রবিবার, ১৯ জুলাই, ২০১৫

লতিফ সিদ্দিকি মুরতাদ ও কিছু কথা


পড়ার মন চাইলে পড়ুন , না চাইলে লাইক আপনার রেখে দিন।  লাগবে না । 

৫ মে আর লতিফ সিদ্দিকী  ও আবাদুল গাফ্ফার চৌধুরী । 
আগে হাদিস ও বর্ননা টা পড়ুন এর পর আমি বলছি আমার কথা গুলো ;-
কাব বিন আশরাফ নামের একজন ইহুদি ও জালাময়ী কবি ছিলেন। বদরের যুদ্ধে যখন কোরায়েশ দের পরাজয়ের খবর শোনেন তখন সে বলেছিল দুনিয়ার বুকে থাকার চেয়ে মাটির নিচে থাকা আমাদের জন্য উত্তম। তখন সে কোরায়েশ দের জন্য সহমর্মিতা ও দুক্ষ প্রকাশ করলো ও নবী পাক ও মুসলিমদের কটাক্ষ করে কবিতা রচনা করে মক্কায় ছড়িয়ে দিল এমন কি সে মুসলিম মহিলাদের কে নিয়েও বাজে মন্তব্য করা শুরু করলো। এই খবর আহমাদ এ মোস্তফা মোহাম্মদ এ মোস্তফা আলাহিস সালাম শোনার পর সবাই কে উদ্দেশ্য করে বললেন যে ;- কে এমন আছ্ , কাব বিন আশরাফ এর বিরুদ্ধে বেবস্থা গ্রহণ করবে ,কেননা সে আল্লাহ ও তার রাসুল কে কষ্ট দিচ্ছে।  
এই আহব্বান সুনে আউশ গোত্রের একজন বিশিষ্ট আনসারী সাহাবী মোহাম্মদ বিন মাস্লামাহ দাড়িয়ে যান আর বলেন হাজির আছি ইয়া রাসুলুল্লাহ ,আদেশ করুন , আপনি কি চান যে আমি তাকে হত্যা করি ? 
নবী পাক বললেন যে :- হা।  
এই উত্তর পেয়ে তিনি নবী অলায়হিস সালামের কাছে অংঘিকার করেন যে কাব বিন আশরাফ কে হত্যা করবেন। 
মোহাম্মদ বান মাসলামা বাসায় ফিরে গিয়ে চিন্তা করতে লাগলেন কি ভাবে এই কাজ সম্পাদন করবেন ? কারণ কাব বিন আশরাফ থাকত তার সমর্থক দিয়ে ঘেরা একটা সক্তি সালি ইহুদি দুর্গে , চিন্তায় চিন্তায় কুল কিনারা পাচ্ছিল না কি ভাবে এই কাজ সম্পাদন করবেন। এই চিন্তায় নাওয়া খাওয়া ছেড়ে দিলেন সামান্য কিছু জীবন ধারণের জন্য সুধু সমান কিছু পানাহার করতে লাগলেন।  
এই সংবাদ রাসুলে পাক আলাইহিস সালাম সোনার পর মোহাম্মদ বিন মাসলামা কে ডেকে পাঠালেন আর জিগ্গেস করলেন এটা কি সত্যি যে তুমি পানাহার ছেড়ে দিয়েছ? 
মুহাম্মাদ বিন মাসলামা বলেন হা , আমি এই চিন্তায় পানাহার ছেড়ে দিয়েছি কি ভাবে কাব বিন আশরাফ কে হত্যা করব।  
নবী পাক তাকে বললেন যে ;- তোমার কাজ তো চেষ্টা করা , কাজ সম্পাদন করার মালিক তো আল্লাহ রাব্বুল আলামিন , তুমি সুধু চেষ্টা কর , 

কয়েকদিন পর রাতে এসে কাব বিন আশরাফ কে ডাক দেন ও বলেন বন্ধু তোমার অর্থ নিয়ে এসেছি , এগুলো রাখো আর আমাদের অস্ত্র গুলো ফেরত দাও। কাব বিন আশরাফ তার অর্থ ফেরত নিয়ে অস্ত্র ফেরত দেন। কাব বিন আশরাফ মোহাম্মদ বিন মাসলামা (রা) বলেন বন্ধু আজকের রাত অনেক জোসনা। কেননা আজকের রাত শায়ের আর শায়েরী কবিতা গেয়ে কাটিয়ে না দেই ? 
কাব বিন আশরাফ রাজি হয়ে যান আর বলেন ঠিক আছে।  
দুর্গের বাইরে নিয়ে আসেন আর বলেন যে বন্ধু তোমার চুল থেকে অনেক সুগন্ধি আসছে , আমি কি এটার গন্ধ নিতে পারি ? 
কাব বিন আশরাফ বলেন নাও।  
মোহাম্মদ বিন মাসলামা একবার গন্ধু সুকে বলেন ইটা তো অনেক সুন্দর। আমি কি আর একবার এটার গন্ধ শুকে দেখব ? 
কাব বিন আশরাফ বলেন ঠিক আছে নাও।  
এর পর মোহাম্মদ বিন মসলমা তার মাঠে ধরে মারতে থাকলেন। কিন্তু সামান্য মার তাকে মারার জন্য যতেস্ত ছিল না। সে চিত্কার করা সুরু করলে মোহাম্মদ বিন মাসলামা এর সাহাবী বন্ধু রা এগিয়ে আসেন। তার চিত্কার সেই দুর্গের সকল ঘরে আলো জেলে উঠে। মোহাম্মদ বিন মাসলামা বলেন তখন আমার মনে হল যে আমার কাছে একটা ছুরি লুকানো আছে। তখন তিনি সেই ছুরি কাব বিন আশরাফ এর তলপেটে ডুকিয়ে দেন আর তার মেরুদন্ড এর হারের মধ্যে প্রবেশ করিয়ে দেন। আর এই ভাবে একজন আল্লাহ ও তার রাসুলের দুশমন কে বিদায় দেন মোহাম্মদ বিন মাসলামা ও আওউস গোত্রের যানবাজ সাহাবী রা।  
আরো কিছু বর্ণনা আছে যা তুলে ধরা প্রয়োজন মনে করছি না। 

বিগত দিনে ৫ মে হেফাজাত এ ইসলাম অনেক বড় এক আন্দোলন করেছিল দেশের নাস্তিক দের বিরুদ্ধে। নাস্তিক সেই দিন একটা ও মরে নাই বরং মরেছে অনেক আমার ঈমানী ভাই রা।আর সেই দিনের রনাঙ্গন থেকে জন্ম নিয়েছে আরো অনেক ভদ্র নাস্তিক। কারণ সেই রাতের বর্বরতা ইসলামে কোনো ভাবেই সমর্থিত না। কোনো ভিত্তি নাই সেই আন্দোলন এর। কত ক্ষতি হয়েছে যে ইসলামের তা এই ভদ্র নাস্তিক আব্দুল লতিফ কে দেখলেই বোঝা যায়। 
আর আজ নতুন করে তৈরি হয়েছে আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরি । সেই দিনের ঘটনা থেকে নাস্তিক গণ সামান্য একটুও চিন্তিত হই নাই বরং সেই দিনের বর্বরতা দেখে নাস্তিক গণ বসে বসে হেসেছে। আর সেই দিন অনেক নাস্তিক এর পয়দা হয়ে গেছে। কারণ এই যদি হয় ইসলাম তো এমন ইসলাম এর প্রয়োজন আমার নাই। আমিও নাস্তিক। যে ইসলাম একজন নাস্তিক এর জন্য হাজার হাজার লোকের সমস্যা খাড়া করতে পারে সেই ইসলাম এর কোনো প্রয়োজন নাই।  

আর হা।  দেওবন্দি রা যে আন্দোলন মিছিল মিটিং করছে তা কিন্তু শরিয়াত শিদ্ধ নয় তো নয় বরং জনাবে ওয়ালা আশরাফ আলী থানবী কি বলেছে তা দেখুন এক নজরে ;- 

একটু দেখা যাক কি বলা আছে তাদের কিতাব গুলোতে :-
আন্দোলন :-  বর্তমান কালের আন্দোলন গুলোতে লাভের চেয়ে ক্ষতি বেশি । আর নিয়ম হল,  ক্ষতির চেয়ে লাভ বেশি হলে ক্ষতি কেই বেশি প্রাধান্য দিতে হবে । আর যে কাজে মন্দ বেশি সে কাজ কি ভাবে যায়েজ হতে পারে ? ভালের সাথে মন্দ মিশ্রিত করলে মন্দই সৃষ্টি হয় (মালফুজাত এ হাকিমুল  উম্মত ) পৃষ্টা নং;- ১৫৯ 
ইসলাহুল মুসলেমিন পৃষটা ;- ৪থা অধ্যায় পৃষ্টা নং ৯৭ 

তো এটা থেকে প্রমান হয় যে এই সকল আন্দোলন কোন দিন বুযুর্গগন সমর্থন করেন নাই। আমি সুন্নি দের কথা বাদ দিলাম । তারা এখন ধর্মের নামে শুরু করেছে ধর্মের বেবসা রাজনীতি । এরা তো প্রতিদিন হারাম করে নতুন নতুন ইস্যু বানিয়ে সে যেই হোক না কেন । 
আর যে গুলো দল ধর্মের দোহাই দেন না তাদের কথা বলে তো আর মানুষ হাসানো উচিত হবে না । 
মিছিল মিটিং ;- 
শরিয়াত কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতির বিপরিত কোন পদ্ধতি অবলম্বন করাকে অবশ্যই নিষিদ্ধ বলতে হইবে । বিষেশত ওই পদ্ধতি যদি অহেতুক বেহুদা ও ক্ষতিকারক হয় তো তা হলে হারাম হওয়ার বিপক্ষে সন্দেহ কোথায় ? হরতাল , মিছিল, মিটিং মুলত এই জাতীয়। ইহাতে আছে সময় , শ্রম, অর্থের ব্যয়,।  নামাজ নষ্ঠ ও সাধারনদের জীবন মালের নিরাপত্তা নষ্ঠ করা তাদের কে চলাচল এ বাঁধা বিঘ্ন সৃষ্টি করা মুলত কষ্ট দেয়া । সুতরাং ইহা কি রুপে যায়েয হইতে  পারে ? ( ইসলাহুল মুসলেমিন ) পৃষটা নং ৯৭ 

এই সকল কাজ দিয়ে দ্বীনের কোন ফায়দা হয় না বরং , তা ছাড়া অবৈধ কাজ ভাল নিয়ত নিয়ে  করলে ও তা বৈধ হয়ে যায় না। মিছিল করা মিটিং করা গলায় মালা পড়ানো এগুলো তো নাম কুড়ানোর জন্য । এই সকল কাজ পাশ্চত্যের অনুকরন ছারা কিছুই নয় ।(মালফুজাত এ হাকিমুল উম্মত ) পৃষটা নং ১২৩. ইসলাহুল মুসলেমিন পৃষ্টা নং ৯৭ 

আপনারা সুন্নি দের কে কটাক্ষ করছেন যে তারা আজ পীরের মাযার ও সিন্নির জন্য বসে আছে । 

না। এটা মিথ্যা কথা । বরং তারা তাদের বউ এর আচঁল ধরে বসে আছে । কখন ও তাদের শাড়ির নিচে যাচ্ছে আর কখন ও বাইরে এসে আবার সেখানেই যাচ্ছে । 
এর চেয়ে লজ্জা কথা হতে পারে না মনে হয় । 

আর যদি তারা পীরের মাযার ও সিন্নি নিয়ে থাকত তবে সেই পীরের যে পীর আমার নবী , সেই নবীর শান ও মান ও পরম আল্লাহর শান ও মানের জন্য জীবন দিত । 
আসলে তারা পীরের মাযার ও সিন্নির নামে  বউয়ের আঁচলের নিচে আছে । 


