মঙ্গলবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০১৫

ইংরেজে পিরিতির দলিল দেওবন্দিদের কিতাব থেকে

ইসলামের কতগুলো আগাছা আছে , যারা নিজেদের কে তো বড় পন্ডিত মনে করে , কিন্তু যখন কেউ ধরে তার গলা টিপে , তখন তার হোস ফিরে আসে আর পালানোর রাস্তা খোঁজ করে ।

কথিত বাতিলের  জমদুত তো না বরং মরদুদ আজ ওয়াদা করেছে যে , যদি আমি তার জবাব দেই তবে পাল্টা জবাব দিবে ।

দেখি কি জবাব দেয় আজকের পোষ্টের।  


মুল আলোচনা ;---

তার প্রথম প্রশ্ন,

সুন্নি কাহাকে বলে ? 

উত্তর ;--প্রশ্নঃ সুন্নি কাকে বলে?
উত্তরঃ সুন্নাত শব্দ হতে সুন্নি নামের
উৎপত্তি।শরীয়তে তিনটি অর্থে সুন্নাত শব্দ
ব্যবহৃত হয়।যথা_
১,যে আমল বা কাজের মান ফরজ ও
ওয়াজিবের নিচে এবং নফল ও মুস্তাহাবের
উর্ধ্বে।
২, হযরত রাসুল ( সাঃ) এর হাদীস, এটাও
আবার তিনটি অর্থে ব্যবহৃত হয়। যথাঃ ক)
রাসুল ( সাঃ) এর বাণী।
খ) তাঁর কাজ। গ) তাঁর নীরবতা মূলক
স্বীকৃতি।
৩, সুন্নাত শব্দের তৃতীয় অর্থ
তরীকা বা মতাদর্শ।
সুন্নাত শব্দের শেষ অর্থই
যাঁরা সুন্নাতে রাসুল ( সাঃ) ও
জামাতে সাহাবা ( রাঃ) এর
তরিকা বা মতাদর্শের
অনুসারী তাঁদেরকে আহলে সুন্নাত ওয়াল
জামাত বলা হয়। আহলে সুন্নাত ওয়াল
জামাতের সংক্ষিপ্ত নাম সুন্নি।
উপরোক্ত আলোচনায় পরিস্কার হয়ে গেল
যে, কোন মুসলমান সুন্নাতে রাসুল
এবং জামাতে সাহাবার
আদর্শে বিশ্বাসী হলেই আহলে সুন্নাত ওয়াল
জামাতে অন্তরভূক্ত হতে পারে।

এর পরে লিখেছে  ;- 
বেদাতি রা কিসের উপর ভর করে সুন্নি দাবি করে ;--

আমি জানি না বেদাতি কারা ।
আর আমাদের সুন্নিদের কোন বিষয় নিয়ে যদি আপত্তি থেকে থাকে তবে পেশ করুন দাঁত ভেংগে জবাব দেয়া হবে ।


এর পরে লিখেছে যে ;- ইংরেজদের বিরুদ্ধে হক্কানী ওলামায় কেরাম জেহাদ ঘোষনা করলে আহমেদ রেজা খান (রহ) ইংরেজ হুকুমতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা না যায়েয বলেছেন । 

এটা হল ওনার দোষ তাদের মতো ।

আমি ইংরেজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের নামে দেওবন্দিরা কি করেছে তা তুলে ধরতে চাইছি  লিখিত । 

তার আগে 
আমার বিগত দিনের কয়েকটা ইংরেজ দালালির প্রামান্য পোষ্টের ব্লগ লিংক দিলাম । 
(১) Abdus Salam নামের দেওবন্দির ইংরেজ বিরোধি যুদ্ধের প্রোপাগান্ডার জবাব দিয়েছিলাম। আজ ও এর উত্তর পাওনা আছে।  কেউ ফেরত দিল না , দেখুন ;-
http://sohelrana1234.blogspot.com/2015/11/blog-post_31.html

(২) Abdullah ahmedabadi এর জিহাদ বিষয়ক প্রোপাগান্ডার জবাব । আজ ও পাওনা আছে। উত্তর পাই নাই। দেখুন :--
http://sohelrana1234.blogspot.com/2015/06/blog-post_19.html

(৩) কাজী সাইফুজ্জামানের জবাবে এই পোষ্ট করেছিলাম সুন্নি দের কে দালাল বলার কারনে । আজ ও জবাব পাই নাই । দেখুন :-
http://sohelrana1234.blogspot.com/2014/11/blog-post_91.html

(৪) আশরাফ আলী থানভীর ইংরেজদের থেকে টাকা নেওয়া ও মোলভী সোহেল দেওবন্দির কবিতা দেওবন্দের বর্তমান অবস্খার প্রেক্ষিতে ;-http://sohelrana1234.blogspot.com/2014/11/blog-post_26.html

(৫) জওয়াহের লাল নেহেরুর শোনে দেওবন্দিদের কবিতা ও ইমান শিখা বলে অবিহিত করা ;-http://sohelrana1234.blogspot.com/2014/11/blog-post_25.html

(৫) Abdur Rehman Mughal bazari এর দেয়া মিথ্যা অপবাদ সুন্নিদের প্রতি তার জবাব । আজ ও উত্তর পাই নাই। 
দেখুন ;-http://sohelrana1234.blogspot.com/2014/10/blog-post_60.html

(৬) দেওবন্দি আলেম আবুল হাসান নদভীর সাক্ষ্য সাইয়েদ আহমেদ ইংরেজদের কাছে থেকে সাহায নিতেন
আর মুসলিম রাজ্য গুলোকে ত্রাস পয়দা করেছেন তার প্রমান  ;-http://sohelrana1234.blogspot.com/2014/09/blog-post_51.html

(৭) সিলেট ফুলতলী দরবারের পীরের কিতাব থেকে প্রমান সাইয়েদ আহমেদের ইংরেজের দালালির । অথচ ফুলতলী সাইয়েদ আহমেদ এর সেজরার মুজাদ্দিদ । দেখুন :-http://sohelrana1234.blogspot.com/2014/09/blog-post_25.html

(৮) দেওবন্দি আহলে হাদিস ও বালাকোটি সুন্নিদের মুজাদ্দিদ সাইয়েদ আহমেদ বেরেলভীর চরিত্র ও খারাপ ছিল । দেখুন ;-http://sohelrana1234.blogspot.com/2014/08/sayed-ahmad-character-is-loss.html

(৯) তাদের এই মুজাদ্দিদ এতটা মুর্খ ছিল যে ;- সে শিয়া রমনী বিয়ে করেছেন (-http://sohelrana1234.blogspot.com/2014/08/saiyed-ahmad-marry-on-shiya-women.html

(১০) সাইয়েদ আহমেদ কি ভাবে মিত্তু হয়েছে তা দেখুন ;-http://sohelrana1234.blogspot.com/2014/08/read-how-was-died-saiyed-ahmad.html

উপরেক্ত এক একটা লিংকের জবাব দেয়ার জন্য তাকে ১০ দিন সময় দিলাম ।

প্রতিদিন একটা করে লিংকের জবাব দিবে সে । 
এখন কথা হল যে ;- শুধু লিংক দিয়েই তো আর কাজ হবে না।  কষ্ট করে কিছু লিখতে ও হবে । উপরে যা কিছু লিংক এ আছে দেয়া তা শুধু তাদের ইংরেজ বিরোধি যুদ্ধের যে প্রোপাগান্ডা করে থাকে তার আসল চিত্র তুলে ধরা হয়েছে ।

এখন কথা হল যে ;- ইমাম আহমেদ রেজা খান ইংরেজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা না যায়েয বলেছেন , এই কারনে যদি তিনি ইংরেজদের দালাল হন তা হলে , আপনাদের যত আলেমরা আছে , তাদের থেকে যদি এমন প্রমান পাওয়া যায় , তারা ও দালাল প্রমান হবেন  নিশ্চয় । কারন একই শর্ত যা আমাদের বেলায় প্রযোজ্য তা আপনাদের বেলায় ও প্রযোজ্য হবে হবে ।


প্রথমেই কথা হল শাহ আব্দুল আজীজ দেহলভী (রহ) । যিনি সর্ব প্রথম ইংরেজ বিরোধি যুদ্ধের ডাক দেন ।

এখন আমার কথা ;---

শাহ আব্দুল আমার (রহ) ইংরেজ বিরোধি যুদ্ধের ডাক দেন ও ভারত তে দারুল হারব বা যুদ্ধ কবলিত দেশ হিসেবে ঘোষনা করেন ।

এর পরে সে দেশে কোন মুসলমানের বসবাস হারাম হয়ে যায় , হিজরত ওয়াজীব হয়ে যায় , যুদ্ধের ফরজ হয়ে যায় । 

এখন কথা হলে যে , 

(১) শাহ আব্দুল আজিজ (রহ) কোথায় হিজরত করেছেন ? 

(২) তিনি যে যুদ্ধ কবলিত দেশ হিসেবে ঘোষনা করেছেন , তখন সাধারন মানুষ কোথায়ঁ যাবে বা কোথায় হিজরত করবে তার কি কোন ব্যাবস্থা সেই সময়ে তিনি করেছিলেন ? 


(৩) রে শাহ আব্দুল আজীজ (রহ) এর মিত্তু কোথায় হয়েছে ? 
(৪) যদি ওনার মিত্তু দারুল হারব বা শত্র কবলিত দেশে নিজের ঘরে শুয়ে হোক তা হলে ওনার বিষয় সরিয়ত কি বলে ? 

(৫)আপনি যে লিখেছেন জুম্মার নামায আদায় করলে নামায হবে না , তো শাহ আব্দুল আজীজ (রহ) বাকি জীবনে কোথায় নামায আদায় করেছেন ? 
বরং সত্য কথা হলে যে আপনাদের পুরা দেওবন্দ এর নামায হয় নাই যারা ভারতের ভিতরে বসে থাকতেন ও ভারত কে দারুল  হারব মান্য করতেন ও সেখানে নামায ও পড়তেন । এই হিসেবে আপনাদের সমস্ত ইবাদাত বাঁতেল বলে গন্য হয় । 

এই ক টা প্রশ্ন আমার থাকল শাহ আব্দুল আজীজ (রহ) এর ফতোয়া দারুল হারব বিষয় সম্পরকিত  কি কি করেছেন তা জানার জন্য ।

আপনি জবাব দিয়ে ব্যাধিত করবেন ।

প্রসঙ্গ ;- কারামত আলী যৌনপুরী ।
কারামত আলী যৌনপুরী একাধারে ছিলেন শাহ আব্দুল আজীজ (রহ) এর সুযোগ্য ছাত্র  ও আপনাদের মহান মুজাহিদ সাইয়েদ আহমেদের সরিয়ত বিষয়ক প্রধান বেক্তি ।

কারামত আলী যৌনপুরী সর্ব প্রথম শাহ আব্দুল আজীজ (রহ) এর ফতোয়ার বিরোধিতা করেছেন প্রকাশ্য । 

ও পরে যখন সাইয়েদ আহমেদের মিত্তু হয় তখন তিনি বাংলাদেশের রংপুরে চলে আসেন ও সেখানে তার সমাধী হয় ।

এখন প্রশ্ন হল যে ;-

() ভারত যদি দারুল হারব  হত তা হলে শাহ আব্দুল আজীজ (রহ) এর ছাত্র কারামত আলী যৌনপুরী কেন বিরোধিতা করল ? 

(২) কারামত আলী যৌনপুরী প্রকাশ্য শাহ আব্দুল আজীজ (রহ) এর ফতোয়ার বিরোধিতা করার কারনে কেন দালাল হবে না ? 
যদি আলা হযরত দালাল হতে পারে ! 

(২) ফতোয়ার বিরোধিতা করার পরে ও কেন আপনাদের মুজাদ্দিদ সাইয়েদ আহমেদ কারামত আলী যৌনপুরী কে সাথে রাখলেন ?  

(৩) কারামত আলী যৌনপুরীর বিরোধিতার পরে ও কেন সরিয়ত বিষয়ক ফায়সালা তার কাছে থেকে নেওয়া হয় ? 

কারামত আমি যৌনপুরী বিষয় ৩ টা প্রশ্ন থাকল । উত্তর তাই 


এখন বিষয় হল শাহ ইসমাইল দেহলভী ।

আপনাদের মতো শাহ ইসমাইল একজন শহিদ ও তার সাথে আপনাদের মুজাদ্দিদ সাইয়েদ আহমেদ এর শিপাহসালার ছিল ।

আর আপনাদের দাবি মোতাবেক তিনি ইংরেজদের বিরুদ্ধে যুগ্ধ করেছেন ও শহিদ হয়েছেন ।

সত্যি কথা বলতে কি আমাদের কাছে তথ্য আছে অন্যরকম । 
যে তথ্য গুলোর জবাব আপনার কাছে থেকে আশা করতেছি । 

(১) প্রখ্যাত ইতিহাসবেত্তা মির্যা হায়রাত দেহলভী তার কিতাব (হায়্যাতে তাইয়েবা ) কোলকাতার যখন শাহ ইসমাইল শিখদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য ওয়াজ শুরু করলেন , শিখদের অত্যাচার ও নির্যাতনের বর্ননা দেয়া শুরু করলেন , তখন এক বেক্তি বললো , আপনি ইংরেজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ফতোয়া কেন যারী করেন না ? 
তদুত্তরে কিনি বললেন , তাদের (ইংরেজ ) বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা কোন মতেই ওয়াজীব (অপরিহার্য ) নয় । একে তো আমরা কাদের প্রদান , দ্বীতিয়ত তারা আমাদের ধর্মিয় কোন কালো হিন্দু মাত্র সমস্যা সৃষ্টি করতেছে না । তাদের শাষনআমলে আমাদের সব দিক দিয়ে স্বাধীনতা আছে । বরং তাদের উপরে কেউ হামলা করলে মুসলমানদের উপর ফরজ হবে হামলাকারিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা এবং আমাদের সরকারের গায়ে আচর ও লাগতে না দেওয়া (
সুত্র ;- হায়্যাতে তাইয়েবা কিতাব টা মির্যা হয়রাত দেগলফার লিখিত শাহ ইসমাইলের জীবনি গ্রন্থ , অবশ্য তাতে সাইয়েদ আহমেদ এর জীবনির কিছু কথা তুলে ধরা হয়েছে , পৃষ্টা নং ২৯৬ , 
তারিখ এ আজীবাহ পৃষ্টা নং ৭৩ 

উল্লেখিত তথ্য ও ইংরেজদের বিরুদ্ধে যুগ্ধ করা ওয়াজীব নয় বলে ফতোয়া দেয়ার কারনে শাহ ইসমাইল কেন ইংরেজদের দালাল নয় ? 

প্রশ্ন নং ২ ;- মুহাম্মদ জাফর থানেশ্বরী লিখিত কিতাব তারিখ এ আজীবাহ এর ৯১ পৃষ্টাৎ শাহ ইসমাইলের একটা বক্তব্য তুলে ধরেছেন যে , শাহ ইসমাইল বলেছেন ;- আমরা ইংরেজ সরকারের বিরুদ্ধে কি কারনে যুদ্ধ করব ! এবং  ধর্মিয় মুলনিতির বিরোধিতা করে কেন উভয় পক্ষের রক্ত প্রবাহিত করব ? ( তারিখ এ আজীবাহ পৃষ্টা নং ৯১) 

এমন স্পষ্ট বক্তব্য থাকার পরে ও শাহ ইসমাইল ইংরেজদের বিরুদ্ধে যুগ্ধ করার গৌরব পেল ? 

আর এমন কথা পলার পরে কি করে মুজাহিদ ও শহীদ হল ? 

আর কেন শাহ ইসমাইল ইংরেজদের দালাল হবে না ? 

মৌলভী আব্দুর রহিম সাদেকপুরী লিখেছেন যে ;- সাইয়েদ আহমেদের লোকজনের কর্মতৎতপরতা এমন ছিল যে , তিনি একদিকে শিখদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে জনসাধারণ কে উদ্ভুদ্ধ করতেন অন্যদিক ব্রিটিশ সরকারের শান্তি প্রিয়তার প্রস্ংসা করে ইংরেজদের বিরুদ্ধে মোতাবেলা করতে বাঁধা দিতেন ( মাক্বালাত ই স্যার সাইয়েদ ) পৃষ্টা নং ২৫২ 

কি বলবেন ? কারা দালাল ? সাইয়েদ আহমেদ ? নাকি আব্দুর রহিম ? 

তারপরে দেখুন ;- সাইয়েদ আহমেদের জীবনি চিটিপত্র ও পুস্তকাদিতে ২০ এর বেশি বিবরন এমন পাওয়া গেছে যে ;- সে গুলোকে খোলাখুলি ও প্রকাশ্যভাবে সাইয়েদ আহমেদ সাহেব শরিয়াতের দলিলাদির নিরিক্ষে তার অনুসারী লোকদের কে ইংরেজদের বিরোধিতা করতে নিষেধ করেছেন ( প্রখ্যাত ইতিহাসবেত্তা জাফর থানেশ্বরী লিখিত তারিখ এ আজীবাহ পৃষ্টা নং ৩৩৬) 

এমন কি তারিখ এ আজিবাহ এর ২০১ নম পৃষ্টা তে জাফর থানেশ্বরী লিখেছেন যে ;- মৌলভী ইসমাইল ঘোষনা দিয়ে রেখে ছিলেন যে , ইংরেজ সরকারকে বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা না ধর্মিয় দৃষ্টিকোন থেকে ওয়াজীব , আর না তাদের সাথে আমাদের কোন বিরোধ আছে ( তারিখ এ আজিবাহ ) 

উপরের তথ্যগুলো থেকে স্রষ্টার বক্তব্য থাকার পরে ও কেন সাইয়েদ আহমাদ ইংরেজদের দালাল বলে গন্য হবে না ? 

জবাব দিবেন কি ?

নাকি এই কারে দালাল হবে না যে ;- দেওবন্দিরা সত্য কবুল করতে পারে না তাই তিনি দালাল হবেন না ! 

উপরের কথা গুলো থেকে এটা তো সুষ্পষ্ট যে তারা ইংরেজ সরকার কে মুজিবের সরকার মনে করতেন । 

কিন্তু তারা আবার মাঝে মাঝে বলে থাকে যে ইংরেজদের শিখ সৈন্য বাহিনির সাথে যুদ্ধে করে শহিদ হয়েছেন ।

এই বিষয় টা আজ দেখা যাক ;--

প্রখ্যাত ইতিহাসবেত্তা জাফর থানেশ্বরী তার কিতাব (সিরাতে সাইয়েদ আহমেদ ) এ লিখেছেন যে ;- যখন গোলাব সিংহ ও ইংরেজদের মধ্য পারষ্পরিক চুক্তি সম্পন্ন হয়ে গিয়েছিল , তখন ইংরেজ সরকার একটু চিটি মোলভী বেলায়েত আলীর নামে লিখেছিল ।তাতে লেখা হয়েছে যে ;- এখন গোলাব সিংহ ইংরেজ সরকারের পক্ষে আছেন , এখন তার বিরুদ্ধে যুদ্ধে করা খোদ ইংরেজ সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার সামিল ।সুতরাং এখন তোমাদের উচিত তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ বিগ্রোহ না করা ( জাফর থানেশ্বরী লিখিত তারিখ এ আজিবাহ পৃষ্টা নম ২১৬) 

এর পরে জাফর থানেশ্বরী লিখেছেন যে;- এরপর মুজাহিদিন যুদ্ধে বন্ধ করে দিল ও হাতিয়ার গুলো সরকারকে কাছে জমা দিয়ে ন্যায্য মুল্য আদায় করে নিল ইংরেজদের মুজাহিদদের শানদার অভ্যর্থনা জানালো ও তাদের কে দাওয়াত ও করল ( তারিখ এ আজিবাহ পৃষ্টা নং ২১৬) 

কি বলবেন এখন ? 

মৌলভী ইসমাইল সাহেব পানিপথির একটা টিকা তুলে ধরেছেন (মাক্বালাত এ স্যার সাইয়েদ ) কিতাবের ১৬ খন্ডের ২৪৯ নং পৃষ্টাতে যে ;- সাইয়েদ আহমেদ বেরেলভীর সমসাময়িক কোন ইতিহাসবেত্তা ইঙ্গিত এ ও কোন ইশারা দেন না যে তিনি ইংরেজদের শত্রু ছিলেন বা তাদের (ইংরেজদের ) বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতেন বা ইচ্ছাটুকু পোষন করতেন ।
সেই সমসাময়িক ইতিহাসবেত্তাদের স্পষ্ট বর্ননা থাকার পরেও ১১৭ বছর পরে এ কথা বলা যে ;- না , হযরত শহীদ তো ইংরেজদের বিরুদ্ধ যুদ্ধ করার দৃঢ় ইচ্ছা পোষন করতেন । এটা এমন একটা দাবি যে , যা প্রমান করার জন্য কোন যুক্তিগত ও উদ্ধৃতিগত কোন প্রমান নাই ( মাক্বালাত ই স্যার সাইয়েদ আহমেদ ) ১৬ খন্ড ২৪৯ নং পৃষ্টা ।

মজার কথা হল যে আপনার এমন দাবি করতেছেন , যেখানে কোন প্রমান নাই যে সাইয়েদ ওহেদ ইংরেজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন।  বরং প্রমান আছে সাইয়েদ আহমেদ ইংরেজদের দালালি করেছেন।  তা আপনাদের কিতাব থেকেই ।

আমি এই বলতে চাই যে আপনাদের দেওবন্দিদের কোন কিতাব থেকে যদি দেখাতে পারেন শাহ ইসমাইল ও সাইয়েদ আহমেদ কোন একটা ইংরেজ কে লক্ষ্য করে একটু বন্দুকের গুলি ছুড়েছে, আমি দেওবন্দি হয়ে যাব ।

আর না পারলে আপনারা তওবা করুন ।

জাফর থানেশ্বরী আরও লিখেছেন যে ;- এসব ঘটনা সংশ্লিষ্ট পুস্তক পুস্তিকা থেকে এটা সুস্পষ্টত ভাবে প্রমানিত যে সাইয়েদ আহমেদের ইংরেজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে করার কোন ইচ্ছাই ছিল না । তিনি মুক্ত রাজত্বকাল নিজেরই রাজত্ব মনে করতেন । আর এতে ও সন্দেহ নাই যে , যদি ইংরেজ সরকার সাইয়েদ আহমেদের বিরোধি হত তবে কি করে হিন্দুস্তান থেকে তার কাছে সাহায্য পৌঁছাত ? 
তারিখ এ আজিবাহ পৃষ্টা ১৮৩ ।

এখন আপনি ও আমাকে জবাব দিন।  যদি ইংরেজ সরকার সাইয়েদ আহমাদের বিরোধি হত তা হলে ভারত থেকে চাঁদা তুলে তুলে কি করে সেই অর্থ সাইয়েদ আহমেদের কাছে পৌঁছাত ? 

জানি জবাব দিতে পারবেন না আর বিস্বাস ও করবেন না ।

কিন্তু যদি আপনাদের ঘরের কোন আলেম বলে এই কথা যে ইংরেজদের সাহায্য পেতেন সাইয়েদ আহমেদ তা হলে মনে হয় মেনে নিতে কষ্ট হবে না ।

আপনাদের ঘরের লোক হুসাইন আহমেদ মাদানি কি বলে দেখুন ;--যখন সাইয়েদ সাহেব শিখদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার ইচ্ছা পোষন করেন , তখন ইংরেজগন সস্তির নিস্বাস ফেলেন । আর যুদ্ধের জন্য প্রয়োজনিয় সবকিছু সবরারাহ করতে সাইয়েদ সাহেব কে সাহায করলো ( নক্বশে হায়্যাত ) ২য় খন্ড পৃষ্টা নং ১২ 

কি বলবেন এখন ? 

বলুন হুসাইন আহমেদ মাদানি একজন মুখ তোরা মুর্খ আমাদের রেজা খানিদের মত মিথ্যুক ইংরেজদের দালাল মোনাফেক ও ইংরেজ সরকার বিরোধি যুদ্ধে ওলামা দেওবন্দের বিরুদ্ধবাদি ছিলেন ।

এমন কথা মুখ থেকে এখন আপনাদের বের হবে না। কারন লোকটা যে আপনাদের ঘরের ও কিতাব টা আপনাদের ঘরেই লেখা হয়েছে ।
আল্লাহ কে ভয় কর সত্য কবুল করার মত মানসিকতা তৈরি কর ও তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দিওনা যে তারা ইংরেজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন ।


আরে দেখুন , মির্যা কাতরাত দেহলভী লিখেছেন যে ;- সিমান্তে যখন শিখদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে রত তা ইংরেজদের অবগত ছিল ও বিরোধিতা করেন নাই । বরং ইংরেজ সরকার থেকে চাঁদা তুলে তা পৌছানো হত আর ইংরেজরা তাতে বাঁধা দেন নাই । একবার যখন ৭ হাজার রুপির হুন্ডি সময় মত পৌছায়নি তখন মাওলানা ইসহাক্ব সাহেব ইংরেজ আদালতে মুকাদ্দমা করেন ।আর ইংরেজ সরকার জামায়াতে মুজাহিদিনের পক্ষে রায় দিয়েছিল, ফলে হুন্ডির টাকা সাইয়েদ আহমেদ পেয়ে গিয়েছিল( হায়্যাতে তাইয়েবা ) শাহ ইসমাইলের জীবনি গ্রন্থ ।

এখন আমাকে বলুন , এটা কি করে সম্ভব যে , সরকারি মহল থেকে চাঁদা তুলে তুলে তা সিমান্ত পাঠানো হল , আর ইংরেজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা হল , তবু ইংরেজরা কোন কথা বললো না , 

এর পরে টাকা না পাওয়ায় ইংরেজের আদালতে মামলা করা হল , উল্টা ইংরেজে রা ইংরেজবিরোধিদের পক্ষে রায় দিল ।

এটা কি করে সম্ভব যদি ইংরেজরা রা সাইয়েদ আহমেদের পক্ষে না থাকে বা সাইয়েদ আহমেদ ইংরেজদের সক্ষে না থাকে ? 


জাফর থানেশ্বরী আরে লিখেছেন যে , হজ্জে যাবার সময় ইংরেজরা সাইয়েদ আহমেদ কে খাদ্য সরবরাহ  করেছে ( তারিখ এ আজিবাহ পৃষ্টা ৬০-৬২ সিরাতে সাইয়েদ আহমেদ ১ং খন্ড পৃষ্টা নং ১৯০ মাঝখানে আহমদি পৃষ্টা ৬৭ 

খাদ্য সরবারহ এর ঘটনা বাংলাদেশের সিলেট এর ফুলতলার পীরের কিতাব থেকে তুলে ধরা হয়েছে উপরে  লিংক আকারে  ।
৭ নং লিংক দেখুন ।

এত গুলো ইংরেজপ্রিতির প্রমান থাকার পরে ও কি করে সাইয়েদ আহমেদ ও শাহ ইসমাইল ইংরেজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করলেন তার প্রমান পেশ করুন আমাকে ।

ইংরেজ সরকার কে কতটা ভালবাসত দেওবন্দিরা , যদি আর একটা প্রমান তুলে ধরি তা হলে আরো সুবিধা হবে বুঝতে ।

দেওবন্দিদের আজিমুশ্শান আলেম মুহাম্মাদ আহসান নানুতভী সাহেব একদিন বেরেলির নও মহল্লা মসজিদে মুসলমানদের সামনে বক্তব্য রাখল । তাতে বলেন ইংরেজে সরকারে বিরোধিতা করা আইন বিরোধি কাজ ( সিরাতে মাওলানা আহসান নানুতভী ) পৃষ্টা নং ৫০ ।

ইংরেজদের সমর্থনে দেয়া বক্তব্যের এতটা প্রভাব পড়েছিল যে , উক্ত পৃষ্টায় লিখেছেন যে ;- এই বক্তব্য বেরেলিতে আগুন জ্বলে উঠল । সমস্ত মুসলমান মাওলানা আহসান নানুতভীর বিপক্ষে চলে গেল । যদি শহরের কোতোয়াল শেখ বদরুদ্দিনের পরামর্শক্রমে মাওলানা বেরেলী ত্যাগ না করতেন তা হলে তার প্রান হুমকির সম্মুখীন ছিল (সিরাতে মাওলানা আহসান নানুতভী ) পৃষ্টা ৫০-৫১

এখন ওই আপনাদের ঘরের মাওলানা আহসান নানুতভী কে কি বলবেন ? এত ইংরেজ পিরিতি দেখানোর কারনে ? 




দেওবন্দিদের কিতাব (মাওলানা মুহাম্মাদ আহসান নানুতভী ) জীবনি গ্রন্থে লিখছেন যেটা উসমানিয়া লাইব্রেরি করাচি পাকিস্তান থেকে প্রকাশ করা হয় । স্বীয় গ্রন্থে লেখক লাহোর থেকে প্রকাশিত ১৯ ফেব্রুয়ারী ১৮৭৫ সনের আন্জুমান পত্রিকার উদ্ধৃতি দিয়ে লিখেছেন যে ;- ১৮৭৫ সালের ৩১ জানুয়ারি রবিবার পামের নামের একজন ইংরেজ গোয়েন্দা অফিসার মাদ্রাসা পরিদর্শন করতে যান । পরিদর্শন রিপোর্টে তিনি বলেন যে ;- যে কাজ বড় বড় কলেজ সমুহে হাজার হাজার টাকা খরচ করে হয়ে থাকে , সে কাজ এখানে কয়েক টাকায় হয়ে যায় । যে কাজ প্রিন্সিপাল সাহেব হাজার টাকা বেতন নিয়ে করে থাকেন , সেখানে একজন মৌলভী ৪০ টাকা বেতন নিয়ে করছে ।এ মাদ্রাসা সরকার বিরোধী নয় বরং সরকারকে সমর্থনকারী ও সাহায্যকারী ( মাওলানা আহসান নানুতভী ) পৃষ্টা ২১৭ । 

উপরের কথা গুলে ভাল করে যদি পাঠ করে দেখেন তবে দেখতে পাবেন যে , সেই সময়ের দেওবন্দের আলেম সামাজ ইংরেজদের থেকে মাসিক বেতন পেত ৪০ টাকা ও সরকারের দালালি ও করত । যে কাজ কলেজের প্রিন্সিপাল রা হাজার টাকা নিয়ে করে থাকতেন । 
তবু ইংরেজদের দালাল আমরা , তারা তো ইংরেজদের বাফাদার ছিল । তারা বেতন পেত টাকা নিত কাজ করত। দালাল আমরা আর বাফাদার ( দায়িত্ব পালনকারী) তারা ছিল । 


বিগত দিনের দেওবন্দ মাদ্রাসার  মুহতামিম ক্বারী তৈয়ব সাহেব ( সাওয়ানেহে কাসেমী ) কিতাবের ২য় খন্ডের ২৪৭ নং পেজে লিখেছেন যে ;- দেওবন্দ মাদ্রসার ব্যাবস্থাপনা কমিটির অধিকাংশ সদস্য এমন বুযুর্গ ছিলেন যে তারা সরকারের প্রাক্তন কর্মকর্তা ও সেই সময়ের পেনশনভোগী ছিলেন ।যাদের সম্পর্কে সন্দেহ করা সরকারের কোনই অবকাশ ছিল না ।( সাওয়ানেহে কাসেমী ) ২য় খন্ড পৃষ্টা নং ২৪৭ ।
 দেওবন্দের সাবেক মুহতামিম এই ক্বারী তৈয়ব সাহেব নিজের মুখে যেখানে বললেন যে যারা উপদেস্ঠা মন্ডলি ছিল মাদ্রাসার তারা সকলে সরকারের প্রাক্তন কর্মকর্তা ও পেনশনভোগী ছিলেন। আর তাদের বিষয় সরকার সন্দেহ করার সুযোগই পেত না । 

এখন কথা হল যে (- যারা সরকারের পেনশন খেয়ে পেট চালায় , যারা বিগত দিনে ও সরকারে হয়ে সাধারন ভারতীয়দের উপরে জুলুম করেছে তারা আজ অবসরে এসে ও সরকারের ছায়ায় (পেনশন) বসে আছে । তারা কি করে সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে ?  

তবু তাঁরাই ইংরেজদের বিরুদ্ধে জেহাদ করেছে ।  আমারে কেউ ধর । 

একই কিতাবের পাতায় একটু নিচেই লেখা আছে যে ;- একবার সরকার থেকে একটা প্রতিনিধি দল এসেছিল । তখন মাদ্রাসা কমিটির সদস্যরাই এগিয়ে গেলেন ও মাদ্রাসার পক্ষ থেকে নিশ্চয়তায় প্রদান করলেন । ফলে তা ফলপ্রসূ হল ও তারা ফিরে গেল  ( সাওয়ানেহে কাসেমী ) ২য় খন্ড পৃষ্টা নং ২৪৭ । 

এর পরে ও তারা জেহাদ করেছে বলে যদি দাবি করা হয় তবে কি তা নিছক মিথ্যা নয় ? 



আরো দেখুন ;- একদিন মাওলানা কাসেম নানুতভী নানুতা যাচ্ছিল । পথিমধ্য ওনার নাপিত এসে হাউমাউ করে কাঁদতে শুরু করল এবং বললো যে নানুতার ওসি সাহেব এক মহিলার মিথ্যা অভিযোগের কারনে আমার নামে ওয়ারেন্ট বের করেছে । আল্লাহর ওয়াস্তে আমাকে বাঁচান । 

মাওলানা মনসুর আলী খান বলেন যে মাওলানা নানুতা পৌছা মাত্রেই নিজের বেক্তিগত মুন্সি ( পি এ) ডেকে রাগান্বিত হয়ে বললেন যে ;- এই গরীব বেক্তিকে ওসি সাহবে বীণা দোষে অভিযুক্ত করেছে । তুমি তাকে বলে দাও এ আমার লোক । ও তাকে ছেরে দাও , যদি তুমি তার হাতে হাতকড়া পরাও তোমার হাতে ও হাতকড়া পড়বে ।সাওয়ানেহে কাসেমী ১ম খন্ড পৃষ্টা নং ৩২১ও ৩২২

ততক্ষনে নাপিতের নাম ডায়েরীতে লেখা হয়ে গিয়েছিল।  । পুলিশের ওসি  নানুতভীর কাছে এসে বললেন হুজুর , নাম লেখা হয়ে গেছে। নাম কাটা বড় অপরাধ । আমার চাকরী চলে যাবে ( কাসেম নানুতভী বললেন ওর নাম টা কেটে দাও। তোমার চাকুরি যাবে না ( সাওয়ানেহে কাসেমী ) ১ম খন্ড ৩২৩ 

এখন কথা হল যে সরকারের কত বড় উচ্চ পর্যয়ালের লোকদের সাথে ভাল সম্পর্ক হয়ে থাকলে এমন জোর দিয়ে পুলিশ কে ধমকি দেয়া যেতে পারে তা কি ভেবেছেন একবার ? 

উপরের কথা গুলো থেকে এটা সুস্পস্ট যে নানুতভীর সেই সময়ে ইংরেজদের অনেক বড় বড় লোকদের সাথে সম্পর্ক ছিল । না থাকলে কেউ এমন কথা বলতে পারে না । 

আর যদি এই নানুতভী সাহেব ইংরেজদের পালিত না হত তবে কি করে একজন থানার ওসি কে ধমকি দিয়ে কথা বলতে পারে ? 

আর ইংরেজদের এত প্রিয় হয়ে ও কি করে আবার জিহাদের নাম নিতে পারে ? 


আর ইংরেজদের সাথে ধর্মযুদ্ধের আর এক নতুন কাহানী শুনুন আজ । তা হল যে ;- সাওয়ানেহে কাসেমী ২য় খন্ড পৃষ্টা ১০৩ এ লিখেছেন যে ;- ইংরেজদের বিরুদ্ধে যারা যুদ্ধে করেছিলেন তাদের মধ্য মাওলানা ফজলুর রহমান গন্জ মুরাদাবাদী (রহ) ছিলেন অন্যতম ।হঠাৎ একদিন মাওলানা সাহেবকে দেখা গেল তিনি পালিয়ে যাচ্ছেন এবং বিদ্রোহি বাহীনির কোন এক চৌধুরির নাম ধরে তিনি বলতেছিলেন যে , এই যুদ্ধ করে কি লাভ ? আমি তো হযরত খুজির কে দেখতে পাচ্ছি ইংরেজদের দলে ( সাওয়ানেহে কাসেমী ) ২য় খন্ড পৃষ্টা ১০৩ । 

এখন কথা হল যে , যদি ইংরেজদের দলে হযরত খিজির (আ) কে দেখতে পান তিনি , তবে হজরত খিজির (আ) এর বিরুদ্ধে যুদ্ধে করার পরিনিত কি হতে পারে ? একবার বিজ্ঞ পাঠাক বলবেন কি ? 

শুধু এখানেই শেষ নয় বরং আবার লেখা হয়েছে যে ;- স্বপক্ষ ত্যাগ করার পর যখন হযরত মাওলানা ফজলুর রহমান গন্জ মুরাদাবাদী (রহ) গন্জ মুরাদাবাদের এরটা পরিত্যক্ত মসজীদে আশ্রয় নিলেন , ঘটনাক্রমে সেই পথ দিয়ে ইংরেজ বাহানী যাচ্ছিল আর মাওলানা ফজলুর রহমান মসজীদ থেকে দেখেতেছিল । হঠাৎ মসজীদের সিড়ি  থেকে নেমে ইংরেজ বাহীনীর এক ঘোড় সওয়ার যিনি ঘোড়া ইত্যাদি রক্ষনাবেক্ষনের দায়িত্বে ছিলেন)ওর সাথে কথা বলে মসজিদের 
দিকে ফিরে আসতে দেখা গেল । 
এখন স্বরণ নাই যে , তাকে জিগ্গেস করায় নাকি নিজে নিজে বলেছিলেন যে , এই ঘোড় সওয়ার, যার সাথে কথা বলেছি তিনিই হযরত খিজির । 
আমি জিগ্গেস করলাম এটা কেমন ব্যাপার ? তিনি জবাব দিলেন এটাই হুকুম হয়েছে (সাওয়ানেহে  কাসেমী ) ২য় খন্ড পৃষ্টা নং ১০৫ । 
উক্ত কথাটার টিকা তে লিখেছেনে যে ;- হজরত খিজিরের আগমেন উদ্দেশ্য কি ? হতে পারে হকের  নিদর্শনের একটা রুপক আকৃতি ছিল , যা এ নামে আত্বপ্রকাশ করেছে ।বিস্তারিত ভাবে জানতে শাহ ওলীউল্লাহ প্রমুখের কিতাবাদী পড়ুন ।সম্ভবত যা কিছু দেখা গিয়েছিল তা ছিল গোপন রহস্যের উদঘাটন ( উপরের রেফারেন্সের টিকা ) 


উপরের কথা গুলো থেকে স্পষ্ট যে তাদের মাওলানা ফজলুর রহমান সাহেব ইংরেজদের দলে হযরত খিজির (আ) কে দেখছেন । এবং খিজির (আ) এ বলেছেন যে এটাই হুকুম হয়েছে ।উক্ত কথাটার ব্যাখ্যাতে  লেখা হয়েছে যে ;- খিজির (আর এর আগমন ইংরেজ দলে তা হকের পক্ষে থেকে নিদর্শন ।  এখন কথা হল যে এমন স্পষ্ট হকের পক্ষে থেকে নিদর্শন পাওয়ার পরেও যদি কোন বেক্তি ইংরেজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে করে তবে কি তাকে মুজাহীদ বা গাজী বলা যাবে ? আর যারা মরেছে তাদের কে কি শহিদ বলা যাবে ? 

এই হচ্ছে তাদের জিহাদ । যাতে করে মুজাহীদ বাহানা হযরত খিজিরের কথা শুনে পিছিয়ে যায় আর যুদ্ধ না করে । আসলে প্রথমে যে কথা টা লিখেছি ইংরেজ গোয়েন্দা পামের বলেছিল কলেজের প্রিন্সিপাল যে কাজ করে ১০০ টাকা নিয়ে এঅ মাদ্রাসার মওলভীরা করে ৪০ টা মাসিক বেতন নিয়ে । ইংরেজ দলে খিজির (আ) কে দেখে মাসিক বেতন ৪০ টাকার একটা খেলা ছিল মাত্র । এই তাদের জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ । 

 

আরো এক দালাল যিনি কিনা টাকা ও পেত । রশিদ আহমেদ গাংগুহির, তারা জীবনী গ্রন্থ তাজকিয়াতুর রশীদ কিতাবের লেখক আশেক ইলাহী মারাঠি লিখেছেন যে , তিনি ( গাংগুহী ) মনে করতেন যে ;- আমি যখন সরকারের অনুগত , তখন কোন মিথ্যা অভিযোগ আমার পশম ও বাঁকা করতে পারবে না , আর আমি যদি মারা ও যাই তা হলে সরকারই মালিক , ওর (সরকারের ) যা ইচ্ছা তা করার অধিকার রয়েছে ( তাজকিয়াতুর রশীদ ) ১ম খন্ড ৮০ পৃষ্টা । 


এর চেয়ে ও কি আরো বেশি কথা বলা প্রয়োজন আছে ? তবুও আমরা ইংরেজদের দালাল , আর তারা বাফাদার । তারা দালালি করে না বরং বাফাদারি করে । 

যদি বিগত দিনে ও লিখেছিলাম যে ;- তারা ইংরেজদের থেকে টাকা নিত তা আবার তুলে ধরলাম ;- মাকাল্লামাতুল সাদেরিন ) কিতাবের ৮-৯ নং পৃষ্টায় সাব্বির আহমাদ উসমানী লিখেছেন যে :- ইংরেজ হুকুমত থেকে আশরাফ আলী থানবী প্রতি মাসে ৬০০ রুপিয়া নিয়ে থাকত ও এই টাকা রশিদ আহমাদ গান্গুহির মাধ্যমে আসতো (মাকাল্লামাতুল সাদেরিন) সাব্বির আহমাদ উসমানী পৃষ্টা ৮-৯ 

সাব্বির আহমেদ উসমানি কিন্ত্ তাদেরই ঘরের লোক । তাদেরই আলেম । 




উপরের কথা গুলো দল মত বাদ দিয়ে নিরপক্ষ হয়ে যদি কেউ বিবেচনা করেন তা হলে খুশি হতাম ও লেখা টা সার্থক হত আমার । 

দেওবন্দিদের কিতাব মাকালামাতুস  সাদেরীন এ ৮ নং পেজে লিখেছেন যে ;- তাবলিগ জামাত চালু করার শুরুর দিকে ইংরেজদের কাছে থেকে সাহায নেওয়া হয়েছিল।  পরে তা বন্ধ হয়ে যায় । 

দেখুন তাবলিগ জামাত কে ।

তাবলিগ জামাত সৃষ্টির মুল উদ্দেশ্য ছিল , মানুষ কে দেশ ও জাতি থেকে দুরে রাখা । 

কোরান হাদীসের কোন কোকোক না করে তারা এই কথিত তাবলিগ চালু করেন ইংরেজদের ইশারা তে । যাতে মানুষ দেশ ও বর্তমান দেশের অবস্থার দিকে চোখ না দেয় ।
আর তাই হয়েছে। মানুষ কে তাবলিগের কথা বলে আল্লাহর কথা বলে ইংরেজদের বিরোধী আন্দলন ও যুদ্ধে যতটা সম্ভব তারা দুরে রাখতে চেষ্টা করেছেন ।

শুধু এই তাবলিগ জামাত নয় ।
বরং আরো অনেক দল বা হ্রুপ তৈরি করা হয়েছে ইংরেজদের ইশারায়।  যেমন দেখুন (-

মাকালামাতুস সাদেরীন কিতাবে আরো বর্ননা করা হয়েছে যে ;- কোলকাতার জমিয়তে ওলামা ই ইসলাম সরকারের আর্থিক সহয়তা ও ইঙ্গিত এ কায়েম হয়েছে ( মুকালামাতুস সাদেরীন পৃষ্টা নং ৭) 


শুধু তাই নয়। বরং মুসলিম লীগ  যখন গঠন করা হয় মুসলমানদের সারের রক্ষার জন্য তখন তারা মুসলিম লিগের কঠোর সমালোচনা করতেন  । দেখুন ;--
আশরাফ আলী থানভী সাহেব বলেছেন , বর্তমান মুসলিম লীগ কে ধর্মিয় দল বা শরিয়ত সমর্থিত দল হিসেবে মেনে নেওয়া যায় না ( আশরাফুল ইফাদাত) পৃষ্টা ১২ 

দেওবন্দি মৌলভী আব্দুল জব্বার বলেছেন যে  এটা কি ভাবে সম্ভব যে , হাকিমুল উম্মত (থানভী ) মুসলিমলিগের মত একটা অধার্মিক দল কে সমর্থন করবেন ? ( আশরাফুল ইফাদাত পৃষ্টা ১৮)

কিন্তু তারা ছিল কমগ্রেসের জন্য নিবেদিত প্রান । আমি এই বিষয়ে যেতে চাই না মোটেই। বরং সত্য কথা হল যে তারা ইংরেজদের প্রেমে এতই মগ্ন ছিল যে , তারা পাকিস্তানের জন্মের ও বিরোধিতা করে থাকেন প্রচন্ড ভাবে ।
বরং সত্য কথা যা তাদের পীর আতাউল্লাহ বোখারী পাকিস্তানের দাবিদারদের কে শুয়ার ও শুকর খোর বলে সম্মোহন করতেন (চমনিস্তান , যোফর আলি খান লিখিত পৃষ্টা ১৬৫ ) 

এই বিষয়ে যেতে চাই না । 


তো কথা হল যে , ইমাম আহমেদ রেজা খান (রহ) বলেছেন আল্লাহর রহমতে হিন্দুস্তান দারুল ইসলাম ।  এটা বলা উনার ঠিক হয় নাই ।

ভাল কথা। আগে জেনে নেওয়া যাক , ।
দারুল হারব বলতে আপনি আপনার পোষ্ট এ লিখেছেন যে ;- যুদ্ধ কবলিত দেশ ।

আসলে দারুল হারব বলতে তাকে বুঝাত , আপ তা হল শত্রু কবলিত দেশ ।
কিন্তু আমি উপরে আপনাদের যাই ইসমাইলের বক্তব্য তুলে ধরেছি । আবার ও কুলে ধরলাম যদি না দেখে থাকেন ;-তারপরে দেখুন ;- সাইয়েদ আহমেদের জীবনি চিটিপত্র ও পুস্তকাদিতে ২০ এর বেশি বিবরন এমন পাওয়া গেছে যে ;- সে গুলোকে খোলাখুলি ও প্রকাশ্যভাবে সাইয়েদ আহমেদ সাহেব শরিয়াতের দলিলাদির নিরিক্ষে তার অনুসারী লোকদের কে ইংরেজদের বিরোধিতা করতে নিষেধ করেছেন ( প্রখ্যাত ইতিহাসবেত্তা জাফর থানেশ্বরী লিখিত তারিখ এ আজীবাহ পৃষ্টা নং ৩৩৬) 

এমন কি তারিখ এ আজিবাহ এর ২০১ নম পৃষ্টা তে জাফর থানেশ্বরী লিখেছেন যে ;- মৌলভী ইসমাইল ঘোষনা দিয়ে রেখে ছিলেন যে , ইংরেজ সরকারকে বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা না ধর্মিয় দৃষ্টিকোন থেকে ওয়াজীব , আর না তাদের সাথে আমাদের কোন বিরোধ আছে ( তারিখ এ আজিবাহ ২০১ নং পৃষ্টা ।

এখন কি বলবেন।  বরং সত্য বলতে তো এটা যে , যে কথা টা আমরা বার বার বলে থাকি , ইংরেজগন আপনার সাইয়েদ আহমেদ ও শাহ ইসমাইল কে ব্যাবহার করেছে পান্জাবের রনজিৎ সিংক কে দমন করার জন্য ।

আর যখন শিখ গন ইংরেজদের সাথে সন্ধি করল তখনকার ঘটনা উপরে তুলে ধরেছি আমি যে ;- প্রখ্যাত ইতিহাসবেত্তা জাফর থানেশ্বরী তার কিতাব (সিরাতে সাইয়েদ আহমেদ ) এ লিখেছেন যে ;- যখন গোলাব সিংহ ও ইংরেজদের মধ্য পারষ্পরিক চুক্তি সম্পন্ন হয়ে গিয়েছিল , তখন ইংরেজ সরকার একটু চিটি মোলভী বেলায়েত আলীর নামে লিখেছিল ।তাতে লেখা হয়েছে যে ;- এখন গোলাব সিংহ ইংরেজ সরকারের পক্ষে আছেন , এখন তার বিরুদ্ধে যুদ্ধে করা খোদ ইংরেজ সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার সামিল ।সুতরাং এখন তোমাদের উচিত তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ বিগ্রোহ না করা ( জাফর থানেশ্বরী লিখিত তারিখ এ আজিবাহ পৃষ্টা নম ২১৬) 

এর পরে জাফর থানেশ্বরী লিখেছেন যে;- এরপর মুজাহিদিন যুদ্ধে বন্ধ করে দিল ও হাতিয়ার গুলো সরকারকে কাছে জমা দিয়ে ন্যায্য মুল্য আদায় করে নিল ইংরেজদের মুজাহিদদের শানদার অভ্যর্থনা জানালো ও তাদের কে দাওয়াত ও করল ( তারিখ এ আজিবাহ পৃষ্টা নং ২১৬) 


এই হচ্ছে আপনাদের প্রকৃত জীহাদ । 
তা ছারা রনজিত সিংহের সাথে সাইয়েদ আহমেদের দস্যু জীবনের একটা চরম দুশমনি আছে যা আমি লিংক আকারে তুলে ধরেছি উপরে WWW HUNTER এর কিতাব ইন্ডিয়ান মুসলিম কিতাবের বরাত দিয়ে ।
বরং এটার একটা চুড়ান্ত ফায়সালা হয়েছে বালাকোট এ। 

আর অন্য কথা হল যে , আপনি বলেছেন আলা হযরত ইমাম আহমেদ রেজা খাল বলেছেন ভারতবর্ষ দারুল ইসলাম তথা ইসলামি দেশ ।


আপনি ওনার সাথে লিখিত তর্কে লিপ্ত হয়ে উত্তর চেয়েছেন , আর ওয়াদা করেছেন যে পাল্টা জবাব দিবেন । কিন্তু আপনার জানা নাই যে , দারুল ইসলাম মানে ইসলামি দেশ নয় বরং মুসলমানদের বসবাসের উপযোগি দেশ ।

আমাদের বাংলাদেশ দারুল ইসলাম।  কিন্তু ইসলামি দেশ নয়। ভারত ও তাই ছিল । 

আর উপরে অনেক বর্ননা তুলে ধরেছি আমি যে আপনাদের আলেম থানভী , নানুতভী , গাংগুহী , শাহ ইসমাইল , সাইয়েদ আহমেদ  সকলের বক্তব্য থেকে যে তারা ইংরেজের এক ভক্তি ছিলেন যে গাংগুহী তো বলেছেন আমি মরলে লাশের মালিক ইংরেজ রা ।

তবু তারা মুজাহীদ ।
আর আলা হযরত শুধু বলেছেন এই দেশ মুসলমানদের বসবাসের উপযোগি ।

তাতেই তিনি দালাল হয়ে গেলেন ? 

আল্লাহ কে ভয় করুন। 

বরং পিছনের দিন মনে করে দেখুন। সত্য কথা হল যে আলা হযরতের সেই ফতোয়া কিতাব , যাতে ক্বাদীয়ানি দেওবন্দির অনেক বাঘা আলেম কে তিনি কাফের ফতোয়া দিয়েছেন।  এই দালাল বলে অপবাদ দেওয়া মুলত সেই ফতোয়ার একটা হিংসা মুসক জবাব ।

তোমাদের সকলের নামে এমন কি দেওবন্দ চলন্ত ইংরেজদের টাকায় তার ও প্রমান আছে। 


কিন্তু তুমি কি প্রমান করতে পারবে , আলা হযরত কে মাসে কোন ইংরেজ ১০ টাকা করে দিত বা ইংরেজদের দেয়া কোন উপাধি পেতেছেন বা কোন ইংরেজ ওনার প্রশংসা করেছেন ।

পারবে না। আল্লাহ কে ভয় কর ।

আর বলেছ যে , তোমরা জংগিবাদ কর না ।

ভাল কথা মেনে  নিলাম । 

এখন আমাকে বল যে পাকিস্তান তালেবান জংগল গুস্টি কি দেওবন্দি নয় ?
আফগানিস্তানের তালেবান কি দেওবন্দি নয় ? 

মুফতি ইজহারুল কে বাংলাদেশ পুলিশ কি কারনে গ্রেফতার করেছে? 
মুফতি ইজহারুলের মাদ্রাসায় বোমা বানানোর সময় কি বিষ্ফোরণ হয় নাই ? 

এই তথ্য গুলো কি করে মিটাতে চাও ? 

পাকিস্তানি জংগী গোষ্টি আহরার পার্টির কি দেওবন্দিদের নয় ? 

বরং মুল কথা হল পাকিস্তানের যত নাশকতা করা হচ্ছে তার অধিকাংশ করতেছে ভারত সরকার দেওবন্দের সহায়তায় ।

আর আমারে বলতেছ ইহুদিদের দালাল ? 

বরং তোমাদের হিন্দু পিরিতি ও ইংরেজের পিরিতি ইংরেজদের শাওনের লিখিত কবিতা নেহেরুর সামনে লিখিত কবিতা গান্ধির শোনে লিখিত কবিতা গুলি যদি আমি তুলে ধরি তবে এমন বড় এটা পোস্ট এ পরিনত হবে 

সত্য কবুল করতে শিখ।   তওবা কর এমন দেওবন্দি আকিদা থেকে। 

আর এটা ও শুনে রাখ , আমি আলা হযরতের মুরিদ না , তিনি একজন হক আলেম। আমি ওনাকে সম্মান করি 

আমি মোজাদ্দেদিয়া তরিকার মুরিদ । 
তরিকায খাস মুজাদদেদিয়া 
রংপুর জীলা বদরগঞ্জ থানা , 
হাকিমাবাদ . নাটারাম ।


সোহেল রানা । 


 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন