শনিবার, ৪ জুলাই, ২০১৫

সুফি বিদ্বেষিদের জবাব

আল্লামা ইকবালের সেই কবিতা দিয়ে শুরু করতে ইচ্ছা হল , 
হাম হে ওয়াহেদ পরাস্ত, ওয়াহেদ হে হামারা খোদা, 
কাফেরও কা কাফের হে হাম,
কাফের হে হামারা খোদা ।
কেউ যদি আমাকে কাফের মনে করে নাও তবে মনে কর । কারন আমাকে কাফের তাঁরাই মনে করবে যারা আল্লামা ইকবাল কে কাফের মনে করত । 
খুলে বললে এর মজা আর থাকল কই ? 
আর যে বোঝে তার সাথে প্রেম করার মজাই আলাদা । 

সুফীদের নিয়ে চরম মিথ্যাচার করা হয়েছে কথিত (জামাত দেওবন্দ ঐক্য চাই) নামক আইডি থেকে । 
আর মজার কথা হচ্ছে যে , যেই দুইজন মাকাম এ আলা হযরতের সমালোচনা করেছে এই কথিক এক্য চাই , সেই দুইজন হযরত কে দেওবন্দি হযরতগন কোন অংশে কম মুল্যায়ন করেন না আমাদের সুফী দের থেকে । 

একজন ইবনে আরাবী (রহ) অন্যজন মনসুর হাল্লাজ (রহ) ।

এই দুই জন কে নিয়ে ধারাবাহিক পোষ্ট করব আশা করছি । 
কারন তার দাবি ওনেক লম্বা ।

তার দাবি গুলো একটা একটা করে খন্ডন করীর জন্য ১,২,৩ যথাক্রমে নং এর ব্যাবহার করা হল । 
(১) সে লিখেছে যে ;- সুফীবাদের প্রবর্তকের নাম (sausun) যে কিনা খৃষ্টান থেকে মুসলিম সুফী সাঝে ও পরবর্তিতে আবার ও খৃষ্টান হয়ে যায় ।
তার সুযোগ্য ছাত্র মা'বাদ ইবনে খালিদ (৬৮৫-৭০৫) খৃষ্টাব্দ তিনি sausan এর ফকিরি তরিকা চালু রাখেন ও পরবর্তিতে উমাইয়া খেলাফত তাকে কতল করেন ,এরপর আসেন আল জাদ । তাকে ও প্রকাশ্য ও সম্মুখে কতল করা হয় ।

খন্ডন ;- যেহেতু সুফী দের কে নিয়েই পোষ্ট সে হেতু সকল জবাব সুফিদের বক্তব্য দিয়েই দেয়ার টেষ্ট করছি ।

ইমাম গাজালী (রহ) এর বিষয় জামাত এর বিশিষ্ট লেখল রফিকুল ইসলাম (দেওবন্দিদের আকিদা ) নামক সমালোচনা মুলক কিতাবে লিখেছেন যে সর্বসম্মত ভাবে হোজ্জাতুল ইসলাম হিসেবে গৃহত হচ্ছেন ইমাম গাজালী (রহ) ।

আর সেই হোজ্জাতুল ইসলাম ইমাম গাজালী (রহ) ওনার  স্বীয় (মাকতুবাত এ গাজালী ) তে লিখেছেন যে ;- তাদের সাথে ও কথা বলে বা শিক্ষা দেওয়ার চেষ্টা করে লাভ নেই । যারা হিংসা বশত প্রশ্ন করে । 

আপনার এই পোষ্ট দেখে হিংসা ছারা মুলত কিছুই চোখে পড়ল না । 

এর পর আপনি কোথাকার কে (সাওসান) কে সুফীবাদের প্রবর্তক দাবি করতে চেষ্টা করেছেন , আর এটাই প্রমান করতে চেষ্টা করেছেন যে :- সেই সময়কার খলিফা ও শাষন ব্যাবস্থা তাদের কে হত্যা করেছে । কারন তারা আসলেই ভ্রান্ত । 

আমার মনে হয় যে তারা  আসলেই ভ্রান্ত ছিল । তা না হলে খলিফা রা তাকে হত্যা করত কেন ? আপনিই ঠিক বলেছেন । 

কিন্ত্ আপনি এত পিছনে কেন চলে যাচ্ছেন ? 
৭০ হিজরির ইমাম আবু হানিফা (রহ) কে কেন দেখেন না ? খলিফা মনসুর ওনাকে বাধ্য করতে পারেন নাই । বরং খলিফা মনসুর বাধ্য হয়ে  ওনাকে জেলে পুরে রেখেছিলেন । মেরেছেন,অত্যাচার করেছেন, ইমাম আবু হানিফা (রহ) তবু কিন্ত খলিফা মনসুর এর মন মত ফতোয়া প্রনয়ন বা ফতোয়া প্রদান থেকে চুপ থাকেন নাই ।

তাই বলে কি ইমাম আবু হানিফা (রহ) ভ্রান্ত ছিলেন ? বরং খলিফা মনসুরের নিজেরই বিপদ হয়ে যাচ্ছিল একজন সুফীর কারনে । আর তিনি ইমাম আবু হানিফা । 
আর যখন ইমাম আবু হানিফা (রহ) এর মিত্তু হয় তখন খলিফা মনসুর কি বলেছিল তার কি খবর আছে ? 

তিনি বলেছিলেন যে আমাকে কে আছ যে ইমাম আবু হানিফার কাছে থেকে রক্ষা করবে , সে জীবিত হোক বা মৃত ! 

এর মানে খলিফা মনসুর ইমাম আবু হানিফার মিত্তুর পর ও ইমাম সাহেবের ভয় থেকে রক্ষা পায় নাই । (ইমাম এ আজমের গল্প) 

আর ইনিই তো সুফীদের মাথার তাজ । 

এরপর আসেন সুফিয়ান সাওরি (রহ) এর জীবন দেখি সামান্য । 

সুফিয়ান সাওরি (রহ) কে  যখন ওনার এক সময়ের বন্ধু খলিফা মনসুর চিঠি লিখেছিল , সেই চিঠির উল্টো দিকে সুফিয়ান সাওরি জবাব দিয়েছিল লিখে । যাতে কোন রাজা বাদশাহর কোন হারামের  সম্পদ ওনার ঘরে না থাকে।
এর সেই চিঠি পেয়ে খলিফা মনসুর সারাজীবন প্রাসাদের বাইরে বসে রাজ চালাতেন । সকালে ও সন্ধা বেলা ২ বার করে সেই সুফিয়ান সাওরি এই চিঠি পাঠ করতেন  ও কান্না করতেন (ইহইয়ুয়ায়ে উলুমুদদিন ) ৩য় খন্ড । অধ্যায় সৎ কাজের উপদেশ ।

আপনি কেন দেখছেন না সুফিয়ান সাওরি (রহ) কে । 
ইনিই তো সুফিদের মাথার মুকুট । 
হাসান বসরী (রহ) কে কেন দেখছেন না ? 
যে কিনা হাজ্জাজ বিন ইউসুফ কে তার সামনে প্রকাশ্য আল্লাহর দুষমন বলেছিলেন । 
হাজ্জাজ বিন ইউসুফের মুখা তামাচা মেরে জীবন দেয়া ১৮ বছরের যুবক হাতীত যাইয়াত কে কেন দেখ না ? 

না কি এটা শাক  দিয়ে মাছ ঢাকার অপচেষ্টা নয় । 
এমন সাওসান এর উদ্ধৃতি দিয়েছেন যাকে সুফী সমাজ চিনেই না । 

(২)এর পর লিখেছেন যখন উমাইয়া খেলাফত কমজোর হয়ে যায় , তখন আসে শতশত সুফী , যেমন বড় পীর আব্দুল কাদের জীলানি (রহ) থেকে শুরু করে বাংলাদেশের ১২ আওলিয়াগন । 
এর সে যে জন্ম সুত্রে চান্ডাল তার প্রমান দিয়েছে লালন কে সুফী বলে । 
আরো বড় চান্ডালের প্রমান দিয়েছে যে বড় পীর থেকে শুরু করে সকল ওলি সেই (সাওসান) নামের খৃষ্টান থেকেই শুরু হয়েচে ।

খন্ডন ;- আগেই প্রমান দিয়েছি যে এমন কথিত সুফিদের নাম নিয়েছে যাকে কতল করা হয়েছে , তাদের কে কেউ চিনে না ।;- বড় পীর আব্দুল কাদের জীলানি (রহ) , ইবনে আরাবী (রহ) মাওলানা জালালুদ্দিন রুমা (রহ) শেখ শাদি (রহ) শাহ শামছ তাবরেজ (রহ) হযরত বায়েজিদ বেস্তামি (রহ) এরা সকলে সেই সময়কার অপ্রতিদ্বন্দ্বী আলেম ও সুফী ছিলেন । তারা দুনিয়ার ইলম সকলে শেষ করেছিলেন । এর পরই ইলমে রাব্বানী এর তালাশ করেছেন । 
বড় পীর আব্দুল কাদের জীলানি (রহ) এর অসংখ্য মুল্যবান কিতাবে আছে । যা আজ পর্যন্ত মাথা উঁচু করে আছে স্বগৌরবে ।
রুমির মসনবী শেখ শাদির কবিতা শাহ জালালের জালালি কাহিনি আজ ও আহলে মোহাব্ব্ত ওয়ালাদের তৃষ্ণার পানি , রোজার ইফতার, চোখের নূর হয়ে আছে । বরং এদের কে দেখে সেই সময় হিন্দু বৌদ্ধ রা কুত্তার মত ভোকাভুকি করত । আজ ও তাদের জ্ঞাতি ভাইয়েরা এই কাজটি লজ্জাহীন ভাবে করেই যাচ্ছে । 

(৩) এরপর কিছু খৃষ্টান সন্নাসী (Saint poul) Saint joseph)  এক উদাহরন টেনে এনেছেন এটা প্রমান করার জন্য , যে সুফীহাত বা সন্ন্যাস তাদের থেকেই মুলত । তারা বিয়ে করতেন না ।
আরে নানান টা ।


আপনি একটা মিথ্যা অপবাদ দিয়েছেন মাত্র এটা । কোন সুফির ঘরে বউ ছিল না বলবেন কি ? 
আর কোরানের আয়াত ( -“কিন্তু তারা বৈরাগ্যবাদ(hermetism) আবিষ্কার করল যার বিধান আমি তাদেরকে দেই নাই(৫৭:২৭)”

কোন সুফীর কোরানের বিরুধিতা করতে পারেন না  সুস্থ হাল এ । 

আপ ধ্যান করার বিষয় কি জবাব দিবে ? আমার নবী পাক (সা) হেরা পর্বতের গুহায় গিয়ে নামায পড়তাম ? রোযা রাখতেন ? যিকর করতেন ? না কি করতেন ? তার জবাব দিবেন । এই খানে আমাদের সুফীহাত ও যাকে আপনারা সন্ন্যাস বলেন তার প্রমান পেয়ে যাবেন :

(৪)এর পর লিখেছেন যে ;- ইবনে আরাবী (রহ) ওনেক সময় ওনেক বাজে কথা বলেছেন যেমন বান্দাই আল্লাহ ও আল্লাহ ও বান্দা । নবীর চেয়ে ওলির ইজ্জত বেশি , তিনি খাতমে আওলিয়া নানান টা । 
আমি কথা গুলো বেশি লিখে পোষ্ট লম্বা করতে চাই না । ধরে নিলাম যে তিনি নিজে নিজে কে আল্লাহ দাবি করেছেন । এর জবাব দিয়ে দিচ্ছি সোজা । আশা করি আল্লাহ দাবি করার চেয়ে বড় গোনাহ বা বাজে কথা বা পাগলামি নেই । 
আর তার জবাব হচ্ছে যে ;- 

খন্ড্ন ;- 

হিজরী ৫৬০ সালের এই দিনে খ্যাতনামা মুসলিম আরেফ ও মনিষী মহিউদ্দীন আবু বকর বিন মোহাম্মদ দক্ষিণ স্পেনের আন্দালুসিয়ায় জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি ইবনে আরাবি নামে বেশী পরিচিত। তিনি মাত্র আট বছর বয়সে কোরআন শরীফ, ফিকাহ ও হাদিস শাস্ত্রের উপর ব্যাপক পড়লেখা করেন। তিনি তরুণ বয়স থেকেই আধ্যাত্মিকতার জগতে প্রবেশ করেন। ইবনে আরাবি ৩০ বছর বয়সে ইসলাম সম্পর্কে আরো গভীর জ্ঞানার্জনের জন্য ইসলামী দেশগুলো সফর শুরু করেন এবং হিজরী ৬২০ সাল থেকে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে বসবাস শুরু করেন। সিরিয়ায় তিনি শিক্ষা দানের পাশাপাশি গ্রন্থ লেখার কাজেও আত্ম নিয়োগ করেন। খ্যাতনামা এই মুসলিম মনিষী হিজরী ৬৩৮ সালে দামেস্কে পরলোক গমন করেন। 
তিনি কোন গন্ড মুর্খ চিনেন না । বরং আলেম এ দিন ছিলেন । আর বাকি নিচে ;-

ইমাম গাজালী সাহেব ইমান কে ৬ ভাগে ভাগ করেছেন । 
আর  ৬ষষ্ট স্তরের ইমান ওয়ালাগল নিজের অস্বতিত্ব সম্পর্কে যেমন বে-খেয়াল থাকেন ঠিক তেমনি তাহাদের দেখা শোনা বলা সব কিছুই নিজেদের ইখতিয়ার (কর্তৃত্ব) বহির্ভুত হইয়া আল্লাহর পক্ষে হইতে সম্পন্ন হইতে থাকে ।
এবং সর্বত্র ও সব কিছুতে তাহারা আল্লাহ ও তারই উপস্থিতি বিরাজমান দেখিতে পান ।

এইখানে আর একটা বিষয় খোলা করে দেওয়া উচিত বলে মনে করছি যে ;- প্রথমত ও সকল লোক বলে থাকে এক আল্লাহ ছারা আর কোন মাবুদ নাই , আর ৪ ও ৫ নং ইমান ওয়ালা আরো একটু এগিয়ে এসে বলে যে আল্লাহ ছারা আর কারোই অস্বতিত্ব নেই । কিন্ত্ ৬ স্তরের যারা আছেন  তারা বলেন যে ;- যেখানে যা কিছু দেখি তার সবগুলোর মধ্য শুধু আল্লাহই ,আল্লাহ ছারা আর কোন কিছুই আর চোখে পড়ে না ।

প্রথম সারীর যারা আছেন তারা বলে যে আল্লাহ ছারা আর কোন মাবুদ নাই কিন্ত্ শেষ স্তরের যারা আছে তারা বলেন যে আল্লাহ ছারা আঁর কোন কিছুই মওজুদ নাই ।

শেষোক্ত বেক্তি যেহেতু প্রথমের সকল ধাপ পর্যায়ক্রমে পেড়িয়ে এসেছেন শেষের স্তরে তাই ওনার কাছে প্রথমক্ত সকল ইমান ওয়ালারা অনাড়ী হিসেবেই বিবেচিত , যেমন ১০০ টাকার সামনে ১০ টাকা অনাড়ীর মুল্যই পেয়ে থাকে সব সময় ।

ষষ্ট স্তরে যারা পৌছান তারা কার্যত বায্য ও জ্ঞান শুন্য হইয়া পতিত হইয়া যান ,এই অবস্থায় সাধারণত দুই ধরনের ভুল করিয়া থাকেন ।
কেউ কেউ মনে করেন যে তাহার আত্বা পরমসত্তার আত্বার স্বীয় পরিপূর্ন ভাবে একাভুত হইয়া  গিয়াছে , এমন কি নিজেরাই সেই সত্তায় পরিনত হইয়া গেছেন ।আল্লাহ ও বান্দার সকল পার্থক্য ঘুচিয়া গিয়েছে ।

আর দ্বীতিয়ত মনে করেন যে পরম সত্তার সহিত একাভুত হওয়া তো সম্ভব নয় , হয়ত পরমসত্তা তাহার মধ্য প্রবেশ লাভ করিয়াছেন ।
এই অবস্থায় বে-ইখতিয়ারিতেই বার হয় , আমিই পরম সত্তা (আনাল্ব হক্ব)

কিন্তু বে-ইখতিয়ারি অবস্থা হইতে যদি পার হইয়া ফিরিয়ে আসিতে পারেন তবে তিনি বুঝতে পারবেন যে আমি যা বলেছি আসলে তা যথার্ত নয় । কেননা আল্লাহ তায়ালা কোন রক্ত মাংসের দেহে প্রবেশ করবেন তা যেমন সম্ভব না ঠিক তেমনি দুনিয়ার জড় ও পদার্থের মধ্য তিনি একীভুত হবেন তাও কল্পনীয় নয় ।

এই ধরনের কথা বা অনুভূতি তাওহিদের চরম স্তরে অগ্রসরমান সাধক গনের সাময়িক একটা অনুভুতি মাত্র ।
যে অনুভুতি স্বাধক অন্তরে স্থায়ী হয় না । আর একটু অগ্রসর হলেই বিলীন হইয়া যায়।


মোট কথা হল , যাহারা এক আল্লাহ ব্যাতীত অন্য কোন মাবুদ কে স্বীকার করেন না , ও যাহারা এক পরম সত্তা ব্যাতীত আন্য কোন কিছুরই অস্বতিত্ব অনুভব করেন না তাহাদের দেয়া প্রথমত দের থেকে ওনেক ওনেক উপরে । এটাই চরম পাওয়া , এটা তাওহিদের সর্বোত্তম স্তর । ( মাকতুবাত ও গাজালী ) ৪০-৪৮ 

পারলে এটা খন্ডন করে দিও । 

আর একটা হাদিসে কুদসী দিলাম । বাংলা টা দিলাম না তোর ইলম দেখার জন্য । রেফারেন্স ও  দিলাম না । 
এটার ও জবাব দিবি ;- 
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﻗَﺎﻝَ ، ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻗَﺎﻝَ ﻣَﻦْ ﻋَﺎﺩَﻯ ﻟِﻲ ﻭَﻟِﻴًّﺎ ﻓَﻘَﺪْ ﺁﺫَﻧْﺘُﻪُ ﺑِﺎﻟْﺤَﺮْﺏِ ﻭَﻣَﺎ ﺗَﻘَﺮَّﺏَ ﺇِﻟَﻲَّ ﻋَﺒْﺪِﻱ ﺑِﺸَﻲْﺀٍ ﺃَﺣَﺐَّ ﺇِﻟَﻲَّ ﻣِﻤَّﺎﺍﻓْﺘَﺮَﺿْﺖُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﻣَﺎ ﻳَﺰَﺍﻝُ ﻋَﺒْﺪِﻱ ﻳَﺘَﻘَﺮَّﺏُ ﺇِﻟَﻲَّ ﺑِﺎﻟﻨَّﻮَﺍﻓِﻞِ ﺣَﺘَّﻰ ﺃُﺣِﺒَّﻪُ ﻓَﺈِﺫَﺍ ﺃَﺣْﺒَﺒْﺘُﻪُ ﻛُﻨْﺖُ ﺳَﻤْﻌَﻪُ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﻳَﺴْﻤَﻊُ ﺑِﻪِ ﻭَﺑَﺼَﺮَﻩُ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﻳُﺒْﺼِﺮُ ﺑِﻪِ ﻭَﻳَﺪَﻩُ ﺍﻟَّﺘِﻲ ﻳَﺒْﻄِﺶُ ﺑِﻬَﺎ ﻭَﺭِﺟْﻠَﻪُ ﺍﻟَّﺘِﻲ ﻳَﻤْﺸِﻲ ﺑِﻬَﺎ  ﻭَﺇِﻥْ سَآَلنِى لَآُطَينَهُ وَلَئِن إِستَعَاذَنِى لَأُعِيذِنِهِ- 
 

ইবনে আরাবী (রহ) এর বেলায় ও তাই হয়েছে  ও এর পরে যা জবাব দেয়া হবে মনসুর হাল্লাজ কে নিয়ে , ওনার বেলায় ও একই ঘটনা হয়েছে । 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন