মঙ্গলবার, ৫ জানুয়ারী, ২০১৬

কথিত rezvi sarshina gazakhor এর জবাব ।

আমাকে চার ঘন্টা সময় দেয়া হয়েছে । 

তাই মুল আলোচনায়  গেলাম।  তোমারে যদি কোন হালাল পিতা জন্ম দিয়ে থাকে তবে বলব জবাব দিও পাল্টা । নয় তো তওবা করে নিও 

আর যদি তোমার পিতা হালাল না হয় তবে আর কি করার ? 

একটার পর একটা ফেতনা পোষ্ট কর ও নিজেকে হারামজাদা প্রমান করতে থাক । 

তোমার প্রথম প্রশ্ন ;-
(১)তদেরকে যখন প্রশ্ন করা হয় যে, মিলাদ পালন
করার দলিল কুরআনে আছে কিনা?
তখন বলেন যে, আছে। কিন্তু আপনাদের এ
দাবি যদি সঠিক
হয়ে থাকে তাহলে মিলাদ পালন করাকে 'ফরজ'
বলেন না কেন?

উত্তর ;-  পবিত্র কোরানে আল্লাহ পাক বলেন :-ইউনুসের ৫৮ নং আয়াতে ,

" ﻗﺎﻝ ﺑﻔﻀﻞ ﺍﻟﻠﻪ ﻭ ﺑﺮﺣﻤﺘﻪ ﻓﺒﺬﺍﻟﻚ
ﻓﻠﻴﻔﺮﺣﻮﺍ ﻫﻮ ﺧﻴﺮﻣﻤﺎ ﻳﺠﻤﻌﻮﻥ
অর্থাৎ হে রাসুল আপনি বলুন আল্লাহর দয়া ও রহমতকে কেন্দ্র করে তারা যেন আনন্দ করে এবং এটা হবে তাদের অর্জিত সকল কর্মফলের চেয়েও
অধিক শ্রেষ্ঠ |

 তো এখন কথা হল যে ;- দুনিয়ার সকল মুসলমান এটা মান্য করে যে , আল্লাহ তায়ালার শ্রেষ্ট নিয়ামত হল নবী পাক (সা) ।

আর আল্লাহ তায়ালা তার নিয়ামত পেয়ে খুশি হতে বলেছেন। আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করতে বলেছেন। এখন যদি আপনার আল্লাহর শ্রেষ্ট নিয়ামত লাভ করেও খুশি হতে না পারেন তবে এটা আপনার নিজের হলে হতেও পারে জন্মগত দোষ । আমি আসা করব যে , আপনার জন্মগত দোষে আমাদের কে দুষিত করার চেষ্টা করবেন না ।

আর বলেছেন যে , কোরানে কোরানে যদি থেকে থাকে মিলাদ করার কথা , তা হলে তা ফরজ বলেন না কেন ? 

এটা অবশ্যই ওয়াজীব  যে , নবীর মিলাদের কারনে আমাদের কে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করতে হবে।  আপনি যদি মনে করেন যে , না আল্লাহর শ্রেষ্ট নিয়ামত লাভ করে খুশি উদযাপন করা যাবে না , তা হলে তা আপনার রোগ। আমাদের নয়।   আপনার উচিত হবে কালেমা তাইয়েবা দিয়ে নিজের কলুষিত মন কে ধুয়ে পরিষ্কার করা ।

আল্লাহর নিয়ামত পেয়ে যে খুশি হওয়া বাধ্যতামূলেক মনে  করে না সে কি করে মুসলমান হতে পারে ? তার জবাব কি দিবেন ? 

আর কোরানের প্রতিটি কানুন ফরজ নয়।  বরং ওয়াজীব আছে । যেমন নবী (সা) এর সাথে সাক্ষাত বিষয়ে কিছু হাদিসে দেয়া এক সময় ওয়াজীব ছিল। পরে তা রহিত হয়ে যায়। ফরজ ছিল না। যদিও কোরানের আয়াতে স্পষ্ট আছে বলা যে ;-কৃত রুপ । মুল আয়াত দেখুন ( 
 
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا نَاجَيْتُمُ الرَّسُولَ فَقَدِّمُوا بَيْنَ يَدَيْ نَجْوَاكُمْ صَدَقَةً ذَلِكَ خَيْرٌ لَّكُمْ وَأَطْهَرُ فَإِن لَّمْ تَجِدُوا فَإِنَّ اللَّهَ غَفُورٌ رَّحِيمٌ


মুমিনগণ, তোমরা রসূলের কাছে কোনকথা বলতে চাইলে তৎপূর্বে সদকা প্রদান করবে। এটা তোমাদের জন্যে শ্রেয়ঃ ও পবিত্র হওয়ার ভাল উপায়। যদি তাতে সক্ষম না হও, তবে আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
সুরা মুজাদেলা আয়াত নং ১২ 

এই আয়াত থেকে এটা প্রমানিত যে কোরানের সকল হুকুম ফরজ নয়।  বরং ওয়াজীব ও আছে । 

আপনার প্রশ্ন ;- 
(২) নং প্রশ্ন ;- 

আর যদি প্রশ্ন করা হয় যে,
তা হাদিসে আছে কিনা?
তখনো বলে থাকেন যে, হ্যাঁ আছে। কিন্তু
আপনাদের এ দাবি যদি সঠিক হত
তাহলে মিলাদুন্নবী পালন করাকে
'ওয়াজিব অথবা সুন্নাত' বলেন না কেন

উত্তর ;- অসংখ্য হাদীসে নবী পাক (সা) এর শুভ মিলাদ শরিফের বর্ননা আছে । তা যেহেতু প্রশ্ন নয় , তাই হাদিসে গেলাম না । 
তার কথা হল যে , ওয়াজীব বা সুন্নত  বলেন না কেন ? 

কে বলেছে আমরা ওয়াজীব বা সুন্নাত বলি না ? 
বরং উপরোক্ত আয়াত থেকে এটা স্পষ্ট যে , নবী পাকের  জন্ম খুশি হওয়া ও আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করা ওয়াজীব । 

এই প্রসঙ্গে পবিত্র হাদিস শরীফে এরশাদ
হয়েছে ,
" ﻋَﻦْ ﺍَﺑِﻰ ﻗَﺘَﺪَﺓَ ﺍﻻَﻧْﺼﺎَﺭِﻯ ﺭَﺿِﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋَﻨﻪُ ﺍَﻥَّ ﺭَﺳُﻮﻝَ
ﺍﻟﻠﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﺱﺀﻝ ﻋَﻦْ ﺻَﻮْﻡِ ﻳَﻮْﻡ ﺍﻻِﺛْﻨَﻴْﻦِ ﻗَﻞَ ﺫَﺍﻙَ ﻳَﻮْﻡٌ ﻭُﻟِﺪْﺕُ ﻓِﻴْﻪِ ﺑُﻌِﺜْﺖُ ﺍَﻭْﺍُﻧْﺰِﻝَ ﻋَﻠَﻰَّ ﻓِﻴْﻪِ -
অর্থাৎ হজরত আবু কাতাদা ( রা ) হতে বর্ণিত ,
একজন সাহাবী হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লামের খেদমতে আরজ
করলেন ই রাসুলাল্লাহ , ইয়া হাবিবাল্লাহ
আমার মাতা পিতা আপনার নূরের পাক
কদমে কুরবান হোক | আপনি প্রতি সোমবার
রোজা পালন করেন কেন ?
জবাবে সরকারে দুজাহান নূরে মুজাস্সাম
হাবিবুল্লাহ হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন , এই
দিনে আমার জন্ম হয়েছে , এই
দিনে আমি প্রেরিত হয়েছি এবং পবিত্র
কালামুল্লাহ শরীফ এই দিনেই আমার উপর
নাজিল হয়েছে |
(সহীহ মুসলিম শরীফ ২য় খন্ড, ৮১৯ পৃষ্ঠা,
বায়হাকী: আহসানুল কুবরা, ৪র্থ খন্ড ২৮৬ পৃ:
মুসনাদে আহমদ ইবনে হাম্বল ৫ম খন্ড ২৯৭ পৃ:
মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক ৪র্থ খন্ড ২৯৬পৃ:
হিলিয়াতুল আউলিয়া ৯ম খন্ড ৫২ পৃ:)

