আর রাহাত সাহেব যে হাদিসের অবতারনা করেছেন তা মুলত একটা ভগ্নাংশ । আগে তার দেয়া হাদিস দেখুন ;-(রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহী ওয়া সাল্লাম হযরত জাবের রাঃ কে লক্ষ্য করে বললেন"হে জাবের সমস্ত কিছুর পূর্বে নিশ্চয়ই আল্লাহপাক স্বীয় নূর থেকে তোমার নবীর নূর সৃষ্টি করেছেন।"(মাওয়াহেবে লাদুন্নীয়া)
কিন্ত আবসসের কথা কিতাবের পাতা নং নাই। পাতা নং দেয়ার জন্য বলা হল । আর যদি মর্দে মুজাহিদ হয়ে থাকেন তা হলে তো কথাই নাই। তিনি তো কিতাবের পাতা ও দিয়ে দিতে পারবেন সকল রেফারেন্সর। ঠিক বলেছি না রাহাত সাহেব ?
২ নং আপনি দিয়েছেন মাদারেজুন নবুয়াত এর উদ্ধৃতি কিন্তু রেফারেন্স ছারা , আশা করছি রেফারেন্স দিবেন ।আমার কাছে মাদারেজুন নবুওয়াত কিতাব আছে। দেখে নিব নিজের চোখে ও বুক জুড়াব
এর পর ৩ নং দিয়ে সে যা লিখেছে তা হুবহু তুলে ধরলাম ;-
৩/ উক্ত হাদীসে বর্ণিত "মিন নূরহী" শব্দটির ব্যাখ্যায় মোল্লা আলী ক্বারী রহঃ মিরকাত শরীফে লিখেছেন-আল্লাহপাক আপন জাতী নূরের জৌতি দিয়ে রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহী ওয়া সাল্লাম এর নূর পয়দা।
বরং আপনার এই কথা সম্পুর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। এবং আপনি মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছেন হিংসার বসবর্তি হয়ে । যারা এমন কিতাব কে বিকৃত করেন আল্লাহ তাদের কে ধংস করুন ।
বরং মিরকাত শরিফে যা আছে তা হচ্ছে ;-মোল্লা আলী কারী (রহঃ) [মৃত১০১৪ হিঃ] তিনি নিজেও قيل :اول ما خلق الله نوري من نوره الخ এ হাদিসে উদ্ধৃত نور “নূর” শব্দকে روح ‘রূহ’ অর্থে ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তাঁর ভাষায়-
ﻗﻮﻟﻪ « ﺃَﻭَّﻝُ ﻣَﺎ ﺧَﻠَﻖَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻧُﻮﺭِﻱ» ) ، ﻭَﻓِﻲ
ﺭِﻭَﺍﻳَﺔٍ: ﺭُﻭﺣِﻲ، ﻭَﻣَﻌْﻨَﺎﻫُﻤَﺎ ﻭَﺍﺣِﺪٌ،( ﺍﻱ ﺍﻭﻝ ﻣﺎ ﺧﻠﻖ ﺍﻟﻠﻪ ﻣﻦ ﺍﻻﺭﻭﺍﺡ ﺭﻭﺣﻲ. ﻣﺮﻗﺎﺓ ﺍﻟﻤﻔﺎﺗﻴﺢ، ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ، ﺑﺎﺏ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ﺑﺎﻟﻘﺪﺭ- ১/১৬৭
অর্থাৎ বর্ণনায় রয়েছে যে, আল্লাহপাক সর্বপ্রথম আমার নূর সৃষ্টি করেছেন। এভাবে অন্য আরেকটি বর্ণনায় রয়েছে যে, আল্লাহপাক সর্বপ্রথম আমার রূহ সৃষ্টি করেছেন। অতএব উভয় বর্ণনার মর্মার্থ একই। যেহেতু রূহই নূর। অর্থাৎ আল্লাহপাক সর্বপ্রথম আমার নূর তথা রূহ সৃষ্টি করেছেন।
{দেখুন, মেরকাত শরহে মেশকাত, কিতাবুল ঈমান; ঈমান বিল ক্বাদর অধ্যায় ১ম খন্ড, পৃষ্ঠা নং ১৬৭}।
৪ নং কিতাব আমার কাছে নাই। আশা করব কোন বিস্বাস যোগ্য প্রমান তুলে ধরবেন আমার সামনে ।যেহেতু বড় পীর আব্দুল কাদীর জীলানি (রহ) কিতাব থেকে তাই আপনি যদি তা তুলে ধরতে পারেন যা আপনার দাবি , আমি বাক্য ছারা মেনে নিতে বাধ্য থাকব। ওনার ( বড় পীর) সাহেবের পা আমার গর্দানের উপর ।
৫ নং এ লিখেছেন মাকতুবাত শরিফের কথা । কিন্তু কিতাবের পাতা নং তো আছে কিন্তু মাকতুবাত নং নাই। আর আমার মনে হয় মাকতুবাত শব্দের অর্থ জানা নাই আপনার ।আর যদি জানা থাকে তো মাকতুবাত নং দেয়া উচিত ছিল। কারন মাকতুবাত কোন কিতাবের মত না , যে এটা ঢালাও ভাবে লিখেই গেছে । বরং এটা একটার পর একটা নং দেয়া আছে। মাকতুবাত নং দিবেন ।
৬) লিখেছেন ;- মাতালিউল মুসারবাত শরহে দালাইলুল খায়রাত" দেখুন।
আমরা দেখব না। বরং আপনি দেখান কোথায় কি আছে যে তারা আল্লাহর জাতী নূর থেকে নবী পাক বলেছেন।
বরং উক্ত কিতাবে ও হজরত যাবের (রা) এর হাদীস তারা তুলে ধরেছেন যা ১ নং এর জবাবে দেয়া হয়েছে ।
বরং আপনি মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছেন।
যদি হালালের সন্তান হয়ে থাকেন তবে আপনার দাবি প্রমানে দলিল পেশ করুন।
৭ নং এ এক আজব খেলা খেলেছেন। উদ্ধৃতি দিনেতে মাওয়াহেবে লাদুন্নি কিতাবের। কিন্তু রেফারেন্স দিয়েছে (শরহে জুরকানী ১ম খন্ড পৃঃনং-৫৩)
মাওয়াহেবে লাদুন্নি কিতাবে কি আছে তা ১ নং এর জবাবে দেয়া হয়েছে ।
আর যদি তা মানতে কষ্ট হয় তবে আপনি প্রমান পেশ করুন। মেনে নিতে বাধ্য থাকব ।
এর পর
৮ নং এ সিরাজ নগরী সাহেব কে গালী গালী করে আশরাফ আলী থানবীর বর্নানা দিয়েছেন ।
দেখাইস এটা খারেজী ওহাবী আলেমদের অন্যতম মুরুব্বী আশরাফ আলী থানবী সাহেব "নশরুতত্বিব" গ্রন্হের ৫ পৃষ্ঠায় হযরত জাবের রাঃ এর বর্ণিত হাদীসের ব্যাখ্যায় বলেন-"আল্লাহপাক রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহী ওয়া সাল্লাম এর নূরকে নিজের নূর থেকে সৃষ্টি করেছেন,,যার অর্থ এটা নয় যে,"আল্লাহর নূর" নূরে মোহাম্মদী সাল্লাল্লাহু আলাইহী ওয়া সাল্লাম এর সৃষ্টির মূল উপাদান বরং এর অর্থ হল তার নূরের ফয়েজ বা জৌতি হতে রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহী ওয়া সাল্লাম এর নূর সৃষ্টি হয়েছে।"
৮ নং উদ্ধৃতি তার দেখুন ও তার দাবি করি ভুয়া দলিল দেখুন । উপরে তার দাবি ছিল আল্লাহর নিজের নূর থেকে সৃষ্টি , আর ৮ নং এ বলে দেন যে আল্লাহ তায়ালার স্বীয় নূরের তাজাল্লি থেকে বা ফয়েজ থেকে বা জ্যোতি থেকে সৃষ্টি ।
এই কথা তো আমরা বলি যে আল্লাহ তায়ালার স্বীয় নূর থেকে নয় বরং আল্লাহ তায়ালা তার স্বীয় কুদরতি নূরের ফয়েজ থেকে নবী পাকের নূর সৃষ্টি করেছেন ।
আর তোমার দাবী ছিল যে আল্লাহ পাকের জাতী নূর থেকে তৈরি ।
এই ৮ নং বর্ননার কারনে কি তুমি নিজের পোষ্টের মাধ্যমে নিজেই নাকানি চুবানি কি খেলে না ?
এর পর বলেছে যে ;- মুনাফেক সিরাজনগরীর অনুসারীরা কত দলীল দিমু এমন জিদ উঠতাছে ইসলামে যদি তগো কতলের অনুমতি পাইতাম তা করতাম ওহাবীরাতো প্রকাশ্য শত্রু আর তরা হইলি অপ্রকাশ্য শত্রু ছদ্নবেশী শয়তান।
জবাব ;-
আমি পোষ্টার শুরুতেই বলেছি যে ;- আমি সিরাজ নগরীর সাহেবের অনুসারী না । বরং আমি নিজের দায়িত্ব মনে করেই এর জবাব পেশ করছি ।
আর লিখেছে যে তার জীদ উঠেছে যদি আমাদের কে হত্যা করার হুকুম থাকত তবে হত্যা করত ।
আরে ব্যাটা ;- তোর মত আবাল কে আমি যখন বলেছিলাম যে ইসলামের প্রকাশ্য শত্রু যারা তাদের কে হত্যা করতে হবে। তখন আমি হলাম জংগি ।
আর তুই তাদের কে ছেড়ে আমাদের কে হত্যা করার রাস্তা খোঁজ করতাছস ?
যাদের কে হত্যা করা ওয়াজেব তারা তোর নাকের ডগায় । আর যাদের বিরুদ্ধে কোন আপত্তি নাই তাদের কে হত্যা করার এ ফতোয়া খোঁজ করছ ।
একটা গল্প শোন। এক ব্যাক্তি অন্য এক ব্যাক্তির সাথে ঝগরা করছিল মুখে মুখে । কিন্তু তোমার মত একজন ছিল সে পেরে উঠতেছিল না । তখন সে বলল কি যে , শোন। আমার রাগ কিন্তু ওনেক তোর জানা নাই। আমার রাগ তুই দেখিস নাই। আমার রাগ দেখেছে পাশের বাড়ীর চাচি । তাই আমার সাথে এমন করে কথা বলিস না ।
সাথে সাথে পাশের বাড়ির সেই চাচি এসে জিগ্গেস করল যে ;- বাবা , কোন দিন তুমি রাগ হইছিলা ?
তখন যে তোমার মত ছিল ও নিজের রাগের কথা বলেছিল , সে জবাব দিল যে , চাচি , তুমি ঐদিন বাড়িতে ছিলা না ।
তোমার অবস্থা এই বলদ কোথাকার ।
নূর বিষয়ক যা হকিকত তা তুলে ধরব আগামী কাল
নবী পাকের সুরত চার তিনটি (১) সুরতে বাশার, (২) সুরতে মালেকি(৩) সুরতে হাক্কি
সুত্র ;- নূর নবী এম এ জলিল লিখিত পৃ নং ৩
তিনি তাফসির এ রুহুল বয়ান ও তাফসীরে ক্বাদরী এর উদ্ধৃতি দিয়েছেন এখানে । সুরতে বাশার সকলের জন্য কিন্ত বাকি দুই সুরত সকলের জন্য নয় । বরং তা নির্দিষ্ট কিছু মানুষের জন্য ।
তো
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন