিও বাশার তবে অন্য বাশারের মত নন!
একথাটা কিন্তু আমার নয়, এটা হাদীস শরীফেই বর্নিত হয়েছে !

আসুন হাদীস শরীফের দলীল গ্রহণ করি !

عن عبدالله بن عمرو رضي الله عنه قال قال رسول الله صلي الله عليه و سلم لست كاحد منكم

অর্থ- হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্নিত | হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন , আমি তোমাদের কারো মত নই !"

দলীল-
√ বুখারী শরীফ- কিতাবুস সিয়াম- ১ম খন্ড ২৬৩ পৃষ্ঠা - হাদীস ১৮৪০
√ মুসলিম শরীফ ১৫৮৭
√ আবু দাউদ শরীফ/১৩৭
আপনারা তো আবার  সহীহ হাদিস পন্থি জানোয়ার । 
عن عبد الله بن عمر رضي الله عنه قال قال رسول الله صلي الله عليه و سلم اني لست مثلكم

অর্থ- হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্নিত | হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, নিশ্চয়ই আমি তোমাদের অনুরুপ নই |"

দলীল-
√ বুখারী শরীফ - কিতাবুস সিয়াম - ১ খন্ড ২৬৩ পৃষ্ঠ
√ ফতহুল বারী ৪/১৬৪


عن ابي سعيد رضي الله عنه قال قال رسول الله صلي الله عليه و سلم اني لست كهيتكم

অর্থ : হযরত আবু সাঈদ খুদরী রদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্নিত | হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, নিশ্চয়ই আমি ছুরতান বা আকৃতিগত ভাবেও তোমাদের মত নই |"

দলীল--
√ বুখারী ১/২৬৩
√ ফতহুল বারী ৪/১৬৫

ছুরতের দিক থেকে ও নয় তিনি আমাদের মতন । 
ভাই স্হিহ হাদীস । এইটা কি দেখতেছ ?


عن ابي هريرة رضي الله عنه قال قال رسول الله صلي الله عليه و سلم ليكم مثلي

অর্থ- হযরত আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্নিত | হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, তোমাদের মধ্যে আমার অনুরূপ কে রয়েছো ?

দলীল-
√ বুখারী শরীফ ১/২৬৩
√ ফতহুল বারী ৪/১৬৭

আমার মনে হয় ইয়া নবী আপনার মত সকল দেওবন্দি ও আহলে হাদিস নামের শয়তান রা হয়েচে (নাউযুবিল্লাহ) 

উক্ত সহীহ হাদীস শরীফ থেকেই প্রমান হয়ে গেল, নবীজী নিজেই ফয়সালা করে দিলেন- তোমাদের কেউ আমার মত নয়, আমিও তোমাদের মত নই |
সুবহানাল্লাহ্ !!
এর পরে ও কি একই কথা বলবেন ? 

এখন কেউ যদি হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নিজের মত বলে সে উক্ত হাদীস শরীফ অস্বীকার করার অপরাধে কাফের হয়ে যাবে |

এখন আসুন, আমরা দেখি এ ব্যাপারে ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুম, তাবেয়িন, ইমাম-মুস্তাহিদ গন কি বলেছেন !

খলীফাতুল মুসলিমিন, বাবুল ইলম ওয়াল হিকাম হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন--

لم ارقبله و لا بعده مثله

অর্থ : আমি হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পূর্বে এবং পরে উনার মত আর কাউকে দেখিনি !"

দলীল--
√ তিরমীযি শরীফ - ২য় খন্ড ২০৫ পৃষ্ঠা- হাদীস নম্বার ৩৬৩৭
আহলে হাদিসের প্রত্যেক কেই নবী (সা) এর মতই দেখে । 

বিখ্যাত ইমাম, ইমামে আযম,ইমামুল আইয়িম্মা, তাবেয়ী, হযরত ইমাম আবু হানীফা রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন--

والله ياسين مثلك لم يكن
في العالمين وحق من انباك

অর্থ - আল্লাহ পাক উনার কসম ! হে ইয়াসিন ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সারা জাহানে আপনার কোন মেছাল নাই !"

দলীল-
√ কাসীদায়ে নু'মান লি ইমাম আবু হানীফা -৩৭ নং পংক্তি

ভুল হয়ে গেছে । ইমাম আবু হানিফা (রহ) তে মুর্খ ছিল আহলে হাদিসের  মতে (নাউযুবিল্লাহ) 

হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে তুলনাতো দূরের কথা পূর্ববর্তী ইমামগন উনাদের বয়োজৈষ্ঠ ইমামদের প্রসংশা করে কি বলেন দেখেন ! ইমাম মুসলিম রহমাতুল্লাহি আলাইহি ইমাম বুখারী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনাকে লক্ষ্য করে বলেন--

اشهد انه ليس في الدني مثلك

অর্থ: আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, পৃথিবীতে আপনার মেছাল বা আপনার মত আরেকজন নাই !

দলীল-
√ মীযানুল আখবার ৪৮ পৃষ্ঠা
সহীহ হাদিসের যারা ঠিকাদার তাদের ইমাম (আমাদের ও ইমাম বটে , তবে তারা শুধু এদেরকেই মানে তো তাই বললাম ) মুসলিম (রহ) ইমাম বুখারির মত একজন কে পেলেন না আর দুনিয়ার বুকে । কিন্তু আহলে হাদীস ও দেওবন্দি রা প্রতি গলিতে নবী (সা) এর মতই মানুষ দের কে দেখে । এদের শখ মিঠে গেছে মানুষ কে দেখে দেখে নবী (সা) কে দেখার । 



দেখুন, ছাহাবায়ে কিরাম,তাবেয়িন , ইমাম মুস্তাহিদ রদ্বিয়াল্লাহু আনহুম ওয়া রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনারা সবাই বললেন হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কোন মেছাল নাই, উনার অনূরুপ কেউ নাই !
আর ওহাবী সম্প্রদায় এগুলা অস্বীকার করে নিজেদের মত বলে প্রচার করছে | এথেকে কি বুঝা যায় ?
বুঝা যায়, ওহাবী/দেওবন্দীরা মুসলমান নয় !

মূলত নবী রসূল আলাহিমুস সালাম উনাদেরকে নিজেদের মত মানুষ বলাটা কাফের-মুশরিকদের রীতি | কারন কাফেররাই নবী রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে নিজেদের মত মানুষ মনে করতে | এর বহু প্রমাণ কুরআন শরীফে রয়েছে | কতিপয় উদাহরণ দেয়া হলো !--

হযরত নূহ আলাইহিস সালাম উনার জাতির সর্দারেরা উনার রেসালতকে অস্বীকার করে নিজেদের অনুসারীদের বলতো,

فقال الملؤا الذين كفروا من قومه ماهذا الابشر مثلكم

অর্থ : তাঁর জাতির সর্দারেরা তাদের অনুসারীদের বলল, " এ লোকটি তোমাদের মতই একজন মানুষ ছাড়া আর কিছু নয় !"

দলীল-
√ সূরা মু'মিনুন ২৪ আয়াত শরীফ
যেমন তোমরা বল । 

সামুদ জাতির লোকেরা হযরত সালেহ আলাইহিস সালাম সম্পর্কে বলেছিলো --
قالوا انما انت من المسحرين ما انت الا بشر مثلنا

অর্থ : তোমাকে যাদু করা হয়েছে | তুমি আমাদের মত মানুষ ছাড়া আর কি ?
দলীল-
√ সূরা শুয়ারা ১৫৩-১৫৪
তোমরা যেমন বলে থাক ঠিক কাফের রা সেই যুগে নবীগন কে এমন বলত ।

ইনতাকিয়া শহরের অধিবাসীরাও ঈসা আলাইহিস সালাম উনার প্রতিনিধিদের বলেছিলো -

قالوا ما انتم الا بشر مثلنا

অর্থ - তোমরা তো আমাদের মতই মানুষ !"
দলীল-
√ সূরা ইয়াসিন ১৫
যেমন আহলে হাদিস বা দেওবন্দি নামে কথিত মুসলিম রা বলে থাকে । 

ফেরাউন ও তার অনুসারীরা মুসা আলাইহিস সালাম ও হারুন আলাইহিস সালাম সম্পর্কে বলেছিলো --
فقالوا انؤمن لبشرين مثلنا

অর্থ : আমরা কি আমাদের মত দু'জন মানুষের উপর ঈমান আনব ?
দলীল-
√ সূরা মু'মিনুন ৪৭
তোমরা ও ঠিক এমনই বল যে আমাদের মত মানুষ । 

শুধু তাই নয় হাবীবুল্লাহ, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে লক্ষ্য করে কাফেররা বলতো--

واسروا النجوي الذين ظلموا هل هذا الابشر متلكم

অর্থ : এ জালেমরা পরস্পর এবলে কানাঘুষা করে যে, এ লোকটি
( নবীজী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তোমাদের মত মানুষ ছাড়া আর কি ?"
দলীল-
√ সূরা আম্বিয়া ৩
তোমরা ও কি সেই সকল যালেমদের অন্তরভুক্ত নও ? 

এর পর ও কি ইমানের দাবী করার পর ও যদি তুমি নবী কে আমাদের মত মানুষ মনে কর তবে তোমার সেই ইমানের ও কি মুল্য থাকবে ? 

দুষমনি কর আমার সাথে। আমার রাসুলের সাথে নয় । 

আর একটা কথা উল্লেখ করতে ইচ্ছা করছে যে ;- 
ওহাবিদের মৌলভী দাউদ গজনভী কমগ্রেসী তার আপন মাদ্রাসার এর ছাত্রের ঘটনা তুলে ধরেছিলেন যে ;- আমাদের মাদ্রাসার অবস্থা শুনুন , একদিন সম্মনিত পিতার (মাওলানা জাব্বার গজনভী) বোখারী শরিফের ক্লাসে এক ছাত্র বললো , ইমাম আবু হানিফার ১৫ টি হাদিস জানা ছিল , আমার আরো বেশি হাদিস মুখস্ত আছে। সম্মানিত পিতার (তার বাবা জাব্বার গজনভী)'র পিতার মুখ মন্ডল রাগে লাল হয়ে গেল এবং তাকে ক্লাস থেকে বের করে দিল । পরবর্তিতে মাদ্রাসা থেকে ও বের করে দিল । 

(তোমরা মুমিন বান্দার দূরদর্শিতাকে ভয় কর , কারন তিনি আলা হক নূর দ্বারা দৃষ্টিপাত করেন ) এই হাদিসের আলোকে তিনি বললেন যে ;- এই ছাত্রের মিত্তু দ্বীনের উপর হবে না ।

এক সপ্তাহ অতিবাহিত হয়নি , ইতিমধ্যেই সে মুরতাদ গেয়ে গেল (দাউদ গজনভী) পৃ ৩৮৪


তোমরা হচ্ছ মুরতাদ বানানোর কারখানা । নিজের ইমান নষ্ট তর তাতে আমাদের ক্ষতি নাই , কিন্ত্ আমাদের ইমান নষ্ট করার চেষ্টা করিও না । 
এই অনুরোধ করে আমার দেয়া দলিল কোরান ও যাহা কিছু দিয়েছি সেই সকল কিছুর খন্ডন দাবি করছি ।

মা-আসসালাম 

সোহান রানা 





1 টি মন্তব্য:

  1. আসলে ভাই আপনার দলিল গুলি ঠিক আছে.
    রাসূল (স)বলেছেন আমার অবর্তমানে তোমরা অনেক মত প্রার্থক্য দেখতে পাবে তখন তোমরা আমার সহীহ হাদীস
    ও আমার সাহাবীদের অনুশরন কর.
    এখানে রাসূলুল্লাহ (স) সাহাবীদের কেও অনুশরন করতে বলেছেন. অর্থাৎ সাহাবী কেরাম যে কাজ গুলো করেছে সেগুলো. কিন্তুু বর্তমান আহলে হাদীস. নামদারীরা এগুলো মানতে চায় না. বরং বলে এগুলো করা যাবে না.

    উত্তর

    উত্তরমুছুন