এখান থেকে এটা সুষ্পষ্ট যে নবী পাক (সা) নিজের জন্ম উপলক্ষে প্রতি সোমবার রোজা রাখতেন। এটা নবী পাক (সা) থেকে প্রমানিত।  এটা সুন্নাত। ওয়াজীব নয় ।
যদি কোন বেক্তি প্রতি সোমবার রোজা রাখে তা হলে নিশ্চয় আল্লাহর রহমতে শিক্ত হবেন তিনি । 
 আর উপরে যে বলেছেন কোরানে যদি থাকে তা হলে ফরজ বলেন না কেন ? 

কোরানের প্রতিটি আইন ফরজ নয়।  বরং ওয়াজীব ও আছে। তার মধ্য নবী (সা) এ শুভ মিলাদের কারনে খুশি হওয়া ও আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করা ও একটা ওয়াজীব কাজ। যা উপরে কোরান থেকে আমি তুলে ধরেছি ।
উল্লখয যে নবীর জন্মে খুশি হওয়া ওয়াজীব। আর নবীর জন্মের দিনে রোজা রাখা এখানে সুন্নাত সাবেত হল । 


আপনার প্রশ্ন 

(৩) নং প্রশ্ন ;-আর যদি প্রশ্ন করা হয় যে,
তা আসারে সাহাবা তথা কোনো সাহাবীর
বিচ্ছিন্ন কোনো আমল দ্বারা প্রমাণিত কিনা?
তখন বলেন যে হ্যাঁ অমুক সাহাবী নিজ
গৃহে মিলাদ পালন করেছিল।
এবার এ কথার ওপর ভিত্তি করে যদি আপনাদের
জিজ্ঞাস করি যে,
(ক) ঐ সাহাবীর ঘটনাটি কতটুকু বিশুদ্ধ
সনদে প্রমাণিত।হাদিসে র
কোন্ কিতাবে তা লেখা আছে?

উত্তর ;- সহীহ বুখারী শরীফের ব্যাখ্যাকার আল্লামা ইমাম
কাসতালানী (রাঃ) ‘মাওয়াহিবে লাদুনিয়া’ নামক কিতাবের ১ম জিল্দের
২৪ পৃষ্ঠায় হযরত আনাস (রাঃ) থেকে একখানা হাদিস উল্লেখ
করেছেন
ﻋﻦ ﺍﻧﺲ ﺍﻥ ﺍﻟﻨﺒﻰ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ ﻣﻦ ﻛﺮﺍﻣﺘﻰ ﻋﻠﻰ ﺭﺑﻰ ﺍﻧﻰ ﻭﻟﺪﺕ ﻣﺨﺘﻮﻧﺎ ﻭﻟﻢ
ﻳﺮ ﺍﺣﺪ ﺳﻮﺃﺗﻰ ০
অর্থাৎ ‘আল্লাহর হাবিব এরশাদ করেন, আল্লাহপাকের পক্ষ
হতে আমার একটি বিশেষ মর্যাদা হল এই আমি খত্না অবস্থায় জন্ম
নিয়েছি এবং আমার লজ্জাস্থান কেহই দেখেনি।’
উপরোল্লিখিত হাদিস শরীফদ্বয় দ্বারা প্রতীয়মান
হলো যে, হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজের জন্ম
বৃত্তান্ত ও তদসম্বলিত ঘটনাবলী অর্থাৎ মিলাদ শরীফের
আলোচনা নিজেই করেছেন। সুতরাং মিলাদ শরীফ পাঠ
করা সুন্নাতে রাসূল প্রমাণিত হল।
মিলাদ শরীফ পাঠ করা সুন্নাতে আম্বিয়া

তা ছারা ক) মিশকাত শরীফ ফাজাইলে সায়্যিদিল মুরসালিন ৫১৪ পৃষ্ঠায় লিখিত
আছে
ﻋﻦ ﻛﻌﺐ ﻳﺤﻜﻰ ﻋﻦ ﺍﻟﺘﻮﺭﺓ ﻗﺎﻝ ﻧﺠﺪ ﻣﻜﺘﻮﺑﺎ ﻣﺤﻤﺪ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﺒﺪﻯ ﺍﻟﻤﺨﺘﺎﺭ ﻻﻓﻆ ﻭﻻﻏﻠﻴﻆ
ﻭﻻﺳﺨﺎﺏ ﻓﻰ ﺍﻻﺳﻮﺍﻕ ﻭﻻﻳﺠﺰﻯ ﺑﺎﻟﺴﻴﺌﺔ ﺍﻟﺴﻴﺌﺔ ﻭﻟﻜﻦ ﻳﻌﻔﻮ ﻭﻳﻐﻔﺮ ﻣﻮﻟﺪﻩ ﺑﻤﻜﺔ ﻭﻫﺠﺮﺗﻪ
ﺑﻄﻴﺒﺔ ﻭﻣﻠﻜﻪ ﺑﺎﻟﺸﺎﻡ ﻭﺍﻣﺘﻪ ﺍﻟﺤﻤﺎﺩﻭﻥ ﻳﺤﻤﺪﻭﻥ ﺍﻟﻠﻪ ﻓﻰ ﺍﻟﺴﺮﺍﺀ ﻭﺍﻟﻀﺮﺍﺀ –
( ﻣﺸﻜﻮﺓ -৫১৪ )
অর্থাৎ ‘হযরত কাব (রাঃ) হতে বর্ণিত তিনি বর্ণনা করেছেন,
আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পবিত্র
গুণাবলী তাওরাত কিতাবে এভাবে পেয়েছি মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর রাসূল, আমার মনোনীত
বান্দা বা উপাসক, তিনি সচ্চরিত্রের অধিকারী, সঠিক পথের দিশারী,
এমনকি তাঁর সঙ্গে কেউ অন্যায় আচরণ করলে তিনি প্রতিদান
না নিয়ে নিজগুণে মাফ করে দিবেন। তাঁর জন্মস্থান বা মিলাদ
শরীফ মক্কা শরীফে, তাঁর হিজরত মদীনা তাইয়্যিবাতে, তাঁর
আধিপত্য শামদেশ পর্যন্ত বিস্তৃত, তাঁর উম্মতগণ আল্লাহপাকের
অসংখ্য প্রশংসা করবে, সুখে দুঃখে আল্লাহ তা’য়ালার প্রশংসায়
লিপ্ত থাকবে।’
(খ) হাফেজ আবুল খাত্তাব বিন দাহইয়া (রাঃ) (ওফাত শরীফ ৬৩৩
হিজরি) এর লিখিত ‘আততানভীর ফি মাওলিদিল বাশিরিন নাজির’ নামক
কিতাবে দুখানা হাদিস নকল করেছেন
ﻋﻦ ﺍﺑﻦ ﻋﺒﺎﺱ ﺭﺿﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ ﻋﻨﻪ ﺍﻧﻪ ﻛﺎﻥ ﻳﺤﺪﺙ ﺫﺍﺕ ﻳﻮﻡ ﻓﻰ ﺑﻴﺘﻪ ﻭﻗﺎﺋﻊ ﻭﻻﺩﺗﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ
ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ ﺣﻠﺖ ﻟﻜﻢ ﺷﻔﺎﻋﺘﻰ ০
অর্থাৎ ‘একদা হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) নূরনবীর
জন্ম বিবরণী তাঁর ঘরে বর্ণনা করছিলেন। এমন সময়
নূরনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তথায় উপস্থিত
হয়ে বললেন (সমবেত হয়ে যারা আমার জন্মকালীন
কাহিনী আলোচনা করছ) তোমাদের জন্য (কিয়ামতে) আমার
শাফায়াত ওয়াজিব হয়ে গেল।’
(গ) অনুরূপ এই কিতাবে আরো একখানা হাদিস বর্ণিত আছে
ﻋﻦ ﺍﺑﻰ ﺍﻟﺪﺭﺩﺍﺀ ( ﺭﺿﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ) ﺍﻧﻪ ﻣﺮ ﻣﻊ ﺍﻟﻨﺒﻰ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﺍﻟﻯﺒﻴﺖ ﻋﺎﻣﺮ ﺍﻻ
ﻧﺼﺎﺭﻯ ﻭﻛﺎﻥ ﻳﻌﻠﻢ ﻭﻗﺎﺋﻊ ﻭﻻﺩﺗﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻻﺑﻨﺎﺋﻪ ﻭﻋﺸﻴﺮﺗﻪ ﻭﻳﻘﻮﻝ ﻫﺬﺍ ﺍﻟﻴﻮﻡ ﻫﺬﺍ
ﺍﻟﻴﻮﻡ ﻓﻘﺎﻝ ﻋﻠﻴﻪ ﺍﻟﺼﻼﺓ ﻭﺍﻟﺴﻼﻡ ﺍﻥ ﺍﻟﻠﻪ
ﻓﺘﺢ ﻟﻚ ﺍﺑﻮﺍﺏ ﺍﻟﺮﺣﻤﺔ ﻭﺍﻟﻤﻼﺋﻜﺔ ﻳﺴﺘﻐﻔﺮﻭﻥ ﻟﻚ ﻭﻣﻦ ﻓﻌﻞ ﻓﻠﻌﻠﻚ ﻧﺠﺎ ﻧﺠﺎﺗﻚ ﺍﻧﺘﻬﻰ – ( ﻣﺠﻤﻮﻋﻪ
ﻓﺘﺎﻭﻯ০ ﻋﺰﻳﺰﻳﻪ ﺷﺮﻳﻒ )
অর্থাৎ একদা হযরত আবু দারদা (রাঃ) রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্গে হযরত আমির আনসারী (রাঃ) এর
ঘরে তাশরীফ নিয়েছিলেন। এ সময় হযরত আমির
আনসারী (রাঃ) তাঁর সন্তান সন্তুতি ও
আত্মীয়স্বজনকে একত্রিত করে নূরনবী সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্ম বৃত্তান্ত শিক্ষা দিতে ছিলেন
এবং বলতে লাগলেন এই দিনটি! এই দিনটি! অর্থাৎ তিনি আল্লাহর
হাবিবের জন্মদিনটি নিয়ে গর্ব করছিলেন। অতঃপর
নূরনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন হে আমির
আনসারী (রাঃ) নিশ্চয়ই আল্লাহ তা’য়ালা তোমার জন্য রহমতের
দরজাগুলি খুলে দিয়েছেন। সকল ফেরেশতারা তোমার জন্য
ক্ষমা প্রার্থনা করছেন। যারা তোমার মতো (মিলাদ মাহফিল)
করবে তারা নাজাত পাবে। উপরে বর্ণিত হাদিস শরীফ
দ্বারা বুঝা গেল, মিলাদ শরীফ পাঠ করলে আল্লাহর রহমত
পাওয়া যায়। আল্লাহর হাবিবের শাফায়াত নসিব হয়, ফেরেশতাগণের
দোয়া লাভের এক চমৎকার পথ এবং সাহাবাগণের সুন্নাত, যা হাদিস
শরীফ দ্বারা প্রমাণিত হল।

আর এখন যদি নবী পাক (সা) এর এই জন্ম মুবারক নিয়ে আলোচনা করা হাদিস গুলোর বিষয় যদি আপনার  সন্দেহ থেকে থাকে , আর যদি আপনি রিজাল শাষ্ত্রে শিক্ষিত হয়ে থাকেন , তবে আপনার উচিত হবে এই হাদিস গুলোর রাবীদের বিষয় পুর্ন বিস্তারিত বর্ননা তুলে ধরে কেন এই হাদীস গুলো গ্রহনযোগ্য হবে না তার কারন তুলে ধরা । 

আপনার প্রশ্ন 
(খ) যদি মেনে নিই যে তা সঠিক, তখন আবার
জানতে ইচ্ছে করে যে,
তিনি কি মিলাদুন্নবী পালন করেছিলেন,
নাকি নবীর সাঃ জন্মালোচনা করেছিলেন।

উত্তর ;- এমন প্রশ্ন ছাগলের তিন নং বাচ্চা হলেই যে করা সম্ভব হয়ে থাকে তা আমার জানা আছে ভাল করেই ।

এখন প্রশ্ন করছি আমি যে , আপনি কি নামায আদায় করেন , নাকি নামায পড়েন ? 
জবাব টা দিবেন । 

আর নবীর জন্ম দিন পালন যে করা হয় তা কি মুখ বন্ধ করে ঘরের কোনায় থেকে পালন করা হয় ? নাকি আলোচনা করেই পালন করা হয় ? 

তা বলে দিবেন । এটা প্রশ্ন থাকল ।

আপনার প্রশ্ন ;- 
(গ) তখন কি ঐ দিনটি ১২ ই রবিউল আওয়াল ছিল
অথবা নির্দিষ্ট কোনো দিবসকে উপলক্ষ্য
করে ছিল?

উত্তর ;- সাহাবীদের ঐ দিনটি ১২ রবিউল আওয়াল হয়ত বা ছিল , নত বা ছিল না ।
কিন্তু কথা হল যে , আমরা তো শুধু ১২ রবিউল আওয়াল নবীর জন্ম মুবারকের আলোচনা করি না । বরং যখন সময় পাই যেদিন সময় পাই , সেই দিনে আল্লাহর নবীর শুভ জন্ম মুবারকের আলোচনা করি ও তাতে বরকত লাভের আশা করি । 

আর যদি আপনার কাছে এমন কোন তথ্য থেকে থাকে যে , সুন্নি রা ১২ রবিউল আউয়াল ছারা অন্যদিন নবীর শুভ আগমনের আলোচনা বা মিলাদ পালন করে না , ও কোন আলেম বা কেউ ফতোয়া দিয়েছে শুধু ১২ রবিউল আইয়াল ছারা অন্যদিন পালন করা যাবে না , তা হলে তা তুলে ধরুন আমাদের কাছে ।


নয় তো তওবা করুন ।

আপনার প্রশ্ন ;- 
(ঘ) তাঁর উক্ত
জন্মালোচনা কালে তিনি কি কিয়াম
করেছিলেন?

উত্তর ;- এখন  আপনার প্রশ্ন যে কিয়াম করা । এ বিষয়ে আমি বিস্তারিত বলতে যাব না ।  কারন আপনার এই প্রশ্নের উদ্দেশ্য যা ছিল , তা অনুয়াযি যথাযত প্রশ্নই করতে পারেন নাই। 
সুন্দর কথা হল এটা যে , যে কোন খানে যে কোন বেক্তি যদি বক্তৃতা দেয় , তখন দেখবেন দাড়িয়ে দেয় ।

আর আমরা নবীর জন্ম আলোচনার সময় দাড়াই না ।
বরং নবী (সা) এর প্রতি সালাম দেয়ার সময় দাড়াই  । এটা  একটা  সম্মান বা তাজীম।  কিন্তু আমরা কাউকে বাধ্য করি না  যে দাড়িয়ে সালাম দিতেই হবে। বরং যারা বসে বসে সালাম দেয় তাদের কে আমরা বাধ্য করি না দাড়িয়ে যান । 

এটা একটা বিষেশ পদ্ধতি দাড়িয়ে সালাম দেওয়া সকলে মিলে মুহাব্বাতের সাথে । 

যদি কেউ কিয়াম না করে তবে তার গোনাহ হবে না।  তবে আশা তরা যায় যে যদি দাড়িয়ে সালাম দেয় তবে সওয়াব হবে ।   কারন নফল নামায বসে পড়া যায়েয কিন্তু দাড়িয়ে পড়া মুস্তাহাব । এতে বেশি সওয়াব । 
এটা থেকে আশা করা যায় দাড়িয়ে সালাম দেয়া তে হয়ত বেশি সওয়াব পাওয়া যাবে।  আর সওয়াবের আশায় কোন যইফ হাদিসে ও আমল করা যাযেয় যদি তা কোরান হাদিস বিরোধি না হয় ।

এটা সর্বসম্মত ভাবে গৃহীত। 

(ঙ) যদি বলেন,না ঐগুলো করেননি;
তাহলে প্রচলিত মিলাদের ভিত্তি কী?

উত্তর ;- উপরের প্রশ্ন গুলোর লিখিত জবাব ও ভিত্তি কি , তার দলিল দেয়া হয়েছে । 

এখন আমি আশা করব আপনার এই সকল ছাগলের তিন নং বাচ্চার মত প্রশ্ন করার ভিত্তি কি তা তুলে ধরবেন যদি কোন হালাল বাপের সন্তান হয়ে থাকেন । 


আপনার প্রশ্ন ;- 4.
আমরা যখন আপনাদের প্রশ্ন করি যে,
"মিলাদুন্নবী উদযাপন" অর্থ কী?
তখন আপনারা গোলক ধাঁধাঁয় পতিত হয়ে যান
কেন? তার মানে কেউ বলেন যে এর অর্থ
১- "নবীর ওপর দরূদ পড়া" আবার বলেন
২- "নবীপাকের জন্মদিন পালনকরা"।
এখন বলুন, কোন অর্থটি সঠিক বলে ধরে নেব?

উত্তর ;- মজার কথা হল যে , আপনি যেমন এই পোষ্ট টা নিজে লেখেন নাই , করেছেন কপি , ঠিক তেমনি , যাদের কে আপনি প্রশ্ন করেন , তারা ও হয়ত আপনার মত কপি করে ।

তাই তারা গোলক ধাধায় পড়ে যায় । 

এখন কথা হল যে ;- উপরে একটা প্রশ্ন করেছিলাম যে . আপনি কি নামায পড়েন ? নাকি আদায় করেন ?  

এই আপনার প্রশ্ন ঠিক এই রকম ।

বরং নবী পাকের  মিলাদ উদযাপন বলতে , কিছু লোক সম্মিলিত হয়ে , আল্লাহর নবীর শুভ মিলাদ শরিফের সহীহ বর্ননা সহকারে আলোচনা করা , ওনার মান ও মর্যাদা বর্ননা করা , নবীর প্রতি দরুদ সালাম পেশ করা , সৎ কাজের আদেশ অসৎ কাজের নিষাদ প্রদান করা ও নবী পাকের অসিলায় সকলের গোনাহর ক্ষমা প্রার্থনা করা । এটাই প্রকৃত মিলাদ । এটাই ধরে নিন আজ থেকে প্রকৃত মিলাদ শরিফ । 

আপনার প্রশ্ন ;- 

5.
এখন যদি বলেন যে দ্বিতীয়টি সঠিক।
তাহলে প্রশ্ন
আসে যে,
১।
শরীয়তে মীলাদুন্নবী পালনকরার নিয়ম
পদ্ধতি কীভাবে বর্ণিত আছে, কোথায় বর্ণিত
আছে?
২।
এ মীলাদুন্নবী অর্থ যদি হয় "নবীজি'র জন্মদিবস"।
তাহলে আরো জানতে ইচ্ছে করে, 'জন্মদিবস'
কি পড়া যায়, নাকি আলোচনা করা যায়?
কী বলবেন?

উত্তর ;- শরিয়তে মিলাদের বর্ননা হাদিসে কি ভাবে এসেছে তা  উপরে হাদীসে বর্ননা করা হয়েছে ।  আর নবীর জন্ম দিবস পড়া যায় নাকি আলোচনা করা যায় ( নামায পড়া যায় নাকি আদায় করা যায় ) এই সকল অবান্তর কথার সুষ্ট  জবাব ৪ নং প্রশ্নের জবাবে সুন্দর করে বলে দেওয়া হয়েছে ।


6.
হাদীসেপাকে বর্ণিত
আছে "যে আমাদের দ্বীনের মধ্যে নতুন
কোনো বিষয় উদ্ভাবন করল
যেটি দ্বীনের অন্তর্ভুক্ত নয়,
তাহলে সে প্রত্যাখ্যাত হবে।'
হাদীসটিতে নতুন কোনো উদ্ভাবিত
বিষয়কে 'দ্বীনি বিষয়'
মনে করে প্রবর্তন
করলে সেটি বর্জনকরা হবে মর্মে উল্লেখ
রয়েছে। এককথায়, বিদয়াত
ফিদ্দীনকে নিন্দা করা হয়েছে। এবার বলুন, এ
জগাখিঁচুড়ি প্রথাটিকে আপনারা দ্বীনের
'সহায়ক বিষয়' মনে করেন, নাকি 'দ্বীনি বিষয়'
মনে করেন?

উত্তর ;- বেদাত ফি দ্বীন ও লি দ্বীন বলতে নতুন এই সংগা পেয়েছিলাম কাজী সাইফুজ্জামান এর এক পোষ্ট এ। আর যখন এই ফি দ্বীন ও লি দ্বীন এর রেফারেন্স চেয়েছিলাম তখন কিন্তু দিতে পারে নাই এ। বরং এখন বলে রাখি , যে বেক্তি এই পেষ্ট লিখেছেন তার বেদাত নিয়ে ও পুর্ন জ্ঞান নাই । 

অন্য কথা হলে যে ;- উপরে কোরান থেকে হাদিস থেকে সুষ্পষ্ট বর্ননা দেয়া হয়েছে। তাই আপনাদের মতে বেদাত ফি দ্বীন ও লি দ্বীন এর কোন শর্তই এখানে লাঘু নয় ।  কোরান হাদীস থেকে এটা ওয়াজীব ও সুন্নাত সাবেত করেছি ।  


আর যে হাদীস তুলে ধরেছেন , তার সঠিক ব্যাখা হল, বেধর্মিদের কোন কিছু আমাদের ধর্ম বলে চালিয়ে দেওয়া । এই বিষয়ে হাজী ইমদাদুল্লাহ (রহ) সুন্দর বর্ননা করেছেন অনার কিতাব (ফায়সালা এ কাউকে মাসায়েল ) ১৩৯ নং এ যে , বেদাত হল বস্তুত অধর্মকে ধর্মের অন্তর্ভুক্ত করা । 

আর যেখানে নবী (সা) এর জন্ম মুবারকের বর্ননা হাদীস থেকে সুষ্পষ্ট বর্ননা আছে , তা কি করে অধর্ম হতে পারে ? 

আপনার প্রশ্ন ;- 
7.
মজার ব্যাপার হল, নবীজির জন্ম কি প্রতি জুমায়
হয়েছিল?
অন্যথা প্রতি জুমায় মীলাদ

উত্তর ;- আমরা হাদিসে পাই নবী পাকের শুভআগমনের দিন সোমবার । 
জুম্মার দিনে নবী পাকের আগমন এটা আমাদের জানা নাই । যদি কোন নির্ভর যোগ্য প্রমান থাকে আপনার কাছে তবে আমরা মেনে নিতে বাধ্য । 

আর যদি বলেন যে প্রতি জুম্মার দিনে নবী পাকের জন্ম আলোচনা কেন করেন তা হলে বলব যে , প্রতি জুম্মার দিনে নয় বরং প্রতি দিন প্রতি ক্ষনে  ক্ষনে ওনার জন্মের আলোচনা করা  যায়েয।  এতে কোন বাঁধা নাই।  বরং তা ওয়াজীব ও সুন্নাত সাবেত।  আর ওয়াজীব ও সুন্নাত পালন করতে শনিবার আর মঙ্গল বার দরকার নাই আমাদের ।


আপনার ৭ টা প্রশ্নের জবাব শেষ হল। 


আমি হিংসা পরিহার করে সুন্দর করে জবাব দেয়ার চেষ্টা করেছি । 
যদি আমার এই সকল দলিল ও কথার মধ্য কোন ত্রট্ থাকে তবে নিজ গুলো ক্ষমা করবেন। যদি আপনার মনপুত না হয় তবে হালালের সন্তানের মত সুন্দর করে লিখিত জবাব তুলে ধরে আমার ভুল ও দোষ ত্রুটি তুলে ধরবেন । 

সুন্দর করে আমার এই পোষ্ট বিষয় দলিল ভিত্তিক সমালোচনা করবেন। ইনশাল্লাহ যদি ভুলের উপরে থাকি তবে তওবা করে নির।  যদি আমার দলিল থাকে তবে তুলে ধরব।  



আর আপনাকে ও বলব যদি ভুলের উপরে নিজেকে মনে করেন তবে তওবা করে নিবেন অন্যথা আমার ভুল তুলে ধরবেন ।

যদি তা সম্ভব না হয় তবে ভিন্ন ও নতুন ফেতনা পোষ্ট করবেন ও 
নিজেকে হারামজাদা প্রমান করবেন 


সোহেল রানা । 


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন