কেউ কেউ তরিকায় মোহাম্মদী এর নাম নবী পাক সল্লেল্লাহু আলাইহে সালাম এর নামের সাথে সামঞ্জস রেখে রাখা হয়ছে বলে প্রচার করেন৷ তার জন্য অবচস ।যে এর প্রমান কি আরো দেয়া হবে পরবর্তিতে ৷
কিছু প্রমান দেখুন সাইয়েদ আহমাদ যে ওহাবী ছিল বরং ওহাবী দের এজেন্ডা তার দলিল ;-
মির্জা হায়েরাত দেহলভী তার রচিত (হায়াতে তাইয়েবা ) এর ৩৮৯-৩৯১ নং পৃষ্টায় লিখেছেন যে :- যদিও ওহাবীদের যুদ্ধ সম্পর্ক ও রাষ্টীয় ক্ষমতা চুর্নবিচুর্ন হয়ে গেল ও ওহাবীদের রাষ্টীয় ক্ষমতা নজদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ হয়ে গেল তবুও সেই সময় নজদের মসজিদ গুলোতে গর্জে উঠত মহাম্মাদ বিন আব্দুল ওহাব নজদীর তৈরী কৃত ধর্মীয় মূলনীতি গুলো। সেই সময় মসজিদ গুলো তে অতি ধর্মীয় উদ্দীপনার সাথে প্রচারিত হচ্ছিল সেই নীতি গুলো। ঐসব জ্বালাময়ী বক্তব্য ও নীতি গুলো সুধু নজদের চৌহদ্দির ভিতরেই সীমাবদ্ধ থাকেনি বরং হিন্দুস্থানে একজন নিরলস আত্বার ভিতরে নতুন প্রানের সঞ্চার করে দিয়েছে। যখন এ বুজুর্গ (সাইয়েদ আহমাদ বেরেলবী) হজ্জ করতে আসলেন মক্কা সরিফে তখন ওহাবীদের বড় ফাজিলের নিকট থেকে ধর্মীয় শিক্ষা হাসিল করলেন ও মোহাম্মদ বিন আব্দুল ওহাব নজদীর তৈরী কৃত মূলনীতি গুলো গলধকরন(গিলে খাওয়ার মত ) করলেন। রায়বেরেলি এর ডাকাত ও রাহাজানি কারী সাইয়েদ আহমাদ ১৮২২ সালে বায়তুল্লাহ হজ করে উত্তর ভারতের একটি মাত্র ভুখন্ড কে তার ধর্মীয় নীতি প্রচারের জন্য মনস্ত করলেন। ইসলামের নবীর সরাসরি আওলাদ হওয়া সত্তেও তিনি নিজের মধ্যে আমিরুল মোমেনিন হওয়ার বৈশিষ্ট গুলো নিজের মাঝে বিশেষ ভাবে লক্ষ্য করলেন। ভারতের কিছু মুসলমান তাকে যুগের সাচ্চা খলিফা ও ইমাম মেহেদী মনে করতে লাগলেন। সৌভাগ্য ক্রমে একজন ফাজেল আলেম শাহ ইসমাইল তার মুরিদ হল। নতুন খলিফার ধর্মীয় মূলনীতি গুলো নিয়ে একটা কিতাব রচনা করলেন , সেটার নাম সিরাতে মুস্তাকিম।
তবুও এ ধর্মের নীতি হিন্দুস্তান ও নজদেই অবশিষ্ট থেকে গেল :- যা দিন দিন বাড়তেই লাগলো। অতি ধুমধামের সাথে ওহাবী ধর্মের কিতাব গুলো মুদ্রিত ও সেগুলোর প্রচার ও প্রসার করা হয়। যেমন সিরাতিম মুস্তাকিম ,তাকবিয়াতুল ইমান কিতাব গুলো হিন্দুস্থানী মুসিল্মান্দের উপর জবরদস্ত প্রভাব ফেলেছে ( হায়াতে তাইয়েবা ) পৃষ্টা ৩৮৯-৩৯১
এই মির্জা হায়েরাত দেহলবী একজন আহলে হাদিস ও সাইয়েদ আহমাদ তাদের ইমাম। আশা করি তারা নিজেদের ইমাম এর উপর অহাবিয়াতের কলঙ্ক একে দিতে চান নাই।
আরো কিছু দেখুন ;- (মোহাম্মদ ইবনে আব্দুল ওহাব ) কিতাবের লেখক আহমাদ আব্দুল গফুর আত্বার ৬৩ নং পৃষ্টায় লিখেছেন যে ;- মোহাম্মদ বিন আব্দুল ওহাব নজদীর উত্তুর্সুরিদের মধ্যে সাইয়েদ আহমাদ অফ রায়্ বেরেলোবি হিন্দুস্তানের বড় চাম্পিয়ন , সংস্কারক ও ইমামে বর্হক (মোহাম্মদ ইবনে আব্দুল ওহাব ) পৃষ্টা ৬৩
মৌলভি ওবায়দুল্লাহ সিন্ধি তার কিতাব (হাসিয়ায়ে শাহ ওলি উল্লাহ আওর উনকী সিয়াসী তেহরিক) কিতাবের ১২৪ নিংপৃষ্টায় লিখেছেন যে ;- হিন্দুস্থানে ইয়েমেনী (কাজী শাওকানী ) নজদি বিপ্লব অবস্থা বিগড়ে ফেলেছে (সাইয়েদ আহমাদ এর আন্দোলনকে উদ্দেহ্সো করে এই কথা উল্লেখ করা হয়েছে যে কাজী শাওকানী ওদের বিরুধিতা করে গেছেন )
কাজী শওকানির বিষয়ে ঐতিহাসিক আব্দুল ওয়াদুদ তার কিতাব (ওহাবি আন্দোলন ) এ লিখেছে ১১৬ নং পেজে যে ;- ইয়েমেন দেশ হতে আগত কাজী শওকানি নামের একজন জবরদস্ত আলেম ছিল । তাহার পৃভাবে মাওলানা মোহাম্মদ আলী রামপুরী,বেলায়ে
বেদাত -অবেদাত প্রশ্নে মুজাহিদ শিবির কে দিধা-বিভক্তি করছিলেন । তখন অন্যপায় হয়ে সাইয়েদ আহমাদ ও মাওলানা শাহ ইসমাইল তাদের কে ভারতে চালান দিলেন । কিন্ত সমস্যা সমাধান না হয়ে আরো তিব্র হল ও এক একজন হায়দারাবাদ , মাদ্রাজ ও যুক্ত প্রদেশ এ নিজ নিজ কর্ম ক্ষেত্র তৈরি করেন ও বেদাতি আলেমদের (সাইয়েদ আহমাদ ও শাহ ইসমাইল) বিরুদ্ধ ফতোয়া জারি করলেন । (ওহাবি আন্দোলন ) ১১৬ পৃষ্টা
এই খানে আরও একটু বলা দরকার যে (ওহাবি আন্দোলন ) এর লেখক একজন ১০কাজী শওকানির বিষয়ে ঐতিহাসিক আব্দুল ওয়াদুদ তার কিতাব (ওহাবি আন্দোলন ) এ লিখেছে ১১৬ নং পেজে যে ;- ইয়েমেন দেশ হতে আগত কাজী শওকানি নামের একজন জবরদস্ত আলেম ছিল । তাহার পৃভাবে মাওলানা মোহাম্মদ আলী রামপুরী,বেলায়ে
বেদাত -অবেদাত প্রশ্নে মুজাহিদ শিবির কে দিধা-বিভক্তি করছিলেন । তখন অন্যপায় হয়ে সাইয়েদ আহমাদ ও মাওলানা শাহ ইসমাইল তাদের কে ভারতে চালান দিলেন । কিন্ত সমস্যা সমাধান না হয়ে আরো তিব্র হল ও এক একজন হায়দারাবাদ , মাদ্রাজ ও যুক্ত প্রদেশ এ নিজ নিজ কর্ম ক্ষেত্র তৈরি করেন ও বেদাতি আলেমদের (সাইয়েদ আহমাদ ও শাহ ইসমাইল) বিরুদ্ধ ফতোয়া জারি করলেন । (ওহাবি আন্দোলন ) ১১৬ পৃষ্টা
আর একটা কথা যে কাজী শওকানি , মাওলানা মোহাম্মদ আলী রামপুরী,বেলায়ে
এই খানে আরও একটু বলা দরকার যে (ওহাবি আন্দোলন ) এর লেখক একজন ১০০০% সাইয়েদ আহমাদের ভক্ত । এই বিষয়ে একদিন একটা পেষ্ট করব ।
গায়ের মুকাল্লেদ এর আলেম দাওউদ গজনবী (জময়তে আহলে হাদিসের আমীর ) লিখেছেন যে ;- সেটা সেই ওহাবী আন্দোলনের হারানো ছবি গুলো থেকে একটা প্রতিচ্ছিবি ছিল (দাউদ গজনভী জীবনী ) পৃষ্টা ৬৫
ওবায়দুল্লাহ সিন্ধি তার রচিত (হাসিয়ায়ে শাহ অলিউল্লাহ আওর উনকী সিয়াসী তেহরিক ) কিতাবের ১২৬ নং পৃষ্টায় লিখেছেন যে ;- শাহ ইসমাইল দেহলবী নজ্দিদের নিকট সাহায্য চেয়ে চিটি লিখে একজন পত্রবাহক প্রেরণ করলেন। যেহেতু নজ্দিরা হিজাজ ভূমি তে আসতে পারছিলনা তাই তারা এই বলে পত্রবাহক কে ফেরত পাঠালো যে আমরা সুধু দোয়া করতে পারি ( হাশিয়ায়ে শাহ অলিউল্লাহ আওর উনকী সিয়াসী তেহরিক) পৃষ্টা ১২৬
এর পর ও কি বলবেন যে ওহাবীদের সাথে সাইয়েদ আহমাদ এর সম্পর্ক ছিল না ?
এর পর ও কি ওহাবী আন্দোলন কে আওর মোহাম্মদী বানানোর কাহিনী ক্লিয়ার না ?
যাদের চোখ আছে তাদের জন্য এএটি অনেক বেশি বলে মনে করছি। আর সে যে পীর তন্তের শায়েখ এর ইজ্জাত নিয়ে বসে আছে তার ও কিছু বক্তব্য তুলে ধরব।
আব্দুল ওয়াদুদ এর লেখা ওহাবী আন্দোলন কিতাবের সাইয়েদ আহমাদ কে ও তার অনুসারী দের কে তিনি ওহাবী বলেই উল্লেখ করেছেন। উক্ত কিতাব পরলেই সুস্পষ্ট প্রমানীতি হয়যে সে নিজেও একজন ওহাবী। এবং তার ও এমাম ছিল এই সাইয়েদ আহমাদ। আরো তিনি উল্লেখ করেছেন যে কারামত আলী যৌনপুরি ওহাবী ছিল না।
মাসিক দিন দুনিয়া চট্রগ্রাম থেকে প্রকাশিত ২০০০ মে এর সংখা ও ১৪ নং পেজ( ইমান এর দীপ্ত মশাল )শিরোনাম এ বলা হয় সৈয়দ সাহেব এর আনদোলন ছিল সংসকার মুলক ও তার ভিত তাসাউফ এর উপর ৷প্রচলিত তাসাউফ এর ক্ষেত্রে যেসব তরিকা প্রচলন ছিল তার কোনটাই সরাসরি সাপোর্ট না করে পরিপূর্ণ সুন্নাত ও তরিকার উপর তিনি তরিকার ভিত্তি স্থপন করেছিলেন ৷ তিনি প্রকাস্য ঘোসনা করেছিলেন যে সিন্দু ,পারসসো ,রোম, হিজ্দুস্থান এর যে সব তরিকার প্রচলন আছে ও যা কিছু বিদাত দুখেছে তা সব কিছুই সাহাবী ও নবী পাক এর সুন্নাত বেতিত সবই পরিতাজ্য ৷সুধু তাই নয় আমি এইসব তরিকা ও সকল কিছুর প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ জরুরি মনে করি.
এই খানে তিনি যে পাক্কা ওহাবী ছিল সেই কারণেই সুধু কাদেরিয়া ,চিস্তিয়া, নকশাবন্দী,মুজাদ
আশা করি সাইয়েদ আহমাদ যে ওহাবী ছিল কোনো মুজাদ্দেদ বা কিছুই ছিল না তা প্রমানিত হল ও মোহাম্মদ বিন আব্দুল ওহাবী এর মাজহাব কে আওর মোহাম্মদী বলে চালিয়ে দেয়ার একটা সুস্পষ্ট প্রয়াস চালিয়েছিলেন
সোহেল রানা
চলবে