ইমাম বুখারির প্রতি শিয়া মালাউনের আপত্তির জবাব ।
যোসেফ চৌধুরি আল রাফেজি নামের একজন কথিত শিয়ার মেসেজে কয়েকদিন যাবত উৎপাত সয্য করতে হয়েছিল । তার আপত্তির শেষ নাই , আর এমন সব আপত্তি যা নিয়ে পুরা দুনিয়ার মুসলমানদের মধ্য কোন মতবিরোধ নাই ।
কিন্তু কথা হল যে যারা শিয়া’র দাবি করে তারা যেমন মুসলমান নয় ঠিক তেমনি অমুসলিম ইহুদিদের মত তাদের প্রশ্ন বা আপত্তি গুলোও তেমনি ।
তার একটা দাবি হল ইমাম বুখারি রহঃ ওনার কিতাবে মিথ্যা ও বানোয়াট হাদিস বর্ননা করেছেন ।
ইমাম বুখারি রহঃ এর বুখারি শরিফে খন্ড ৪ :: অধ্যায় ৫৪ :: হাদিস ৪৯০
ইবরাহীম ইব্ন মূসা (র)……………..আয়িশা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (সাঃ)-কে যাদু করা হয়েছিল। লায়স (র) বলেন, আমার নিকট হিশাম পত্র লিখেন, তাতে লেখা ছিল যে, তিনি তাঁর পিতার সূত্রে আয়িশা (রা) থেকে হাদীস শুনেছেন এবং তা ভাল করে মুখসত্ম করেছেন। আয়িমা (রা) বললেন, নবী (সাঃ)-কে যাদু করা হয়। এমনকি তার যাদুর খেয়াল মত হতো যে, তিনি স্ত্রীগণের বিষয়ে কোন কাজ করে ফেলেছেন অথচ তিনি তা করেন নি। মেষ পর্যমত্ম তিনি একদিন রোগ আরোগ্যের জন্য বারবার দু’আ করলেন, এরপর তিনি আমাকে বললেন, তুমি কি জান? আল্লাহ আমাকে জানিয়ে দিয়েছেন, যাতে আমার রোগের আরোগ্য নিহিত আছে? আমার নিকট দু’জন লোক আসল। তাদের একজন মাথার কাছে বসল আর অপর জন আমার পায়ের কাছে বসল। এরপর একজন অপরজনকে জিজ্ঞাসা করল এ ব্যক্তির রোগটা কি? জিজ্ঞাসিত লোকটি জবাব দিল, তাকে যাদু করা হয়েছে। প্রথম লোকটি বলল, তাকে যাদু কে করল? সে বলল, লবীদ ইব্ন আ‘সাম। প্রথম ব্যক্তি বলল, কিসের দ্বারা (যাদু করল)? দ্বিতীয় ব্যক্তি বলল, তাকে যাদু করা হয়েছে, চিরুনি, সুতার তাগা এবং খেজুরের খোসায়। প্রথম ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করল, এগুলো কোথায় আছে? দ্বিতীয় ব্যক্তি জবাব দিল, যারওয়ান কূপে। তখন নবী (সাঃ) সেখানে গেলেন এবং ফিরে আসলেন, এরপর তিনি আয়িশা (রা)-কে বললেন, কূপের কাছে খেজুর গাছগুলো যেন এক একটা শয়তানের মুন্ড। তখন আমি (আয়িশা রা) জিজ্ঞাসা করলাম,আপনি কি সেই যাদু করা জিনিসগুলো বের করতে পেরেছেন? তিনি বলেন, না। তবে আল্লাহ আমাকে আরোগ্য দিয়েছেন। আমার আশংকা হয়েছিল এসব জিনিস বের করলে মানুষের মধ্যে ফাসাদ সৃষ্টি হতে পারে। এরপর সেই কূপটি বন্ধ করে দেয়া হল।
এই হাদিস তার মতে মিথ্যা , বানোয়াট ,
উম্মুল মুমেনিন মা আয়েশা সিদ্দিকা রাঃ একজন মিথ্যাবাদি বানোয়াট হাদিস পেশ করেছেন ।
অগ্নি পুজকের নাতি বলে সম্মান হানী করার চেষ্টা করে থাকেন তারা ইমাম বুখারী রহঃ এর , তাদের দাবি নবী সাঃ কে যাদু করার মত জাল হাদিস বর্ননা করেছেন ইমাম বুখারি ।
এমন ওনেক কথা ।
তার কথাগুলো পযেন্ট আকারে তুলে ধরে আমি জবাব দিচ্ছি ।
পয়েন্ট ১ ****যদি পবিত্র মহানবী (সাঃ), খুব সহজে, মায়াবীর জাদুবিদ্যা দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল তাই অসুস্থ হন এবং অনেক সময় বিছানায় কাটাতেন তাহলে এটা খুব সহজে তাঁর মহান লক্ষ্যে পৌঁছানো বন্ধ করে দেয়।
জবাব ;
প্রথমত কথা হচ্ছে সে বুখারি শরিফের ৫১৫৩ নং হাদিস যা নবী সাঃ কে যাদু করা বিষয়ে , সেই হাদিস খন্ডন করতে এমন কোন হাদিস পেশ করেন নাই যাতে উক্ত হাদিস মিথ্যা প্রমানিত হয় , বরং সে নিজ মস্তিস্ক ব্যবহার করেছে । সে এমন এক মস্তিস্ক ব্যবহার করেছে যা আল্লাহদ কুদরতের সমালোচনা ও আল্লাহ কি করে দুনিয়ারকাজ সম্পাদন করবেন তা নিয়ে চিন্তা করে ।
আমি মুল আলোচনা করার আগে একটা সুন্দর উদাহরন দিতে চাই ,
আর তা হল , আমরা ছোট থেকে বড় হই ভাই বোন মা বাবার সাথে ।
আমরা অনেক আদর করে আমাদের বোন কে বড় করি , ও আমাদের বোন কে অন্য ছেলের কাছে বিযে দেই ।
আর আমি বা আমরা অন্য ছেলের বোন কে বিয়ে করে নিয়ে আসি ।
আমাদের এটা জানা থাকে না যে আমি বা আপনি যে ছেলের কাছে বোন বিযে দিলাম সেই ছেলের চরিত্র কেমন , কেমনই বা সেই ছেলের মন মানুষিকতা । আমাদের বোনের সাথে মনের মিলন হবে বা কি না ।
আর আমি বা আপনি ও এমনি একজনের বোন কে বিয়ে করে নিযে আসি যে মেয়ের বিষয় আমাদের তেমন কিছুই জানা থাকে না , আমরা এটা ও জানি না সেই মেয়ের সাথে আমার বা আপনার মনের মিল হবে কি না ।
তবুই এটাই আমাদের সমাজ ও ধর্মের বাস্তবতা ।
কিন্তু আমরা যদি এখানে নিজের বিবেক ব্যবহার করি , তবে এখানে দেখা যাবে যে , আমার বোন যদি আমার জন্য খানা বানাতে পারে , বিছানা পরিষ্কার ও ঠিক করতে পারে ,
তাহলে কেন আমার বোন ও আমি এক বিছানায় ঘুমাতে পারব না ?
কেন আমি ও আমার বোন সারা জীবন সংসার করতে পারব না ?
কেন আমি ও আমার বোন সন্তান জন্ম দিতে পারব না ?
বরং আমিও আমার বোন মিলে যদি আমরা সংসার করতে শুরু করি তবে , তা হবে সবচেয়ে ভাল উপায় । কেননা আমি ও আমার বোন এক অপরেকে ভাল করে চিনি ও জানি , আমি ও আমার বোন মিলে ঘর করলে বা প্রত্যেকে নিজেদের বোন কে ঘরে রেখে সংসার করলে এতে তালাক নামের শব্দটা দুনয়া থেকে উটে যাবে । এটা কতই না ভাল হবে সমাজের জন্য ।
আল্লাহ ক্ষমা করুন আমাকে শুধু এমন জঘন্য কথা ব্হবহার করেছী কিছু একটা বোঝানোর জন্য ।
আর তা হল আমাদের বিবেক । আমাদের বিবেক যাতে স্বায় দেয় তা সব সময় ঠিক হয় না । বরং তা হয় চরম ভুল যেমন নজের বোন কে বিয়ে করে ঘর করার চিন্তা করার মত ।
তাই আমাদের নিজ বিবেকের একটা সীমা থাকতে হবে । আমরা আল্লাহ তায়ালা আমাদের কে সামান্য জ্ঞান দান করেছেন , তিনিই ভাল জানেন কিসে ভাল কিসে খারাপ ।
স্বর্ন পরিমাপ করার নিক্তি দিয়ে যদি পাহাড় পরিমাপ করতে চান তাহলে উত্তর দাড়াবে আপনার নিক্তি বর্বাদ হবে , পরিমাপ কিছূই করতে পারবেন না ।
তাই আপনার স্বর্ন পরিমাপের নিক্তি নিজের কাছে রাখুন , অহেতুক সেই দুর্বল নিক্তি দিয়ে পাহাড় পরিমাপ করতে আসবেন না ।
প্রথমে দেখা যাক কোরান কি বলে যাদুর বিষয় ;
১০২। সুলাইমানের রাজত্বে শয়তানেরা যা আবৃত্তি করত, তারা তা অনুসরণ করত। অথচ সুলাইমান কুফরী (সত্যপ্রত্যাখ্যান) করেননি বরং শয়তানেরাই কুফরী (অবিশ্বাস) করেছিল।[1] তারা মানুষকে যাদু শিক্ষা দিত, যা বাবেল শহরে হারূত ও মারূত ফিরিশতাদ্বয়ের উপর অবতীর্ণ করা হয়েছিল।[2] ‘আমরা (হারূত ও মারূত) পরীক্ষাস্বরূপ।[3] সুতরাং তোমরা কুফরী (সত্যপ্রত্যাখ্যান) করো না’ -- এ না বলে তারা (হারূত ও মারূত) কাউকেও শিক্ষা দিত না। [4] তবু এ দু’জন হতে তারা এমন বিষয় শিখত, যা স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটাত। অথচ আল্লাহর নির্দেশ ছাড়া তারা কারো কোন ক্ষতিসাধন করতে পারত না।[5] তারা যা শিক্ষা করত, তা তাদের ক্ষতিসাধন করত এবং কোন উপকারে আসত না। আর তারা নিশ্চিতভাবে জানত যে, যে কেউ তা (যাদুবিদ্যা) ক্রয় করে, পরকালে তার কোন অংশ নেই। আর তারা যার পরিবর্তে আত্মবিক্রয় করেছে, তা নিতান্তই জঘন্য, যদি তারা তা জানত! (সুরা বাকারা আয়াত ১০২)
তো উপরে এটা কোরান থেকে সুস্পষ্ট যে জাবেল শহরে হারুত ও মারুত নামের দুই ফেরেস্তার উপরে এই যাদু বিদ্যা অবতির্ন হয়েছিল ।
এখান থেকে এটা প্রমানিত যে যাদ আছে ,
উক্ত আয়াতে কারিমার তাফসীরে বলে হয়েছে যে ;; অর্থাৎ, ঐ ইয়াহুদীরা আল্লাহর কিতাব এবং তাঁর অঙ্গীকারের কোন পরোয়া তো করলই না, উপরন্তু শয়তানের অনুকরণ করে তারা যোগ-যাদুর উপর আমল করতে লাগল। শুধু তাই নয়; বরং তারা এ দাবীও করল যে, সুলাইমান (আঃ) কোন নবী ছিলেন না, বরং তিনি ছিলেন একজন যাদুকর এবং যাদুর জোরেই তিনি রাজত্ব করেছেন। (নাউযু বিল্লা-হ) মহান আল্লাহ বললেন, সুলাইমান (আঃ) যাদুর কার্যকলাপ করতেন না। কারণ, তা কুফরী। কুফরী কাজের সম্পাদন সুলাইমান (আঃ) কিভাবে করতে পারেন?
কথিত আছে যে, সুলাইমান (আঃ)-এর যামানায় যাদুর কার্যকলাপ ব্যাপক হয়ে গিয়েছিল। সুলাইমান (আঃ) এ পথ বন্ধ করার জন্য যাদুর কিতাবগুলো সংগ্রহ করে তাঁর আসন অথবা সিংহাসনের নীচে দাফন করে দেন। সুলাইমান (আঃ)-এর মৃত্যুর পর শয়তান ও যাদুকররা ঐ কিতাবগুলো বের করে কেবল যে মানুষদেরকে দেখালো তা নয়, বরং তাদেরকে বুঝালো যে, সুলাইমান (আঃ)-এর রাজশক্তি ও শৌর্যের উৎস ছিল এই যাদুরই কার্যকলাপ। আর এরই ভিত্তিতে ঐ যালেমরা সুলাইমান (আঃ)-কে কাফের সাব্যস্ত করল। মহান আল্লাহ তারই খন্ডন করেছেন। (ইবনে কাসীর ইত্যাদি) আর আল্লাহই ভালো জানেন।
পরবর্তিতে কালা যাদুর বিশাল এক সম্ভার ইহুদিদের কাছে থেকে যায় । যার ফসল স্বরুপ লাবীদ ইবনে আসাম নামের একজন ইহুদি নবী সাঃ কে যাদু করেন ।
যেমন কিনা পুর্বরতি নবী রাসুলগন ও ইহুদিদের হাত থেকে রক্ষা পান নাই ।
যোসেফ রাফেজি কোন দলিল ছারাই প্রমান দাবি করেছেন যা নবী সাঃ কে যাদু করার হাদিস টা মিথ্যা , কারন আল্লাহ সুভহানু তায়ালা নবী সাঃ কে সর্বক্ষন হেফাজত করেছেন , আর তার মতে হেফাজত করার পরেও কি করে কারো যাদু আছর করতে পারে ।
পবিত্র কোরানে আল্লাহ তায়ালা বলেন ; অতএব তারা অভিশপ্ত হয়েছিল তাদের অঙ্গীকার ভঙ্গের জন্য, আল্লাহর আয়াতকে প্রত্যাখ্যান করার জন্য, নবীগণকে অন্যায়ভাবে হত্যা করার জন্য এবং তাদের এ উক্তির জন্য যে 'আমাদের হৃদয় আচ্ছাদিত'। অবশ্য তা নয়, বরং কুফরির কারণে আল্লাহ তাদের অন্তরের ওপর মোহর এঁটে দিয়েছেন। সুতরাং তাদের অল্পসংখ্যক লোকই বিশ্বাসী হয়। সুরা নিসা আয়াত ১৫৫
এখন কথা হল আল্লাহ তায়ালা নিজেই বলেছেন ইহুদিরা নবীদের কে অন্যায়ভাবে হত্তা করত , আল্লাহ কি সেই সকল নবীদের হেফাজতকারী ছিলেন না ?
যোসেফ মিয়া, কি জবাব দিবা ?
আমাদের নবী সাঃ যখন ইসলাম প্রচারে তায়েফ গেলেন তখন কি ঘটেছিল ?
হযরত আয়েশা (রা.) হুজুর (সা.)-কে জিজ্ঞেস করেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ ওহুদের যুদ্ধের চেয়েও কি কোন কঠিন অবস্থার সম্মুখীন আপনি কখনও হয়েছেন? জবাবে রাসূল (সা.) তায়েফের ঘটনা উল্লেখ করে বলেন, আমি (তায়েফবাসীর নির্মম অত্যাচারের ফলে) এতটাই পেরেশান হয়ে পড়েছিলাম যে কোন দিকে যাব ঠিক পাচ্ছিলাম না। তাই যে দিকে তাকাতাম সেদিকেই ধাবিত হতাম। এ অবস্থা থেকে আমি রেহাই না পেতেই হঠাৎ দেখলাম যে, আমি ‘কারনোস সায়ালেব’ নামক স্থানে আছি। উপরে তাকিয়ে দেখি একখন্ড মেঘ আমার উপর ছায়া দান করছে। উক্ত মেঘ খন্ডের মদ্যে হযরত জিব্রাইলকে (আঃ) দেখতে পেলাম। তিনি আমাকে সম্বোধন করে বললেন, আপনার কওম আপনাকে যা কিছু বলেছে, আপনার দাওয়াতের জবাব তারা যেভাবে দিয়েছে, আল্লাহ তায়া তা সবই অবগত আছেন। তিনি আপনার জন্যে পাহাড়সমূহের ফেরেশতাদেরকে পাঠিয়েছেন, আপনি আপনার ইচ্ছামত যে কোন হুকুম তাদের করতে পারেন। অতঃপর পাহাড়ের ফেরেশতাগণ আমাকে সালাম করে বললেন, হে মুহাম্মদ (সা.) আপনার কওমের বক্তব্য এবং আপনার দাওয়াতের জবাব কিভাবে তারা দিয়েছে আল্লাহ তা শুনেছেন। আমি পাহাড়ের ফেরেশতা, আপনার রব আমাকে আপনার খেদমতে পাঠিয়েছেন যাতে আপনি আমাকে হুকুম করেন। বোখারীতে কথাটি এভাবে এসেছে, হে মুহাম্মদ আপনি যা কিছু চান বলার এখতিয়ার আপনার আছে। আপনি চাইলে তাদের উপর মক্কার দু’দিকের পাহাড় একত্র করে চাপিয়ে দিব। নবী (সা.)-এর জবাবে বলেন না-না। আমি আশা করি আল্লাহ তায়ালা তাদের বংশে এমন লোক পয়দা করবেন যারা লাশরীক এক আল্লাহর দাসত্ব করবে।
তো কি জবাব দিবেন যোসেফ সাহেব ? আমাদের নবী সাঃ কে কি আল্লাহ তায়েফ বাসিদের থেকে হেফাজত কারী ছিলেন না ?
ওহুদের যুদ্ধে নবী সাঃ এর দান্দান মুবারোক শহিদ হয়েছিল , মাথায় লোহার টুপি ভেংগে কিছু অংশ ঢুকে গিয়েছিল ।
আল্লাহ সুবহানু তায়ালা কি তখন নবী সাঃ এর হেফাজত কারি ছিলেন না ?
জবাব কি দিবেন ?
আমাদের নবী সাঃ এর প্রতি যাদু করা হয়েছিল তা ইহুদিদের একটা চক্রান্ত , যা আল্লাহ তায়ালা নস্যাৎ করে দিয়েছেন ।
আল্লাহ তায়ালা কোরানে সুরা ফালাক আয়াত নং ৪ এ বলেছেন যে ;;;وَمِنْ شَرِّ النَّفَّاثَاتِ فِي الْعُقَدِ
এবং ঐসব আত্মার অনিষ্ট হতে, যারা (যাদু করার উদ্দেশ্যে) গ্রন্থিতে ফুৎকার দেয়। [1]
তার মানে আল্লাহ তায়ালা জানতেন ও নবী সাঃ কে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করতে বলেছেন ।
অন্যখানে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন যে ;;;
وَإِذَا مَرِضْتُ فَهُوَ يَشْفِينِي
আর যখন আমি অসুস্থ হই, তখন শুধু তিনিই আমাকে আরোগ্য দান করেন। (সূরা শুআরা- ৮০)
এখানে এটা স্পষ্ট যে আল্লাহ তায়ালা নবী সাঃ কে অসুস্থতা দান করতেন ও আল্লাহর ইচ্ছায় তিনি সুস্থ হতেন ।
অন্যখানে আল্লাহ তায়ালা বলেন ;;;(وَمَنْ يَتَوَكَّلْ عَلىَ اللهِ فَهُوَ حَسْبُهُ)
“যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর ভরসা করবে, আল্লাহই তার জন্য যথেষ্ট হবে।” (সূরা ত্বালাক- ৩)
আমাদের নবী সাঃ আল্লাহর উপরই ভরসা করতেন , তাই ইহুদিদের কোন চক্রান্ত আল্লাহর দ্বীন প্রচারে বাধা হয়ে দাড়ায় নাই ।
বরং ইহুদিদের চরিত্র আল্লাহ সুবহানু তায়ালা মানুষের সামনে তুলে ধরেছেন , প্রকাশ করে দিয়েছেন । যাতে মুসলমান সমাজ ইহুদিদের থেকে সাভধান থাকতে পারে ।
এর কারনে জাজিরাতুল আরব থেকে ইহুদিদের বিতারিত করা হয় , প্রায় ১৩০০ বছর তাদের কে বিতারিত বাস্তুহীন থাকতে হয়েছে ।
এসব কিন্তু আপনার চোখে পড়ে নাই ।
আল্লাহর কাজে কাজী গিরি করতে যাবেন না , আল্লাহ তায়ালা জানেন কোন কাজ তিনি কিভাবে সম্পন্ন করবেন ।
যেমন পবিত্র কোরানে আল্লাহ তায়ালা মানুষের জ্ঞান সম্পর্কে বলেছেন যে : তারা আপনাকে রূহ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে। বলে দিনঃ রূহ আমার পালনকর্তার আদেশ ঘটিত। এ বিষয়ে তোমাদেরকে সামান্য জ্ঞানই দান করা হয়েছে।বনী ইসরািল আয়াত ১৮৫
তো আপনার সেই সামান্য জ্ঞান দিয়ে পুরা দুনিয়া পরিমাপ করতে যাবেন না ।
যদি আপনার মা সতি নারী হয় ও আপনি এক বাপের হালালের পয়দা হয়ে তাকেন তবে আপনার উচিত হবে আপনি রিজাল শাষ্ত্রমতে উক্ত হাদিস জাল মিথ্যা প্রমান করুন । অন্যথায় আপনি নিজের দুর্ল জ্ঞানেক নিক্তি দুরে রাখুন ।