যাই হোক , 
বর্তমান সময়ে এমন একজন ভদ্র ও নব উদিত নাস্তিক হচ্ছে আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরি । আর দিন দিন এটা বেড়েই চলবে । কারন হচ্ছে যে কোথাকার কোন ফকিরনীর পুত আসিফ মহিউদ্দিন ৪ টা ইসলামের বিরুদ্ধে কথা বলে আজ জার্মানিতে বসে হাওয়া খাচ্ছে , এমন আশা নিয়ে কত শতজন যে এমন করে থাকে তা তোমাদের মাথায় ঢোকার মত না . ঢেকি তুমি আটা ছাঁট । 
ঠিক তেমনি গাফ্ফার চৌধুরি ।

এর এমন দিন যাবে তো বেড়েই চলবে । 


আমি সেই ইসলামে বিশ্বাসী যে কি না যে গুস্তাক সুধু তাকেই শাস্তি পেতে হবে। যেমন টা এই কাব বিন আশরাফ হয়তার ঘটনা। নবী পকের ইজাজাত নিয়ে নিজেকে একজন অমুসলিম হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন , নবীর শানে বাজে কথা ও বলেছেন একজন আনসারী সাহাবী হয়ে। আর অতি সুনিপন ভাবে তাকে হত্যা করেছেন আল্লাহর দুষমন কে । অথচ তারা তার বাড়িতে হামলা করে নাই। সুধু কাব বিন আশরাফ কে হত্যা করেছেন তার পরিবারের কারো গায়ে হাত দেন নাই। এটাই ইসলাম। ইসলাম সুধু অপরাধী কে সাজা দেয় , অপরাধীর ভাই বোন্ বা অন্য কাউকেই না।  

ঠিক এমন ভাবেই উপরে বর্ণিত হাদিস ও মোহাম্মদ বিন মাসলামা এর এই প্রসিদ্ধ ঘটনা থেকে শিক্ষা নেয়ার আছে কি ভাবে কাব বিন আশরাফ এর মত গুস্তাক ও আল্লাহ ও তার রাসুলের দুশমন দের কে শেষ করা সম্ভব। তসলিমা নাসরিন কে সবাই গালি দেয়। কেন গালি দাও ? কি লাভ হয় তাতে ? সে তোমার গালি সুনে আরো বেশি করে বাজে মন্তব্য করে ইসলাম কে নিয়ে। আজকে নতুন ফেতনা (লতিফ সিদ্দিকী  গাফ্ফার চৌধুরী ) একেও গালি দিও না। কারণ সে আরো অনেক কিছু বলতে পারে ইসলাম কে নিয়ে তোমার গালি শোনার পর।  

বরং সকল কুলাঙ্গার ও ধর্ম দ্রোহী কে হত্যা করার সপথ কর , তাদের কে গোপনে হত্যা কর। আর তাকে তুমি হত্যা করতে পারো না পারো , তুমি সুধু তাকে মারতে গিয়ে যদি মারা ও যাও তো তুমি জান্নাতি , আর যদি তাকে দুনিয়া থেকে বিদায় দিতে পারো তো তুমি মোহাম্মদ বিন মাসলামা রাযিয়াল্লাহ এর সঙ্গী। এর একজন সাধারন উম্মত হয়ে একজন সাহাবীর সঙ্গী হওয়া এর চেয়ে কি সুখের হতে পারে ? 
নিজে চিন্তা করে নাও ,,

আর কোনো ৫ মে দেখেতে চাই না আমি। আমি কাব বিন আশরাফের হত্যার মত কিছু দেখতে চাই। সেই দিন আমি শান্ত হব। আর আল্লাহ যেন তার মিত্তু আমার হাতে দেয়। আমি আর কিছু চাই না। আল্লাহ যেন আমাকে সেই সুযোগ দেয়।  

সোহেল রানা
 

1 টি মন্তব্য: