যদি মন চায় করি করে রেখে দিন। সময় হলে আল্লাহর ওয়াস্থে পড়বেন ।
বিঃদ্র আজকের বিষয় মোহাম্মদ ইবনে আব্দুল ওহাব নজদী বা ওহাবিয়াহত এর চুলছেড়া বিশ্লেষন ।
শেয়ার করুন সকলে ।
জন্ম ১১১১ হিজরি ১৭০৫ খৃ । তামীম গোত্রে তিনি জন্ম গ্রহন করেন । তিনি ওনেক আলেমের কাছে শিক্ষা গ্রহন করেন তার মধ্য শায়েখ মোহাম্ম্দ বিন সুলাইমান কারডি স্বাফেয়ী ও শায়েখ মোহাম্ম্দ হায়্যাৎ হানাফি অন্যতম ।
এ দুজন শিক্ষক তার ধর্মদ্রোহিতা ও বিভ্ন্ন্ আলামত লক্ষ করে প্রায় বলতেন যে ;- সে অনতিবিলম্বে পথভ্রষ্ট হয়ে যাবে । তার মাধ্যমে ওনেক হতভাগা দুর্ভাগা মানুষ গোমরাহ হয়ে যাবে ।
সুতরাং তাই হয়েছে পর্বর্তীতে ।
মোহাম্ম্দ বিন আব্দুল ওহাব নজদীর শ্রদ্ধেয় পিতা তার কাজ কর্ম লক্ষ করে তার থেকে সাধারন মানুষকে দূরে থাকতে উপদেশ দিতেন। এমন কি তার আপন ভাই শায়েখ সুলাইমান ইবনে আব্দুল ওহাব নজদী ও তার নব আবিষ্কৃত ধর্মমত ও কর্মকান্ড ধর্ম মত ও পাতিল আকিদা গুলোর খন্ডন করতেন । শায়েখ সুলাইমান তার আপন ভাইয়ের খন্ডন করে কিতাব রচনা করেন (আস্সাওয়াইক্বল ইয়া হিলা ফি রদ্দে আল ওয়াহহাবিয়াহ)
সুত্র ;- আদদুরাসুস স্যানিয়া পৃষ্টা ৪২
ওহাবি কাদের বলা হয় ;- প্রকৃত পক্ষে ওহাব আল্লাহ তায়ালার নাম ।
কিন্তু আল্লামা মোহাম্ম্দ আব্দুর রেহমান সিলহেটি (রহ) নজদী সম্পর্কে বর্নানা করেন যে ;- দ্বিতীয় সুলতান মাহমুদ খানের আমলে মোহাম্ম্দ ইবনে আব্দুল ওহাব নামের এক ব্যাক্তির আত্নপ্রকাশ ঘটল । ইবনে তাইমিয়ার মিত্তুর পর সে তার ভ্রান্ত বিলুপ্ত প্রায় আকিদাগুলো আবারো পুনরায় প্রচার করা শুরু করল ।
সে নতুন সরিয়ত প্রকাশ করল । আহলে সুন্নাতের বিরোধি সে একটা দল গঠন করল । ফোরাত থেকে সিরিয়া ও বাগদাদ শরিফ ও বসরার মত যায়গাগুলো সে চষে বেড়াল । আর সেখান থেকে সে আরবে ফিরে আসলো ।বাদশাহ ইবনে সৌদের সহায়তা পাবার জন্য , সে উক্ত দলে যোগ দিয়েছিল । সে শহরের বড় বড় মানুষগুলোকে নিজের দলে টেনে নিলো । এ কারনে তাদের দলের দলনেতা মোহাম্ম্দ ইবনে আব্দুল ওহাব নজদীর নামানুসারে তাদেরকে ওহাবি বলা হয় । ( সরফুল আসরার , আলাল মুসলিলুল ফুজ্জার) পৃ ১১
এই হচ্ছে ওহাবি কারা তাদের পরিচয় ।
সকল কে মুশরিক বলা ;- বলা হয়েছে যে ;- এসব লোক কিছু দিন হল বের হয়েছে ও দুই হেরেম শরিফের উপর তাদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্টা করেছে । তারা নিজেদের কে হাম্বলী মাযহারের দাবি করে , কিন্তু তারা নিজেদের কে ছারা অন্যদের কে যারা তাদের ফেলার আকিদা পোষন করে তাদের কে মুশরিক এ কাফের মনে করে ও তাদের রক্তপাত যায়েয মনে করে ।
সুতরাং তারা আহলে সুন্নাহ এর আলেমদের কে হত্যা করতে দ্বিধা বেধ করেনি ।(শাহ ওলিউল্লাহ ওর উনকি সিয়াশী তেহরিক) পৃষ্টা নং ২৩০ ।
এই হচ্ছে ওহাবি। আজকাল যাদের কে আমরা আহলে হাদীস বা লা মাযহারী বলে জানি এরাই এই কথিত ওহাবি ।
মাযার ধংস করা ;-- সর্দার মুহাম্মদ হাসানী বি এ তিনি তার কিতাব (সাওয়ানিয়ে এ হায়্যাতে সুলতান ইবনে সৌদ) লিখেছেন যে ;- শায়েখ তার নিকট এ মর্মে শপথ নিয়েছে যে , উক্ত মাযার সমুহ ও তৎসংলগ্ন স্থাপনা গুলো ধংস করতে মদদ যোগাবে । ইবনে মুয়াম্মার তা গ্রহন করলো । উভয় পরামর্শ করে তারা জালালীয় এ গিয়ে উপস্থিত হলো রাসুলুল্লাহ (সা) এর সাহাবা কতিপয় মাযার ধংস করলো উভয় মিলে ।
(সাওয়ানিয়ায় হায়াতে সুলতান ইবনে সৌদ) পৃ ৪১
তৎকালীন সময়ের পবিত্র হেরেম শরিফের মুফতি আল্লামা যায়নী (রহ) লিখেছেন যে :- একের পর এক আরবের গোত্র গুলো তার অনুগত্য করতে শুরু করল। আরবের জংলী লোকগুলোর তাকে ভয় করতে শুরু করল। গ্রামবাসী রা ও তার অনুগত্য শুরু করল ও তারা একে বারেই মুর্খ ছিল। দ্বীন সম্পর্কে তাদের কোন জ্ঞান ছিল না ( আদদুরাসুস স্যানিয়া ) ৪৩ নং পৃষ্টা ।
আব্দুল ওহাব নজদীর মতবাদ;-
মোহাম্ম্দ ইবনে আব্দুল ওহাব নজদীর মতে যা তার প্রবৃত্তির মত হবে তাই সত্য , যদি তা প্রকাশ্য দলিলাদির বিরুদ্ধ ও হয়ে থাকে ।
আর বাতিল হল তাই যা কার প্রবৃত্তির বিরুধি । বোক না এমন বিষয় যে সকল উম্মাতের মাধ্যমে তা এক্যমত রয়েছে । সে বেশিরভাগ সময় নানা রকম বাক্য ব্যাবহার করে নবী পাকের মানহানী করত (নাউজুবিল্লাহ ) আর মানুষকে বোঝাত তার ইচ্ছা তাওহিদের হেফাজত করা। নবী পাক (সা) কে লক্ষ করে বলতেন যে তিনি ত্বরীস ছিলেন। ত্বারীশ বলা হয় সেই বেক্তিকে যারে এক গোত্র থেকে অন্য গোত্র পাঠানো হয় সংবাদ বাহক হিসেবে । তার কাছে নবী পাকের ইজ্জত ছিল একজন পত্র বাহকের মত যে পত্র পৌঁছানোর পর আবার ও ফিরে আসত ।
তার কোন কোন অনুসারী বলত যে আমার লাঠি মোহাম্মাদের ছেয়ে উত্তম । কারন আমার লাঠি দিয়ে আমি উপকৃত হই কিন্তু মোহাম্ম্দ কে দিয়ে আমার কোন উপকার হয় না (নাউজুবিল্লাহ)
কিছু কর্মকান্ড;- আল্লামা আফন্দি রাহিমুল্লাহ লিখেছেন যে আবুল ওহাবিয়াহ নজদীর নাপাক কর্মকান্ডের বর্নানা করেছেন এই ভাবে যে ;- মোহাম্মাদ ইবনে আব্দুল ওহাব নজদীর কর্মকান্ডের মধ্য এ ও আছে যে যখন ওই সব লোকদের কে নবী পাকের রওজা মোবারকের যিয়ারত করতে বাঁধা দেওয়া হল তখন ওই সব লোকের মধ্য কিছু লোক অহস্সা থেকে বের হলেন ও নবী পাকের রওজায় আকদাস যিয়ারত করলেন । এই খবর যখন তার কাছে পৌছলে তখন দরইয়্যাহ নামক স্থান তারা পার করছিলেন । তখন মোহাম্ম্দ ইবনে আব্দুল ওহাব নজদী তাদের দাড়ি মুন্ডিয়ে দেয়ার নির্দেশ দিলেন । অতপর তাদের কে দরইয়্যাহ থেকে ইহসা পর্যন্ত তাদের কে বাহনের উপর উল্টে করে বসিয়ে পাঠিয়ে দিলেন ( আদদুরাসুস স্যানিয়া) পৃ ২০-২২।
এই ছিল আশেকে রাসুলদের অবস্থা নজদীর হাতে যে সে দাড়ি মুন্ডিয়ে দেয়ার হুকুম করতেন ।
আর আমার নবী দাড়ি রাখতে বলেছেন।
আল্লাহ তার বিচার করুন এত বড় হীন কাজ করার হিম্মত করার জন্য ।
হেরেম শরিফের মুফতি আল্লামা সাইয়েদ আহমেদ ইবনে যায়নী রাহিমুল্লাহ বর্ননা করেছেন যে ;- মোহাম্ম্দ ইবনে আব্দুল ওহাব নজদী ওনেক কিতাব জালিয়ে দিয়েছে (১) মদিনার ওনেক আলেম ও বিশেষ বিশেষ মানুষকে হত্যা করেছে । তাদের সম্পদ কে হালাল জেনে লুন্ঠন করেছে । সে নবী কারীম (সা) ও ও অন্যান্য নবী ও ওলিগনের মানহানী করেছে ও তাদের কবর গুলো উপরে ফেলেছে ( এই কথার দলিল নজদীর নিজের কিতাব থেকে ও দেওয়া যেতে পারে , সে লিখেছে ;- আমরা কোন কিতাব ধংসের অনুমতি দেই না , তবে যে কিতাব গুলোতে শিরকের মিশ্রত থাকে ও আকিদাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে যেমন ;- রওফুর রিয়াহীন , মানতিক্বের কিতাব সমুহ ও দালাইলুল খযরাতের কিতাব সমুহ ধংস করে দেওয়া যায় ( আল হাদিয়াতুস স্যানিয়া ) পৃ ৪৫-৪৬
আরো ইবনে যায়নী (রহ) বলেছেন যেমন ওলিগনের কবরের উপর টয়লেট বানিয়েছিল। দলায়লুল খযরাতের কিতাব সমুহ , ওজিফা পড়তে , নবী পাকের মিলাদ পালন করা কে , আজানের পর দরুদ শরিফ পাট করতে নিষেদ করে দিলো । নিষেদ করার পর যারা এই সকল কাজ পালন করেছেন তাদের কে শহিদ করে দিল , নামাযের পর দোয়া করতে নিষেদ করে দিল । নবী গনের ও ওলি গন কে যারা ওসিলা করত তাদের কে কাফের বলত ও যারা মাওলানা ও সাইয়েদুনো বলে সে কাফের । (আদ দুরুসুস স্যানিয়া ( পৃ ৫২-৫৩)
আল্লামা সাইয়েদ হালাবী আল হাদ্দাদ রাহিমুল্লাহ বর্নানা করেছেন যে ;- নিস্বন্দেহ আমাদের মতে মোহাম্মদ ইবনে আব্দুল ওহাব নজদী কথা এবং কাজ থেকে এ বিষয় পরিষ্কার যে , তার এসব আকিদা ইসলামের গন্ডি থেকে বের করে দিয়েছে , কেননা সে এমন সব বিষয় কে হালাল সাব্যস্ত করেছে যে , সে গুলো হারাম হওয়ার পক্ষে সমস্ত মুসলিম জাতি একমত , এবং সে এমন বিষয় হারাম প্রমান করেছে যে , সে গুলো যায়েজ হওয়ার পক্ষে পুরা মুসলিম জাতি একমত । তাছারা সে নবী ও ওলিগনের মানহানী করে ও নেক্ লোকদের মানহানী করে । আর ইচ্ছা কৃত কারো মানহানী করে চার ইমামদের মতে কুফর। এর উপর ইজমা রয়েছে ( আল ফজলুস স্বাদীক পৃ ১৯
আল্লামা আফন্দি (রহ) বর্নানা করেছেন যে ;- মোহাম্মাদ বিন আব্দুল ওহাব নজদী তাদের দিলে এ খাত বদ্ধ মুল করে দিয়েছে যে ;- আশমান ও জমিনের উপর যত লোক আছে শুধু মাত্র তারা ছারা বাকি সবাই মুশরিক । আর যারা মুশরিকদের কে হত্যা করবে তাদের জন্য জান্নাত ওয়াজীব । মোহাম্মদ ইবনে আবদেল ওহাব নজদী তার অনুসারীরদের নিকট নবীর সমান ছিল কারন তার কোন কথাই তারা বর্জন করত না ও তার হুকুম ছারা কোন কাজই করত না । তারা তাকে সীমাহীন সম্মান করত (আল ফজরুস স্বাদীক ) ১৯ নং পাতা ।
হেরেম শরিফের মুফতি সাহেব বর্নানা করেছেন যে (- নজদিরা যখন মানুষকে হত্যা করত তখন তার সমস্ত সম্পদ কেড়ে নিত ও তার পাঁচমাংসের এক অংশ দিত তাদের আমার ইবনে সৌদকে ও বাকি তারা ভাগ করে নিত (শাহ ওলিউল্লাহ ওর উনকি সিয়াশী তেহরিক ) ২২৯-২৩০ নং পৃষ্টা ।
হত্যাযজ্ঞ এদের মুলনীতি;- বাদশাহ আব্দুল আজীজের সময় ব্যাপক হারে হত্যাযজ্ঞ চালানো হয় । তখন খলিফাদ্বয়ের প্রতিনীধি তাদের বিষয় রিপোর্ট করেন যে ;- নজদীর বিগত শতাব্দীর ইতিহাসে তাদের হাত গুলো কাফেরদের হাতে রন্জিৎ হয়নি । কিন্ত তারা যে পরিমান রক্তপাত করেছে , তা অতি সামান্য বিষয় নিয়ে , আর তা হল তারা সামান্য বিষয় নিয়ে হাজীদের কে মুশরিক বলত । ১৯৩২ সালে প্রকাশিত মাসয়ালা এ হেজাজ রিপোর্ট কৃত ও প্রকাশিত (খেলাফত প্রতিনীধি ) পৃ ১০৫
মনগড়া কোরানের ব্যাখ্যা ;-
আল্লামা আফন্দি (রহ) বর্নানা করেছেন যে ;- মোহাম্ম্দ ইবনে আব্দুল ওহাব নজদী ও তার অনুসারী ওহাবি রা নিজেদের ইচ্ছা মত কোরানের ব্যাখ্যা করত , নবী পাক (সা) ও সম্মানিত সাহাবা (রা) গন তাবে তাবেয়ীন ও সম্মানীত ইমামে তাফসির কারক দের তাফসীরে অনুসরন করতে না ( আল ফজরুস স্বাদীক ফি রদ্দে আলা। মুনকিরিত তাওয়াতদুলি ওয়াল কারামাত ওয়াস ফারিক ) পৃ ১৯
সে ছিল খারেজি ;-
আল্লামা আফন্দি (রহ) ও যায়নী (রহ) বর্নানা করেছেন যে (- সাধারন মুসলমানদের কে কাফের বানাতে সে ওই সব আয়াত কে অনুসরন করেছে যেই আয়াত গুলো কে আল্লাহ তায়ালা কাফেরদের বিষয় নাযিল করেছেন । এই সব আয়াত একত্বাবাদী মুসলমানদের বেলায় সে চালিয়েছ দিয়েছে
ইমাম বুখারী (রহ) তারা প্রসিদ্ধ কিতাব বুখারী শরিফে বর্নানা করেছেন যে ;- হযরত ইবনে ওমর রাদ্বীআল্লাহ তায়ালা বর্নানা করেছেন যে ;- যে আয়াত গুলো আল্লাহ তায়ালা কাফেরদের জন্য নাযিল করেছেন সেই আয়াত গুলো মুসলমানদের বেলায় ব্যাবহার কথা খারেজীদের একচা কুপ্রথা
শতবী বংশীয় আল্লামা সুলাইমান ইবনে আব্দুল ওহাব এবং ব্যস্ত নাবলুসী (রহ) বর্ননা করেছেন আপন আপন কিতাবে যে নিস্বন্দেহে মোহাম্ম্দ বিন আব্দল ওহাব ও তার অনুসারীরা খারেজীদের অন্তরভুক্ত ।সুত্র আদ দুরুসুস সানিয়া ফি রদ্দে আলাল ওয়াহহাবিয়া )পৃ ৪৭
আত্তাওয়ারাসুন বিন নাবিয়্য পৃ ১ কৃত আল্লামা আবু হামীদ ইবনে মর্যুক্ব ।
নজদিদের বিরুদ্ধে কাফেরের ফতোয়া ও কারাদন্ড ;- তাদের আমার ইবনে সৌদ ও তার চেলা চামুন্ডারা মক্কার আমীর স্বাদ ইবনে যায়েদের নিকট হজ্জ করার অনুমতি প্রার্থনা করল , তাদের উদ্দেশ্য ছিল তারা তাদের আকিদা গুলো প্রচার করবে ও মক্কার অধিবাসিদের কে তাদের দিকে উদ্ভুদ্ধ করবে ।
তারা তার পুর্বেই নজদিদের ৩০ জন মৌলভী কে পাঠিয়ে দিয়েছিল তাদের আকাইদ প্রচার করার জন্য , এবং তাদের প্রতি যদি বার্ষিক কিছু অর্থ দাবি করা হয় তবুও ।
এদিকে হারামাইন শরিফে তাদের আত্বপ্রকাশ ও গ্রামগুলোতে তাদের ফোতনার কথা শুনতে পেরেছিল , কিনতে তাদের মিল অবস্থা কেউ জানতে পারেনি। নজদি ওলামারা সেখানে পৌঁছেছে জানতে পেরে শরিফ মাস-উদ হুকুম জারী করলেন যে হারামাইন শরিফাইনের ওলামারা যেন নজদিদের সাথে তর্কযুদ্ধ করেন ।
সুতরাং তারা তাদের সাথে তর্কযুদ্ধ করেন ও নজদি মৌলবাদের কে হাসির খোকার রুপে দেখতে পান , ও সেই সকল গাধার মত দেখতে পান যেমন কি না বাঘের ভয়ে যেমন অবস্থা হয়ে থাকে । এর পর মাসউদ হুকুম করলেন যে তাদের বিরুদ্ধে যেন স্পষ্ট কুফরির ফতোয়া জারী করা হয় ও তাদের বিষয় যেন সাধারন অবগত হয় । ও কাদের কে জেলে পুরিয়ে দিলেন । যখন মুসাঈদ ইবনে সাঈদ মক্কার পদে অধিষ্টিত হল তখন নজদিরা হজ্জ করার অনুমতি প্রার্থনা করলে তিনি নামন্জুর করেন ও তাদের আশা আবারো মাটি হয়ে যায় (সুত্র আদ দুরুসুস সানিয়া ফি রদ্দে আলাল ওয়াহহাবিয়া ৪৩-৪৪)
আমাদের দেশে বা হিন্দুস্থানে তাদের আকিদা শাহ ইসমাইল ও সাইয়েদ আহমেদ বেরেলভির মাধ্যম প্রচার করা হয়েছে।
আমি টানতে চাই না আজ সাহ ইসমাইল ও সাইয়েদ আহমেদ কে ।
আজ শুধু নজদীর কথা বর্ননা করা হবে ।
এই খানে একটা কথা শুধু বলছি যে কেউ যদি ওহাবি হয় তার জন্য কাফের হওয়া ওনেক সহজ। কারন ওহাবিদের মৌলভী ইব্্রাহিম মার শিয়ালকোটী ১৯৪৯ সালে এক কনফারেন্স এ বলেছিলেন যে ;- জামাতে আহলে হাদিসের ওনেক লোক কাদীয়ানি বয়ে গেছে (ইহতাকিফুল জমহুর) পৃ ৭৭
এমন কি মৌলভী সালা উল্লাহ অমৃতস্বরী তো এটা ও বলেছেন যে কাজীয়ানীদ্র পিছনে নামায পড়লে ও নামায হয়ে যাবে ( ওহাবিয়াহত ও মীর্যায়িত)
পরে কোন একদিন দেওবন্দি ও হাতের মুকাল্লিদ দের প্রেম কাহিনি বর্নানা কর শাহ ইসমাইল ও সাইয়েদ আহমেদ কে নিয়ে। আজ আর না।
কারন বিষয় আজ ওহাবি ।
শায়েখুল ওহাবিয়াহত এর পিতা ও তার বড় ভাই ও উস্তাদ দের ফতোয়া ;- আল্লামা যায়নী (র) তার কিতাব (ফিতনাতুল ওহাবিয়াহত ) এ তার পিতার বর্নানা করতে গিয়ে লিখেছেন যে ;-
তার পিতা ভাই ও শিক্ষকতা দূরগরশিতা দ্বারা বুঝে ফেলেছিলান যে , তার থেকে অতি সত্বর ভ্রান্তির ও বক্রতা প্রকাশ পাবে । তার কথা ও কাজ ও ওনেক মাসয়ালার বিষয় ঝগরা করার কারনে তারা এটা বুঝতে পেরেছিলেন । তাই তারা তাকে তিরস্কার করতেন ও জনসাধারণ কে তারা তার থেকে সাবধান করতেন ও দূরিয়া ইখত্য়ার করতে বলতেন । যা তারা তাদের দূরদর্শিতার মাধ্যমে বুঝতে পেরেছিলেন আল্লাহ তায়ালা তা সতি্য প্রমান করে দিয়েছেন ও সে মুর্খদের কে গোমরাহ করতে সক্ষম হয়েছিল । সে ওনেক বিষয় দ্বীনের ইমামদের বিরুধিতা করেছে ও সাধারন মুসলমানদের কে কাফের ফতোয়া দিয়েছে ( ফিতনাতুল ওহাবিয়াহত ) ৬৬ নং পৃষ্টা ।
আর বাবা বা ভাই কোন সাধারন মুসলমান ছিল না বরং সেই সময়ের গুরুত্ব পুর্ন বেক্তি ছিলা যারা কঠোর বিরোধিতা করেছেন
;-
তার পিতা ওয়ায়নিয়ার বিচারপতি ছিলেন ও সেই সময়কার বড় আলেমদের মধ্য পরিগনিত হতেন ও তার আপন ভাই শায়েখ সুলাইমান ইবনে আব্দুল ওহাব হারীমালার বিচারপতি ছিলেন ও বড় মাপের আলেমের মধ্য পরিগনিত হতেন ।
) মাজমুআতুত তাওহিদ পৃ ১১
মোহাম্মাদ শরিফ আশরাফের লেখা ।
আল্লামা যায়নী (রহ) শায়েখুল ওহাবিয়াহত এর শিক্ষকের ফতোয়া নিজ কিতাবে এই ভাবে বর্নানা করেছেন যে ;-আব্দুল ওহাবের শিক্ষক ছিল শায়ের সুলাইমান কুর্দি (র) ।
ও তিনি কঠোর ভাষার তার খন্ডন ও করেছিলেন । আর তিনিই হচ্ছেন ইবনে হা'জর এর রচয়িতা ।
সেই সম্মানিত বুযুর্গের কথা বর্ননা করেছেন যে ;- হে আব্দুল ওহাব। আমি তোমাকে উপদেশ দিচ্ছি যে , তুমি তোমার রসনা কে মুসলমানদের সম্পর্কে তাদের উপর কুফরির ফতোয়া প্রদান থেকে বিরত রাখ । (ফিতনাতুল ওয়াহহাবিয়া )৬৯
ইবনে আব্দুল ওহাবের আপন ভাই শায়েখ সুলাইমানের বক্তব্য ;-
ইবনে যায়নী দালান মক্কি (র) তার আপন বড় ভাইয়ের বক্তব্য এই ভাবে তুলে ধরেছেন যে :-
তারা মুখামুখি তর্ক করার সময় আব্দুল ওহাবের আপন বড় ভাই শায়েখ সুলাইমান বলেন আব্দুল ওহাব ;-
ইসলামের রুকন কতটা ?
আব্দুল ওহাব ;- ৫ টা
শায়েখ সুলাইমান ;- তুমি ইসলামের রুকন ৬ টা করে নিয়েছ । আর যেটা বেশি সেটা হল যে তোমার অনুসরন করবে না সে কাফের ।
সুত্র (ক) আদদুরাসুস স্যানিয়া ৪৯
(খ) রিসালাতুস সুন্নিয়ীন ফি রদ্দে ফি রদ্দে আলাল মুবতাদীন পৃ ৪
(গ) নুরুল ইয়াক্বিন ফি মাবহাসিত তালকিন পৃ ৪
হাত ব্যাখ্যা করছে মোবাইলে টাইপ করতে। আগামী কাল আশা করছি শেষ করব ।
সোহেল রানা
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন